সাহস শব্দটির মানে হচ্ছে ভয় না পেয়ে কোনো কাজ করতে এগিয়ে যাওয়া। নিজের বিপদ হবে জেনেও কল্যাণকর কোনো কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার যে প্রবৃত্তি, তার নাম 'সৎসাহস'। জীবনে চলার পথে সৎসাহস দেখানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সৎসাহস মনোবল বাড়ায়। নির্ভীকতার সঙ্গে প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি দাঁড়াতে শেখায়। সবল যখন দুর্বলের ওপর অত্যাচার করে তখন সৎ-সাহসী দুর্বলের পক্ষে দাঁড়ান। তার জন্য লড়াই করেন।
মহাভারতে আছে, বালক অভিমন্যু সৎসাহস দেখিয়েছিলেন। রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ প্রভৃতি ধর্মগ্রন্থে সৎসাহস দেখানোর বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। দেশকে রক্ষার জন্য সৎসাহস দেখিয়েছিলেন জনা, প্রবীর, বিদুলা প্রমুখ।
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর বিরদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রবল বেশি ছিল না। কিন্তু তাঁদের বুকে ছিল সৎসাহস। তাই সৎসাহস দেশপ্রেমিকেরও একটি বৈশিষ্ট্য। সৎসাহস ধর্মের অঙ্গ এবং একটি নৈতিক গুণ।
একক কাজ: সৎসাহস প্রদর্শনের চারটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করে তোমার ভূমিকা কী হওয়া উচিত লেখ। |