হযরত ইলিয়াস (আ) ছিলেন মূসা (আ)-এর ভাই হারুন (আ)-এর বংশধর। তিনি জর্দানের ‘আলআদ’ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তখনকার ইসরাইলের শাসনকর্তা ছিলেন আখিব অথবা আখিয়াব। তিনি হযরত হিযকীল (আ)-এর পরে এবং আল ইয়াসা (আ)-এর পূর্বে বনি ইসরাইলের হিদায়াতের জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন। তিনি হযরত হিযকীল (আ)- এর স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি শামের বাসিন্দাদের হিদায়াতের জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন। তাঁর প্রচারের কেন্দ্র ছিল শামের শহর ‘বালাবাক্কু'।
ঐ সময় ইসরাইলিরা আল্লাহকে ভুলে যায়। তারা এক আল্লাহর ইবাদত না করে নানারকম শিরকে লিপ্ত হয়। তারা মূর্তি ও তারকা পূজা করত । তাদের প্রধান মূর্তি ছিল বা‘ল দেবতা। নবির কথায় বাদশাহ ইমান এনেছিল । কিন্তু তার স্ত্রীর প্ররোচনায় আবার শিরকে লিপ্ত হয়।
আল্লাহর আজাবে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল । ৩ বছর ধরে ভীষণ দুর্ভিক্ষ চলছিল । ঐ সম্প্রদায়ের লোকেরা নবির কাছে এসে আবেদন-নিবেদন করায় তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন। কিন্তু বিপদ কেটে যাওয়ার পর আবার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে মুশরিক হয়ে যায়। তাদের উপর আজাবের জন্য তারা নবিকেই দোষারোপ করে। তারা তাঁর প্রতি ঘোরতর শত্রুতা শুরু করে। তিনি তাঁর অনুসারীদের নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। তাদের উপর আবার আল্লাহর আজাব আসে।
আরও দেখুন...