হযরত হূদ (আ) একজন নবি ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ‘আদ’ জাতির হিদায়েতের জন্য পাঠিয়ে ছিলেন। ‘আদ’ সম্প্রদায় এবং হূদ (আ)-এর বংশতালিকা চতুর্থ পুরুষে ‘সাম’ পর্যন্ত পৌঁছে মিলে যায়। তাই হূদ (আ) তাদের বংশগত ভাই। আম্মান থেকে শুরু করে হাযরামাওত ও ইয়েমেন পর্যন্ত ‘আদজাতির বসতি ছিল। তারা যেমন ছিল শক্তিশালী তেমনি বিরাটাকায় সুঠামদেহের অধিকারী ছিল। তারা অহংকারী ও অত্যাচারী ছিল।
আদজাতি এক আল্লাহকে ভুলে গিয়ে মূর্তিপূজা ও নানারকম শিরকে লিপ্ত ছিল। হযরত হূদ (আ) তাদের শিরক ও মূর্তিপূজা ত্যাগ করে এক আল্লাহর ইবাদত করতে বলেন। জুলুম-অত্যাচার ত্যাগ করে ন্যায়নীতি ও সুবিচার করতে বলেন। তারা অহংকার করে আল্লাহ ও রাসুলের আদেশ অমান্য করল। হযরত হূদ (আ) তাদের আজাবের ভয় দেখান, কিন্তু তারা ভয় পেল না। আল্লাহর ইচ্ছায় প্রথমে অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষ এলো। এতেও তারা শোধরাল না। পরে তাদের উপর লাগাতার ৭ রাত ও ৮ দিন ভীষণ ঘূর্ণিঝড় চলল। এতে তাদের ঘরবাড়ি, দালানকোঠা, গাছপালা ও লোকজন ধূলিসাৎ হয়ে গেল। গোটা এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হলো। অহংকার তাদের পতনের কারণ হলো। আজাবের সময় হযরত হূদ (আ) তাঁর অনুসারীদের নিয়ে একটি কুঁড়েঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের কিছুই হলো না। আল্লাহ তাঁদের নিরাপদে রাখলেন। পরে তাঁরা মক্কায় চলে যান ৷
আরও দেখুন...