বাগদা চিংড়ির প্রতিটি হ্যাচারিতে সাধারণত শক্তিশালী কর্মদক্ষতা সম্পন্ন সেচ মেশিন থাকে। সেচ মেশিনের সাহায্যে মাটির নিচ থেকে পানি তোলা হয় এবং মজুদ ট্যাংকে মজুদ করা হয়। পানি মজুদ ট্যাংক সাধারণত একটু উঁচুতে নির্মাণ করা হয় যাতে সহজে সেচ মেশিন দ্বারা পানি তোলা যায় । পানি সঞ্চয় ট্যাংকের ক্ষমতা লার্ভা পালন ট্যাংকের কমপক্ষে ২০% হওয়া উচিত। এ ট্যাংকগুলো কংক্রিট দ্বারা নির্মাণ করা হয় যেন পানির অধিক চাপ ধারণ করতে পারে। লোনা পানি ও মিঠা পানির মজুদ ট্যাংক ভিন্ন ভিন্ন হয়।
মজুদ করার পর পানিকে পরিস্রুত করার জন্য পরিস্রাবকের ব্যবস্থা থাকে। যেখানে ছোট বড় বালিকণা, ঝুলন্ত পদার্থসহ সকল জীবাণু অপসারণ করে। তবে কিছু বিষাক্ত জীবাণু ধ্বংস করতে রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করা হয়। এতে চিংড়ির পোনার রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। নিয়মিত পরিস্রাবকটি পরিষ্কার করতে হয়। পরিস্রাবকের নিচের অংশে জমাকৃত ডেট্রাইটাসগুলো সহজেই ধুয়ে ফেলতে হয়। এতে পরবর্তীতে পানি ঘোলা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
প্রতিটি ট্যাংকে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ঘনত্ব নিশ্চিত করার জন্য সার্বক্ষণিক বায়ু চলাচল ব্যবস্থা অপরিহার্য। এতে পানির তাপমাত্রা ঠিক থাকে এবং অ্যামোনিয়ার ঘনত্বও হ্রাস পায়। রোটারি ব্রোয়ার, রুট ব্লোয়ার, এয়ার কম্প্রেসর ইত্যাদি বায়ু সঞ্চালক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হ্যাচারির জন্য রুট ব্লোয়ার বেশি উপযুক্ত কারণ এটি সহজে ভাঙ্গে না, ব্যবহারে কম জটিল এবং তৈলাক্ত পদার্থ তৈরি করে না।
হ্যাচারিতে সার্বক্ষণিক বায়ু সঞ্চালনের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য জেনারেটর স্থাপন করা হয়। যার সাথে এই বায়ু সঞ্চালন মেশিনগুলো সংযুক্ত থাকে। এতে বিদ্যুৎ ব্যাহত হলেও বায়ু সঞ্চালন মেশিনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয় এবং বায়ু চলাচল অব্যাহত থাকে।
পানির তাপমাত্রা, পিএইচ, লবণাক্ততা, অ্যামোনিয়ার ঘনত্ব, অক্সিজেনের ঘনত্ব এসব নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হয়।