জনাব রাশেদ এ বছর তার পুকুরে রাজপুঁটি মাছ চাষ করেন। পোনা মজুদের সপ্তাহ খানেক পর তিনি তার পুকুরে কিছু মাছের ফুলকায় রক্তক্ষরণ, পঁচন ও ফুলে যাওয়া লক্ষণ প্রত্যক্ষ করেন। এ সমস্যায় তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ নিলে কর্মকর্তা জনাব রাশেদকে এ রোগের কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা বলে দেন।
সজীব একজন ধানচাষি। সে ধানের পাশাপাশি মাছও চাষ করতে চায়। পরামর্শের জন্য মৎস্য কর্মকর্তার কাছে গেলে মৎস্য কর্মকর্তা তাকে চিংড়ি চাষের পরামর্শ দিলেন।
বেকার যুবক রবি পুকুরে মাছ চাষ করেছেন। প্রচুর খাদ্য দেওয়ার পরও ভালো ফলন পাচ্ছেন না। পরে মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে জৈব ও রাসায়নিক সার দেন এবং লাভবান হন।
এক সময় এদেশের জলাশয়গুলোতে প্রচুর মাছ দেখা যেত। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ ও প্রতিকূল পরিবেশের দরুন মৎস্য সম্পদের অনেক প্রজাতি আজ বিলুপ্ত হয়েছে।
আমাদের দেশে দ্রুত বর্ধনশীল ও সুস্বাদু এক প্রকার মাছ চাষ করা হয়, যা থাইল্যান্ড থেকে ১৯৭৭ সালে আমদানি করা হয়।
ফরিদ ২০ শতক আয়তনের পুকুরে রাজপুঁটির চাষ করে। পুকুরে কিছু মাছ Ichthyophthirius multitiliis নামক পরজীবী দ্বারা সংক্রমিত হলে রোগ দমনের জন্য সে ২-৩% কিউরিন দ্রবণে মাছকে গোসল করায়।
লিমনের পুকুরে বছরে ৫-৬ মাস পানি থাকে। তাই সে পুকুরে সব জাতের মাছ চাষ করতে পারে না। মৎস্য কর্মকর্তাকে এ বিষয়টি জানালে তিনি লিমনকে একটি দ্রুত বর্ধনশীল জাতের মাছ চাষের পরামর্শ দিলেন। এটি দুইমাস বয়সেই খাওয়ার উপযোগী হয়।
রহিমা ২০ শতক আয়তনের পুকুরে নাইলোটিকার চাষ করেন। মাছের পর্যাপ্ত বৃদ্ধির জন্য পুকুরে প্রয়োজনীয় মাত্রায় চুন ও সার প্রয়োগ করেন।
ভৌগোলিক ও পরিবেশগত কারণে বাংলাদেশে প্রাচীনকাল থেকেই মাছ চাষের প্রসারতা লক্ষ করা যায়। এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময়।
বাংলাদেশে চিংড়ি একটি মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। বর্তমানে চাষিরা চিংড়ি খামার স্থাপন করে লাভবান হচ্ছে।
আবির তার বাড়ির পাশের পুকুরে গলদা চিংড়ি চাষের সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শমতে তিনি ভালোভাবে পুকুর প্রস্তুত করেন।
ধানক্ষেতে গলদা চিংড়ি চাষ বলতে একই জায়গায় একই ব্যবস্থাপনায় একই সময়ে ধান ও চিংড়ি চাষ করা বোঝায়। জমি নির্বাচনের ওপর ধান ও গলদা চিংড়ি চাষের সফলতা নির্ভর করে।
আসিফ ২ হেক্টর জমিতে গলদা চিংড়ির চাষ করেন। চিংড়ির অধিক ফলনের জন্য তিনি সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করেন।
করিম তার বাড়ির পুকুরে গলদা চিংড়ি চাষ করে। অধিক ফলন লাভের আশায় করিম পুকুরে দৈনিক সার প্রয়োগ করে থাকে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে চিংড়িগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকায় ঘেরে ব্যাপকভাবে বাগদা চিংড়ির চাষ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে উৎপাদিত চিংড়িতে বাগদার অবদান যথেষ্ট।
আলম ঘেরে চিংড়ি মজুদের কয়েক মাস পর লক্ষ করেন চিংড়ির দেহ থেকে এন্টেনা, সন্তরণপদ ঝরে পড়ছে। তিনি এই রোগের প্রতিকারের জন্য মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ নেন।
শফিকুল কয়েকটি পুকুরে মাছের চাষ করেন। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে প্রতি বছর প্রচুর মাছ নষ্ট হয়ে যায়। তিনি এ বছর একটি সনাতন পদ্ধতিতে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা নেন।
উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দা জামাল মে-আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ঘের হতে চিংড়ি আহরণ করে। আহরণ করা চিংড়িগুলো সে রোদে শুকিয়ে, সিদ্ধ করে ও ধোঁয়ায় শুকিয়ে সংরক্ষণ করে।
একরামুল চিংড়ি চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি চিংড়ি ক্রয় করে ডিপোতে বিক্রি করে। এই চিংড়ি আরও দুইটি ধাপ অতিক্রম করার পর রপ্তানিকারকরা পেয়ে থাকে।
মাছকে পচার হাত থেকে সহজ উপায়ে রক্ষার জন্য এতে এক ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি ব্যবহারের ফলে মাছ দীর্ঘদিন না পচলেও মাছের গুণাগুণ নষ্ট হয় ও প্রকৃত মান বজায় থাকে না।
ফরিদ ২০ শতক আয়তনের পুকুরে রাজপুঁটির চাষ করে। পুকুরে কিছু মাছ Ichthyophthirius multitiliis নামক পরজীবী দ্বারা সংক্রমিত হলে রোগ দমনের জন্য সে ২-৩% কিউরিন দ্রবণে মাছকে গোসল করায়।
আমাদের দেশে দ্রুত বর্ধনশীল ও সুস্বাদু এক প্রকার মাছ চাষ করা হয়, যা থাইল্যান্ড থেকে ১৯৭৭ সালে আমদানি করা হয়।
এদেশের নদ-নদী, খাল-বিলে এক প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায় যা আকারে বেশ বড় হয়। এরা সাধারণত ডিসেম্বর থেকে জুলাই মাসে প্রজনন সম্পন্ন করে।
দুলাল তার গলদা চিংড়ির পুকুরে লক্ষ করেন কিছু চিংড়ির দেহে কালো দাগ পড়েছে এবং স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন।
বাগদা চিংড়ি চাষ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি পদ্ধতি হলো নিবিড় পদ্ধতি যেখানে এরেটর মেশিন দ্বারা অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।
হীরা চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। তার এলাকায় শীত মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে মাছ প্রক্রিয়াজাত করে রাখা হয়।
আব্দুর রহিম তার বাড়ির পাশের বিল থেকে ছোট-বড় অনেক মাছ ধরেছে। মাছগুলো সে সহজে ও স্বল্প ব্যয়ে সংরক্ষণ করে বেশি দামে বিক্রি করতে চায়।
মাছকে পচনের হাত থেকে সহজ উপায়ে রক্ষার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা এক ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করছে যার ফলে মাছ দীর্ঘদিন না পচলেও মাছের গুণাগুণ নষ্ট হয় ও প্রকৃত মান থাকে না।
আজিজের পুকুরে পরিষ্কার পানি। কিছু মাছ বাঁশের খুঁটির সাথে দেহ ঘষাঘষি ও লাফালাফি করছে। এ ব্যাপারে মৎস্য কর্মকর্তা তাকে পুকুরে রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করলে বলেন।
খুলনার মজিদের চিংড়ি ঘেরে সকালে দেখেন অনেক চিংড়ি মারা গেছে। চিংড়িতে সাদা সাদা দাগ রয়েছে। মৎস্য কর্মকর্তা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেন।
সাআদের ১০ শতক পুকুরে গলদা চিংড়ি চাষ করবে। পুকুরের মাটির পিএইচ ৫। মৎস্য কর্মকর্তা পুকুরে চুন প্রয়োগের পরামর্শ দিলেন।
রহিম সকালে পুকুরে গিয়ে দেখেন নাইলোটিকা খাবি খাচ্ছে। তিনি মৎস্য কর্মকর্তার নিকট থেকে পরামর্শ নিয়ে পুকুরে পানি নাড়াচাড়া দিলেন। এতে ধীরে ধীরে কিছুটা সমস্যা সমাধান হলো। মাছের খাবি খাওয়া দ্রুত বন্ধের জন্য আরো পদক্ষেপ নিয়ে সফল হলেন।
রহিমের পুকরে ১০০০ কেজি রাজপুঁটি আছে। প্লাঙ্কটন নেটের মাধ্যমে প্রাকৃতিক খাদ্য পরীক্ষা করে দেখেন নেটে সবুজ কণা জমা হয়নি। রহিম সম্পূরক খাদ্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
রহিম ২০ শতাংশের একটি পুকুর ভাড়া নেয় নাইলোটিকা চাষের জন্য। পুকুরের পানি খুবই স্বচ্ছ ও পরিষ্কার। তিনি প্রাকৃতিক খাদ্য দিয়ে মাছ চাষ করতে চান। প্রাকৃতিক খাদ্য পরীক্ষা করার তার কোন যন্ত্র নেই। প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরির জন্য ইউরিয়া দিবে।
জব্বারের পুকুরে পানির গভীরতা খুব কমে গেছে। পানিতে পোকার লার্ভা ও পোকায় ভরে গেছে। পানি দূষিত হয়েছে।
পুকুর প্রস্তুতকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রাক্ষুসে মাছ অপসারণ। এ মাছ চাষকৃত পোনা মাছ খেয়ে মোট উৎপাদন কমিয়ে দেয়। বিশেষ কিছু ব্যবস্থা অবলম্বন করে পুকুরের রাক্ষুসে মাছ অপসারণ করা যায়।
আব্দুস ছালাম একদিন সকালে দেখলেন তার পুকুরের কিছু মাছ-অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে ছোটাছুটি করছে এবং শক্ত কোনো বস্তুতে গা ঘষছে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মৎস্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা নিলেন।
হালিম তার গলদা চিংড়ির চাষের পুকুরে লক্ষ করেন কিছু চিংড়ির দেহে কালো দাগ পড়ে স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ মেতাবেক সে রোগের প্রতিকারের ব্যবস্থা নেন।
আদুরী তার চাচার সাথে সাতক্ষীরা বেড়াতে গিয়ে উপকূলীয় এলাকার ঘেরে চিংড়ি চাষ করতে দেখল। চাচা তাকে বলল, এ চিংড়ি চাষে কিছু করণীয় বিষয় আছে।
মাছ ব্যবসায়ী অমল সাহা একজন অভিজ্ঞ লোক। তিনি তার ধৃত ছোট মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে সূর্যালোক ব্যবহার করেন। এ পদ্ধতি ব্যবহার করায় তিনি বেশকিছু সুবিধা পান।
মৎস্য আহরণ থেকে ক্রেতার নিকট হস্তান্তর পর্যন্ত বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করার জন্য ব্যবসায়ীদের একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। আর এ কারণে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়।
সুজন মিয়া কৃষি ডিপ্লোমা পাস করে নিজ বাড়িতে একটি হাঁসের খামার গড়ে তোলেন। তার হাঁসের খামারে হঠাৎ করে কিছু সংখ্যক হাঁসের নাক-মুখ দিয়ে তরল পদার্থ বের হচ্ছিল এবং আলো দেখে ভয় পাচ্ছিল। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলেন।
জানুয়ারি মাসে রিকু একদিন তার মুরগির খামারে লক্ষ করল যে, কিছু মুরগির মুখ দিয়ে লালা পড়ছে এবং সাদা চুনের মতো মলত্যাগ করছে।
আলম সাহেব ডিম উৎপাদনের জন্য একটি খামার স্থাপন করলেন। খামারে তিনি বেশি ডিম উৎপাদনকারী উন্নত জাতের কিছু মুরগি পালন করতে লাগলেন যা ৫ থেকে ৬ মাসেই ডিম দিতে শুরু করল।
সাজু গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে এক ধরনের পাখির খামার দেখল। তার চাচা বলল এরা মাংস উৎপাদন করে যা ৬-৮ সপ্তাহে বিক্রয় উপযোগী হয়। মানুষ এই পাখিগুলো পালন করে তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে।
ঝন্টুদের কৃষি শিক্ষক তাদের ক্লাসে বললেন গৃহপালিত পাখি আমাদের পরিবেশের উচ্ছিষ্ট খাদ্য খেয়ে পরিবেশের উন্নয়ন করে। এছাড়া উক্ত পাখির পচানো বিষ্ঠা এক ধরনের সার হিসেবে ব্যবহৃত হয় যা গোবর সারের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ বেশি নাইট্রোজেন সরবরাহ করে।
বিপ্লব কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণে বাংলাদেশে হাঁস-মুরগি পালনের বাধাসমূহ সম্পর্কে জানতে পারল। সে আরো জানলো মোট ব্যয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় এদের খাদ্যে।
শফিক উদ্দিন একটি মুরগির খামার তৈরি করলেন। কিন্তু রোগের প্রাদুর্ভাবে অধিকাংশ মুরগি মরে গেল এবং তিনি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলেন।
রাশিদা বাজার থেকে দুটি মুরগি কিনে। এদের মধ্যে একটির আসল নাম ইন্ডিয়ান গেম। অপরটির উৎপত্তি ইতালির অ্যানকোনা অঞ্চলে।
সুমনা টিভিতে এক জাতের হাঁসের প্রতিবেদন দেখল যার পালক খাকী রঙের, পা মেটে, চোখ কালো ও লালচে।
বুলবুলির মামা তাকে একটি কবুতর কিনে দিলেন। তিনি বললেন এ কবুতরকে রোলিং কবুতর বলা হয়।
সোহেল সাহেব মুরগির খামার স্থাপনের পর খামারে সকল খরচের দুটি তালিকা তৈরি করলেন। প্রথম তালিকায় তিনি জমির মূল্য, গুদাম, শ্রমিক ঘর ও ডিম সংরক্ষণাগার বাবদ খরচ লেখেন। দ্বিতীয় তালিকায় তিনি বিজ্ঞাপন ব্যয়, ডিপ্রেসিয়েশন খরচ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করেন।
অপি চাচার বাড়িতে গিয়ে দেখল তার চাচি একটি ঝুড়িতে খড়কুটা ও পাতা দিয়ে পূর্ণ করে তাতে কিছু ডিম দিয়ে তার উপর একটি মুরগি বসিয়ে রেখেছেন। অপি জিজ্ঞাস করায় তার চাচি বললেন এভাবে তিনি মুরগির বাচ্চা ফুটাবেন।
সুজানা গ্রামে মামার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে দেখল মামি বাড়ির উঠানে অনেকগুলো মুরগিকে খেতে দিচ্ছে। পরে সন্ধ্যায় সেগুলো উঠানে তৈরি করা ছোট একটি ঘরে রাখছে।
হালিমা তার মুরগিগুলোকে এক ধরনের আমিষ জাতীয় খাদ্য খাওয়ায়, যাতে মিথিওনাইন ও ট্রিপটোফেন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড বেশি থাকে।
রাফিদের মুরগিগুলো সকাল থেকে চুনের মতো মলত্যাগ করছে। দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে এবং শ্বাস নেবার সময় ঘড় ঘড় শব্দ হচ্ছে।
ডিম উৎপাদনকারী কোয়েলের একটি উৎকৃষ্ট প্রজাতি রয়েছে যা বাংলাদেশে ডিমের জন্য পালন করা হয়। এটি হতে ব্রাউন কোয়েল স্ট্রেইন উদ্ভাবন করা হয়েছে।
জামালের কোয়েল খামারে পাখিগুলো হঠাৎ করে রক্ত মিশ্রিত মল ত্যাগ শুরু করেছে ও ক্ষুধা মন্দা দেখা দিয়েছে ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পালক খুলে যাচ্ছে।
শরিফ তার পূর্ণবয়স্ক ও বাড়ন্ত হাঁসগুলোকে এক বিশেষ পদ্ধতিতে পালন করে যাতে হাঁসগুলোকে কোনো ঘরে রাখা হয় না বরং চলমান রাখা হয়। প্রতিবেশি রফিক এর কারণ জানতে চাইলে সে বলল এ পদ্ধতিতে ১০০- ৫০০ টি হাঁস পালন করা হয় ও ডিম উৎপাদন হার ৪৫-৪৮%।
সাজেদুল ইসলাম আবদ্ধ অবস্থায় লিটার পদ্ধতিতে হাঁস পালন করে আসছে। সে একদিন লক্ষ করল তার খামারের কয়েকটি হাঁসের ঠোঁট হঠাৎ করে নীল হয়েছে এবং ঘাড় বাঁকা করে উপরের দিকে চেয়ে আছে।
শাহিনের মামা তাকে জোড়া পাখি উপহার দেন। তিনি বলেন এরা বাহক পাখি নামে পরিচিত ও অনেক বছর বাঁচে। এছাড়া তিনি এর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
শিশির ছোট আকারের কবুতর পালনের জন্য ঘর তৈরির ক্ষেত্রে তার চাচার কাছে পরামর্শ নিল। তার চাচা তাকে আদর্শ ঘরের মাপ বলে দিলেন।
শান্তা বেগম বাসার ছাদে কবুতর পালন করেন। তিনি লক্ষ করলেন কবুতরের শরীরের পালকহীন স্থান ফোস্কা হয়েছে এবং গলার ভেতরে ক্ষত হয়েছে। স্থানীয় প্রাণী বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শের জন্য গেলে তিনি এ রোগের প্রতিকার বলে দিলেন।
লিংকনের মুরগির খামারে অনেক বিদেশি জাতের মুরগি রয়েছে। তার মধ্যে একটি জাতের উৎপত্তি রোড আইল্যান্ড দ্বীপে। এটি মাংস ও ডিম উভয় উদ্দেশ্যেই পালন করা হয়।
ডিম নির্বাচনে আলিমা খাতুনের ভালো অভিজ্ঞতা নেই। সে কুঁচে মুরগি দিয়ে ১০টি ডিম ফোটাতে দেয়। ২১ দিন পর সে দেখল মাত্র ৭টি বাচ্চা ফুটে বের হয়েছে। অবশিষ্ট ডিম তিনটি থেকে বাচ্চা ফোটেনি।
সালেহা স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে হাঁসের বাচ্চা পালনের সবচেয়ে উপযোগী পদ্ধতির কথা জানতে পারল। তিনি সালেহাকে এ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলোও বললেন।
লতিফ মিয়ার খামারের কয়েকটি মুরগির মাথা, ঝুঁটি ও কানের লতিতে প্রথমে ছোট ঘামাচির মতো হয়। পরবর্তীতে ফোস্কা পড়ে আঁচিল বা গুটিতে পরিণত হয়।
রহিমা জিনডিং জাতের হাঁস পালন করেন। তিনি তার হাঁসের পর্যাপ্ত যত্ন নেন এবং এগুলোকে আবদ্ধভাবে পালন করেন। অন্যদিকে জরিনা দেশি দ্বৈত জাতের হাঁস মুক্তভাবে পালন করেন।
হাসেম ১০০টি বাড়ন্ত হাঁস পালন করছে। কিন্তু এদের জন্য কোন ঘর তৈরি করেনি। হাঁসগুলো সারাদিন দল বেধে ঘুরে বেড়ায়। সন্ধ্যায় কয়েকটি খাঁচায় এদেরকে আটকে রাখা হয়। সকালে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে করে তাদের হাঁস পালনের খরচ নেই বললেই চলে।
মার্জিয়া বেগম সকালে তার হাঁসের খামারে গিয়ে দেখতে পেল কয়েকটি হাঁসের বাচ্চা চলাফেরা বন্ধ করে দিয়েছে এবং এক পাশে কাত হয়ে পড়ে আছে। আবার কিছু বাচ্চা চোখ বন্ধ করে আছে ও ঘন ঘন পাতলা পায়খানা করছে। সে হাঁসের বাচ্চাগুলো নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি এ রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিলেন।
তুহিন দাদা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দেখল তার ছোট চাচা অনেকগুলো পাখি পালন করছে। সে লক্ষ করলো, সকালে একটি পাখি ডিমে তা দিচ্ছে এবং বিকেলে দিচ্ছে অন্য একটি। কয়েকটি বাচ্চা পাখি দেখতে পেল যারা কেবল অল্প অল্প উড়তে শিখেছে।
আনিছ মাংস উৎপাদনকারী দুইটি মুরগি ক্রয় করেন। কিন্তু দেখেন মুরগি দুইটি প্রচুর ডিম পাড়ে এবং দৈহিক বৃদ্ধিও দ্রুত হয়। তিনি মাছ চাষের জন্য মুরগির বিষ্ঠা পুকুরে প্রয়োগ করেন।
জালালের লেয়ার খামারে দুই দিন বিদ্যুৎ ছিল না। ডিম উৎপাদন কমে গেছে ও কয়েকটি মুরগি মারা গেছে।
রকিব ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। সে দোকান থেকে বাদামি রঙের ১০টি ডিম ক্রয় করে বাড়ির কুঁচে মুরগি দিয়ে বসিয়ে দেয়। ২১ দিন পর একটি ডিমও ফুটে বাচ্চা বের হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিম ক্রয় করা খামারে ২০০ মুরগির জন্য কোন মোরগ ছিল না।
রহিমা ৪টি মোরগ মুরগি পালন করত। একদিন একটি মোরগ ও একটি মুরগি হারিয়ে যায়। মোরগ-মুরগি দুটো আর পাওয়া যায়নি।
সজিব শখ করে ২টি হাঁস কিনে আনেন পালন করার জন্য। হাঁস দুটো আঙিনায় ছেড়ে দিয়ে একটু কাজে বাড়ির বাহিরে যায়। ২/৩ ঘণ্টা পর বাড়িতে এসে দেখেন বাড়ির আঙ্গিনার ঘাস আগাছা সব পরিষ্কার।
সুজন তার কোয়েলের ঘরে গিয়ে দেখেন কোয়েলের বাচ্চারা চিকগার্ডের কাছে চলে গেছে। সুজন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যার সমাধান করলেন।
কবির ১০০টি ব্রয়লার পালন করে বিক্রি করেছে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তিনি প্রতি কেজি ফিড ৪০ টাকা ও প্রতিটি বাচ্চা ৫০ টাকা করে কিনেছিলেন। প্রতি কেজি ব্রয়লার ১১০ টাকা বিক্রি করেছেন।
ঝন্টুদের কৃষি শিক্ষক তাদের ক্লাসে বললেন, গৃহপালিত পাখি আমাদের পরিবেশের উচ্ছিষ্ট খাদ্য খেয়ে পরিবেশের উন্নয়ন করে। এছাড়া উক্ত পাখির বিষ্ঠা এক ধরনের সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
শিশির কালো ও সাদার মিশ্রণ বিশিষ্ট কয়েকটি বিদেশি জাতের মুরগি কিনলো। এ জাতটি আমাদের দেশের আবহাওয়ায় উপযোগী। এদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি। এরা খুব চঞ্চল ও চালাক।
সুমনা টিভিতে এক জাতের হাঁস পালনের ওপর প্রতিবেদন দেখলো, যার পালক খাকী রঙের, পা মেটে, চোখ কালো ও লালচে বর্ণের।
রাহেলা বেগম তার বাড়িতে লেগহর্ন, জিনডিং ও সিলভার কিং জাতের পোল্ট্রি পালন করেন।
শহুরে ছেলে সাজু মামার গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে এক ধরনের পাখির খামার দেখলো। তার মামা বললো এরা মাংস ও ডিম উৎপাদন করে এবং ৬- ৮ সপ্তাহে বিক্রির উপযোগী হয়।
সিরাজ উদ্দিন লেয়ার খামার করার জন্য প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ চাইলে তিনি সিরাজ উদ্দিনকে অধিকতর ব্যবহৃত পদ্ধতি সম্পর্কে বললেন। তিনি আরো বললেন আদর্শ খামার তৈরির জন্য কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়।
মোতাহার আলী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস হতে পোল্ট্রির বিশেষ ধরনের কিছু খাবারের কথা জানতে পারলেন যা মুরগির হাঁড় ও ডিমের খোসা গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তিনি মুরগিকে সেই জাতীয় খাবার দিয়ে ভালো ফলাফল পেলেন।
হালিমার মুরগির বাচ্চাগুলোর বয়স ৭ দিন। হঠাৎ করে বাচ্চাগুলো একদিন ঘন ঘন সবুজ রঙের পাতলা পায়খানা শুরু করে। ফলে বাচ্চাগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে ও হাঁ করে নিঃশ্বাস নিচ্ছিল।
মোহনগঞ্জ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী অর্পা স্থানীয় বাজার থেকে ২ জোড়া কবুতর পালনের জন্য কিনে আনে। সে কবুতরের ঘর তৈরির জন্য কৃষি শিক্ষকের কাছ থেকে বিবেচ্য বিষয়গুলো জেনে নেয়। তার কবুতরগুলো বছরের দুবার বাচ্চা দেয়।
শান্তা বেগম একদিন লক্ষ করলেন তার কিছু কবুতরের পালকহীন স্থানে ফোস্কা পড়েছে এবং গলার ভেতরে ক্ষত হয়েছে। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শে তিনি এ রোগ প্রতিকারের ব্যস্থা করেন।
আরিফা কয়েকটি কবুতর পালন করেন। একদিন হঠাৎ এগুলো সবুজ রঙের পায়খানা করতে শুরু করে এবং প্যারালাইসিস দেখা যায়। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ ডাক্তার এ রোগ প্রতিকারের ব্যবস্থাপত্র দেন।
প্রাণিচিকিৎসক রতন সাহেব ছুটিতে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর বেড়াতে এসে লক্ষ করলেন, তার চাচার বাড়ির আঙিনায় বাধা একটি গরু হঠাৎ করে পশম খাড়া হয়ে শরীরে খিচুনী দিয়ে পরপরই শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত বেড়ে গিয়ে আকস্মিক মারা গেল। রোগটি যাতে না ছড়ায় সেজন্য তিনি চাচাকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পরামর্শ দিলেন।
সবুজ ঘাসকে ভবিষ্যত গবাদিপশুর রসালো খাদ্য হিসেবে, ব্যবহারের জন্য বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হয়। যা কাঁচাঘাসের অভাবের সময় পশুকে খাওয়ানো হয়।
রনির গরু হঠাৎ করে লোম খাড়া হয়ে শরীরে খিঁচুনী দিয়ে পর পরই শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত বেড়ে গিয়ে আকস্মিকভাবে মারা গেল। রোগটি যাতে না ছাড়ায় সেজন্য প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন।
যান্ত্রিক শক্তির অপ্রতুলতার কারণে হাশেম তার ২ বিঘা জমিতে বিকল্প হিসাবে একজোড়া বলদ ব্যবহার করে জমি চাষ দিয়ে ফসল রোপণ করল।
আমিষের অভাব দেখা যাওয়ায় ডাক্তার মনিষাকে খাদ্য হিসেবে আদর্শ খাদ্য গ্রহণ করতে বলেন।
নদী ভাঙনে গফুরের সব জমি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এমতাবস্থায় তার বন্ধুর পরামর্শে এনজিও থেকে কিছু টাকা ঋণ করে মাংস ও দুধ বেশি পাওয়া যায় এমন একটি জাতের গরু কেনে। কয়েক বছর যেতেই তার সংসারের অভাব দূর হয়ে সচ্ছলতা ফিরে আসে ।
আসিফ এবার কলেজের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখল তার দাদা ছোট-বড় সাদা-কালো রংয়ের মাথা লম্বাটে আকারের একটি গরু ক্রয় করেছে। সে তার দাদার কাছে গরুটি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে নিল।
রহমত মিয়া তার কৃষি ও গাড়ি টানার কাজে সব সময় গরু ব্যবহার করে। কিন্তু এ বছর রাস্তা ঘাটের অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তার প্রতিবেশি তাকে মহিষ কেনার পরামর্শ দিল।
আনাছ তার গরুর খামারে নতুন ২টি উন্নত জাতের গরু আনল এবং সাথে কয়েকটি ছাগলও কিনে আনল পালনের জন্য। ছাগলগুলোর গায়ের রং কালো এবং চামড়া কোমল ও উন্নতমানের।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিমান সরবরাহের জন্য পশুখামারি হাসমত তার ১০টি দেশি গরুকে সবুজ ঘাস প্রদান করেন। কিন্তু এবছর ঘাসের অভাবে তিনি পশুকে ঘাস সরবরাহ করতে পারলেন না।
শীতকালে ঘাস সংরক্ষণ করে রাখার জন্য পশু খামারের মালিক হানিফ উদ্দিন সাইলোপিট তৈরি করলেন। এজন্য তিনি উপযুক্ত জাতের ঘাস নির্বাচন করলেন।
অভিজ্ঞ খামারি জসীম দেখতে পেল তার খামারের কয়েকটি গরু রক্ত মিশ্রিত ও দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা পায়খানা করছে। সে সাথে সাথে এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করল।
মাসুম তার গরুর খামারের একটি গরুর খাওয়ার প্রতি অরুচি লক্ষ করল। সে গরুটির জিহ্বা ও মুখের ভিতর ফোস্কা দেখতে পেল।
আকবর হোসেন মহিষের জন্য তিনি দোচালা করে গোয়ালঘর তৈরি করলেন।
রহমতের একটি ৩০০ কেজি ওজনের মহিষের বকনা রয়েছে। সে তার বাছুরকে সবুজ খাদ্য ও পুষ্টি খাদ্য সরবরাহ করার পরও পুষ্টি চাহিদা পূরণ না হওয়ায় পশু চিকিৎসকের পরামর্শে পশুকে ভিটামিন সরবরাহ করেন।
মনিদের মহিষের বাচ্চার ওজন ১৫৬ কেজি। ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তার বাবা বাচ্চাটিকে ১০% সোডিয়াম আয়োডাইড ইনজেকশন দিল।
কামাল উদ্দিন দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ২ জোড়া ছাগল কিনে পালন করা শুরু করল। এজন্য সে সঠিক পরিমাপে এবং সঠিকস্থানে বাসস্থান তৈরি করল।
করম আলীর বয়স্ক ছাগলটির ওজন ৫০ কেজি। সে প্রতিদিন ছাগলটিকে ইউরিয়া-চিটাগুড় মিশ্রিত খড় খাওয়ানোর পাশাপাশি দানাদার খাদ্য প্রদান করে।
সালেহার গৃহপালিত ছাগলগুলো হঠাৎ করেই শুকিয়ে যাচ্ছে এবং পাতলা পায়খানা করছে। পশুডাক্তার দেখে বললেন পরজীবীজনিত রোগের কারণে এমন হচ্ছে।
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ হলেও কৃষির অন্যতম শাখা পশুপালন উন্নয়নে কোন ভূমিকা গ্রহণ করছে না। এজন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
রমজান আলীর গাভি গর্ভবতী হওয়ায় পশুসম্পদ কর্মকর্তা তাকে আইওসান দ্বারা গোয়ালঘর পরিষ্কার করতে বলেন। তিনি তাকে এ সময়ের জন্য কিছু সতর্কতা মূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে বলেন।
রওশন তার গাভিকে প্রসবের পূর্বেই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার দিতে থাকে। পাশাপাশি গাভি যাতে কোন সমস্যায় না পড়ে সেজন্য নিয়মিত যত্ন ও পরিচর্যা করে।
জামাল উদ্দিনের বাছুরটির জন্মের পরপরই কিছু স্থানে মাংসপেশি ফুলে কালচে হয়ে যায়। এজন্য সে তৎক্ষণাৎ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
পরেশের গাভিটি প্রায় ৫ বার বাচ্চা প্রসব করেছে। সে গাভির উৎপাদন ঠিক রাখার জন্য এ বছর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে লাভবান হয়।
আবির দুধ কিনতে বাজারে গিয়ে দেখতে পেল দুধের ভেজাল নির্ণয়কারী কিছু সদস্য এসেছে। তারা ল্যাকটোমিটার দিয়ে দুধ পরীক্ষা করে রিডিং পেল ১.০৩৫।
প্রাণ বাংলাদেশ লি. এ এমন মাত্রায় তাপ দিয়ে দুধ সংরক্ষণ করা হয় যাতে কোন জীবাণুই বেঁচে থাকতে পারে না। এভাবে সংরক্ষণ করে বাজারজাত করায় এ কোম্পানির দুধ অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
চট্টগ্রামের ছেলে হাসিব এবার ছুটিতে বাসায় গিয়ে দেখল তার দাদা লাল রংয়ের একটি ছোট ও চ্যাপ্টা শিংওয়ালা গরু ক্রয় করেছে। সে তার দাদার কাছে গরুটি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারল।
কালাম সাহেবের খামারের একটি গাভির মুখ দিয়ে হঠাৎ লালা ঝরতে শুরু করল। দেখে মনে হচ্ছিল, গাভিটি পিপাসার্ত কিন্তু পানি পান করতে পারছিল না। এরপর সে গাভিটিকে উপজেলা পশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেল।
রাহাতের গবাদিপশুর খামারে Clostridium chauvei নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়। ফলে গবাদিপশুর মধ্যে বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায়।
দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার গ্রামের দরিদ্র বাসিন্দাদের মধ্যে বিনামূল্যে দেশি জাতের ছাগল বিতরণ করলো।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিমান সরবরাহের জন্য পশুখামারি হাসমত তার ১০টি দেশি গরুকে সবুজ ঘাস প্রদান করেন। কিন্তু এবছর ঘাসের অভাবে তিনি পশুকে ঘাস সরবরাহ করতে পারলেন না।
রেজা তার জমিতে দেখল বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় প্রচুর ঘাস হয়। সেগুলো বাড়িতে স্তূপ করে গরুকে খাওয়ানোর পর, অল্প সময়ের মধ্যেই বাকীগুলো নষ্ট হয়। পরে 'উঠোন বৈঠকে' সে জানতে পারে, এগুলো কাঁচা অবস্থায় সংরক্ষণ করে দীর্ঘ সময় গরুকে খাওয়ানো যায়। এতে কোনোই সমস্যা হয় না।
আবির দুধ কিনতে বাজারে গিয়ে দেখতে পেল দুধের ভেজাল নির্ণয়কারী কিছু সদস্য এসেছে। তারা ল্যাকটোমিটার দিয়ে দুধ পরীক্ষা করে রিডিং পেল ১.০৩৫।
হাবিব দুধ সংগ্রহের পর ৭২.২০° সে. তাপমাত্রায় ১৫ সেকেন্ড সময়ের জন্য তাপ প্রদান করেন। এভাবে দুধ সংরক্ষণ জনপ্রিয় হলেও এর কিছু অসুবিধা রয়েছে।
কাজী সাহেবের গরুর দেহের লোম হঠাৎ খাড়া হয়ে দেহে কাঁপুনি উঠল। এর পরপরই উত্তেজিত হয়ে মরে গেল। রোগটি যাাতে না ছড়ায় এজন্য প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিলেন।
আনিছ সাহেব প্রশাসনিক কর্মকর্তা। সে একটি দুধের বাজারে গিয়ে যন্ত্র দিয়ে এক পাত্রের দুধ পরীক্ষা করে দেখলেন তাপমাত্রা ৬০০ ফারেনহাইট এবং যন্ত্রের রিডিং হয় ৩০।
আকবরের ছাগল কয়েকদিন যাবত শক্ত বস্তুর সাথে দেহ ঘষে এবং মাঠে গড়াগড়ি করে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ছাগল পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। এগুলো প্রতিকার ও প্রতিরোধ করে দমন করা যায়।
আজগরের একটি গাভি দৈনিক ১৮ লিটার দুধ দেয়। সকালে ও বিকালে দুধ দোহন করেন। সকালের চেয়ে বিকালে দুধ উৎপাদন কম হয়। আজ সকালে ১০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়েছে।
বর্ষাকালে জালালের গরুগুলোর খাদ্যের অভাব হয়। এজন্য তিনি উন্নত জাতের ঘাস চাষ করেন সংরক্ষণ খাদ্য তৈরির জন্য। কিন্তু ঘাসে ফুল এসে গেছে।
হাসিব এবার কলেজের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখল তার দাদা লাল রঙের ছোট ও চ্যাপ্টা শিংওয়ালা একটি গরু ক্রয় করেছে। সে তার দাদার কাছে গরুটি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে নিল।
গনেশ এ বছর একটি গাভি মহিষ ক্রয় করে। মহিষটির শিং চন্দ্রাকৃতির এবং এটি বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য জাত।
সাগর তাদের বাড়িতে পালনের জন্য একটি ছাগল কিনে আনল যার আদি নিবাস- সুইজারল্যান্ডে।
দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার হোসেনপুর গ্রামের দারিদ্র্য লোকদের মধ্যে বিনামূল্যে দেশি জাতের ছাগল বিতরণ করল।
৫টি গাভি নিয়ে রমিজ দুগ্ধ খামার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল। এজন্য সে গাভির গলায় দড়ি বেঁধে পালনের পদ্ধতি গ্রহণ করল।
কামাল তার দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ২ জোড়া ছাগল কিনে পালন করা শুরু করল। এজন্য সে সঠিক পরিমাপে এবং উপযুক্ত স্থানে বাসস্থান তৈরি করল।
জনাব জোনায়েদের একটি গরুর খামার আছে। তার গরুগুলোর আবাসস্থলের জন্য বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতিটি তিনি অবলম্বন করলেন।
মোতাহার মিয়া একটি ছাগলের খামার তৈরির জন্য উপযুক্ত পদ্ধতিতে ঘর নির্মাণ করেন এবং প্রতিটি ছাগলের জন্য ঘরে ২ মি × ১ মি জায়গা এবং দৈনিক ১৫০ গ্রাম দানাদার খাদ্যের ব্যবস্থা করেন।
শীতকালে ঘাস সংরক্ষণ করে রাখার জন্য পশু খামারের মালিক জনাব হানিফ সাইলোপিট তৈরি করলেন। এজন্য তিনি উপযুক্ত জাতের ঘাস নির্বাচন করলেন।
হে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষিত পশু খাদ্য যা সারা বছর গবাদি পশুকে সরবরাহ করা যায়। হে তৈরির জন্য সাধারণত বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এক জাতীয় ঘাস ব্যবহার করা হয়।
আজমল তার মামা পশু ডাক্তার আশিক চৌধুরীর সাথে গ্রামে বেড়াতে যায়। সে গ্রামে গিয়ে দেখল একটি গরুর জোয়াল রাখার স্থানে ক্ষত হয়েছে। আজমলের মামা বলল এটা কোনো সংক্রামক রোগ নয়।
জনাব আসাদের তিনটি গরু ও ২টি মহিষ আছে। তিনি তাদের খাদ্যের জন্য ভুট্টা জাতীয় ঘাস দিয়ে একটি কাঁচা খাদ্য তৈরি করেন। যে মৌসুমে ঘাসের ঘাটতি দেখা যায় সেই মৌসুমে তিনি এই খাদ্য তার পশুকে খাওয়ান।
হোসেন আলী এ বছর তার গাভিকে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা ঘাস খেতে দেয়। এতে পুষ্টিমান অটুট থাকায় তার পশুর স্বাস্থ্যহানি জনিত কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি।
আব্দুর রহমানের পাঁচটি গাভি আছে। হঠাৎ একদিন একটি গাভির মুখ দিয়ে লালা পড়তে শুরু করলো এবং গাভিটি পিপাসার্ত ছিল। কিন্তু সেটি পানি পান করতে পারছিল না।
আনোয়ার একজন গরু খামারি। সে প্রতিদিনের ন্যায় আজ খামার পরিদর্শনে গিয়ে দেখল একটি গরু মুখ খুলে নিঃশ্বাস নিচ্ছে এবং মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। সে দ্রুত এর প্রতিকার ব্যবস্থা নিল।
আয়নালের নবজাতক বাছুরটির নাভি ফুলে গেছে এবং চাপ দিলে রক্ত পড়ছে। পশু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে
জনাব আজিজের কয়েকটি ছাগলের মধ্যে একটি ছাগল হঠাৎ করে খাওয়া - দাওয়া বন্ধ করে দেয়, জাবর কাটে না এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। স্থানীয় পশু ডাক্তার আজিজের ছাগলের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জানালেন।
আকবর আলীর ছাগলগুলো কয়েকদিন যাবত শক্ত বস্তুর সাথে দেহ ঘসে এবং মাঠে গড়াগড়ি করে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিষয়টি অবগত হয়ে বলেন, ছাগলগুলো পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। এগুলো প্রতিকার ও প্রতিরোধ করে দমন করা যায়।
লিমনদের বিদেশী জাতের গাভিটিকে তার মা দোহন করেন। কিন্তু দুধ দোহনের সময় ব্যবহৃত জিনিসপত্র পরিষ্কার করে না নেওয়ায় কয়েকদিন পর দেখা গেল গাভিটি আর তার বাটে হাত দিতে দিচ্ছে না।
সোহেলের দেশি জাতের গাভি থেকে সে চাহিদা মতো দুধ পায় না। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সোহেলকে গাভির জাত উন্নয়নে পরামর্শ দেন। পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করে সোহেল আশাতীত সাফল্য পেল।
চেঙ্গারচর গ্রামের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে দু' চারটি দেশি জাতের গাভি আছে। এ গ্রামের হালিম মাস্টার দুধের উৎপাদন বাড়াতে সর্বপ্রথম গাভির জাত উন্নয়ন পদ্ধতি শুরু করেন। তার দেখাদেখি এখন গ্রামের প্রায় সব লোক তাদের গাভিগুলোকে উক্ত ব্যবসার আওতায় নিয়ে এসেছে।
ফাতেমা বেগম তার গাভিটির প্রসবের সাথে সাথে কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি বাছুরের জন্য শুকনো বিছানা তৈরি করলেন।
হাফিজ উদ্দীন 'চয়ন ডেইরি ফার্ম' নামে একটি দুগ্ধ খামার স্থাপন করেন। তার প্রতিটি গাভি দৈনিক ১০-১২ লিটার দুধ দেয়। তিনি তার খামারের গাভিগুলো সাভার ডেইরি খামার থেকে কিনেছেন।
হাসেমের ৪টি গাভি থেকে প্রতিদিন সে ৩০-৪০ লিটার দুধ পায়। গ্রামে দুধের চাহিদা কম থাকায় বিক্রির জন্য তাকে দূরবর্তী শহরে দুধ নিতে হয়। এতে করে প্রায়ই তার দুধ নষ্ট হয়। তাই হাসেম দুধ সংরক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে সচেষ্ট হলো।
দুধ ক্রয়ের পূর্বে আফসার উদ্দিন এর আপেক্ষিক গুরুত্ব পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এ পরীক্ষায় তার যন্ত্রে ৫৫° সে. তাপমাত্রায় ৩১.০ রিডিং আসল।
জনাব ইদ্রিস আলী সুন্দরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি তাঁর এলাকার রাস্তার দুপাশের জমি কাজে লাগাতে চান। এর জন্য তিনি কিছু গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেন। তাঁর এ উদ্যোগকে এলাকার সকলেই অভিনন্দন জানায়।
মি. রুমান আসবাবপত্রের ব্যবসা করেন। তিনি সাধারণত মায়ানমার এবং মাঝে মাঝে চট্টগ্রাম থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করেন।
খুলনায় বসবাসকারী শাহ নবী প্রায়ই বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বনে বেড়াতে যান। বনটির কিছু বিশেষ অংশকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ভূমিহীন হতদরিদ্র সাহিদুল ইসলাম রাস্তার দুই পার্শ্বের সরকারি জমিতে লাগানো গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা করে।
সামাজিক বনায়নে অংশগ্রহণকারী সৃজন আলী চারা রোপণের পূর্বে শুষ্ক - আবহাওয়ায় আগাছার বাড়ন্ত অবস্থায় পানিতে লাইসেল মিশিয়ে স্প্রে করল। চারা রোপণের কিছুদিন পর সে গাছের গোড়ায় জাবড়া প্রয়োগ করে দিন।
কামাল তার বাড়ির একপাশে পেয়ারার এবং অন্যপাশে আকাশমনি গাছের বাগান করল। ১ম বছর পেয়ারা কম থাকায় সে বেশকিছু ডালপালা কেটে দেয়। ফলে পরের বছর অনেক পেয়ারা ধরল। একদিন ঝড়ে অনেকগুলো আকাশমনি গাছ ভেঙ্গে গেল। সে বাগানে ডালপালা ছেটে দিল এবং গাছের ভাঙ্গা অংশ পরিষ্কার করে কালো রং লাগিয়ে দিল।
নোমান বৃক্ষমেলার বিভিন্ন স্টলে ঘুরে ঘুরে অনেক নতুন জাতের চারা কিনল। সে তার বন্ধুকে একটি বনজ বৃক্ষের চারা উপহার দিল। তার কেনা প্রতিটি চারাতেই লেবেল লাগানো ছিল।
আমাদের দেশে ভেষজ উদ্ভিদগুলোর মধ্যে ত্রিফলার তিনটি ফল অর্থাৎ আমলকী, বহেড়া এবং হরিতকি অন্যতম। এ উদ্ভিদগুলো থেকে বিভিন্ন প্রকার ঔষধ তৈরি করা হয়।
রহিম সাহেবের বাড়ির দক্ষিণ পাশে বড় দুইটি কাঁঠাল গাছ আছে। কাঁঠাল গাছ থেকে তিনি বিভিন্ন উপকার পাচ্ছেন। তার কোন গবাদিপশু নেই।
গাজীপুরের ভাওয়াল এলাকায় কিছু খাস জমি ও রাস্তার পাশ দিয়ে সরকার সামাজিক বনায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বনজ সম্পদের শতকরা ৫৫ ভাগ উপকারভোগীদের দেয়ার চুক্তি হয়।
সুজন বরগুনায় বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দেখে কিছু কিছু গাছের মূল মাটি ভেদ করে উপরে উঠেছে। টিউবওয়েলের পানি লোনা। বন্ধুর বাড়ির কাছে একটি বন আছে। সুজন ঘনের ভেতর যেতে চাইলে বন্ধু বলেন-বনের ভেতর যাওয়া যাবে না। কারণ বাঘসহ হিংস্র প্রাণী আছে।
রহিজ মেহগনি ও আকাশমণি চারা রোপণের জন্য গর্ত করে পরিমাণমতো গোবর, খৈল, ইউরিয়া ও টিএসপি সার মাটির সাথে মিশিয়ে রাখে। মেশানোর একদিন পরেই দুপুরে এক বছর বয়সের চারা রোপণ করে। ১৫-২০ দিন পর দেখা যায় সবগুলো চারা মারা গেছে।
পাঁচ কান্দি গ্রামে সামাজিক বনায়নের জন্য স্থানীয় জনগণের মধ্য থেকে। বিশেষ শ্রেণির বাসিন্দাদের নিয়ে উপকারভোগী দল গঠন করা হলো।
অসচ্ছল সালাম শেখ স্থানীয় কোনো একটি এনজিও-এর সহযোগিতায় তার বসত ভিটায় গাছ লাগান ও পতিত পুকুরটিতে মাছ চাষ করেন। এ কার্যক্রমের কারণে কয়েক বছরেই তিনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হন।
সাগর স্থানীয় নার্সারি থেকে উন্নত জাতের পাঁচটি লিচুর চারা ক্রয় করে বাড়ির পাশে গর্ত করে সাথে সাথে রোপণ করল কিন্তু কয়েকদিন পর সব কয়টি চারা মারা যায়। এরপর সে স্থানীয় বৃক্ষমেলা থেকে আবার পাঁচটি লিচুর চারা ক্রয় করে এনে সেখানে রোপণ করে। এবার সবগুলো চারা, বেঁচে যায়।
ছাতিয়ানতলা কলেজ চত্বরে বৃক্ষরোপণের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ মহোদয় কৃষিশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকের নিকট পরামর্শ চাইলেন। কৃষিশিক্ষক জনাব আলী রেজা অধ্যক্ষ মহোদয়কে বেশ কিছু উপযোগী গাছ লাগানোর পরামর্শ দিলেন।
পারিবারিক খামারে ব্যবহারের জন্য মাহিন তার বন্ধু শাহীনের হ্যাচারি থেকে কিছু পণ্য সংগ্রহ করে।
সরকারের 'একটি বাড়ি একটি খামার' প্রকল্পের প্রচারণায় অনুপ্রাণিত হয়ে আসাদ একটি খামার গড়ে তোলে। এ খামারের মাধ্যমে সে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ফসল বিক্রি করে লাভবান হয়।
অভিজ্ঞ কৃষক সুজন ক্রমহ্রাসমান আয় নীতি অনুসরণ করে তার জমিতে সার ব্যবহারের পরিমাণ নির্ধারণ করেন।
রায়হান একটি ফসলের খামার তৈরি করে। সে এ খামারের জমিতে ৩-৪ বছর ধরে একই ফসল চাষ না করে ধারাবাহিকভাবে ফসল উৎপন্ন করে। এতে সে উপকৃত হয়।
মফিজার রহমান তার জমিতে প্রতিবছর একই ফসল চাষ না করে বাৎসরিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ফসলের চাষ করে থাকে।
রসুলপুর গ্রামে প্রশিকা নামক এনজিও এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গ্রামের দরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তারা ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে থাকে।
জয়নুল তার গ্রামের কিছু সংখ্যক লোকদের নিয়ে নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে তারা সহজেই কৃষি ঋণ গ্রহণ করতে পারে।
জামাল ২০ সদস্যের একটি সমিতি গঠন ও নিবন্ধন করে। কিন্তু ৩ বছর পর সমবায় আইন অমান্য করায় সে শাস্তি লাভ করে।
বাংলাদেশে দারিদ্রসীমার নিচে অবস্থানকারী এক শ্রেণির কৃষক রয়েছেন যাদের সংখ্যা শতকরা ২২ ভাগ। সেলিম সেলিম শ্রেণির কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত। তবে বর্তমানে সে সমবায় সমিতিতে অংশগ্রহণ করে নিজের অবস্থার উন্নয়ন করছে।
সরকারের 'একটি বাড়ি একটি খামার' প্রকল্পের প্রচারণায় অনুপ্রাণিত হয়ে আসাদ একটি খামার গড়ে তোলে। এ খামারের মাধ্যমে সে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ফসল বিক্রি করে লাভবান হয়।
মানিক ও হাবিব দুই বন্ধু। মানিক তার জমিতে প্রতিবছর একই ফসল চাষ করেন। কিন্তু হাবিব তার জমিতে প্রতিবছর একই ফসল চাষ না করে বাৎসরিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কিছু ফসলের চাষ করে থাকে।
জামালের বোরো ধানক্ষেতে গাছের পাতা হলদে হচ্ছে। ২/১ দিনের মধ্যে সার দিতে হবে। কিন্তু সার ক্রয়ের টাকা নেই। সে দুই দিনের মধ্যে স্ত্রীর গহনা বন্ধক রেখে ৫ হাজার টাকা বেশি সুদে ঋণ নিয়ে সার ক্রয় করল।
আকবর বিএসসি পাশ করে টাঙ্গাইলে কমলার বাগান করেছেন। কমলা ধরার পর কমলা চুরি হচ্ছে। কমলা শহরে এনে বিক্রি করাও কষ্টসাধ্য। এজন্য গ্রামেই কম দামে বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে।
সুজনের জমিতে সার দেয়ার টাকা নেই। পাঁচ হাজার টাকা প্রয়োজন। কৃষি কর্মকর্তা প্রাতিষ্ঠানিক উৎস থেকে টাকা ঋণ নেয়ার পরামর্শ দেন।
আব্দুল করিম দুই বছরের জন্য তার ৩ একর উঁচু জমিতে একটি কৃষি খামার করার পরিকল্পনা করেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাকে ঐ জমিতে ফসল নির্বাচন ও চাষাবাদের পরিকল্পনা প্রদান করেন।
মেহেরপুর গ্রামে প্রশিকা নামক এনজিও এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গ্রামের দরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তারা ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে থাকে।
তৌহিদ তার ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু সেচ কাজের জন্য মোটর ক্রয়ের প্রয়োজনীয় টাকা হাতে না থাকায় স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তিনি বৈদ্যুতিক মোটর ক্রয় করেন।
রফিক উদ্দীন প্রতি বছরই জমি চাষ করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এবার তিনি এবং তার আশেপাশের কৃষকগণ একত্রে কৃষি উন্নয়নের জন্য কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি সংগঠন গড়ে তোলেন।