শমসের একজন শিক্ষিত কৃষক। তিনি দেশে বিদ্যমান প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে জমি চাষাবাদ করেন। কিন্তু সংরক্ষণের সমস্যা, ত্রুটিপূর্ণ ওজন ও পরিমাপ পদ্ধতি, দুর্বল বাজার কাঠামো, পণ্যের মান নির্ধারণে জটিলতা, সরকারি যথাযথ নীতির অভাব, দামের ওঠা-নামা ইত্যাদি কারণে প্রায়ই ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন। সরকার উল্লিখিত সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন।
আমাদের দেশের কৃষকরা কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সমবায় সমিতি, বাংলাদেশ ব্যাংক, গ্রাম্য মহাজন, ভূস্বামী, মধ্যস্বত্ব ভোগী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। কৃষি ঋণের উপযোগিতা বৃদ্ধিতে তথা এক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে সরকার ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি, সুদের হার হ্রাস, তদারকি বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বসত বাড়ির পাশে সালিহা ঘরে উৎপাদিত সূতা ও বাজার থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এই প্রতিষ্ঠানে তিনি ৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন এবং ১০ জন শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি পণ্যের বিপণন সমস্যা, দক্ষ শ্রমিকের অভাব, কাঁচামালের উচ্চমূল্য ইত্যাদি কারণে লাভজনকভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে পারছেন না।
সাদেক একজন শিক্ষিত বেকার। সম্প্রতি তিনি ‘যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর' থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তার নিজস্ব জমিতে সবজি চাষ ও গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতার অভাব, মূলধনের স্বল্পতা, সেচ সুবিধার অভাব, উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া ইত্যাদি কারণে সাদেকের উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সরকারি ও এন.জি.ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তিনি উল্লিখিত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন।
বিগত দশ বৎসর যাবত শামীম সাহেব পাঁচ ইউনিটের একটি রপ্তানিমুখী কারখানা অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালনা করে আসছেন। এ শিল্প থেকে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৫% উপার্জিত হয়। প্রচুর দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক এ শিল্পে নিয়োজিত রয়েছে। এ শিল্পের কাঁচামালের বেশিরভাগ একটি উৎসবে সংগৃহীত হয়। সম্প্রতি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি, উদ্যোক্তাদের অদক্ষতা ইত্যাদি কারণে এ শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তৈরি পোশাক খাত থেকে বাংলাদেশ প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এই শিল্পে প্রায় ৩৫ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং অনেক ধরনের পশ্চাত সংযোগ শিল্প গড়ে উঠেছে। তাছাড়া এ খাত সাধারণ জনগণের জীবন মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। সংম্প্রতি এ খাতের সমৃদ্ধির জন্য শিল্পোদ্যোক্তাগণ অধিকতর মানসম্পন্ন পোশাক তৈরির পদক্ষেপ নিচ্ছেন ।
A দেশের একটি মেগা প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয়ের প্রায় ৪০% অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে JICA, ADB ও বিশ্বব্যাংক। অবশিষ্ট ব্যয় নির্বাহের জন্য বাজেট উদ্বৃত্ত, সঞ্চয় পত্র, শেয়ার, সরকারি বন্ড বিক্রয়ের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে বিদেশি দাতারা বিভিন্ন শর্ত আরোপ করায় প্রকল্পটির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।