আরশি সাহিত্য আড্ডার প্রতিদিন নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রকির স্যার আড্ডায় বলেন কেবল শিশুদের পড়তে শেখানোই যথেষ্ট নয়। তাদের পড়ার উপযুক্ত কিছু দিতে হবে, এমন কিছু যা তাদের ধারণাগুলোকে প্রসারিত করবে, এমন একটি জিনিস যা তাদের জীবনের অনুভূতি তৈরি করতে এবং তাদের জীবন থেকে পৃথক হওয়া মানুষের দিকে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে। ফারুক স্যার বলেন শুধু তাই নয়, নিজের অন্তর আত্মাকে বিকশিত করার জন্য নিজ আগ্রহে নিজশিক্ষা লাভ না করলে কেউ খুব ভালোভাবে শিক্ষিত হতে পারবে না।
বাহী ও রিহা দুই ভাই-বোন। সারাদিন ভিডিও গেম আর ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত। তাদের মা অতিকষ্টে সংসার সামলান। সারাদিন কাজ করতে করতে মা ক্লান্ত। তারপর আছে তাদের পছন্দের খাবার তৈরির বায়না। বাবার আয়ও সীমিত। কিন্তু রিহা রাহীর তাতে কিছু আসে যায় না। আপন ভূবন নিয়েই ওরা বাস্ত। মা বিরক্ত হলেওহলেও ভাই-বোন ওদের মতো।
নীলা ও তনিমা একই শ্রেণিতে পড়ে। দু'জনের ইচ্ছা শ্রমজীবী মানুষকে নিয়ে সাহিত্য রচনা করবে। নীলা শ্রমজীবী মানুষের জীবনের বিভিন্ন অংশের স্মৃতিকে শব্দের ভিতর সাজিয়ে স্বপ্নময়। করে ধ্বনির ঝঙ্কারে ব্যক্ত করে। তনিমা কল্পনা শক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগিয়ে তথ্য ও যুক্তির সাহায্যে তাদের জীবনধারা ব্যাখ্যা করে।
দৃশ্যকল্প-১:
সেই বাংলাদেশের ছিল সহস্রের একটি কাহিনী। কোরানে পুরাণে শিল্পে, পালা-পার্বণের চাকেঢোলে আউল বাউল নাচে; পূণ্যাহের সানাই রচিত। রোদ্দুরে আকাশতলে দেখ কারা হাটে যায়, মাঝি
পাল তোলে, তাঁতি বোনে,
দৃশ্যকল্প-২:
তারপর তারপর নদীর স্রোত বয়ে চললো।
কখনো ধীরে কখনো জোরে। কখনো মিষ্টি মধুর ছন্দে। সব মিলে হাজার বছর ধরে চলছে
বাঙালির পথচলা। নিরন্তর এ পথচলাপথচলা
ব্যাসে ছোট হওয়ায় সাবুকে প্রথমে কেউ মুক্তিযুদ্ধে নিতে রাজি হয়নি। কিন্তু সাবুর এককথা সে দেশের জন্য যুদ্ধ করবে। গ্রামের সবাই তাকে ছেড়ে চলে গেলেও সে রয়ে যায় গ্রামে। তার কোনো পিছুটান নেই। গেরিলা কায়দায় সে একের পর এক অভিযান চালায় মুক্তি বাহিনীর কমান্ডার লতিফ এর নেতৃত্বে। একদিন এক দুঃসাহসিক অভিযানে অংশ নিয়ে পঞ্চাশ জন পাক সেনাকে সাবাড় করে দেয়। তারপরে কমান্ডার লতিফসহ সরে যায় নিরাপদ দূরত্বে
অভির হাতে ডিএসলার ক্যামেরা, মাথায় ক্যাপ পরে রহিম আলীর কাছে যায়। "ও রহিম মিয়া। মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছো, মেয়ের বয়স কত বলো।" আপনারা কারা? আমরা মিডিয়ার লোক, সব রেকর্ড করে খবরে দেখাবো, পুলিশকে সব দেব। করিমন বলে উঠে, “আমি বিয়ে করব না। আপনারা আমাকে বাঁচান।” রহিম বলে, "বাবা আমি গরিব মানুষ। আমি না বুঝে এ কাজ করছিলাম। এখন বুঝতে পেরেছি। করিমনের অসম বিয়ে ভেঙ্গে যায়। অভিরা চলে যায়।