খুলনার তেতুলিয়া গ্রামের জনাব শরিফ তার এলাকায় দেশি প্রজাতি মুরগির খামার স্থাপন করেন। খামারে উৎপাদিত ডিম তিনি তার এলাকায় বিক্রি করে সফলতার মুখ দেখেন। ত্ইনি তার ব্যবসাকে আরো সম্প্রসারন করার জন্য আরও লাভের আশায় খুলনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত করতে চান। খুলনা তেতুলিয়ার মধ্যবর্তী ভৈরব নদীতে একটি সেতু না থাকার কারণে তিনি তা সঠিকভাবে করতে পারছেন না।
উচ্চ শিক্ষিত মি. মনসুর চইত্রা নদীর তীরে স্বল্পমূল্যে চল্লিশ একর জমি নিয়ে মনোরম পরিবেশে একটি পিকনিক স্পট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধা ও খেলার সামগ্রী দিয়ে এটাই সুন্দরভাবে সাজান। পরবর্তীতে ৩০ টাকা প্রবেশ ফি নির্ধারণ করেন। প্রথম কয়েক বছর স্পটে লোক সমাগম ছিল কম। তিনি আশাবাদী ছিলেন এবং হতাশ না হয়ে টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করেন। ফলে প্রচুর সমাগম বৃদ্ধি হতে লাগল এবং স্পট থেকে আয়ের পরিমান বৃদ্ধি হতে লাগল।
কক্সবাজারের জনাব সুবাদের দারিদ্র্যতার কারণে এসএসসি পাসের পর সে স্থানীয়ভাবে শামুক ও ঝিনুক নিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দেন সাগরপাড় থেকে নানা আকারের কিনুক ও শামুক সংগ্রহ করে তা দিয়ে সে ঝাড়বাতি, গহনা, শো-পিচ ও খেলনা তৈরি করেন। তার তৈরিকৃত সাময়ী পর্যটকদের নিকট বিনয় করেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোক প্রদর্শনীতে পণ্য সরবরাহ করে মুনাফা অর্জন করছেন।
রাজু, সাজু ও কিছু তিন বন্ধু পারম্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে ভে ব্রাদার্স" নামের একটি ব্যবসায় সংগঠন গড়ে তোলেন। তাদের ব্যবসায় সংগঠনের প্রত্যাশিত লাভ-লোকসান তারা আলোচনাসাপেক্ষে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করেন। বেশ কয়েক বছর ব্যবসায়টি সফলতার সাথে চলছে। সম্প্রতি একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার বিষ্ণু মস্তিষ্কে আঘাত লেগে পাগল হয়ে যায়। এই কারণে ফ্রেন্ডস্ এন্ড ব্রাদার্স সংগঠনটির বিলোপ ঘটে।
জনাব অর্ণব দীর্ঘদিন গবেষণা করে এক ধরনের নতুন গমের বীজ উদ্ভাবন করেন। এই বীজ হতে অতি অল্প সেচে এবং অল্প সময়ে গম উৎপন্ন হয়। তিনি বিশেষ চিহ্নবিশিষ্ট প্যাকেটে উদ্ভাবিত গম বীজ বাজারে বিক্রি করে থাকেন। তাপি একটি অসাধু বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তার উদ্ভাবিত বীজের অনুরূপ গমের বীজ নকল করে বাজারজাত করছে। কিন্তু যথাযথ প্রমাণের অভাবে জনার অর্ণব উষ্ণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি।
জনাব নাকিব একটি অটোরাইস মিলের মালিক। তার ব্যবসায়ের নির্দিষ্ট সময়ে কী পরিমাণ অর্থ আসে ও ব্যয় হয় তার প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য একটি বিবরণী তৈরি করেন। তিনি পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ও বিনামূল্যের মধ্যে সমতা বিধান করেন। এ কারণে প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জনের জন্য উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করে বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন।
তাজিন ফ্যাশনের মালিক জনাব জান্নাতুল তার প্রতিষ্ঠানের অধস্তন কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। তিনি কর্মীদের মতামতও গ্রহণ করেন। যার ফলশ্রুতিতে সকল কর্মী কাজে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু তার পার্শ্ববর্তী আজগর ফ্যাশনের মালিক জনাব আজগর কর্মীদের কাজের দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকেন। কর্মীদের কাজের জন্য জবাবদিহিতা করেন না। কর্মীরা তাদের ইচ্ছামতো কাজ করেন বিধায় কাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় ।
জনাব মিজান “গাংচিল" ইজিবাইক শো-রুমের মালিক। তিনি ইজিবাইক তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চীন থেকে আমদানি করে তার শো-রুমে তৈরি করে বিক্রয় করেন। ইজিবাইক বিক্রয়ের জন্য তিনি কয়েকজন বিক্রয় কর্মীকে নিয়োগ দেন। নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে তিনি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বিক্রয়কর্মীর মধ্যে সততা, ভদ্রতা ও সহজে অন্যের সাথে মিশতে পারে এমন নারী-পুরুষ উভয়কে বিবেচনা করেন।
জনাব আরিক লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজে কিছু করতে আগ্রহী। তাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রশিক্ষণ, মেলা ও বিজ্ঞাপন ব্যবসায়ে আগ্রহী করে তোলে। সবকিছু চিন্তা করে তিনি একটি ফার্স্ট ফুড তৈরির কারখানা স্থাপন করেন। কিন্তু কারখানাটি স্থাপনের সময় কাঁচামাল সরবরাহ ও অবকাঠামোগত কিছু সমস্যায় পড়েন। যা থেকে উত্তরনের জন্য জনাব আরিক নিকটবর্তী একটি সংস্থার কাছে শরণাপন্ন হন। সংস্থাটি তালিকাভুপ্তিকরণসহ বিভিন্ন প্রদান করে থাকে।
জনাব জারিফের ঢাকার নিউমার্কেটে তৈরি পোশাকের শোরুম আছে। উক্ত শো-রুমে দশজন কর্মচারী কাজ করে। নিউমার্কেটের উপযুক্ত স্থানে তার শো-রুমটি অবস্থিত হওয়ায় ভালোই মুনাফা অর্জিত হয়। খরচ-খরচা বাদেও তিনি যথাসময়ে কর প্রদান করেন। ঈদ-পার্বণ আসলে নির্দিষ্ট সময় ছাড়াও অতিরিক্ত সময় কাজ করায় কর্মচারী বোনাস দাবি করলে জনাব জারিফ বোনাস দিতে রাজি নন। তার মতে ওভারটাইম প্রদান করা হয় বলে বোনাসের প্রয়োজন। নেই। ফলে কর্মচারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ৩ জন কর্মচারী চাকরি ছেড়ে দেন। এতে প্রতিষ্ঠানটির বেশ সুনাম নষ্ট হয়েছে।