আনন্দ বাবু একজন কর্তব্য পারায়ণ বাতি। তিনি তাঁর পরিবারের ভরণ-পোষণসহ সমস্ত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন এবং সমাজ সেবামূলক কাজে যুক্ত থাকেন। অপর দিকে তরুন বাবু বেশ কিছুদিন হলো চাকরি থেকে অবসর নিয়ে সংসারের মাত্রা ত্যাগ করে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান। শুধু মাত্র তিনি মধ্যহ্ন ভোজের খাবার লোকালয় থেকে সংগ্রহ করেন এবং সবসময় ঈশ্বর চিন্তায় মগ্ন থাকেন।
ভারতী দেবী খুবই ধর্মপরায়ণ। তিনি ভক্তির মাধ্যমে ভগবানের উপাসনা করেন। তার গভীর বিশ্বাস ভক্তি সহকারে ভগবানকে ডাকলে তিনি ভক্তকে দেখা দেন এবং তার মঙ্গল করেন। অন্যদিকে বিমল বাবু ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে চান। তিনি অনুভব করেন বিশ্বের সকল প্রাণীর মধ্যে একই চেতনা বিরাজমান। এই চেতনাই হচ্ছে জীবাত্মা বা পরমাতার অশ।
ঋতুদের বাড়িতে প্রতিবছর কার্তিক মাসের এক বিশেষ তিথিতে এক উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উৎসব উপলক্ষ্যে ঋতু ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় তার কপালে চন্দন মাখিয়ে দেয়। অন্যদিকে অসীমের গ্রামের লোকেরা মিলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে চাকাওয়ালা গাড়ি ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়। গাড়ির ভিতরে থাকে তিনটি বিশেষ মূর্তি। সব ভেদ ভুলে সবাই মিলে গাড়িটি একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যায়।
পবন বাবু একজন অসুর প্রকৃতির লোক। তিনি ভগবানের নাম শুনলে রেগে যান এবং নিজেকে সর্বশক্তিমান বলে মনে করেন। কিন্তু তার পরম আপন জন খুবই ঈশ্বর ভক্ত। সেজন্য তাকে বিভিন্নভাবে মেরে ফেলার চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হন। অন্যদিকে সুবীর খারাপ বন্ধুদের সাথে মিশে নেশার জগতে প্রবেশ করে। নেশার টাকা যোগাড় করতে সে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে এতে পরিবারের সবাই তাকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে।
মাধবীদের বাড়িতে প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে একটি মুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে সকল ভেদাভেদ ভুলে একে অপরকে রং মাখায়। এটি মূলত বৈষ্ণবদের উৎসর। অন্যদিকে রাখিদের গ্রামে বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিবছর নাম গানের আয়োজন করা হয়। এটি কয়েক প্রহর ব্যাপী চলে। দুঃখ কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পেতে দূরদূরান্ত থেকে বহুলোক এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে অনুরাধাদের বাড়ি ও অনুরাধাকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি মূলত: তাকেই ঘিরেই। এটি ছিল অনুরাধার জীবনে একটি বিশেষ দিন। অপর দিকে প্রিতমের বাবা হঠাৎ করে মারা গেছে। তার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করে সামর্থ্য অনুযায়ী শ্রদ্ধার সঙ্গে বিভিন্ন সামগ্রি উৎসর্গ করে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করে।
অভি একটি আসন অনুশীলন করে। যার ফলে--
(১) শিরদাঁড়ার উপকার হয়
(২) পেটের ভিতরের অংশগুলো সবল হয়
(৩) মাথা ঠাণ্ডা থাকে
(৪) পরিপাক ভালো হয়
(৫) শ্বাসকষ্টের উপকার হয়।
অন্যদিকে উত্তম প্রতিদিন একটি আসন অনুশীলন করে। যার ফলে—
(১) ডায়াবেটিস হয় না
(২) পেটের চর্বি কমিয়ে দেয়
(৩) কাঁধ নরম হয়
(৪) বৃক্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
(৫) গ্যাসের সমস্যা দূর হয়।
মিনতিদের এলাকার মানুষ রোগ থেকে মুক্তি লাভের আশায় একজন দেবীর পূজা করে। এই দেবীর পূজায় ঠাণ্ডা জাতীয় ফলের প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে শোভনদের বাড়িতে প্রতিবছর একজন দেবীর পূজা করা হয় যিনি শুম্ভ নিশুম্ভ নামক অসুরকে বধ করেছেন। তিনি মৃত্যুর দেবীরূপেও পরিচিত। সাধারণত অমাবস্যা রাতে এই দেবীর পূজা করা হয়।
মীরা মায়ের সাথে পূজা দেখতে যায়। মন্দিরে গিয়ে দেখল এক দেবী মূর্তি যিনি দূর্গম নামক অসুরকে বধ করেছেন। তার আর এক নাম মহামায়া। যিনি সকলের দুর্গতি নাশ করেন। অন্যদিকে তপতীর দীর্ঘ দিন কোনো সন্তান হয় না। তাই সন্তান লাভের জন্য একজন বিশেষ দেবতার পূজার মাধ্যমে নতুন সদস্য লাভ করে সুখে শান্তিতে বসবাস করে।