জনাব 'A' আমের মৌসুমে রাজশাহী থেকে আম কিনে ঢাকায় বিক্রি করেন। গতানুগতিক ব্যবসায়ীগণ ফরমালিনের কথা চিন্তা না করেই রাজশাহীর বাজার থেকে আম কিনে ঢাকায় বিক্রি করে। কিন্তু জনাব 'A' সরাসরি রাজশাহীর আমের বাগান থেকে ফরমালিনমুক্ত আম কিনেন। ফরমালিনমুক্ত আম পচে লাভের পরিবর্তে ক্ষতিও হতে পারে তা জেনেও জনাব 'A' এ কাজ করেন
মীম টুপিতে নকসার কাজে বিশেষভাবে পারদর্শী। মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় সে নকসাকৃত টুপি তৈরির কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। দক্ষতার কারণে অল্প সময়ের ব্যবধানে তার ব্যবসায় দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করে। ফলে মীম তার ব্যবসায় সম্প্রসারণ করতে চায়। কিন্তু তার পর্যাপ্ত মূলধন নেই। তার দুই বন্ধু ব্যবসায়ে । মূলধন সরবরাহ করতে চায়। পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে তারা তিন বন্ধু মিলে ব্যবসায় পরিচালনা করতে রাজি হয়
জনাব মুহিববুল্লাহ দীর্ঘদিন গবেষণা করে এক ধরনের নতুন ধান বীজ উদ্ভাবন করেন। এ বাজ হতে অতি অল্প সেচে এবং অল্প সময়ে ধান উৎপন্ন হয়। তিনি বিশেষ চিহ্ন বিশিষ্ট প্যাকেটে করে উদ্ভাবিত ধান বীজ বাজারে বিক্রি করে থাকেন। তথাপি একটি অসাধু বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তার উদ্ভাবিত বীজের অনুরূপ ধানের বীজ নকল করে বাজারজাত করছে। কিন্তু যথাযথ প্রমাণের অভাবে মুহিববুল্লাহ উত্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন নি।
ঝিনাইদহের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের কৃষক সবজি উৎপাদনে পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে । কৃষকদের অন্য গ্রুপ ব্যাপক মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করে। আঃ আলিম ১ম শ্রেণির কৃষক থেকে বাকিতে সবজি ক্রয় করে ঢাকার বাজারে বিক্রি করে। বিক্রয় শেষে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি সে কৃষকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে দেয়। ১ম প্রকারের সবজি বিক্রয়ে তুলনামূলকভাবে কম লাভ হলেও আঃ আলিম এ কাজে আত্মতৃপ্তি লাভ করেন ।
'ABC' একটি সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী কোম্পানি সংগঠন। তারা সম্প্রতি ১০০টি সফটওয়্যার তৈরির অর্ডার পায়। তাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ লোকবল নেই । তাই তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কার্য সম্পাদনের জন্য ‘মুন’ কোম্পানিকে চুক্তির ভিত্তিতে ৩০টি সফওয়্যার তৈরির দায়িত্ব দেয়। দক্ষ লোকবলের অভাবে পরবর্তীতে 'ABC' কোম্পানির নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনায় অচলাবস্থা দেখা দেয়। তাই তারা বিকল্প সমাধান না পেয়ে কোম্পানি বিলোপসাধনের সিদ্ধান্ত নেয় ।
জনাব ফাহিম 'আলফা' ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। ‘আলফা' ব্যাংক লেজার বুকের পরিবর্তে কম্পিউটারে গ্রাহকদের হিসাব সংরক্ষণ করে। তথ্য আদান-প্রদানে চিঠির পরিবর্তে ই-মেইল, মোবাইল ফোন ইত্যাদি প্রযুক্তি ব্যবহার করে। গ্রাহকগণ ব্যাংকে না গিয়ে চেক ছাড়াই মুহূর্তে কার্ড ব্যবহার করে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা টাকা তুলতে পারে।