ডিমকে প্রধানতঃ দু'শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়, যথা:
(ক) ফোটানোর জন্য ডিম (Hatching eggs)
(খ) খাবার ডিম (Table eggs)
(ক) ফোটানোর জন্য ডিম
এ ধরনের ডিম উৎপাদন করতে হলে প্রতি ৮-১০ টি মুরগির জন্য ১টি করে সুস্থ প্রজনন সক্ষম মোরগ থাকতে হবে। মোরগ ও মুরগির যৌন ক্রিয়ার ৭ দিন পর থেকে বাচ্চা ফোটানোর ডিম সংগ্রহ করতে হবে। মোরগের উপস্থিতিই মূল কথা নয় মুরগির সাথে যৌন সক্ষম কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। মোরগ ছাড়া উৎপাদিত ডিম অনুর্বর।
(খ) খাবারের জন্য ডিম:
বাণিজ্যিক মুরগির খামারে যে ডিম উৎপাদন করা হয় সেগুলো অনুর্বর ডিম। এ সব ডিম পাড়া মুরগির সাথে মোরগ থাকে না। অনুর্বর ডিম সহজে নষ্ট হয় না। ভোক্তাদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে বাণিজ্যিক খামারগুলো ডিম উৎপাদন করে থাকে। এ চাহিদা ডিমের আকার, ডিমের রং, ডিমের খোসার গড়ন, কুসুমের রংয়ের উপর নির্ভরশীল। অনেকে সাদা খোসাযুক্ত বিশেষ করে গবেষণা কাজের জন্য আবার সাধরণ ভোক্তারা বাদামি খোসাযুক্ত ডিম পছন্দ করে। অনেকের পছন্দ হলুদ বা কমলা রং এর কুসুম। ডিমের কুসুমকে হলুদ করার জন্য খাদ্যের সাথে ভূট্টা ব্যবহার করলে ডিমের কুসুম হলুদ হয়।
১) গ্রেড এ এ- অতিরিক্ত বড় ডিমঃ
এ শ্রেণির ডিমের ওজন ৬০ গ্রাম বা এর চেয়ে বেশি হয়। ডিমের খোসা হবে সুগঠিত মসৃণ, সমতল ও মাঝারি, টেকসই। সাধারণত বাণিজ্যিক হাইব্রীড জাতের ডিম আবরণে কোনো প্রকার ফাটল থাকে না। বাজারে এ জাতের ডিমের চাহিদা বেশি এবং অধিক দামে বিক্রি হয় ।
২) গ্রেড এ - বড় ডিমঃ
এ শ্রেণির ডিমের ওজন ৫৬-৫৯ গ্রাম পর্যন্ত হয়। ডিমের খোসা সুগঠিত, মসৃণ, সমতল ও মাঝারি, হয়। এ ডিমের খোসায় কোনো ফাটল থাকে না বা ডিমের খোসা খুব শক্ত ও মোটা হবে না ।
৩) গ্রেড বি -মাঝারি আকারের ডিম :
এ শ্রেণির ডিমের ওজন ৫০ থেকে ৫৬ গ্রাম পর্যন্ত হয়। ডিমের আকার সুগঠিত। খোসা মসৃণ সমতল ও মাঝারি টেকসইয়ের হয়। এ ডিমের খোসায় কোনো ফাটল থাকে না। ডিমের খোসা খুব শক্ত বা মোটা হবে না ।
৪ গ্রেড-সি - বাতিলকৃত ডিমঃ
যে সমস্ত ডিম বাচ্চা ফোটানোর অনুপযুক্ত বলে বাতিল করা হয় অথবা খাবার ডিম হিসেবে পৃথক করার পর অবশিষ্ট থাকে সেগুলো এ শ্রেণিভুক্ত। ডিমের খোসা ময়লাযুক্ত থাকে, ডিমের খোসায় ফাটল থাকতে পারে। এ শ্রেণিভুক্ত ডিম কোনো নির্দিষ্ট ওজন বা আকারের হয় না । বাজারে এ ডিমের দাম কম ।
ওজনের ভিত্তিতে ডিমের গ্রেডিং