এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ওয়্যারিং, চ্যানেল ওয়্যারিং করার পদ্ধতি, বিভিন্ন টেস্ট পদ্ধতি, কম্প্রেসরের টার্মিনাল নির্ণয়, মোটরের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে তালিকা প্রস্তুত করতে পারব।
বাসগৃহে ব্যবহৃত লোড (লাইট, ফ্যান, হিটার, মোটর, রেফ্রিজারেটর, এয়ার-কন্ডিশনার ইত্যাদি) সমূহকে পরিচালনার জন্য সুবিন্যস্ত তার ব্যবস্থাপনাকে ওয়্যারিং বলে।
ওয়্যারিং-এর আবশ্যকতা
পরিকল্পিত House Wiring ব্যতীত নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে বিদ্যুৎ শক্তিকে প্রয়োজনমতো ব্যবহার করা যায় না। বাসগৃহ, অফিস, কারখানা, প্রতিষ্ঠান, দোকান, ওয়ার্কশপ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিতরণ ও ব্যবহারের জন্য House Wiring এর আবশ্যকতা অসীম । কারণ সুন্দর, সুষ্ঠু, পরিকল্পিত, নিয়মতান্ত্রিক নিরাপদ বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য House Wiring -এর বিকল্প নেই । অনুমোদিতভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি এবং নিচে বর্ণিত সুযোগ-সুবিধাদির লক্ষ্যে বাসগৃহ ওয়্যারিং-এর আবশ্যকতা পরিলক্ষিত হয় ।
১। নিরাপত্তা সুবিধা: সুন্দর, সুষ্ঠু, পরিকল্পিত, নিয়মতান্ত্রিক ওয়্যারিং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
২। নিয়ন্ত্রণ সুবিধা: সুইচ যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু ও বন্ধ করা যায় ।
৩। সৌন্দর্য সুবিধাঃ Wiring বাসগৃহে বা ইমারতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ৪। স্থায়িত্ব বৃদ্ধি সুবিধা: সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত তার বিন্যাস ব্যবস্থায় দীর্ঘ দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় ।
৫। অর্থ সাশ্রয়ের সুবিধা: সুন্দর ও পরিকল্পিত তার বিন্যাসে সরঞ্জামাদির বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।
৬। রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা: সঠিক ওয়্যারিং-এ সরঞ্জামাদির রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা বেশি পাওয়া যায়।
৭। বণ্টনের সুবিধাঃ পরিকল্পিত Wiring এর মাধ্যমে সুন্দর, সুষ্ঠু বিতরণ নিশ্চিত করা যায় ইত্যাদি ।
ওয়্যারিং সাধারণত দুই প্রকার-
• অভ্যন্তরীণ ওয়্যারিং (Internal Wiring) • বাহ্যিক ওয়্যারিং (External Wiring)
অভ্যন্তরীণ ওয়্যারিং (Internal Wiring): আবাসিক বা অফিস ঘরে, কল কারখানায় ও প্রতিটি বিল্ডিং এর ভেতরে যে ওয়্যারিং ব্যবহার করা হয় তাকে অভ্যন্তরীণ ওয়্যারিং বলে যাকে সাধারণত ৫ ভাগে ভাগ করা যায়-
• ক্লীট ওয়্যারিং (Cleat Wiring) • চ্যানেল ওয়ারিং (Channel Wiring)
• ব্যাটেন ওয়্যারিং (Batten Wiring) • ট্রাংকিং ওয়্যারিং (Trenching Wiring)
• কন্ডুইট ওয়্যারিং (Conduit Wiring) • কেসিং ও ক্যাপিং ওয়্যারিং (Casing & Capping Wiring)
বাহ্যিক ওয়্যারিং-কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়-
• ওভার হেড ওয়্যারিং (Over Head Wiring) • আন্ডার গ্রাউন্ড ওয়্যারিং (Under Ground Wiring)
ওয়্যারিং করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি
• ইলেকট্রিশিয়ান চাকু (Electrician Knife ) • রাওয়াল প্লাগ ছেনি (Rowel Plug Chisel)
• কম্বিনেশন প্লায়ার্স (Combination Pliers ) • প্লাম্ব বব (Plumb Bob )
• লং নোজ প্লায়ার্স (Long Nose Pliers) • নিয়ন টেষ্টার (Neon Tester)
• ফ্ল্যাট স্ক্রু-ড্রাইভার (Flat Screw Driver) • ওয়্যার গেজ (Wire Gauge )
• পোকার (Poker ) • স্টার/ফিলিপ্স স্ক্রু-ড্রাইভার
• বলপিন/ক্রসপিন হ্যামার • ওয়্যার স্ট্রিপার (Wire Stripper)
(Star/Philips Screw Driver) (Ball pin/Cross pin Hammer)
• ওয়্যার পাঞ্চ মেশিন (Wire Punch Machine) • হ্যান্ডড্রিল মেশিন (Hand Drill Machine)
• অ্যাডজাস্টেবল রেঞ্জ (Adjustable Wrench) • মেজারিং টেপ (Measuring Tape)
• হ্যাকস (Hack - Saw)• ডাইয়াগোনাল কাটিং প্লায়ার্স
• কানেকটিং স্ক্রু-ড্রাইভার
(Diagonal Cutting Pliers) (Connecting Screw Driver)
ওয়্যারিং এর নিয়ম কানুন
• বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী ও সাপ্লাই লাইনের মধ্যে মেইন সুইচ সংযোগ করতে হবে, যাতে বিপদ মূহুর্তে মেইন সুইচ বন্ধ করলেই • ওয়্যারিং কিংবা সরঞ্জাম সমূহকে রক্ষা করা যায়।
• এমন সাইজের তার বা ক্যাবল ব্যবহার করতে হবে, যাতে ফুল লোড কারেন্ট বহন করতে পারে
• সুইচ বোর্ডের উচ্চতা ১.৩ মিটার (৪'-৩”) হতে ১.৫ মিটার (৪'-৫”) এর মধ্যে হতে হবে ৩-Pin Socket এর জন্য অবশ্যই পৃথক • সুইচ লাগাতে হবে এবং আর্থিং তারও সংযোগ করতে হবে
• মেঝে হতে বাতির উচ্চতা ২.৫ মিটার (৮') উপরে লাগাতে হবে
• মেঝে হতে সিলিং ফ্যানের উচ্চতা ২.৭৫ মিটার (৯) উপরে হবে
• বৈদ্যুতিকশক হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকল মেটালিক বড়ি, কভার, মেইন সুইচ এবং বৈদ্যুতিক এ্যাপ্লায়েন্স অবশ্যই আর্থিং করতে হবে
• সার্কিটে অবশ্যই রক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। যেমন- ফিউজ, সার্কিট ব্রেকার ইত্যাদি
• কোন স্থানে লাইটিং ও পাওয়ার সার্কিট পৃথক করে ওয়্যারিং করতে হবে
• ওয়্যারিং শেষে সকল প্রকার টেষ্ট সম্পন্ন করে লোডে সাপ্লাই দিতে হবে
ওয়্যারিং এর সময় তারের সাইজ এবং তারের পরিমানের উপর ভিত্তি করে চ্যানেলের সাইজ নির্বাচন করা হয় । যেখানে যত বেশী পরিমান তার টানা হবে সেখানে তত বেশী বড় আকারের চ্যানেল ব্যবহার করতে হবে। এই চ্যানেলের দু'টি অংশ থাকে- একটি বেস (Base) বা তলা অপরটি কভার (Cover) বা ঢাকনা। ওয়্যারিং এর সময় বেসটি দেয়ালের উপর রাওয়াল প্লাগ এবং স্ক্রু দিয়ে ভালোভাবে আটকাতে হবে। তারপর বেস এর গর্ত বা চ্যানেল এর মধ্য দিয়ে তার টেনে ওয়্যারিং সম্পন্ন করা হয়। তার টানা শেষ হলে বেসের উপর কভার লাগিয়ে দেয়া হয় । কভার থাকার জন্য এই ওয়্যারিং এর তার দেখা যায় না । কভার লাগানোর পর তার সংযোগ স্থল আঠা বা পুটিং দিয়ে আটকিয়ে দিতে হবে, যাতে পোকা-মাকড় ঢুকতে না পারে।
চ্যানেল ওয়্যারিং এর সুবিধা
• অন্যান্য ওয়্যারিং এর চেয়ে এই ওয়্যারিং খুবই সহজ
• স্বল্প খরচে সম্পন্ন করা যায়
• রক্ষণাবেক্ষণ সহজ
• শুধুমাত্র কভার খুলেই তার বা ক্যাবল বের করা সম্ভব
চ্যানেল ওয়্যারিং এর অসুবিধা
• দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে চ্যানেলের কভার খুলে যেতে পারে
• মোটা ক্যাবল চ্যানেলের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করানো যায় না।
• বহুতল ভবনে চ্যানেল ওয়্যারিং ব্যবহার করা যায় না
ব্যবহার
বর্তমানে বাসাবাড়ী, অফিস-আদালতসহ প্রায় জায়গাতেই চ্যানেল ওয়্যারিং ব্যবহার করা হয়, কারণ এটি সহজলভ্য।
১) কন্টিনিউটি টেস্ট পদ্ধতি
কোন ওয়্যারিং এর কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, সেই ওয়্যারিং এ তারের ভিন্ন ভিন্ন টুকরার মধ্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য যে টেস্ট করা হয় তাকে কন্টিনিউটি টেস্ট বা নিরবিচ্ছিন্ন পরীক্ষা বলা হয়। বৈদ্যুতিক ঘন্টা এবং ইন্সুলেশন টেস্টিং মেগারের সাহায্যে এই টেস্ট করা যায়। এই টেস্ট মেগার এবং টেস্ট ল্যাম্পের সাহায্যে করা যায়।
ইন্সুলেশন টেস্টিং মেগারের সাহায্যে কন্টিনিউটি টেস্ট
এই কন্টিনিউটি টেস্ট বাড়ীর মেইন সুইচের টার্মিনালেই বেশীর ভাগ করা হয়ে থাকে। প্রথমে মেইন সুইচ অফ করে কাট আউটগুলি খুলে নিতে হবে। তারপর মেগারের দু'টি টার্মিনাল ওয়্যারিং এর দু'টি টার্মিনালের সাথে যুক্ত করতে হবে। এবার যে সার্কিট পরীক্ষা করতে হবে সেই সার্কিটের পয়েন্টে বা পয়েন্টগুলোতে লোড লাগিয়ে ঐ সার্কিটের সব সুইচ অফ করতে হবে। এবার মেগারের হাতল নির্দিষ্ট গতিবেগে ঘুরাতে হবে এবং একটি একটি সুইচ অন করতে হবে। সুইচ অন করার পর যদি মেগারের কাটা শুন্য (০) নির্দেশ করে, তবে বুঝতে হবে কন্টিনিউটি ভাল আছে। আর যদি সার্কিটের তার কোথাও খোলা বা কাটা থাকে তাহলে মেগারের কাটা ইনফিনিটি বা কোন উচ্চ মানের রেজিষ্ট্যান্স নির্দেশ করবে যা কোন রিডিং দেবে না।
তবে টেষ্টের জন্য প্রয়োজনীয় সংযোগ সম্পন্ন করার পর টেষ্ট করার আগে সমস্ত লোডগুলিকে খুলে রেখে সমস্ত সুইচ অন করে মেগারের হাতল ঘুরালে যদি মেগার জন্য পাঠ দেখায় তাহলে বুঝতে হবে সার্কিটের কোথাও শর্ট আছে।
2) Open Circuit Test
যদি কোন বর্তনীর মধ্যে কন্টিনিউটি না পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে হবে বর্তনীর কোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই ধরণের অবস্থাকে Open সার্কিট বলা হয়। ওপেন সার্কিট টেষ্ট কন্টিনিউটি টেষ্টের মতই এক্ষেত্রে মেগারের কাঁটা অসীম দেখালে বুঝতে হবে সার্কিটের কোথাও ওপেন আছে।
Open Circuit এর কারণ
● ক্যাবলের ভেতর কন্টাক্টরের সংযোগ না থাকা
• হোন্ডার অথবা সুইচের তার বিচ্ছিন্ন থাকা
• ক্যাবলের সংযোগ ভুল থাকা
Open Circuit এর প্রতিকার
• মেগারের সাহায্যে কন্টিনিউটি পরীক্ষা করতে হবে
• সুইচের পোলারিটি ঠিক আছে কিনা তা দেখতে হবে
• ক্যাবলের সংযোগ ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে
৩) পোলারিটি টেস্ট
ফেজ তারের সাথে সুইচ সংযোগ দেয়া হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য পোলারিটি টেস্ট করা হয়। পোলারিটি টেস্ট করার জন্য সাধারনত টেস্ট ল্যাম্প পদ্ধতিই বেশি ব্যবহার করা হয়। এই টেস্ট বিভিন্ন ভাবে করা যায় ।
সুইচ অন করে টেস্ট করা
এই টেস্ট একটি টেস্ট ল্যাম্পের সাহায্যে করা যায়। টেস্ট ল্যাম্পের টার্মিনাল দু'টির যে কোন একটি সুইচের এক পোলে সংযোগ করতে হবে এবং অপর প্রান্তটি আর্থিং এর সঙ্গে ভালভাবে সংযোগ করতে হবে। সংযোগ শেষ হওয়ার পর সুইচটি অন (On) করলে টেস্ট ৰাতি পুরো ফুলৰে। এতে বোঝা যাবে পোলারিটি ভাল আছে। কিন্তু যদি সুইচ টিউট্রাল লাইনে লাগানো থাকে ভাতে টেস্ট ৰাতি একেবারেই জ্বলবে না। এতে বোঝা যাবে পোলারিটি ঠিক নেই। সুইচ অফ (Off) করেও পোলারিটি টেস্ট করা যায়। তবে সুইচ অন (On) করে টেস্ট করাই নির্ভুল হবে। যত ভোল্টের সার্কিট হবে টেস্ট ৰাতিও ঠিক তত ভোটের হতে হবে।
৪) ইন্সুলেশন রেজিষ্ট্যান্স টেস্ট
গুয়ারিং এর ইন্সুলেশন রেজিস্টান্স টেস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স এর উপর ওয়্যারিং এর নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্ব নির্ভর করে থাকে। এই জন্য কোন সার্কিটের ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স জানা খুবই প্রয়োজন। ইন্সুলেশন টেস্টিং মেগারের সাহায্যে এই টেস্ট করা হয়।
টেস্ট করার পদ্ধতি
প্রথমে মেইন সুইচ বন্ধ করে (OH) বা কাট আউট খুলে নিতে হবে এবং সমস্ত লোডগুলি (বাতি, পাখা ইত্যাদি) খুলে রাখতে হবে। সমস্ত সুইচ অন (On) অবস্থায় রাখতে হবে। এইবার মেগারের L ও E প্রান্তের দু'টি তার বর্ষাক্রমে ফেজ তার ও নিউট্রাল তারের সংগে সংযোগ করতে হবে। এবার যেগারের হাতলটি প্রয়োজনীয় গতিতে ঘুরায়ে যন্ত্রের কাটা স্কেলের উপর যে জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে অর্থাৎ, যে রিডিং দেখাবে তাই হবে ওয়্যারিং এর দুই তারের মধ্যে ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স। নিয়ম হচ্ছে ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স কোন সার্কিটের বা কোন বাড়ির মোট পয়েন্টের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে যত হবে তত মেগা ওহম হওয়া চাই। অর্থাৎ দুই তারের মধ্যে ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স হবে ৫০/২০ = ২.৫ মেগা ওহম। এখানে মোট পয়েন্টের সংখ্যা ২০ ধরা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে কোন বাড়ির সমগ্র বৈদ্যুতিক স্থাপনের ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স “১” মেগাওহমের বেশী না হলেও চলবে। যদি ১ মেগাওহমের কম দেখায় তাহলে বুঝতে হবে ওয়্যারিং এ কোথাও লিকেজ আছে। আর যদি রিডিং শুন্য দেখায় তাহলে বুঝতে হবে ওয়্যারিং এ কোথাও শর্ট আছে।
কম্প্রেসর মোটর টার্মিনালের তিনটা লাইন আছে-
১. কমন ২. রানিং ও ৩. স্টার্টিং
ফ্রিজ বা এসিতে যেসব কম্প্রেসর ব্যবহার করা হয় এখনো সিড করা থাকে। তাই চোখ দিয়ে দেখে বোঝার উপার নেই যে কোনটা কমন, রানিং আর স্ট্যার্টিং। এ্যান্সে মিটার বা টেস্ট ল্যাম্প ব্যবহার করে এগুলো বের করতে পারি।
আমরা এ্যাডোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করতে নিচের ধাপ অনুসরণ করি- ১. অ্যাডোমিটারের সিলেক্টর সুইচ ওহম স্কেলে X১০ এ রাখি;
২. তিনটা পিনে অ্যাডোমিটারের পিড ধরে দেখতে হবে কোনটার রেজিস্ট্যান্স কত? যে দু'টির রেজিস্ট্যান্স বেশি হবে তার বিপরীতটাই হবে কমন । কমন থেকে যে পিনের রেজিস্ট্যান্স কম হবে সেটি হবে রানিং । কমন থেকে যেটির রেজিস্ট্যান্স বেশি হবে সেটি হবে স্ট্যাটিং।
উদাহরণটি লক্ষ্যকরি
মনে করি মোটর টার্মিনালের তিনটি লাইনের প্রথমটি C দ্বিতীয়টি S এবং তৃতীয়টি R. এ্যাভোমিটারের প্রোবায় CS-এ ধরে এর রেজিস্ট্যান্স পেলাম ও ওহম। একইভাবে CR-এ ধরে ২ হম এবং S R - ধরে পেলাম। তাহলে কোন টার্মিনালের রেজিস্ট্যান্স বেশি ? S ও R-এ ধরে সবচেয়ে বেশি রেজিস্ট্যান্স পেয়েছি। তাহলে S ও R এর বিপরীত প্রাস্ত C হবে কমন । কমন C এর সাথে S এর রেজিস্ট্যান্স দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ ও তাহলে S স্ট্যার্টিং এবং কমন C এর সাথে R এর রেজিস্ট্যান্স সবচেয়ে কম ২ ওহম তাহলে R রানিং।
কন্টিনিউটি টেস্ট: এ্যাভোমিটারের একটি প্রোবকে মোটরের স্টার্টিং ও অপর প্রোবকে রানিং কয়েলের সাথে ধরি। যদি রেজিস্ট্যান্স দেখায় তাহলে বুঝতে হবে কয়েল ঠিক আছে। যদি রেজিস্ট্যান্স না দেখায় তবে বুঝতে হবে কয়েল কোথাও ওপেন হয়ে আছে।
মোটরের বডি আর্থিং টেস্ট: এ্যাভোমিটারের একটি প্রোব মোটরের বডির সাথে ধরি। অপর প্রোবটি একে একে
কমন, স্টাটিং ও রানিং এর টার্মিনালের সাথে ধরি। যদি কন্টিনিউটি দেখায় তবে বুঝতে হবে বডি শর্ট আছে । কন্টিনিউটি না দেখালে বুঝতে হবে মোটর ভালো আছে। কয়েল টু কয়েল টেস্ট: এ্যাভোমিটারের প্রোবদ্বয়কে যথাক্রমে মোটরের স্টাটিং কয়েলের দুই প্রান্তে ও রানিং কয়েলের দুই প্রান্তে ধরি। যদি রেজিস্ট্যান্স দেখায় তাহলে বুঝতে হবে কয়েল ঠিক আছে। আর যদি রেজিস্ট্যান্স
না দেখায় তাহলে বুঝতে হবে কয়েল শর্ট আছে।
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
২.৬.৫ অনুযায়ী ট্রেডের ওয়ার্কশপে রক্ষিত একাধিক কম্প্রেসর ও সিঙ্গেল ফেজ মোটর নিয়ে তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে নিচের ছকটি টিক/ক্রস চিহ্ন দিয়ে পূরণ করি-
টেস্টের ফলাফল-
ক্রমিক নং | ধরণ | বডি শর্ট | কয়েল কাটা | মন্তব্য |
---|---|---|---|---|
১ | সিঙ্গেল ফেজ মোটর | |||
২ | কম্প্রেসর |