নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - সংস্কৃত - তৃতীয় ভাগঃ তৃতীয়ঃ | NCTB BOOK

উপসর্গ শব্দটি উপ-পূর্বক সৃজ ধাতু ও প্রত্যয়যোগে গঠিত। সৃজ-ধাতুর অর্থ সৃষ্টি করা। সুতরাং উপসর্গ শব্দের ব্যুপত্তিগত অর্থ হল যা বিবিধ অর্থের সৃষ্টি করে। পাণিনি বলেন, “উপসর্গাঃ ক্রিয়াযোগে" -যে সমস্ত অব্যয়শব্দ ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্রিয়াপদ গঠন করে, তাদের উপসর্গ বলা হয়। যেমন- প্রভূ + প = প্রভবতি। বি- বর্মণ + প তি = বিনশ্যতি। সমৃ- √g + ল তি = সংহরতি (সম্ + হরতি

উপসর্গের কার্যাবলি উপসর্গ ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধাতুর অর্থের পরিবর্তন সাধন করে। যেমন- ব্লু-ধাতুর অর্থ 'হরণ করা'। কিন্তু প্র-পূর্বক ভূ- ধাতুর অর্থ 'প্রহার করা'। গম্‌ ধাতুর অর্থ 'গমন করা'; কিন্তু অনু-পূর্বক গম্ - ধাতুর অর্থ 'অনুগমন করা। এ সম্পর্কে একটি কারিকা রয়েছে-

“উপসর্গেণ ধাতুর্থো বলাপনায় নীয়তে। প্রহাবাহার সংহার-বিহার পরিহারবঃ"

প্রহার, আহার, সংহার, বিহার ও পরিহার -এর মত উপসর্গ বলপূর্বক ধাতুর অর্থ অন্যত্র নিয়ে যায়।

উপসর্গ অনেক সময় ধাতুর অর্থের পরিবর্তন সাধন না করে ধাতুর অর্থে অনুগমন করে। যেমন- বসতি বাস করে। নিবসতি বাস করে। উপসর্গ কখনও কখনও ধাতুর অর্থকে বিশেষিত করে। যেমন- নমতি-নত হয়। প্রণমতি প্রকৃষ্টরূপে নত হয়। উপসর্গের এ সকল বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে বৈয়াকরণগণ একটি কারিকা প্রণয়ন করেছেন-

“ধাতুৰ্থং বাধতে কৃচিৎ কুচি মনুবর্ততে। তমের বিশিষ্টান্য উপসর্গগতিবিাঃ"

-কখনও কখনও উপসর্গ ধাতুর অর্থের পরিবর্তন সাধন করে এবং কখনও কখনও ধাতুর অর্থের অনুসরণ করে এবং কখনও বা ধাতুর অর্থকে বিশেষভাবে প্রকাশ করে।

উপসর্গের সংখ্যা। উপসর্গ ২০টি- প্র, উপ, অপ, অব, আ, পরা, বি, নি, সু, উৎ, অতি, প্রতি, পরি, অপি, অভি, অধি, অনু, নিঃ, দুঃ ও সমৃ

Content added By