or
or
”আরব বসন্ত” বলতে আরবের বিভিন্ন দেশে গণজাগরণকে বুঝায়।
২০১০ সালের শেষের দিকে শুরু হওয়া আরব রাষ্ট্র সমূহের জনগণের বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন সংগঠিত হয় তাই আরব বসন্ত বা আর রবিউল আরাবী নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
'আরব বসন্ত' (Arab Spring) হলো ২০১০ সালের শেষে এবং ২০১১ সালের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে শুরু হওয়া একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের সমষ্টিগত নাম। এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বৈরশাসন, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অসাম্য, এবং রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার অর্জন করা।
আরব বসন্তের কিছু মূল উপাদান:
প্রথম সূচনা: ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে তিউনিশিয়ার যুবক মোহাম্মদ বৌআজিজির আত্মদাহের মাধ্যমে আরব বসন্তের সূচনা ঘটে। তাঁর এই প্রতিবাদের ঘটনায় তিউনিশিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় এবং এটি অন্যান্য আরব দেশেও ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভ এবং আন্দোলন: মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেন, বাহরাইন, এবং সিরিয়া সহ অন্যান্য আরব দেশগুলিতে বড় ধরনের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ ঘটে। অনেক দেশে সরকারের পতন ঘটে এবং পরিবর্তনের প্রচেষ্টা বৃদ্ধি পায়।
প্রভাব: কিছু দেশে আন্দোলনের ফলে নতুন সরকার গঠিত হয় এবং রাজনৈতিক সংস্কার হয়। তবে, অন্যান্য দেশে আন্দোলন সহিংসতায় পরিণত হয় এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। যেমন, লিবিয়া ও সিরিয়াতে গৃহযুদ্ধের সৃষ্টি হয়।
উপস্থিতি: আরব বসন্তের ঘটনাবলীর মধ্যে সামাজিক মিডিয়ার ব্যাপক ভূমিকা ছিল, যা বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন এবং আন্দোলনের প্রচার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরব বসন্তের ফলস্বরূপ, কিছু দেশ গণতান্ত্রিক সংস্কারের দিকে এগোতে সক্ষম হলেও, অন্যান্য দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার অবসান হয়নি।
আরব বসন্তের শুরু হয় ২০১০ সালের ১৭ ই ডিসেম্বর তিউনিসিয়ার মোহাম্মদ বোয়াজিজি নামে এক ফল বিক্রেতার পুলিশের দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতির মাধ্যমে বিদ্রোহ শুরু হয়। গণবিক্ষোভের শুরু তিউনিসিয়ায়, এরপর তা মিশরে, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যায়। আরব বিশ্বের এই গনঅভ্যূত্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্রগুলো অস্ত্র সরবরাহ করে এবং সরাসরি আঘাত হেনে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রনায়কদের পতন ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল।
জেনে নিই
