or
or
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বাংলা ব্যাকরণে একটি বিশেষ ধরনের সমাস। এই সমাসের মূল বৈশিষ্ট্য হলো যে, সমাসের মধ্যে থাকা একটি পদ সাধারণত লোপ পায় এবং অন্য পদগুলোই সমাসের মূল ধারণা বহন করে। এই প্রকার সমাসে সাধারণত ক্রিয়া বা কর্মের পদ লোপ পায়।
ক্রিয়া বা কর্মপদ লোপ পায়: এই সমাসে সাধারণত কর্মপদটি লোপ পায়। অর্থাৎ, যেই পদটি ক্রিয়া বা কর্ম বোঝায়, তা সরিয়ে দেয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, "মধ্যপদলোপী কর্মধারয়" সমাসে "কর্মধারয়" অংশের মধ্যে একটি ক্রিয়া লোপ পায়।
বাক্যের অর্থ বজায় থাকে: যদিও ক্রিয়া বা কর্মপদ লোপ পায়, বাক্যের অর্থের অভাব হয় না। সমাসের বাকী অংশে লোপ পাওয়া পদটির ধারণা অর্ন্তভুক্ত থাকে।
সাধারণ রূপ: এই প্রকার সমাসে সাধারণত সমাসের প্রথম পদটি মূল পদ এবং দ্বিতীয় পদটি ক্রিয়া বা কর্ম বোঝায়।
এইভাবে, মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসে মূলত ক্রিয়া পদটির লোপ ঘটে এবং বাকী অংশের ধারণা সম্পূর্ণ থাকে।
মধ্যপদলোপী কর্মধারয় - যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন, সাহিত্য বিষয়ক সভা = সাহিত্যসভা, স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ, ব্রাহ্মণ ধর্মীয় প্রধান পুরোহিত = ব্রাহ্মণ পুরোহিত, জগতের রক্ষাকারী ঈশ্বর = জগদীশ্বর ।
