Ad-hoc এর অর্থ কি?

Created: 1 year ago | Updated: 5 months ago
Updated: 5 months ago

প্রথম অধ্যায়

সংগীতের নীতি
প্রথম পরিচ্ছেদ
পরিভাষা

ঠাটের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য

একটি সন্তুকে শুদ্ধ, কোমল ও তীব্র মিলে মোট ১২টি স্বর রয়েছে। ঠাট হচ্ছে সপ্তকের পরবর্তী ধাপ। সংস্কৃত
গ্রন্থে ঠাঁটকে মেল বলা হয়। মেল বা ঠাট হচ্ছে স্বরের একটি বিশেষ রূপ, যাকে রাগের বর্গীকরণের ক্ষেত্রে
ব্যবহার করা হয়। মেল বা ঠাট গাওয়া বা বাজানো যায় না। কারণ এর কোনো রঞ্জকতা গুণ নেই। বেশকিছু
সংখ্যক রাগকে একটি গোত্রের পরিচয়ে (যেমন- পারিবারিক) সংঘবদ্ধ করে এই ঠাট। ঠাটের নামকরণ হয়
গোত্র বিশেষের প্রধান ও প্রসিদ্ধ রাগের নাম অনুসারে। অর্থাৎ স্বরের ব্যবহারের ওপর লক্ষ্য রেখে রাপকে ঠাটের
অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দক্ষিণ ভারতীয় পণ্ডিত ব্যাঙ্কটমুখি সপ্তক থেকে সর্বমোট ৭২টি মেল বা ঠাট হতে পারে
এমনটি আবিষ্কার করেন। পণ্ডিত ব্যাঙ্কটমুথির সূত্র ধরেই হিন্দুস্তানি সংগীতে সপ্তক থেকে ৩২টি ঠাট আবিষ্কৃত
হয়। পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখণ্ডে বিংশ শতাব্দীতে এই ঠাট পদ্ধতির প্রবর্তন করেন। পণ্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ
ভাতখণ্ডে এই ৩২টি ঠাটের উন্মেষ ঘটিয়ে তার মধ্যে মাত্র ১০টি ঠাটের অধীনে হিন্দুস্তানি সংগীতে প্রচলিত সব
রাগকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছেন।

সংগীতে শুল্ক বিকৃত স্বরভেদে ক্রমিক সাত স্বরের সমাবেশকে ঠাট বলে। ঠাঁট মূলত সপ্তস্বরের একটি কাঠামো।
বিংশ শতাব্দীতে প্রচলিত রাগগুলোকে গোত্রীকরণ করার ক্ষেত্রে এই ঠাট পদ্ধতি বিশেষ উপযোগী ঠাটের
বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে দেয়া হলো:

اد
ঠাটে স্বর সংখ্যা হবে সাতটি।

সাতটি স্বরই হবে ক্রমানুসারে। যথা: সা রে গ ম প ধ নি।

ঠাটে কেবলমাত্র আরোহণ হবে।

বিশেষ বিশেষ রাগের নামানুসারে ঠাটের নামকরণ করা হয়েছে।

ঠাটের সংখ্যা ৩২টি, তবে রাগগুলোকে শ্রেণিকরণের সুবিধার্থে ৩২টি ঠাট থেকে

১০টিকে মুখ্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

একই ঠাটে শুদ্ধ ও বিকৃত স্বর পাশাপাশি ব্যবহৃত হয় না।

ঠাঁট রচনায় রঞ্জকতার প্রয়োজন নেই।

ঠাঁট গাওয়া বা বাজানোর জন্য নয়। এই কারণে ঠাটের বন্দিশ, বাদী সমবাদী, পড়
আলাপ, বিস্তার, তান, সরগম প্রভৃতি হয় না।

81

দশটি ঠাটের বিবরণ

ঠোটের নাম

স্বরসপ্তক বা স্বররূপ

ব্যবহৃত স্বর

বিলাবল

কল্যাণ

সারেগমপধ নি

সারেগমপধ নি

মধ্যম স্বরটি তীব্র বা কড়ি, অবশিষ্ট সব শুদ্ধ স্বর।

নিষাদ স্বরটি কোমল, অবশিষ্ট সব শুদ্ধ স্বর।

কাফী

সারেগমপধ নি
সা রে গ ম প ধ নি

আশাবরী

ভৈরব

সা রে প ম প ধনি

সা রে গমপধ নি

গান্ধার ও নিষাদ স্বর দুটি কোমল, অবশিষ্ট সব শুদ্ধ স্বর ।
গান্ধার, ধৈবত ও নিষাদ স্বরগুলি কোমল, অবশিষ্ট সব শুদ্ধ স্বর।
কার্যত ও ধৈবত স্বর দুটি কোমল, অবশিষ্ট সব শুদ্ধ স্বর।
ঋষত, গান্ধার, ধৈবত ও নিষাদ স্বর গুলি কোমল, অবশিষ্ট সব

ভৈরবী

সা রে গ ম প ধ নি

শুদ্ধ স্বর।

পূরবী

সা রে প ম প ধ নি

ক্ষষত ও ধৈবত স্বপ্ন দুটি কোমল, মধ্যম স্বরটি তীব্র বা কড়ি,
অবশিষ্ট সব শুদ্ধ স্বর ।

যাযজ্ঞ স্বরটি কোমল, মধ্যম স্বরটি তীব্র বা কড়ি, অবশিষ্ট সব

মারোয়া

টোড়ী

সা রে গ ম প ধ নি

শুদ্ধ স্বর ।

ঋষত, গান্ধার ও ধৈবত স্বর তিনটি কোমল, মধ্যম স্বরটি তীব্র
বা কড়ি, অবশিষ্ট সব শুদ্ধ স্বর।

রাগের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য

'রাগ' শব্দটি সংস্কৃত। 'রজ' ধাতু থেকে এর উৎপত্তি। অর্থাৎ রঞ্জকতা-ই রাগের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বাদী-সমবাদী,
আরোহ-অবরোহ প্রভৃতি অবলম্বনে যে পাঁচ বা ততোধিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নিয়মাবদ্ধ স্বরবিন্যাস মানবচিত্তকে
অনুরক্ত তথা ভাবময় করতে সক্ষম হয় তাকে 'রাগ' বলে। 'রাগ' রচনার ক্ষেত্রে কতগুলো নিয়ম কানুন রয়েছে।
এর ব্যতিক্রম ঘটলে সেই রচনাকে 'রাগ' আখ্যা দেয়া যায় না। 'রাগ' রচনার নিয়ম কানুন বা বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নে
দেয়া হলো:

১। 'রাগ' যে কোনো ঠাটের অন্তর্গত হতে হবে।

২। 'রাগ' রচনায় কমপক্ষে পাঁচটি ও অনধিক সাতটি স্বর ব্যবহার করতে হবে।

৩। রাগের আরোহ অবরোহ, বাদী সমবাদী, পকড়, পরিবেশনের সময়, জাতি ইত্যাদি থাকা আবশ্যক।
৪। কোনো রাগে ষড়জ স্বরটি বর্জিত হবে না।

৫। কোনো রাগে মধ্যম এবং পঞ্চম স্বর একত্রে বর্জিত হবে না।

৬। কোনো রাগে একই স্বরের দুটি রূপ যথা: শুদ্ধ রে, কোমল রে- সাধারণত পাশাপাশি প্রয়োগ হয় না। তবে

এই নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়।

৭। রাগে রঞ্জকতা গুণ অবশ্যই থাকতে হবে।

৮। রাগে একটি বিশেষ রসের বা ভাবের অভিব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন।

৯। রাগে স্বর তথা বর্ণের ব্যবহার অপরিহার্য।

আশ্রয় রাগ বা ঠাটবাচক রাগ

যে রাগের নামানুসারে ঠাটের নামকরণ করা হয় সেই মূল রাগটিকে আশ্রয় রাগ বা ঠাট বাচক রাগ বলা হয়।

যেমন: খাম্বাজ রাগটিকে আশ্রয় করে খাম্বাজ ঠাট এবং টোড়ি রাগকে আশ্রয় করে টোড়ি ঠাট উৎপন্ন হয়েছে।

জন্য রাগ

প্রত্যেকটি রাগই কোনো না কোনো ঠাটের অধীন। ঠাটরাগ বা আশ্রয় রাগ ব্যতীত সকল রাগকেই বলা হয় জন্য

রাগ। অতএব জনক রাগ ছাড়া অন্য সব রাগকে জন্য রাগ বলা হয়ে থাকে। যেমন: বাগেশ্রী, রাপেশ্রী ইত্যাদি।

জনক রাগ

এটি ঠাটের একটি লক্ষণ। জনক শব্দের অর্থ পিতা হলেও কার্যত জনক ও জন্য রাগে ছোটো বড়ো বলে কোনো
কথা নেই। রাগের ঠাট নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি ঠাটে এমন একটি রাগ নির্বাচন করা হয়েছে, যার কম বেশি
প্রভাব ঠাটের অন্তর্গত অন্যান্য রাগে পড়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। একে বলে জনক রাগ। দশটি ঠাটের
জনক রাগ দশটি। জনক রাগের অন্যান্য নাম: আশ্রয় রাগ, পিতৃ রাগ, প্রধান রাগ, ঠাট রাগ, মেল রাগ, মূল
রাগ ইত্যাদি।

সরল ও বক্র রাগ

রাগের চলন দুই ধরনের হতে পারে। যথা: সরল ও বক্র চলন। আর এই চলনেই রাগের স্বরূপ প্রকাশ পায়।
রাগের সরল ও বক্র চলন দ্বারাই সরল রাগ ও বক্র রাগ নির্ণয় করা হয়। রাগে ব্যবহৃত স্বরসমূহের আরোহ ও
অবরোহ সরল অর্থাৎ সপ্তকের স্বরের ক্রমানুসারে হয় তবে তাকে সরল রাগ বলে। যেমন: ভূপালী, ভৈরবী,
কাফী ইত্যাদি। আর যদি কোনো রাগে ব্যবহৃত স্বরসমূহের আরোহ ও অবরোহ, সপ্তকের স্বরের ক্রমানুসারে
না হয়ে বক্রভাবে হয় তখন তাকে বক্র রাগ বলে। যেমন: জয়জয়ন্তী, কেদার, কামোদ, দেশি ইত্যাদি।

সংগীতের শ্রেণিবিভাগ

সংগীতশাস্ত্রে বা সংগীত বিদ্যায় পারদর্শী হওয়ার জন্যে ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় দুটি বিষয়েই যথেষ্ট ধারণা থাকা
দরকার। কেননা, ব্যাবহারিক ও তত্ত্বীয় বিষয় দুটি একটি অপরটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সংগীতের
উদ্ভব ও বিকাশের আদি লগ্নে দুটি ধারা বা রীতি প্রবাহমান ছিল, যাকে বলা হতো 'মার্গসংগীত' ও 'দেশি
সংগীত'। কালের প্রবাহে 'মার্গসংগীত' শাস্ত্রীয়সংগীতের রূপ লাভ করেছে। আর 'দেশি' সংগীত
লোকসংগীতের ধারায় রয়ে গেছে। আধুনিক কালে শাস্ত্রীয়সংগীত বলতে উচ্চাঙ্গসংগীত বা রাগসংগীতকে
বোঝানো হয়।

শাস্ত্রীয়সংগীত এবং লোকসংগীত উভয় ধারাই আজ যথেষ্ট সমৃদ্ধ। প্রাচীনকাল থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত
সংগীত বিষয়ের অনেক গ্রন্থ পাওয়া যায়। আবার অনেক কিছুই আছে যা শ্রুত-স্মৃতি অর্থাৎ শুনে শুনে মনে
রাখার মতো বিষয়, যাকে মৌখিক পরম্পরা বলা হয়। সংগীত গুরুমুখী বিদ্যা হওয়ার কারণে এবং লিখিত বা
রেকর্ড করার মতো সুযোগের অভাবে হয়ত অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে। তবে সংগীতশাস্ত্র সম্পর্কে মৌখিক
পরম্পরায় যতটুকু তথ্য পাওয়া যায় তা একেবারে অবহেলা করার মতো নয়। তাই পুঁথিগত ও মৌখিক
পরম্পরায় প্রাপ্ত শাস্ত্রীয়সংগীতের গঠন, প্রকৃতি এবং ব্যবহারিক ক্রিয়াদি তত্ত্বীয় সংগীত হিসেবে বিবেচিত।

সংগীত

সংগীত বলতে মূলত গীত, বাদ্য ও নৃত্য এই তিনটি ত্রিক্রয়াকে বোঝায়।

গীত

গীত বলতে সংগীত বা কণ্ঠসংগীতকে বোঝায়। সংগীতের দুটি প্রধান ধারা। ১. শাস্ত্রীয়সংগীত বা

উচ্চাঙ্গসংগীত বা রাগসংগীত ২. লোকসংগীত।
এই উপমহাদেশের শাস্ত্রীয়সংগীতের দুটি ধারা। হিন্দুস্তানি সংগীত ও কর্ণাটকি সংগীত। হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয়সংগীতের
প্রধান গীতিশৈলী চারটি। ধ্রুপদ, খেয়াল, টপ্পা ও ঠুমরি। এ ছাড়া ধামার, সাদরা, দাদরা, গজল ইত্যাদিও
রাগসংগীত নির্ভর গীতিশৈলী। লোকসংগীতের বহু ধারা। বাংলা লোকসংগীতের প্রধান ধারাসমূহ হচ্ছে: বাউল,
ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, গম্ভীরা, ঝুমুর, জারি, সারি ইত্যাদি।

বাদ্য

যন্ত্রসংগীতকে বাদ্য বা বাদ্যসংগীত (Instrumental Music) বলা হয়। যন্ত্রসংগীতে কয়েকটি প্রকারভেদ
আছে। যেমন: তত বাদ্য, আনদ্ধ বাদ্য, ঘন বাদ্য ও সুধির বাদ্য।

নৃত্য

তাল, লয়সহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করাকে নৃত্য বলে। নৃত্যেরও অনেক

প্রকারভেদ আছে। যেমন: ভরতনাট্যম, কথাকলি, মণিপুরি, কথক ইত্যাদি।

উপর্যুক্ত চারটি প্রধান নৃত্যধারা ছাড়াও অনেক আঞ্চলিক লোকনৃত্য প্রচলিত আছে। সুর, ভাব, ছন্দ, গতি ও

সুন্দরের বন্দনা প্রায় সকল ধারার সাথে সম্পৃক্ত। গীত, বাদ্য ও নৃত্য সমষ্টিগতভাবে অথবা স্বতন্ত্রভাবে

পরিবেশন করা সম্ভব।

শুদ্ধ রাগ

যে রাগ মৌলিক অর্থাৎ অন্য কোনো রাগের মিশ্রণে রচিত নয় তাকে বলা হয় শুদ্ধ রাগ বা শুদ্ধ শ্রেণির রাগ।
যেমন: ইমন, ভৈরব, পূরবী ইত্যাদি।

শাল রাগ বা ছায়ালগ রাগ

যে রাগে অন্য রাগের ছায়া পরিলক্ষিত হয় তাকে সালঙ্ক বা ছায়ালগ শ্রেণির রাগ বলা হয়। যেমন: ভীমপলশ্রী,
বাগেশ্রী ইত্যাদি।

সংকীর্ণ রাগ

যে রাগ একাধিক রাগের মিশ্রণে রচিত তাকে সংকীর্ণ রাগ বা সংকীর্ণ শ্রেণির রাগ বলা হয়। যেমন: কাফি,
ভৈরবী ইত্যাদি।

বন্দিশ

সাধারণত সুর, তাল, লয় এবং কখনও কখনও বাণীর সমন্বয়ে যে বিশিষ্ট রচনাকে অবলম্বন করে কণ্ঠসংগীত
বা যন্ত্রসংগীত বিস্তৃতি লাভ করে তাকে বন্দিশ বলে ।

ভুক্‌

তুর্ক অর্থ অংশ। গানের অংশ বিশেষকে তুর্ক বলে। স্থায়ী, অন্তরা, সঞ্চারী এবং আভোগ প্রভৃতি তুকের নাম ।
ধ্রুপদ গানে এই চারটি তুক্ ব্যবহৃত হয়। খেয়াল, টপ্পা ও ঠুমরিতে সাধারণত দুটি ভূক্ থাকে।

স্থায়ী

গীত বা বন্দিশের প্রথম তুর বা অংশের নাম স্থায়ী। স্থায়ীকে অস্থায়ীও বলা হয়ে থাকে। এই অংশটি বিশেষ
গুরুত্বপূর্ণ। স্থায়ীর স্বর বিন্যাস সাধারণত মধ্য ও মন্দ্র সপ্তকে হয়ে থাকে। এর গতি ধীর এবং গম্ভীর। গীত বা
বাদ্যের আরম্ভ যেমন স্থায়ীতে তেমনি সমাপ্তিও ঘটে এই স্থায়ীতে।

অন্তরা

গীত বা বন্দিশের দ্বিতীয় ভুক বা অংশকে অন্তরা বলে। অর্থাৎ স্থায়ীর পরবর্তী পদ বা তুকের নাম অন্তরা। অন্তরার
সুর সাধারণত মধ্য সপ্তকের গান্ধার বা মধ্যম থেকে তার সন্তুকের মধ্যম বা পঞ্চম পর্যন্ত বিস্তৃত।

সঞ্চারী

গীত বা বন্দিশের তৃতীয় তুক বা পদকে সঞ্চারী বলে। অর্থাৎ স্থায়ী ও অন্তরার পরের ভুক বা পদ সঞ্চারী।

সাধারণত মধ্য সপ্তকের ষড়জ ও পঞ্চমের মধ্যবর্তী স্থানে সঞ্চারীর মুখ্য প্রকাশ ।

আভোগ

গীত বা বন্দিশের চতুর্থ ভুককে সংগীতের পরিভাষায় আভোগ বলে। অর্থাৎ স্থায়ী, অন্তরা ও সঞ্চারীর পরবর্তী
পদই হলো আভোগ।

গায়কি

গায়কীর অর্থ হলো গাইবার ঢং। কোনো গুণী তাঁর নিজস্ব প্রতিভার স্ফুরণ ঘটিয়ে এক স্বতন্ত্র গায়নভঙ্গি বা

বৈশিষ্ট্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হলে তাকে গায়কী বলে।

নায়কি

শুরু পরম্পরায় শিক্ষাপ্রাপ্ত সংগীতকে নির্ভুল ও অবিকৃতরূপে প্রকাশ করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় নায়কী।

কম্পন

কোনো একটি স্বর বার বার ধ্বনিত হলে কম্পন সৃষ্টি হয়। এর ফলে একটি স্বর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী শ্রুতিতে

আন্দোলিত হয়ে থাকে।

স্পর্শ স্বর বা কণ স্বর

কোনো একটি স্বরের ক্ষণস্থায়ী স্পর্শে একটি অধিকতর স্থায়ী স্বর উচ্চারিত হলে অথবা একটি অধিকতর স্থায়ী
স্বরের স্পর্শে একটি ক্ষণস্থায়ী স্বর উচ্চারিত হলে উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষণস্থায়ী স্বরটিকে স্পর্শ বা কণ স্বর বলা হয়।

অলংকার

অলংকার শব্দের অর্থ হলো ভূষণ। সংগীতের ক্ষেত্রে আরোহ-অবরোহকে ঠিক রেখে বিভিন্ন বর্ণ মিশ্রণজাত স্বর
বিন্যাসকে অলংকার বলা হয়।

গমক
নাভি থেকে গম্ভীরভাবে উচ্চারিত চিত্তাকর্ষক স্বর কম্পনকে গমক বলা হয়।

Content added By
Promotion