উদ্দীপকটি পড়ে নিচের নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও

মালোর মেয়ে বিলাসী সেবা করিয়া মৃত্যুঞ্জয়কে যমের মুখ হইতে এ যাত্রা ফিরাইয়া আনিয়াছে। সে বিলাসীকে উৎখাতের জন্য তথাকথিত ধর্মের রক্ষকগণ দল বাঁধিয়া হাজির। কেহ ধরিল চুলের মুঠি, কেহ ধরিল কান, কেহ ধরিল হাত দুইটা এবং যাহাদের সে সুযোগ ঘটিল না তাহারাও নিশ্চেষ্ট হইয়া রহিল না।

উদ্দীপক ও কবিতায় নজরুল চেতনার যে স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে--

Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

                                              সাম্যের গান গাই—

আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই।

বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।

বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি

অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।

জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান

মাতা ভগ্নি ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।

কোন রণে কত খুন দিল নর, লেখা আছে ইতিহাসে,

কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।

কত মাতা দিল হৃদয় উপাড়ি কত বোন দিল সেবা,

বীরের স্মৃতি স্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা?

কোনো কালে একা হয় নি কো জয়ী পুরুষের তরবারি,

প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী।

 

                                            সে-যুগ হয়েছে বাসি,

যে যুগে পুরুষ দাস ছিল না কো, নারীরা আছিল দাসী।

বেদনার যুগ, মানুষের যুগ, সাম্যের যুগ আজি,

কেহ রহিবে না বন্দী কাহারও, উঠিছে ডঙ্কা বাজি৷

নর যদি রাখে নারীরে বন্দী, তবে এর পর যুগে

আপনারি রচা ঐ কারাগারে পুরুষ মরিবে ভুগে

                                             যুগের ধর্ম এই—

পীড়ন করিলে সে-পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই।

                                                              [সংক্ষেপিত]

Content added || updated By
Promotion