সুজন সাহেব নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে দেশের মানুষের মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন। তাকে বার বার ক্ষমতা ও ধনসম্পদের লোভ দেখানো সত্ত্বেও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য লড়াই করে গেছেন। তিনি এক ভাষণে বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি এদেশের মানুষের মুক্তি চাই।” জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু উৎসর্গ করেও তিনি দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন।
আলোচ্য নেতার গৃহীত পদক্ষেপ
i. পাঁচসালা পরিকল্পনা
ii. সংবিধান প্রণয়ন, ১৯৭২
iii. সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭৩
নিচের কোনটি সঠিক?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে ঢাকা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন। পাকিস্তান সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সামরিক আদালতে বিচারকাজ শুরু করে। প্রহসনের বিচারে তাঁর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেয়া হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পরেও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন। তিনি বেঁচে আছেন কি-না তাও দেশের মানুষ জানত না। বঙ্গবন্ধুর জন্য উদ্বেগ,উৎকণ্ঠায় নিমজ্জিত ছিল সারা দেশের মানুষ। অধীর অপেক্ষা, কবে আসবেন বাঙালি জাতির মহান নেতা । অবশেষে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে এলেন। এই অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধুর শাসনকালের গুরুত্বপূর্ন ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
এই অধ্যায় শেষে -