Which initial program is called at the starting of a computerf?

Created: 2 years ago | Updated: 9 months ago
Updated: 9 months ago

BIOS (Basic Input/Output System) হলো কম্পিউটারের একটি ফার্মওয়্যার যা কম্পিউটার সিস্টেম চালু করার সময় হার্ডওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগ এবং প্রাথমিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। BIOS মূলত কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে একটি ছোট মেমোরি চিপে সংরক্ষিত থাকে এবং এটি কম্পিউটার বুটিং প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে কাজ করে। এটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার উপাদানগুলির ইনিশিয়ালাইজেশন এবং অপারেটিং সিস্টেম লোড করার দায়িত্ব পালন করে।

BIOS-এর কাজের পদ্ধতি:

১. Power-On Self-Test (POST):

  • কম্পিউটার চালু হলে BIOS প্রথমে একটি Power-On Self-Test (POST) চালায়, যা হার্ডওয়্যার উপাদানগুলো (যেমন মেমোরি, কীবোর্ড, হার্ড ড্রাইভ) সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করে।
  • POST সফল হলে, BIOS পরবর্তী ধাপে যায়; যদি কোনো ত্রুটি শনাক্ত হয়, BIOS ত্রুটির জন্য একটি সংকেত দেয় (বিপ শব্দ বা স্ক্রিনে ত্রুটি বার্তা)।

২. বুট লোডার:

  • POST সফল হলে, BIOS একটি বুট ডিভাইস (যেমন হার্ড ড্রাইভ, SSD, বা USB ড্রাইভ) থেকে অপারেটিং সিস্টেম লোড করে।
  • BIOS বুট সিকোয়েন্স অনুযায়ী বুট ডিভাইস নির্বাচন করে এবং অপারেটিং সিস্টেমের কোর (Kernel) মেমোরিতে লোড করে।

৩. হার্ডওয়্যার ইনিশিয়ালাইজেশন:

  • BIOS কম্পিউটারের বিভিন্ন হার্ডওয়্যার উপাদান যেমন কীবোর্ড, ডিস্ক ড্রাইভ, এবং মনিটর ইনিশিয়ালাইজ করে, যাতে সেগুলি অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
  • এটি বিভিন্ন কনফিগারেশন সেটিংস (যেমন সিপিইউ স্পিড, মেমোরি কনফিগারেশন) সংরক্ষণ করে এবং হার্ডওয়্যারগুলোকে সঠিকভাবে কার্যকর করার জন্য প্রস্তুত করে।
  1. BIOS সেটআপ ইউটিলিটি:
    • BIOS-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। BIOS সেটআপ ইউটিলিটিতে প্রবেশ করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বুট অর্ডার, সিস্টেম ক্লক, এবং নিরাপত্তা সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন।

BIOS-এর প্রধান উপাদান:

১. CMOS (Complementary Metal-Oxide-Semiconductor):

  • CMOS একটি ছোট মেমোরি চিপ যা BIOS সেটিংস (যেমন সিস্টেম সময়, বুট অর্ডার, এবং অন্যান্য হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন) সংরক্ষণ করে। এটি একটি ব্যাটারি দ্বারা শক্তি পায়, যাতে কম্পিউটার বন্ধ হলেও এই সেটিংসগুলি সংরক্ষিত থাকে।

২. বুট লোডার:

  • BIOS-এর মধ্যে একটি বুট লোডার থাকে, যা কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় সঠিক অপারেটিং সিস্টেম খুঁজে বের করে এবং লোড করে।

৩. POST (Power-On Self-Test):

  • POST একটি স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষণ প্রক্রিয়া যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার উপাদানগুলির কার্যকারিতা যাচাই করে। এটি BIOS-এর অংশ হিসেবে কাজ করে।

BIOS-এর সুবিধা:

  • হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সংযোগ: BIOS কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে কাজ করে, যা সিস্টেম বুট এবং কার্যক্রম শুরু করার প্রাথমিক ধাপ।
  • সহজ কনফিগারেশন: BIOS-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন এবং সিস্টেম সেটিংস পরিবর্তন করতে পারে, যা বিভিন্ন কাস্টমাইজেশন সম্ভব করে।
  • ডায়াগনস্টিক কার্যক্রম: POST এবং অন্যান্য ডায়াগনস্টিক টুলসের মাধ্যমে BIOS হার্ডওয়্যারের ত্রুটি শনাক্ত করতে পারে, যা সিস্টেমের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

BIOS-এর সীমাবদ্ধতা:

  • ইউজার ইন্টারফেসের সীমাবদ্ধতা: BIOS সাধারণত টেক্সট-ভিত্তিক এবং GUI (Graphical User Interface) সমর্থন করে না, যা নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য কিছুটা জটিল হতে পারে।
  • ধীরগতির বুটিং: BIOS সিস্টেম বুটিংয়ের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে ধীর, বিশেষ করে পুরোনো সিস্টেমে।
  • হার্ডওয়্যার আপগ্রেডের সীমাবদ্ধতা: নতুন হার্ডওয়্যার বা প্রযুক্তির জন্য BIOS আপডেট করা প্রয়োজন হতে পারে, এবং কিছু ক্ষেত্রে পুরোনো BIOS সংস্করণগুলো নতুন হার্ডওয়্যার সমর্থন করে না।

BIOS-এর বিকল্প: UEFI

  • UEFI (Unified Extensible Firmware Interface) হলো BIOS-এর একটি আধুনিক বিকল্প, যা উচ্চ গতিসম্পন্ন বুটিং এবং উন্নত ফিচার প্রদান করে।
  • UEFI উন্নত গ্রাফিকাল ইন্টারফেস, বড় হার্ড ড্রাইভের সমর্থন, এবং নিরাপত্তা ফিচার যেমন Secure Boot প্রদান করে, যা BIOS-এর চেয়ে অনেক উন্নত।

সারসংক্ষেপ:

BIOS হলো কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফার্মওয়্যার যা সিস্টেম চালু করার সময় হার্ডওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগ এবং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি সিস্টেমের বুট সিকোয়েন্স এবং কনফিগারেশন পরিচালনা করে এবং কম্পিউটার বুট এবং প্রাথমিকভাবে কাজ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। BIOS বর্তমানে UEFI দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে, যা আরও উন্নত এবং কার্যকর ফিচার প্রদান করে।

Content added By
Content updated By
Promotion