একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র | NCTB BOOK

যে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহ রাষ্ট্রের মালিকানায় থাকে এবং দেশের সরকারের অধীনে পরিচালিত হয় সে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের যৌক্তিকতা আলোচনা করা হলো:

  • রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সমাজের কিছুসংখ্যক ব্যক্তির হাতে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হওয়ার প্রবণতা বন্ধ করে এবং জনগণের ভাগ্যেন্নয়নের লক্ষ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে।
  • এ ব্যবসায় শ্রমিক-কর্মীদের শোষণ না করে বরং তাদের প্রতি দায়িত্ব পালনের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠন ও এতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক নিয়োগ করে অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে ।
  • ব্যক্তিমালিকগণ অধিক মুনাফার আশায় অনেক সময় নানা ধরনের দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে । কর ফাঁকি দেয়ার প্রবণতায় ভোগে। যা রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ঘটে না। এছাড়া এ ব্যবসায় ভারসাম্যহীন প্রতিযোগিতা রোধ করে অপচয় হ্রাস করতে সাহায্য করে।
  • দেশের শিল্প-বাণিজ্যের উপর সরকারের প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। দেশের আমদানি-রপ্তানির উপরও সরকারের প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ থাকা আবশ্যক। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যাংক, বীমা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে সরকার দেশের অর্থ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
  • রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বৃহদায়তন প্রকৃতিতে গড়ে উঠায় এবং আর আর্থিক সামর্থ্য ভালো থাকায় এক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নের সুযোগ বেশি থাকে। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে এ ব্যবসায় সহজেই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে । 
  • এরূপ ব্যবসায় জনকল্যাণের উদ্দেশ্যেই মূলত গঠিত ও পরিচালিত হয়। জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন খাত; যেমন-ওয়াসা, রেলওয়ে, ডাক ও তার ইত্যাদির মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আমাদের দেশে এ ব্যবসায় জনগণের অশেষ উপকার সাধন করে । 

পরিশেষে বলা যায় যে, উপরোক্ত কারণে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় এ ব্যবসায় প্রয়োজনীয়তার যথাথতা রয়েছে।

Content added By