নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) - পৌরনীতি ও নাগরিকতা - নাগরিক ও নাগরিকতা | NCTB BOOK

অধিকার ও কর্তব্য শব্দ দুটি ভিন্ন হলেও এদের পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। নিম্নে অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক বর্ণিত হলো-
প্রথমত, অধিকার ভোগ করলে কর্তব্য পালন করতে হয়। যেমন- ভোটদান নাগরিকের অধিকার, ভোটাধিকার প্রয়োগ নাগরিকের কর্তব্য । একটি ভোগ করলে অন্যটি পালন করতে হয়। সুতরাং বলা যায়, অধিকার ভোগের মধ্যে কর্তব্য নিহিত থাকে ।
দ্বিতীয়ত, একজনের অধিকার বলতে অন্যজনের কর্তব্য নির্দেশ করে। যেমন- আমার পথ চলার অধিকার আছে- এর অর্থ আমি পথ চলব এবং অন্যজনকেও পথ চলতে দেব। আবার, আমি যখন পথ চলব অন্যজনও আমার পথ চলার সুযোগ করে দিবে। কাজেই অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ।
তৃতীয়ত, আমরা রাষ্ট্রপ্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ভোগ করি। তার বিনিময়ে আমাদের কর্তব্য পালন করতে হয়। যেমন- রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা, আইন মান্য করা, কর প্রদান করা ইত্যাদি কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই আমরা রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকার ভোগ করি ।
চতুর্থত, সমাজের সদস্য হিসেবে আমরা শিক্ষালাভের অধিকার ভোগ করি এবং সমাজের কল্যাণে আমাদের অর্জিত শিক্ষাকে প্রয়োগ করে সমাজের উন্নয়ন করি। শিক্ষালাভ আমাদের অধিকার, অর্জিত শিক্ষা প্রয়োগ করা কর্তব্য । সুতরাং বলা যায়, অধিকার ও কর্তব্য সমাজবোধ থেকে উৎপত্তি লাভ করে ।
মূলত অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ । একটিকে বাদ দিয়ে অপরটি ভোগ করা সম্ভব নয় । তাই বলা যায়, অধিকার কর্তব্যের মধ্যেই নিহিত ।