নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) - পৌরনীতি ও নাগরিকতা - আইন, স্বাধীনতা ও স্বাম্য | NCTB BOOK

সাম্য ও স্বাধীনতার পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে দু'টি ধারণা রয়েছে। যথা- ১। সাম্য ও স্বাধীনতা পরস্পর সম্পূরক এবং ২। সাম্য ও স্বাধীনতা পরস্পর বিরোধী। এ ধারণা দু'টি ব্যাখ্যা করলে উভয়ের সত্যিকার সম্পর্ক সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে ।

১. পরস্পর নির্ভরশীল : সাম্য ও স্বাধীনতা পরস্পর নির্ভরশীল । সাম্য ছাড়া স্বাধীনতার কথা যেমন কল্পনা করা যায় না, ঠিক তেমনি স্বাধীনতা ছাড়া সাম্যের কথা ভাবা যায় না । সুতরাং বলা যায়, একটি রাষ্ট্র যত সাম্যভিত্তিক হবে সেখানে স্বাধীনতা তত নিশ্চিত হবে ।

২. গণতন্ত্রের ভিত্তি : সাম্য ও স্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তি রূপে কাজ করে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যেমন সাম্যের দরকার হয়, তেমনি স্বাধীনতার প্রয়োজন হয়। সাম্য ও স্বাধীনতা একই সঙ্গে বিরাজ না করলে গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করা সম্ভব হতো না। সাম্য উঁচু-নিচুর ভেদাভেদ দূর করে আর স্বাধীনতা সকলের সুযোগ-সুবিধাগুলো ভোগ করার অধিকার দান করে । পরিশেষে বলা যায়, সাম্য ও স্বাধীনতা পরস্পর পরিপূরক ও সম্পূরক । রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ, চলাফেরা ও জীবনধারণের জন্য সাম্যভিত্তিক সমাজ গঠন করা সম্ভব হবে না । সমাজের সুবিধাগুলো সকলে মিলে সমানভাবে ভোগ করতে হলে স্বাধীনতার প্রয়োজন । তাই বলা হয় যে সাম্য মানেই স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা মানেই সাম্য ।