নবম-দশম শ্রেণি (দাখিল) - পৌরনীতি ও নাগরিকতা - বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা | NCTB BOOK

হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা ও কাজ:

♦ নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে ।

♦ কোনো ব্যক্তিকে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী কোনো কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে অথবা এ ধরনের কোনো কাজ করাকে বেআইনি ঘোষণা করতে পারে।

♦ অধস্তন কোনো আদালতের মামলায় সংবিধানের ব্যাখ্যাজনিত জটিলতা দেখা দিলে উক্ত মামলা হাইকোর্টে স্থানান্তর করে মীমাংসা করতে পারে ।

♦ অধস্তন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে ।

♦  সকল অধস্তন আদালতের কার্যবিধি প্রণয়ন ও পরিচালনা করে ।

আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ মিলে সুপ্রিম কোর্ট সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে দেশের সংবিধান ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে ।

অধস্তন আদালত :  সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় বিচার বিভাগের অধস্তন আদালত আছে। অধস্তন আদালতগুলো ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করে ।

জেলা ও দায়রা জজ আদালত : স্থানীয় পর্যায়ে দেওয়ানি (জমিজমাসংক্রান্ত, ঋণচুক্তি ইত্যাদি) ও ফৌজদারি (সংঘাত, সংঘর্ষ সংক্রান্ত) বিচারকার্য পরিচালনা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধিনে জেলা ও দায়রা জজ রয়েছে। এ আদালতের প্রধান হলেন জেলা জজ। অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জজ ও সহকারী জজ আলাদা আলাদাভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করেন। এ সকল আদালতের রায় নিয়ে জেলা জজের কাছে আপিল করা হয়। তবে আপিল ছাড়াও জেলা জজ মৌলিক মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল : সংবিধান অনুযায়ী সংসদ আইন দ্বারা এক বা একাধিক বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করতে পারে। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারের অন্তর্ভুক্ত কোন বিষয়ে অন্য কোন আদালতে বিচারকার্য অনুষ্ঠিত হয় না।