এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

১.৩.১ ব্রুডিং ঘরে লেয়ার বাচ্চা তোলার পূর্বে ব্রুডিং ঘর প্রস্তুতকরণ (Preparing the brooding house before raising the layer chick brooding):-

লেয়ার এর বাচ্চা ঘরে তোলার পূর্বে ব্রুডিং ঘর প্রস্তুতকরণ সম্পর্কিত কাজগুলো নিচে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো-

  • বাচ্চা তোলার ১ সপ্তাহ আগে সমস্ত পুরাতন লিটার ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ঘরের পর্দা, ভেতর ও বাইরের মাকড়সার জাল ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
  • ঘরের চারপাশে ৫-৬ ফুট পরিমাণ জায়গায় ঘাস কেটে পরিষ্কার করতে হবে।
  • পুরাতন মুরগির ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার করে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
  • এরপর জীবাণুনাশক (যেমন- পভিসেপ, সুপারসেপ্ট, আয়োসোন) দিয়ে খাবার ও পানির পাত্র, হোভার, ব্রুডার গার্ড, ব্রুডার হিটার, দেয়াল, মেঝে, ছাদ, পর্দা ও খামারের আশপাশে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
  • সম্ভব হলে পাটের চট বা পলিথিন দ্বারা ঘিরে ফিউমিগেশন করতে হবে।
  • বাচ্চা আনার ১ দিন পূর্বে ঘরে ২-৪ পুরু করে রোদে শুকানো লিটার বিছাতে হবে ও জীবাণুনাশক দ্বারা স্প্রে করে নিতে হবে। ঘরের পর্দার অংশ অবস্থা বুঝে র্ড বা ১২′ পরিমাণ খোলা রাখতে হবে।
  • চিক গার্ডের ভেতর লিটারের উপর পাটের চট বিছাতে হবে বা খবরের কাগজ বিছাতে হয় যাতে বাচ্চা তুষ বা কাঠের গুঁড়া খেতে না পারে ।
  • চিক গার্ড গোলাকার করে তৈরি করতে হবে, তা না হলে বাচ্চা একদিকে থাকবে। চাটাই বা হার্ড বোর্ডের বা তারের জালের তৈরি চিক গার্ডের উচ্চতা হবে ১.৫ ফুট। তবে শীতের সময় ২.৫ ফুট হতে পারে। চিক গার্ড ব্রুডার থেকে ২.৫-৩ ফুট দূরত্বে গোলাকারভাবে বসাতে হয়। ১২ ফুট ব্যাসের একটি চিক গার্ডে ৫০০ বাচ্চা ব্রুডিং করা যায়।
  • পাঁচ ফুট ব্যাসের হোভারের নিচে ৫০০ বাচ্চা রাখা যায় ।
  • হোভারের নিচের দিকে গ্রীষ্মকালে ১০০ ওয়াটের ২টি ও ৬০ ওয়াটের ১টি বাল্ব ও শীতকালে ২০০ ওয়াটের ২টি ও ১০০ ওয়াটের ২ টি বাল্ব লাগালে ৫০০ বাচ্চাকে ভালোভাবে তাপ দেওয়া যায় ।
  • ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য দেয়ালের চারদিকে চটের পর্দা দিয়ে ঘিরে দিতে হয়।
  • প্লাস্টিক পর্দার উপরিভাগে গ্যাস অপসারণের জন্য ফাঁকা রাখতে হবে। 
  • ঘরে আর্দ্রতার পরিমাণ ৭০-৮০ ভাগ রাখতে হবে ।
  • বাচ্চা ব্রুডারের ছাড়ার ৬ ঘন্টা পূর্বে ব্রুডার চালু করে উপযুক্ত তাপমাত্রায় অর্থাৎ ৯৫° ফারেনহাইট এ আনতে হবে ।
  • হোভারের বাইরে পানির ও খাদ্যের পাত্রগুলো সমান দূরত্বে স্থাপন করতে হবে। 
  • ব্রুডার ঘর প্রস্তুত হলে বাচ্চা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত তালাবদ্ধ রাখতে হবে।
  • ঘরের প্রবেশ মুখে জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ঘরে প্রবেশের পূর্বে এই পানিতে হাত ও পা জীবাণুযুক্ত করতে পারে।
  • অসুস্থ কোনো ব্যক্তির যারা ব্রুডার ঘরে কাজ করানো যাবে না।
  • ঘরে ইঁদুর চিকা বা অন্য কোনো পশু পাখি প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
  • খামারে হ্যাচারির ট্রাক প্রবেশের সময় জীবাণুনাশক নিকি পানিতে ঢাকা ভিপিং করতে হবে।
  • খামারে লেয়ার বাচ্চা পৌঁছানোর সাথে সাথে ব্রুডারে বাচ্চা প্রদান করতে হবে ।
  • বাচ্চা উঠানোর পর প্রতিদিন ১ বার করে ঘরের বাহিরের চতুপার্শ্বে ৫% ফরমালিন দ্বারা স্প্রে করতে হবে।

 

 

 

Content added By

১.৩.২ ব্রডার হাউজের তাপমাত্রা ব্যবস্থাপনা (Brooder house temperature management):

মুরগির বাচ্চাকে কৃত্রিমভাবে তাল দিয়ে লালন-পালন করাকে ব্রুডিং বলে। সাধারণত ১ দিন হতে ৩/৫ সপ্তাহ পর্বত মুরগির বাচ্চাকে ব্রুডিং করা হয়।

উৎপাদিত বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা ১০০° ফারেনহাইট, যেখানে একটি প্রাপ্ত বয়স্ক মুরগির শরীরের তাপমাত্রা ১০৭° ফারেনহাইট। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার পর তারা তাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। বাচ্চার দেহের এই তাপ নিম্ন ान না ওঠা পর্যন্ত সতর্কতার সাথে প্রতিপালন করতে হয়। তাই পীড়নের হাত থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করার জন্যই ত্রুজিং করা হয়। যে যন্ত্রের সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে বাচ্চাকে তাপ দেওয়া হয় তাকে ব্রুডার বলে ।

ব্রুডার হাউজে ব্রুডিং শুরুর প্রথম সপ্তাহে সাধারণত তাপমাত্রা ৯৫° ফারেনহাইট থাকে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই তাপমাত্রা পর্যায়ক্রমে কমতে থাকে। হোভার ও চিকগার্ডের মাঝখানে মেঝে থেকে ৬ ইঞ্চি উঁচুতে থার্মোমিটার দিয়ে নিরূপণকৃত তাপমাত্রাকে ব্রুডারের তাপমাত্রা বলে।

ব্রুডিং এর প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা (The Required Temperature In The Brooding):

 

 

Content added By

১.৩.৩ ব্রুডিং ঘরের অন্যান্য ব্যবস্থাপনা ( Brooding House Others Management)

লেয়ার বাচ্চা গ্রহণ :

  • লেয়ার বাচ্চা গ্রহণের পূর্বে খামারের প্রস্তুতি বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে হবে। 
  • ব্রুডার ঘরের নিরাপত্তা বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। 
  • ব্রুডার ও ব্রুডারে পানির পাত্রে সরবরাহকৃত পানির তাপমাত্রা বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। 
  • ব্রুডার ঘরের নিরাপত্তা বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। 
  • ব্রুডার ও ব্রুডার পানির পাত্রে সরবরাকৃত পানির তাপমাত্রা বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। 
  • বাচ্চা পরিবহনকারীকে শেডে ঢুকতে দেওয়া যাবে না ।
  • পূর্ব থেকে নির্বাচিত কর্মচারী বাচ্চার সরবরাহ গ্রহণ করবে ও বাচ্চা পালন ঘরে রাখবে । 
  • সাধারণত সকাল বেলায় ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাচ্চা গ্রহণ করা উচিত, এতে ব্রুডারে বাচ্চা প্রদানের পর পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে এবং বাচ্চা পানি ও খাদ্য চিনে খাওয়ার সুযোগ পাবে।
  • বাচ্চা গ্রহণের সময় চিক বাক্সের মধ্যে মৃত বাচ্চার সংখ্যা পরীক্ষা করতে হবে। 
  • বাচ্চার আচরণ ও গুণাগুণ পরীক্ষা করতে হবে। 
  • বাচ্চার সংখ্যা ও নমুনা ওজনের হিসাব রাখতে হবে। 
  • বাচ্চা গ্রহণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্রুডারে ছাড়তে হবে।

 

 

Content added By

১.৩.৪ খাদ্য ব্যবস্থাপনা (Feed Management):

  • প্রতি লিটার পানিতে ২৫ গ্রাম গ্লুকোজ, ১ গ্রাম ভিটামিন সি ও ২ গ্রাম ভিটামিন ডাব্লিউ এস মিশিয়ে নতুন আনা লেয়ার বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। তবে পরিবহন ধকল কমানোর জন্য ৮০ গ্রাম গ্লুকোজ ব্যবহার করতে হয়।
  • প্রথম ২-৩ দিন এই পানি খাওয়াতে হবে।
  • তবে কোনো বাচ্চা এই পানি না খেলে হাত দিয়ে ধরে খাওয়াতে হবে।
  • ভিটামিন মিশ্রিত পানি খাওয়ার ৩ ঘন্টা পরে বাচ্চার জন্য তৈরিকৃত খাদ্য বা পম বা ভুট্টার দানা অল্প পরিমাণে ট্রেডে সরবরাহ করতে হবে।
  • প্রথম ১-২ দিন লিটারের উপর খবরের কাগজ বিছিয়ে এবং পরবর্তীতে ১-২ সপ্তাহ ফ্লাট ট্রেতে খাবার দেয়া হয়।
  • ব্রুডারের নিচে কখনই খাবার ছিটানো উচিত নয়।
  • ৩য় সপ্তাহ থেকে হপার বা টিউব ফিডারে খাদ্য সরবরাহ করা যায়। ১০০ বাচ্চার জন্য (দৈর্ঘ্য ২ x গ্রন্থ ১.৩ × উচ্চতা ১.৫) মাপের হিসাবে ৫০০ বাচ্চার জন্য ৫ টি ফিডার দিতে হবে। অতিরিক্ত ১ টি ফিডার দেওয়া ভালো।
  • দুই সপ্তাহ পর্যন্ত খাবার শেষ হওয়ার আগেই খাবার দেওয়া উচিত। তা না হলে কিছু বাচ্চা বড় হয়ে যাবে এবং কিছু বাচ্চা ছোট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে খাবার থাকা অবস্থাতেই খাবার দিতে হবে।
  • চার সপ্তাহ পর্যন্ত দৈনিক ৩-৪ বার খাবার দেওয়া উচিত। এর পর দৈনিক ২ বার খাবার দিলেই চলবে। খাবার দেওয়ার সময় পাত্র কখনও পরিপূর্ণ করে দেয়া যাবে না। পাত্রের অর্ধেক বা এক তৃতীয়াংশ খালি রাখতে হবে।
  • ঠিক জায়গার বাড়ানোর সাথে সাথে ফিডারের পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে হয়।

 

 

Content added By

১.৩.৫ পানি ব্যবস্থাপনা (Water Management):

  • ব্রঙ্কারে পূর্ব থেকে পাত্রে পানি প্রদান করা হয় । 
  • বাচ্চার প্রথম পানি কখনই ঠাণ্ডা হওয়া উচিত নয়। 
  • খাবার পানির তাপমাত্রা প্রথম দিকে ২৫°-৩০° সে. রাখতে হবে।
  • প্রথম অবস্থায় কখনই ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে পানি তিতা হয়, ফলে বাচ্চা পানি গ্রহণ করতে চায় না, তাই গ্লুকোজ পানি খাওয়ানোর পর প্রয়োজনে ১ ঘন্টা পর ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • প্রথম অবস্থায় প্রতি ৫০০ বাচ্চার জন্য ১ (এক) লিটারের ৬-৮ টি ড্রিংকার (ছোট প্লাস্টিকের পাত্র) দিতে হয়।
  • প্রতি ড্রিংকারে পানি ০.৫ লিটার করে দিতে হবে ও প্রতিবার পানি দেওয়ার পূর্বে ড্রিংকার ধোঁত ও জীবাণুযুক্ত করতে হবে ।
  • খাবার পানিতে ক্লোরিন ৩ পিপিএম (parts per million) মাত্রায় ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে, তবে ভ্যাকসিন বা ঔষধ পানিতে মিশিয়ে খাওয়ানোর সমর ক্লোরিন ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • চিক ড্রিংকার ৮-১০ দিন রাখতে হবে।
  • এরপর জায়পা বাড়ানোর সাথে নিপল ড্রিংকার বা অন্য কোনো চিৎকার দিতে হবে।
  • প্রতিটি মুরগির বাচ্চার পানি পান করার জন্য ২.৫ সে.মি. জায়গা দিতে হবে।
  • আবহাওয়ার তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে পানি পান করার পরিমাণও বৃদ্ধি পায় ।

 

 

 

Content added By

১.৩.৬ বায়ু চলাচল ব্যবস্থাপনা (Air Movement Management) :

ব্রুডারের তাপের উৎস থেকে উৎপন্ন কার্বন মনো-অক্সাইড ও বাচ্চা কর্তৃক নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্রুডার ঘরে জমা হয়ে বাচ্চার বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে । এ ছাড়া মলমূত্র হতে সৃষ্ট অ্যামোনিয়া গ্যাস ঘরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে । তাই ঘরে বিশুদ্ধ বায়ু সরবরাহ ও দূষিত বায়ু নিষ্কাশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই-

  • ঘরের প্লাস্টিক পর্দার উপরিভাগে অ্যামোনিয়া ও অন্যান্য গ্যাস অপসারণের জন্য ফাঁকা রাখতে হবে।
  • ঘরের পরিবেশ বার বার পরীক্ষা করতে হয় ও দূষিত বায়ু অপসারণের ব্যবস্থা নিতে হবে। 
  • বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে পর্যায়ক্রমে পর্দা সরিয়ে ফেলতে হবে।
  • গরমের সময় দিনে পর্দা তুলে দিয়ে রাতে ঢেকে দিতে হবে। 
  • শীতের সময় অতিরিক্ত ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষার জন্য ২ পর্দা প্লাস্টিকের পর্দা ব্যবহার করতে হবে। 
  • ব্রুডার ঘরের দূষিত বায়ু বের করার জন্য এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

 

 

Content added By

১.৩.৭ তাপ ব্যবস্থাপনা (Temperature Management):

১) যদি লেয়ার বাচ্চা চিক গার্ডের মধ্যে সর্বত্র সমভাবে বিস্তৃত থাকে ও চলাফেরা করে, খাদ্য ও পানি গ্রহণের স্বাভাবিক প্রবণতা দেখার এবং বাচ্চাগুলোর চলাফেরায় চঞ্চলতা পরিলক্ষিত হয়, তবে বুঝতে হবে ব্রুডারে কাম্য তাপমাত্রা বজায় আছে।

২) যদি লেয়ার বাচ্চা ব্রুডারে নিচে তাপের উৎসের কাছে সমস্ত জড়ো হয়, চি চি শব্দ করে ঘাড় ছোট করে গুটি সুটি মেরে থাকে ও একটির উপর আরেকটি উঠার প্রবণতা দেখায়, তখন ব্রুডার পর্যাপ্ত তাপ উৎপাদনে সক্ষম কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ তাপ উৎপাদনে সক্ষম ব্রুডার ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত বাল্বের এর তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা করা যেতে পারে।ঘরে যাতে অতিরিক্ত ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ঘরের নেট অংশে চট যারা পর্দার ব্যবস্থা করতে হবে। পলিথিনের পর্দা ব্যবহার করা যাবে না । 

৩) যদি লেয়ার বাচ্চালো তাপের উৎস হতে দূরে সরে গিয়ে চিকগার্ডের কাছাকাছি অবস্থান করে মুখ হাঁ করে শ্বাস নিতে থাকে, খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা কমে যায়, পানি গ্রহণের মাত্রা কমে যায়, তবে-

  • তাপের উৎসের সুইচ বন্ধ করতে হবে। 
  • ঘর ঠাণ্ডা করার জন্য বেড়া দেয়া পর্দা স্কুলে দিতে হবে।
  • চিক গার্ডের চারিদিকে চট ভিজিয়ে রাখলে ব্রুডিং তাপমাত্রা কিছুটা কমে।

 

 

 

Content added By

১.৩.৮ আলো ব্যবস্থা (Light Management) :

সেরার বাচ্চার ঘরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে যাতে বাচ্চা খাবার ও পানির পাত্র দেখতে পারে। একদিন থেকে ৩ দিন পর্যন্ত মুরগির বাচ্চার জন্য আলোক সময়কাল ও আলোর তীব্রতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে বাচ্চা ভালোর সাহায্যে পানি ও খাদ্য চিনতে পারে। দিনে ভালো থাকলে আলাদা আলো প্রদানের প্রয়োজন নেই, তবে রাতে বাঘ স্থানিয়ে আলো দিতে হবে।

  • ১ম ও ২য় সপ্তাহে ২৪ ঘন্টাই আলো রাখা প্রয়োজন।
  • তবে প্রথম থেকেই প্রতি রাতে আধা ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা আলো বন্ধ রেখে বাচ্চাদের অন্ধকারের সাথে পরিচয় করানো উচিত। তা না হলে রাতে হঠাৎ আলো বন্ধ হলে বাচ্চা ভয়ে জড়ো হয়ে পাইলিং (চাপাচাপি) করে মারা যেতে পারে।
  • ৩য় সপ্তাহে ২৩ ঘন্টা আলো ও ১ ঘন্টা অন্ধকারে রাখা প্রয়োজন । 
  • ৪র্থ সপ্তাহে ২২ ঘন্টা আলো ও ২ ঘন্টা অন্ধকারে রাখা প্রয়োজন ।
  • কৃত্রিম আলোর উৎস প্রধানত বৈদ্যুতিক বাল্ব, তবে বিকল্প হিসাবে কেরোসিন বাতি ব্যবহার করা যায় । 
  • প্রথম সপ্তাহে ব্রুডার থেকে ৪-৫ ফুট উঁচুতে এবং ২য় সপ্তাহ থেকে ৭-৮ ফুট উঁচুতে বাল্ব ঝুলিয়ে দিতে হবে।
  • তার বা কর্ডের সাহায্যে বাল্ব ঝুলিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। বাতাসে বাল্ব দুলতে থাকলে ঘরে বা খাঁচায় ভৌতিক ভাব সৃষ্টি হয় । 
  • প্রতি ১০০ বর্গফুট জায়গায় ৬০ ওয়াটের ১টি বাল্ব ব্যবহার করতে হবে এবং ১০ ফুট দূরত্বে একটি বাল্ব থাকবে।
  • আবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আলো দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা, যেমন চার্জার লাইট, হ্যাজাক লাইট, ছোট জেনারেটর, আইপিএস ইত্যাদি রাখতে হবে।
  • বাল্বের সাথে রিফ্লেক্টর ব্যবহার করলে আলোর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় । 
  • সপ্তাহে একবার বাল্ব পরিষ্কার করলে আলোর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ।

বয়স অনুযায়ী মেঝেতে স্থান (Floor Place According to Age):

 

তাত্ত্বিক কাজঃ ৫০০ লেয়ার মুরগি পালনের জন্য প্রয়োজনীয় মেঝেতে স্থান হিসেব কর।

 

 

Content added By