এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

২.১ লেয়ার মুরগির খাদ্য ব্যবস্থাপনা (Laver Chicken Feed Management) 

মুরগির খাদ্য:

যে সমস্ত দ্রব্য আহানা হিসেবে মুরগির শরীরের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধি সাধন, উৎপাদন, প্রজনন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে তাকে খাদ্য বলা হয়। একটি মুরগির খামারে মোট খরচের শতকরা ৬৫-৭০ ভাগই খাদ্য বাবদ খরচ হয়। লেয়ারের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন খাদ্য উপকরণের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন মাত্রায় উপস্থিত থাকে। খাদ্য উপকরণের মধ্যে যে উপাদান বেশি মাত্রায় বিদ্যমান থাকে তাকে সেই উপাদান যুক্ত খাদ্য বলা হয়। চালের কুঁড়ায় শক্তি বেশি থাকে বিধায় তা শর্করা জাতীয় খাদ্য।

 

 

Content added By

২.১.১ লেয়ারের পুষ্টি উপাদান সমূহের নাম(Name of laver nutrient ingredients): 

খাদ্য উপকরণে পুষ্টি উপাদানের আধিক্যের ভিত্তিতে খাদ্য উপাদান মোট ৬ ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন: 

(১) শর্করা জাতীয় উপাদান 

(২) আমিষ জাতীয় উপাদান 

(৩) চর্বি বা তৈল জাতীয় উপাদান 

(৪) খনিজ পদার্থ জাতীয় উপাদান 

(৫) ভিটামিন জাতীয় উপাদান 

(৬) পানি

হাঁস-মুরগির খাদ্যের ৭৫-৮০% ই শর্করা জাতীয় খাদ্য। সাধারণত যে দ্রব্যে ২০% এর কম আমিষ থাকে তাদের শর্করা জাতীয় খাদ্য হিসেব গণ্য করা হয়। প্রায় সব ধরনের দানা শস্যই শর্করা প্রধান খাদ্য।

শর্করা জাতীয় উপাদান আবার দুইভাগে বিভক্ত, যেমন- 

(ক) দানা জাতীয় ও 

(খ) আঁশ জাতীয়

চাল: চাল এবং চালের উপজাত দ্রব্যাদি মুরগির জন্য সহজপাচ্য ও সহজলভ্য শর্করা জাতীয় খাবার। খুদ বা ভাঙা চালের মূল্য তুলনামুলকভাবে কম। তাই বাচ্চা মুরগি ও ডিমপাড়া মুরগির জন্য খুদ ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। খুদের মধ্যে আমিষ এবং ভিটামিন বি২ থাকে। খুদে ১০-১২% আমিষ, ১৩% চর্বি এবং গড়ে ১১-১২% আঁশ থাকে।

 

ভূট্টা: ভূট্টা সুস্বাদু ও সহজপাচ্য হওয়ায় মুরগি বেশ পছন্দ করে । মুরগির খাদ্য হিসেবে ভূট্টা খুবই জনপ্রিয় । হলুদ ভুট্টার মধ্যে ভিটামিন-এ এর পরিমাণ অধিক থাকে। ভূট্টা ছোট ছোট করে ভেঁঙে বা গুঁড়ো করে ও হাঁস-মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায় ।

 গমঃ গমকে অনেকে হাঁস-মুরগির আদর্শ খাদ্য বলে মনে করেন। গম সুস্বাদু এবং সহজপাচ্য। তদুপরি অন্যান্য দানাদার খাদ্যের তুলনায় আমিষের পরিমাণ অধিক। গমে সন্তোষজনক পরিমাণ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে । গম ভাঙা ও গমের ভুষি হাঁস-মুরগির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 

যবঃ অন্যান্য দানা শস্যের সাথে মিশিয়ে যবকে মুরগির খাদ্য হিসেবে দেয়া যায়। যবে আঁশের পরিমাণ অধিক। অতিরিক্ত যব খাওয়ালে মুরগির চর্বি পরিমাণ বেড়ে যায় । 

শাকসবজিঃ বেগুন, মিষ্টি আলু, লাউ, কুমড়া এবং অন্যান্য সবজির খোসা ও অন্যান্য পরিত্যক্ত অংশ সিদ্ধ করে মুরগিকে খেতে দেয়া যায়। এসব খাদ্য ভিটামিন সমৃদ্ধ। বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, বীট, পালং শাক, পুঁইশাক, নটেশাক, মূলা প্রভৃতির পাতা কুঁচি কুঁচি করে কেটেও মুরগিকে খেতে দেয়া যায়। এসব খাদ্য ক্যারোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ৷ 

চালের মিহি কুঁড়া: চালের কুঁড়া মুরগির একটি উৎকৃষ্ট খাবার। এতে চালের গুঁড়া থাকার ফলে শর্করার পরিমাণ অধিক। কুঁড়া সহজপাচ্য। কুঁড়া খাওয়ানোর আগে দেখে নিতে হবে তা ভেজা বা ছত্রাক আক্রান্ত কিনা । 

গমের ভুষি: গমের দানার মোটা অংশই ব্যবহৃত হয় ভুষি হিসেবে। গমের ভুষির মধ্যে গড়ে ১৬% আমিষ থাকে। গম ও ভূট্টা তুলনায় গমের ভুষির আমিষ উন্নতমানের। এতে নিয়াসিন ও থায়ামিনের পরিমাণ অধিক। ডিমপাড়া মুরগির ক্ষেত্রে ১৫% গমের ভুষি খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায় ।

আমিষ জাতীয় উপাদান দুইভাগে বিভক্ত, যেমন - 

(ক) প্রাণিজ আমিষ 

(খ) উদ্ভিজ্জ আমিষ

ফিস মিল বা শুটকি মাছের গুঁড়া: মাছ এবং তার বর্জ্য পদার্থকে শুকিয়ে চূর্ণ করে অথবা অন্য কোনো উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে প্রাপ্ত দ্রব্যই ফিস মিল। এতে আমিষের পরিমাণ ৪৫-৫৫%। মুরগির জন্য ফিস মিল একটি আদর্শ খাদ্য। বাচ্চা মুরগিতে মাছের আঁশটে গন্ধ দূর করার জন্য অল্প পরিমাণে ফিস মিল ব্যবহার করতে হবে।

মিট মিল: মিট মিল হল শুকানো চূর্ণীকৃত মাংস বা মাংসের অংশ। এতে আমিষের পরিমাণ ৫০-৫৫% । মিট মিলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বিদ্যমান। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার ভিটামিনও থাকে।

কেঁচো মিল: কেঁচো থেকে তৈরি খাদ্যকেই বলা হয় কেঁচো মিল। ফিস মিল, মিট মিল, বোন মিল প্রভৃতির বিকল্প হিসেবে কেঁচো মিল ব্যবহার করা যায়। এতে অশোধিত আমিষের পরিমাণ ৫৯.৪৭% ।

হাড়ের গুঁড়া ও মাংসের অবশিষ্টাংশঃ খুর, শিং ও হাড় ব্যতিত প্রাণীর দেহের মাংসের অবশিষ্টাংশ শুকিয়ে ও গুঁড়ো করে এ খাদ্য পাওয়া যায়। এতে আমিষের পরিমাণ ৫৫%, খনিজ পদার্থের পরিমাণ ৪%। হাড়ের গুঁড়া ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সমৃদ্ধ। উত্তমরুপে পরিশোধন করার পর এগুলো মুরগির খাদ্যের সাথে মেশানো হয়। 

রক্তের গুঁড়া বা ব্লাড মিল: কসাইখানা থেকে পশুর রক্ত সংগ্রহ করে তা শুকিয়ে চূর্ণ করা হয়। তবে এদেশে পর্যাপ্ত পশু রক্ত পাওয়া যায় না। এর মধ্যে আমিষের পরিমাণ প্রায় ৭৫-৮০%। এতে সামান্য পরিমাণে খনিজ পদার্থও থাকে। বাচ্চা মুরগির খাদ্যের ব্লাড মিল দেয়া অনুচিত।

পোল্ট্রির শুকনা বিষ্ঠা: এতে অশোধিত আমিষ থাকার ফলে এটি চালের কুড়ার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির ক্ষেত্রে রেশনে যথাক্রমে ৫-১০% এবং ২০% হারে এটি ব্যবহার করা যায়। 

সয়াবিন মিল: সয়াবিন ভালো করে সিদ্ধ করে শুকানোর পর গুড়ো করে বা তেল বের করে নেয়ার পর মিল হিসেবে মুরগিকে খাওয়ানো যায়। এতে প্রায় ৪৫% আমিষ ব্যতীতও সামান্য পরিমাণে চর্বি ও পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন থাকে ।

তিলের খৈল: এতে আমিষের পরিমাণ ৪০-৪৫% ও ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ২.৩% । তিলের খৈল মুরগির জন্য একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য। চীনা বাদামের খৈল ও তিলের খৈল অর্ধেক পরিমাণে মিশিয়ে মুরগির খাদ্য তৈরি করা যায়। 

সরিষার খৈল: সরিষা থেকে তেল নিষ্কাশনের পর যে অংশ পাওয়া যায় তাকে বলা হয় সরিষার খৈল । এতে ৩৭-৪০% আমিষ, ০.৬% ক্যালসিয়াম এবং ১.০% ফসফরাস থাকে। বিশেষ স্বাদ ও সুগন্ধের কারণে মুরগি এ খৈল পছন্দ করে ।

চীনা বাদামের খৈল: চীনা বাদামের খৈল সুস্বাদু। অন্যান্য খাদ্যের সাথে চীনা বাদামের খৈল মিশিয়ে সুষম খাদ্য তৈরি করা যায়। এতে আমিষ ৪৬.৫%, চর্বি বা স্নেহ পদার্থ ৪%, ক্যালসিয়াম ০.২৮% এবং ফসফরাস ১.২৮% থাকে।

নারকেলের খৈল: এ খৈলে আমিষের পরিমাণ ২০-২৫%। তবে বেশি দিনের পুরাতন খৈল মুরগির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ কিছুদিন রেখে দিলেই খৈলে ছত্রাক জন্মায় এবং খাবারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

চর্বি জাতীয় উপাদান:

খনিজ পদার্থ :

শামুক ও ঝিনুক খোসা: শামুক ও ঝিনুকের খোসা গুঁড়ো করে অন্যান্য খাদ্যের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।। তবে এ খাদ্য সর্বোচ্চ ১-৩% মুরগির খাদ্যের সাথে মেশানো উচিত। ঝিনুকের গুঁড়ায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৩৭-৩৮%।

চুনা পাথর: ক্যালসিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস হলো চুনা পাথর। মুরগির খাদ্যে ২-৪% হারে ব্যবহার করা যায় । এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৩৮% । এটি মুরগির হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । 

বোনমিল: এটি একটি শুষ্ক খাদ্য। হাড়কে বায়ু চাপের উপস্থিতিতে বাষ্প ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়। মুরগির খাদ্যের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায় ৷

সাধারণ খাদ্য লবণ: মুরগির খাদ্যে অল্প পরিমাণে লবণ যোগ করা হলে মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি ও খাদ্য ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। এটি সোডিয়াম ও ক্লোরাইডের প্রধান উৎস। তবে মুরগির খাদ্যে অধিক মাত্রায় লবণ যোগ করা ঠিক নয়। খাবারের সাথে ০.৫% মাত্রায় লবণ যোগ করতে হয়। লবণ মুরগির পানি গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । তাছাড়া লবণ মুরগির খাদ্যকে সুস্বাদু করে ও হজমে সাহায্য করে ।

ভিটামিন জাতীয় উপাদান: শাকসবজি, মাছের তেল, অংকুরিত গম ও ছোলা, হলুদ ভুট্টা, সবুজ ঘাস, চালের মিহি কুড়া ইত্যাদিতে কম বেশি বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন থাকে । তারপরও খাদ্যের সাথে কৃত্রিম ভিটামিন প্রিমিক্স হিসেবে ব্যবহার করতে হয়।

 

 

 

Content added By

২.১.২ লেয়ারের সুষম খাদ্য তৈরির বিবেচ্য বিষয়সমূহ

সুষম খাদ্য কী?

 মুরগির দেহের নির্বাহী কার্য পরিচালনা, শারীরিক বৃদ্ধি, উৎপাদন, পালক গঠন ও দেহের মধ্যে অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য চাহিদা অনুপাতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে তৈরিকৃত খাদ্যকে সুষম খাদ্য বা রেশন বলে। সুষম খাদ্যে আমিষ, শর্করা, চর্বি, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও পানি সঠিক অনুপাত অনুযায়ী বিদ্যমান থাকে। বিভিন্ন খাদ্যবস্তুতে এ সকল উপাদান বিভিন্ন পরিমাণে থাকে।

সুষম খাদ্যের গুরুত্ব: 

মুরগিকে সুষম খাদ্য প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি সুষম খাদ্য মুরগিকে সরবরাহ না করা হয় তবে যে খাদ্য উপাদানের ঘাটতি থাকে তার কারণে নানা রকম অসুবিধার সৃষ্টি হয়।

মুরগিকে সুষম খাদ্য প্রদান করলে নিম্নলিখিত সুবিধাসমূহ পাওয়া যায়:

  • উৎপাদন (ডিম, মাংস, ডিম ফোটার হার, সুস্থ সবল বাচ্চা) বৃদ্ধি পায়। 
  • অপুষ্টিজনিত রোগ এবং অন্যান্য রোগ কম হয়।
  • সম্পদ ও শ্রমিকের সুষ্ঠু ব্যবহার হয়। 
  • খামারে লাভ বেশি হয়। 
  • খামারের ব্যবহারিক মান বৃদ্ধি পেয়ে বাজারের প্রসার ঘটে।
  • উৎপাদন বাড়ায়, খামারি লাভবান হয়। 
  • ডিম এবং মাংসের গুণগতমান ভালো হয় ।
  • অল্প জায়গায় অধিক ঘনত্বে মুরগি পালন করা যায় । 
  • অল্প সময়ে বড় আকারের সুস্থ সবল মুরগি পাওয়া যায় ।
  • মুরগির বাঁচার হার বৃদ্ধি পায় । 
  • মুরগির মৃত্যু হার হ্রাস পায় ৷

পুষ্টির উৎস অনুসারে সুষম খাদ্যে উপাদান যোগ করার নিয়ম: 

১. শক্তির জন্য: দানাশস্য ও এর উপজাত ৬০-৬৫ % 

২. আমিষের জন্য: প্রাণিজ উৎস; ৫-১৫%, উদ্ভিজ্জ উৎস; ১৮-২২% 

৩. খনিজ মিশ্রণ: ২-৯% ৪. ভিটামিন: ভিটামিন প্রিমিক্স প্রতি ১০০ কেজিতে ২৫০-৩০০ গ্রাম ।

 

লেয়ারের সুষম খাদ্য তৈরির ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অবশ্যই বিবেচনা করতে হয় - 

১. খাদ্যসামগ্রী বা উপকরণের সহজপ্রাপ্যতা: 

সুষম খাবার তৈরিতে পরিচিত ও সহজলভ্য উপকরণ নির্বাচন করা উচিত। পরিচিত উপকরণের গুণগতমান সহজে জানা যায় । স্থানীয় মূল্য যাচাই করা যায়। কোনো উপকরণের ঘাটতি পড়লে সহজে সংগ্রহ করা যায়। সহজলভ্য উপকরণের পরিবহন খরচ কম হয়। বিভিন্ন মৌসুমে উৎপাদিত দ্রব্য স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ ও মজুদ করা যায়। উপকরণের গুণগতমান খারাপ হলে পরিবর্তন করা যায় ।

২. উপকরণের মূল্যঃ 

খাদ্য উপকরণ যত সস্তায় সংগ্রহ করা যায়, খাদ্য প্রস্তুতে খরচের তত সাশ্রয়ী হয়। ফলে ডিম উৎপাদনে খরচ কমে যায়। খামারে মোট খাদ্য খরচের ৬৫-৭৫ ভাগ পর্যন্ত খরচ হয় খাদ্যের জন্য। মানুষের খাদ্য উপকরণের সাথে প্রতিযোগিতা কমাতে যতদুর সম্ভব সস্তায় বিকল্প খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করা উচিত। 

৩. খাদ্যের গুণগতমান: 

প্রস্তুতকৃত খাদ্য অবশ্যই গুণগতমানের হওয়া উচিত, খাদ্য প্রস্তুতের পূর্বে প্রতি উপকরণের পুষ্টিগত গুণাগুণ ও ভৌত অবস্থা (পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ) পরীক্ষা করতে হয়। কোনো প্রকার পচা, ছত্রাক যুক্ত অথবা গন্ধযুক্ত খাবার ব্যবহার করা যাবে না। যে সমস্ত কারণে খাদ্যের গুণগত মান নষ্ট হয়, তা হলো-

  • উপকরণে আর্দ্রতা (১২% এর উপরে হলে) বেশি থাকলে 
  • বেশি পুরোনো হলে 
  • সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে
  • ঘরের মেঝে ভিজা ও আর্দ্র থাকলে 
  • তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বেশি থাকলে 
  • সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না করার ফলে
  • পোকা ও ইঁদুরের আক্রমণ হলে, ভেজাল থাকলে 
  • খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করার সময় কীটনাশক ব্যবহার করলে 
  • ছত্রাক ও মোল্ডযুক্ত খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করলে

৪. খাদ্যের পরিপাচ্যতা ও সুস্বাদুতা: 

রুচিসম্মত খাদ্য না হলে মুরগি খায় না। দানা জাতীয় খাদ্য বেশি মিহি হলে মুরগি কম খায়। কোনো উপকরণের দানা বড় থাকলে মুরগি বেছে বড় দানা আগে খায়, ফলে অন্যান্য উপাদান তলে পড়ে থাকে। বেশি আঁশযুক্ত খাদ্য ব্যবহার করা উচিত নয়। উপকরণের মিশ্রণ সুষম হতে হবে এবং প্রতিটি উপাদানের দানা যতদূর সম্ভব সুষম হতে হবে। খাদ্যের ভেজাল মিশ্রিত থাকলে এবং খাদ্য পচা ও ছত্রাকযুক্ত হলে মুরগি খাদ্য পছন্দ করবে না। ক্রাম্বল ও পিলেট খাদ্য মুরগি বেশি পছন্দ করে ।

৫. জাত: 

হালকা জাতের লেয়ারের তুলনায় ভারী জাতের লেয়ার বেশি খাদ্য খায়। সাদা জাতের লেয়ারের তুলনায় রঙিন জাতের লেয়ার বেশি খাদ্য খায়। 

৬. বয়সঃ 

বয়স অনুসারে বিভিন্ন পুষ্টিমানের খাদ্য ব্যবহার করা হয়। বাচ্চা অবস্থায় বেশি শক্তি ও আমিষের প্রয়োজন, ডিম পাড়া মুরগির খাদ্যে শক্তি ও আমিষের প্রয়োজন পরিমাণ বাচ্চার তুলনায় কম লাগে ৷ 

৭. লিঙ্গ: 

মোরগ-মুরগির তুলনায় বেশি খাদ্য খায় এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। 

৮. ওজন: 

লেয়ার মুরগির ওজন বৃদ্ধি সমানুপাতে না হলে, কম ওজনের মুরগিকে আলাদাভাবে খাদ্যে আমিষের হার বৃদ্ধি করে খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। 

৯. আবহাওয়াঃ 

পারিপার্শ্বিক আবহাওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি হলে খাদ্য খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। ফলে শরীরের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে খাদ্যে পুষ্টিমান পুনর্বিন্যান্ত করতে হয়। 

১০. বিভিন্ন খাদ্য উপাদান ব্যবহার করার পরিমাণ বা মাত্রা:

 

 

 

Content added By

২.১.৩ ভালো খাদ্যের গুণাগুণ সঠিক আছে কিনা তা যাচাই এর জন্য নিম্নলিখিত শর্তগুলো বিবেচনায় আনা প্রয়োজন-

  • খাদ্য বা খাদ্য উপাদানসমূহ অবশ্যই প্রয়োজনীয় পুষ্টি মাত্রার অধিকারী হতে হবে। 
  • খাদ্য অবশ্যই ফাংগাস বা আফলা টক্সিন মুক্ত হতে হবে। 
  • খাদ্য বা খাদ্য উপাদানসমূহ যেন কোনো অবস্থাতেই চাকা লেগে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • খাদ্যের আর্দ্রতা ১২% এর বেশি হওয়া উচিত নয় এবং এটি অবশ্যই দুর্গন্ধমুক্ত ও পোকামুক্ত হতে হবে। 
  • ম্যাশ ফিডে গুঁড়া বা পাউডার থাকে। তবে এটি ২৫-৩০% এর বেশি যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।

 

 

Content added By

২.১.৪ লেয়ারের বয়স অনুযায়ী ব্যবহৃত সুষম খাদ্য 

ডিমপাড়া মুরগির প্রয়োজনীয় পরিমাণ পুষ্টির চাহিদা মেটাতে যতটা সম্ভব বেশি প্রকারের খাদ্য উপাদান দিয়ে মিশ্রিত খাদ্য তৈরি করতে হবে, এতে খাদ্য সুস্বাদু ও সুষম হবে। লেয়ারের খাদ্যকে বিভিন্ন পর্বে ভাগ করা হয়। যথা-

১. স্টার্টার রেশন (০-৮ সপ্তাহ) 

২. গ্রোয়ার রেশন (৯-১৭ সপ্তাহ) 

৩. লেয়ার রেশন (১৮-৭২ সপ্তাহ)

বিভিন্ন পর্বে মুরগির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির পরিমাণ

 

               লেয়ার মুরগির বিভিন্ন পর্বের জন্য খাদ্য তালিকা:

উপরের উপাদানগুলো নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে সুষম খাদ্য তৈরি করা যায়, যেখানে মুরগির বয়স ও উৎপাদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপস্থিত থাকবে।

 

বাচ্চা মোরগ-মুরগির সুষম রেশন তৈরির হিসাব

তাত্ত্বিক কাজঃ 

২০ সপ্তাহ বয়সের ১০০০টি ডিম পাড়া মুরগির জন্য ৫০ কেজি মিশ্রিত খাদ্য(রেশন) তৈরী করো ।

 

বাড়ন্ত বয়সের মোরগ-মুরগির সুষম রেশন তৈরির হিসাব

 

লেয়ার রেশন মুরগির সুষম রেশন তৈরির হিসাব

 

 

 

Content added By

২.১.৫ লেয়ারের সুষম খাদ্য তৈরি ও সরবরাহ 

লেয়ারের সুষম খাদ্য তৈরি ধাপ:

  • প্রথমে ঘরের মেঝে ঝাড়- দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। 
  • যে সকল খাদ্য উপাদান অধিক পরিমাণে লাগে যেমন- ভুট্টা, গম, কুড়া, সয়াবিন মিল, প্রোটিন কানসেনট্রেট সেগুলো ওজন করতে হবে ও মেঝেতে ঢালতে হবে।
  • খাদ্য উপাদান প্রতিটি ঢালার পর হাত দিয়ে সমান করে ছড়িয়ে দিতে হবে। 
  • পরিমাণে কম লাগে এমন উপাদান (ভিটামিন, ডিসিপি, লাইসিন, মিথিওনিন, লবণ, খনিজ মিশ্রণ ওজন করে এক সঙ্গে ভালোভাবে মেশাতে হবে।
  • এ মিশ্রণকে পূর্বের খাদ্য উপাদানের স্তুপের উপর সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। 
  • এর পর হাত দিয়ে বা মেশিনের সাহায্যে ৩-৪ বার খাদ্য ভালোভাবে মেশাতে হবে।
  • সমস্ত মিশ্রণেকে বস্তায় ভরে মজুদ করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করতে হবে। 
  • এ ধরণের মিশ্রিত খাদ্যকে ম্যাশ খাদ্য বলে ।

সুষম খাদ্য তৈরির ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনঃ

  • রেশন ফর্মুলেশনের পূর্বে অবশ্যই খাদ্য উপকরণের পুষ্টিগত গুণাগুণ এবং ভৌত অবস্থা পরীক্ষা করতে হবে। 
  • ভেজা ছত্রাকযুক্ত, দলাপাকা এবং দূষিত খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না ।
  • খাদ্যে জলীয় অংশের পরিমাণ কখনও ১২ শতাংশের বেশি হওয়া যাবে না । 
  • ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে এবং অপরিচ্ছন্ন স্থানে খাদ্য মিশ্রণ করা যাবে না।
  • খাদ্য তৈরির পর অধিক সময় ধরে খাদ্য মাটিতে বা মেঝেতে ফেলে রাখা যাবে না । 
  • খাদ্য প্রস্তুতকারীকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।

সুষম খাদ্য সংরক্ষণ :

  • খাদ্য সংরক্ষণাগারে / গুদামে সঠিক বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে যা খাদ্যকে আর্দ্র হওয়া থেকে মুক্ত করবে। 
  • খাদ্য বস্তা মেঝে/ মাটিতে না রেখে কিছুটা উঁচুতে তাক বা মাচা করে রাখতে হবে।
  • খাদ্য বস্তা দেয়াল ঘেঁষে রাখা উচিত নয়। 
  • খাদ্য গুদাম বিষাক্ত পোকামাকড়, ইঁদুর এবং কীটপতঙ্গ মুক্ত হতে হবে।
  • বৃষ্টির পানি যেন খাদ্য গুদামে না প্রবেশ করে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 
  • সরাসরি রোদের আলো থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে খাদ্য সংরক্ষণ করতে হবে।
  • খাবারের ব্যাগের মুখ খোলা থাকলে বাতাসে অধিক আর্দ্রতার কারণে ফাংগাস জন্মাতে পারে সে জন্য মুখ বন্ধ রাখতে হবে।
  • খাবার খোলা অবস্থায় মাটিতে স্তূপ আকারে রাখা সঠিক নয়, কারণ স্তূপে অধিক তাপ উৎপাদন হয়ে খাদ্যের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
  • খাদ্যের সাথে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকনাশক ব্যবহারের অন্তত ২৪ ঘন্টা পর সেই খাদ্য ব্যবহার করতে হবে।
  • খাবারের পাত্রে মুরগি যাতে পায়খানা করতে না পাওে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। 
  • মিশ্রিত খাদ্য বেশি দিন রাখা যাবে না, তিন দিনের বেশি খাদ্য একবারে তৈরি করা যাবে না । 
  • মুরগির খাদ্য ও ডিম একত্রে রাখা যাবে না।

 

 

Content added By

২.১.৬ তৈরিকৃত খাদ্য ও প্রকারভেদ: 

তৈরিকৃত খাদ্য ৩ প্রকার 

১. ম্যাশ খাদ্য । 

২. পিলেট খাদ্য। 

৩. ক্রাম্বল খাদ্য ।

(ক) ম্যাশ খাদ্য: 

খাদ্যের সমস্ত উপকরণ গুড়া করে একত্রে মিশানোকে ম্যাশ খাদ্য বলে। হাতে মিশ্রণ করলে প্রথমে পরিমাণে অল্প উপকরণসমূহ একত্রে মিশাতে হবে। ক্রমান্বরে বেশি উপকরণের সাথে একত্র করতে হবে। যন্ত্রের সাহায্যে মিশালে মিশ্রণ সুষম হয়। লিটার পদ্ধতিতে লেয়ার মুরগির জন্য এই খাদ্য বেশি ব্যবহৃত হয়, কারণ এতে মুরগি খাদ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ফলে মুরগির ঠোকরা-ঠুকরী করার সম্ভাবনা কমে। পিলেট খাদ্য দিলে তাড়াতাড়ি খাবার শেষ করে ফেলে, ফলে মুরগি ঠোকরা- ঠুকরী করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

(খ) পিলেট খাদ্য: 

ম্যান খাদ্যকে লোহার জানিযুক্ত शंকনির মধ্য দিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে চাপ প্রয়োগ করলে পিলেট তৈরি হয়। পিলেট খাদ্য ব্যবহার করলে খাদ্যের অপচয় কমে ও মুরগি বেশি পছন্দ করে । এরলারের জন্য এ খাদ্য বেশি ব্যবহার করা হয় ।

(গ) ক্রাম্বল খাদ্য : 

ম্যাশ খাদ্যের অন্য প্রকৃতি ক্রাম্বল খাদ্য। ক্রাম্বল খাদ্যের দানা পিলেট দানার চেয়ে ছোট। এ খাদ্য ব্যবহারে খাদ্যের অপচয় কম হয়। পিলেটের মতই যন্ত্রের সাহায্যে ক্রাম্বল খাদ্য তৈরি করা হয়। স্টার্টার রেশন হিসেবে এ খাদ্য ব্যবহার করা হয়। বাণিজ্যিক ফিড মিলগুলোতে পিলেট খাদ্য ও ক্রামন খাদ্য তৈরি করা হয়। বড় লেয়ার খামারগুলোতে ডিমপাড়া মুরগির জন্য পিলেট খাদ্য এবং বাচ্চার জন্য ক্রামণ খাদ্য ব্যবহার করা হয়।

অনুসন্ধানমূলক কাজঃ

  • তোমার প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি যেকোনো একটি লেয়ার খামার পরিদর্শণ করো । 
  • খামারে ব্যবহৃত খাদ্যের ধরনের উপর মতামত দাও ।

 

                        “পরিদর্শণ ছক”

 

লেয়ার মুরগির খাদ্য সরবরাহ: 

লেয়ার মুরগির খাদ্য সরবরাহ করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়, সরবরাহের পরিমাণ, বয়স অনুযায়ী ওজন, মুরগির জাত ও রং ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করতে হয়, যা নিচে বর্ণনা করা হলো-

(ক) নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য প্রদান:

  • লেয়ার মুরগিকে সুনির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী প্রতিদিন একই সময়ে খাদ্য প্রদান করতে হবে। 
  • দিনের খাদ্যকে ২ বা ৩ ভাগে ভাগ করে সকাল - বিকাল বা সকাল - দুপুর - বিকালে দেওয়া যায় ।
  • তবে বর্তমানে ডিমপাড়া মুরগিকে ৪-৫ বার খাদ্য দেয়া যায় । 
  • খাদ্য দেওয়ার সময় পাত্রের অর্ধেক বা এক-তৃতীয়াংশ খালি রাখতে হয় ।
  • পাত্র পূর্ণ করে দিলে মুরগি ঠোঁট দ্বারা খাদ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে অপচয় করে । 
  • মাঝে মাঝে নির্দিষ্ট সময় পর পর পাত্রের খাদ্য নাড়াচাড়া করে দিলে খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধি পায় এবং মুরগি আগ্রহ নিয়ে খায় ।

(খ) বয়স ও ওজন অনুযায়ী খাদ্য প্রদান:

  • ১০ বা ১৫ সপ্তাহের পুলেট ২০ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। 
  • বয়স ও ওজন অনুসারে ২০ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত পরিমিত খাদ্য প্রদান করতে হয়।
  • প্রতি সপ্তাহে পুলেটের ওজন গ্রহণ করতে হয়। 
  • নির্দিষ্ট বয়সে নির্ধারিত ওজন না হলে খাদ্যের পরিমাণ বা খাদ্যে আমিষের পরিমাণ বাড়াতে হয় ।
  • ওজন বেশি হলে খাদ্য সরবরাহ বা খাদ্যে আমিষের পরিমাণ কমিয়ে ওজন কমাতে হয়। 
  • ডিম পাড়ার পূর্বে বা ডিম পাড়া শুরু করলে আনুপাতিক হারে ওজন বেশি থাকলে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমানো যাবে না। এতে মুরগি দ্রুত অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে ।
  • প্রথম ডিম উৎপাদন শুরু হলে স্বাধীনভাবে খেতে দিতে হয়।

(গ) জাত ও বর্ণ অনুসারে খাদ্য প্রদান:

  • জাত ও বর্ণ অনুসারে হালকা জাতের মুরগি ভারী জাতের মুরগির তুলনায় কম খাদ্য খায়। 
  • সাদা হালকা জাতের মুরগি রঙিন ভারী জাতের মুরগির তুলনায় কম খাদ্য খায় ৷

(ঘ) জাত ও স্ট্রেইন অনুসারে খাদ্য প্রদান:

  • জাত ও স্ট্রেইন অনুসারে খাদ্যে অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ পরিবর্তন করা হয় ।

(ঙ) খাদ্য সরবরাহের জন্য খাবার পাত্রে মুরগির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা:

 

বাণিজ্যিক লেয়ারের গড় খাদ্য গ্রহণ (হালকা জাতের ক্ষেত্রে):

জন্ম হতে ৭২ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিটি লেয়ার এর ক্রমপুঞ্জিত খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ৪৮ কেজি ও পানি গ্রহণ ১০০-১৩৫ লিটার। ডিম উৎপাদনকালীন সময় প্রতিটি মুরগি গড়ে দৈনিক ১১০-১২০ গ্রাম খাবার ও ৩০০- ৫০০ মিলি. পানি খেয়ে থাকে।

 

 

 

Content added By