এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

৩.৪ লেয়ার মুরগির বিভিন্ন ধরনের কৃমি সংক্রমণ, লক্ষণ ও তার প্রতিকার Laver chicken different types of worm infections, symptoms and its remedies

Content added By

৩.৪.১ পরজীবীজনিত রোগ (Parasitic Diseases): 

পরজীবী বা প্যারাসাইট এক ধরনের ক্ষুদ্র জীব যা অন্য জীব অর্থাৎ মানুষসহ পশুপাখির দেহে বসবাস করে জীবনধারণ করে । যে জীবের দেহের এরা জীবনধারণ করে তাদেরকে হোস্ট বা পোষক বলে। কিছু পরজীবী আছে যারা পোষকের দেহের ভিতরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বসবাস করে ক্ষতিসাধন করে । এদেরকে দেহাভ্যন্তরের পরজীবী বলে। আবার কিছু পরজীবী আছে যারা পোষকের দেহের বাইরের অঙ্গে বসবাস করে ক্ষতিসাধন করে । এদেরকে বহিঃদেহের পরজীবী বলে। উভয় ধরনের পরজীবীর আক্রমণের ফলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভারে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এরা পাখি/মুরগির দেহে বাস করে পাখি/মুরগির কর্তৃক খাওয়া পুষ্টিকর খাদ্য নিজেরা খেয়ে ফেলে, ফলে আক্রান্ত পাখি/মুরগির পুষ্টিহীনতায় ভোগে ৷ অনেক পরজীবী আছে যারা পাখি/মুরগির দেহে বাস করে রক্ত শুষে নেয়, ফলে আক্রান্ত পাখি/মুরগির দেহে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। যেকোনো পরজীবী দ্বারা পাখি/মুরগি আক্রান্ত হোক না কেন, এদের আক্রমণের ফলে আক্রান্ত পাখি/মুরগির দৈহিক বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটে এবং ডিম উৎপাদন একেবারেই কমে যায়। এছাড়াও এক ধরনের পরজীবী আছে যাবা আক্রান্ত পাখি/মুরগির দেহ থেকে সুস্থ পাখি/মুরগির দেহে সংক্রামক রোগের জীবাণু সংক্রমিত করে থাকে। কাজেই পোল্ট্রি শিল্প থেকে কাঙ্খিত উৎপাদন পেতে হলে পরজীবীজনিত রোগব্যাধি প্রতিরোধ অপরিহার্য ।

 

 

Content added By

৩.৪.২ দেহাভ্যন্তরের পরজীবী (Internal Parasite): 

পাখি/মুরগির দেহে দেহাভ্যন্তরের পরজীবী বা অন্তঃপরজীবীর আক্রমণ নির্ভর করে পাখি/মুরগির পালন পদ্ধতি, ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যবিধির ওপর। পাখি/মুরগির বাসস্থান যদি স্বাস্থ্যসম্মত হয় এবং পালন ব্যবস্থাপনা যদি বিজ্ঞানভিত্তিক হয়, তাহলে এ ধরনের পরজীবীর আক্রমণ বহুলাংশে কমে যায়। খাঁচা পদ্ধতিতে মুরগি পালন করলে সাধারনত পরজীবীর আক্রমণ খুব কম হয়। দেহাভ্যন্তরে পরজীবী আক্রমণের ফলে পাখি/মুরগির দেহে যেসব ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যায় তা নিম্নরুপ :

  • কোষ বা কলার গঠন নষ্ট হয়ে যায়। 
  • পোষকের খাদ্য খেয়ে ফেলার কারণ পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়। 
  • সংক্রামক রোগের জীবাণু ছড়ায় ।
  • খাদ্যনালি বন্ধ করে রাখে, ফলে আক্রান্ত পাখি মারা যায়। 
  • পরজীবী টক্সিন বা বিষ তৈরি করে যা পোষকের দেহের জন্য ক্ষতিকর। 
  • ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমিক সংক্রমণ দেখা যায় ।

বিভিন্ন প্রজাতির দেহাভ্যন্তরের পরজীবী বা অন্ত পরজীবীঃ 

পরজীবী মুরগির দেহ আক্রান্ত করতে পারে। এগুলোর মধ্যে আমাদের দেশে মুরগির গোলকৃমি এবং ফিতাকৃমির আক্রমণ সবচেয়ে । বেশি।

 

 

Content added || updated By

৩.৪.২.১ বড় গোলকৃমি (Large Roundworm): 

Ascardia galli (অ্যাসক্যারিডিয়া গ্যালি) হচ্ছে মুরগির বড় গোলকৃমি যা ক্ষুদ্রান্ত্রে আক্রান্ত করে ।

জীবনচক্রঃ 

পরিপক্ক স্ত্রী গোলকৃমি পাখির ক্ষুদ্রান্ত্রে ডিম পাড়ে। কৃমির ডিম মুরগির মলের সাথে বের হয়ে আসে। বাইরের আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রার ফলে ডিমের মধ্য লার্ভা জন্মায়। আস্তে আস্তে লার্ভা পরিপক্ক হয়। খাদ্য অথবা পানির সাথে পরিপক্ক লার্ভা মুরগির দেখে প্রবেশ করে । ২১ দিনের মধ্যে ক্ষুদ্রান্ত্রে পরিপক্ক কৃমিতে রূপান্তরিত হয়।

কৃমির বিস্তার 

একটি পরিপক্ক স্ত্রী কৃমি কয়েক হাজার ডিম দেয়। লার্ভা সম্বলিত ডিমই হচ্ছে মারাত্বক। পরিবেশের মধ্যে কৃমির ডিম কয়েক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। মানুষের ব্যবহৃত জামা, জুতো, খামারের যন্ত্রপাতি ইত্যাদির মাধ্যমে এসব ডিম এক খামার থেকে অন্য খামারে ছড়াতে পারে। এরপর খাদ্য বা পানির মাধ্যমে এগুলো মুরগির দেহে সংক্রমিত হয়।

বড় গোলকৃমি আক্রান্তের লক্ষণ 

আক্রান্ত মুরগিতে নিম্নবর্ণিত লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে। যেমন-

  • দৈহিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটা। 
  • খাদ্য কম খাওয়া । 
  • পালক উসকো খুশকো হয়ে যাওয়া।
  • পাতলা পায়খানা হওয়া । 
  • শরীর রুগ্ন হওয়া এবং রক্তশূন্যতা দেখা দেয় । 
  • ডিমপাড়া মুরগির ডিম উৎপাদন কমে যাওয়া।

চিকিৎসা: 

পাইপারজিন গ্রুপের যে কোনো একটি কৃমিনাশক, যেমন- পাইপারজিন সাইট্রেট, পাইপারজিন অ্যাডিপেট বা পাইপারজিন ডাই-হাইড্রো-ক্লোরাইড খাদ্য বা পানির সাথে নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশিয়ে খালি পেটে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়। কৃমিনাশক হিসেবে লেভামিজল ব্যবহার করা যেতে পারে ।

প্রতিরোধ : 

নিম্নলিখিত নিয়মগুলো মেনে চললে মুরগিতে লোগকৃমির আক্রমণ হবে না । যথা-

  • নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্ধারিত মাত্রায় কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করাতে হবে । 
  • সব সময় মুরগিকে সুষম খাদ্য খাওয়াতে হবে।
  • বাসস্থানের লিটার সব সময় শুষ্ক রাকতে হবে। 
  • বাচ্চা ও বাড়ন্ত মুরগির সাথে বয়ষ্ক মুরগি পালন করা যাবে না ।
  • ঘরে মুরগি পালনের পূর্বে জীবাণুনাশক ওষুধ দিয়ে বাসস্থান ও আশেপাশের এলাকা ভালোভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে।
  • খাদ্য ও পানির সাথে যাতে মুরগির পায়খানা না লাগতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 

 

Content added By

৩.৪.২.২ ছোট গোলকমি (Small Roundworm):

মুরগির ছোট গোলকৃমির না হচ্ছে হেটারেকিস গ্যালিনেরাম। এদেরকে সিকাল কৃমিও বলা হয়ে থাকে । এ ধরনের কৃমি সাধারনত মুরগির খাদ্যনালির সিকাম নামক অংশে বাস করে ।

জীবনচক্রঃ 

পায়খানার সাথে এ কৃমির ডিম বাইরে বের হয়ে আসে। বাইরের আবহাওয়ায় ডিম থেকে লার্ভা হয়। খাদ্য বা পানির সাথে মুরগির দেহে এ লার্ভা প্রবেশ করে । অতঃপর ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে মুরগির সিকামে এরা পরিণত কৃমিতে রূপান্তরিত হয় ।

কৃমির বিস্তার : 

মানুষের ব্যবহৃত জামাকাপড়, খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, বন্য পশুপাখি প্রভৃতির মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে কৃমির ডিমের বিস্তার ঘটে। তাছাড়া খাদ্য ও পানির মাধ্যমেও এ কৃমির ডিম সুস্থ মুরগিতে প্রবেশ করে ।

 

ছোট গোলকৃমি আক্রান্তের লক্ষণ 

ছোট গোলকৃমি আক্রমণের ফলে মুরগির দেহে বে সব লক্ষণ দেখা যায় তা হলো-

  • বাদামি রঙের পাতলা পায়খানা হওয়া ।
  • ডিম উৎপাদন কমে যাওয়া।
  • খাদ্য খাওয়া কমে যাওয়া।
  • ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাওয়া।
  • পালক উসকো খুশকো হয়ে যাওয়া।

চিকিৎসা 

পাইসারজিন গ্রুপের যেকোনো একটি কৃমিনাশক খাদ্য বা পানিতে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

প্রতিরোধ 

এ কৃমি প্রতিরোধ ব্যবস্থা বন্ধ গোলকৃমি প্রতিরোধের মতোই।

 

 

 

Content added || updated By

৩.৪.২.৩ সুতাকৃমিঃ

মুরগির সুতাকৃমি হচ্ছে ক্যাপিলারিয়া গণের অন্তর্ভূক্ত বেশ কয়েক প্রজাতির গোলকৃমি। এদেরকে চুলকৃমি বলা হয়। ক্যাপিলারিয়া অ্যানুস্যাটা মুরগির খাচ্চनাগি বা ইসোফেগাস ान বা न এবং ক্যাপিলারিয়া জ্বৰ সিগন্যাটা ক্ষুদ্ৰায়ে বসবাস করে । উভয় ধরণের কৃমির ডিমই মুরগির পায়খানার সাথে ৰেৱ হয়ে আসে। ডিমের মধ্যে লার্ভা জন্মায়। এর লার্ভা সম্বলিত ভিম কেঁচো খেয়ে ফেলে। কেঁচোর দেহের ভিতরে লার্ভা বৃদ্ধি লাভ করে। মুরগি যখন কেঁচো খায়, তখন কৃমির এ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত লার্ভা কেঁচোর দেছ থেকে মুরগির দেহে চলে আসে এবং পরিণত কৃমিতে স্বগাথারিক হয়।

কৃমির বিস্তার 

মানুষের ব্যবহৃত জামাকাপড়, খামারে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, বন্য পশুপাখি প্রভৃতির মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কৃমির ডিমের বিস্তার ঘটে। খাদ্য অথবা পানির মাধ্যমেও সংক্রমিত হয় ।

লক্ষণ

আক্রান্ত পাখির দেহে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো দেখা যায়। যথা-

  • দৈহিক বৃদ্ধি ঠিকমতো হয় না। 
  • দৈহিক ওজন একেবারে কমে যায়।
  • পালক উসকো খুশকো দেখায় । 
  • পাতলা পায়খানা হয়। 
  • রক্তশূন্যতা দেখা দেয় । 
  • অবশেষে পাখি মারা যায়।

চিকিৎসা 

নিম্নলিখিতভাবে আক্রান্ত পাখির চিকিৎসা করা যায়। যথা-

  • পানির সাথে নির্দিষ্ট মাত্রায় লেভামিজল মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায় । 
  • পাইপারজিন গ্রুপের কৃমিনাশকও প্রয়োগ করা যেতে পারে।

প্রতিরোধ 

সুতাকৃমির প্রতিরোধ ব্যবস্থা অন্যান্য গোলকৃমির প্রতিরোধ ব্যবস্থার মতোই।

 

 

 

Content added By

৩.৪.২.৪ ফিতাকৃমি (Tape Worm)

মুরগির মলের সাথে পরিণত বয়সের কৃমির অংশ বা সেগমেন্ট বের হয়ে আসে। কৃমির সেগমেন্টের মধ্যে ডিম থাকে। বিভিন্ন পোকামাকড়, যেমন শামুক, পিঁপড়া, মাছি ইত্যাদি কৃমির ডিম খেয়ে ফেলে। এদের দেহে ডিম থেকে কৃমির লার্ভা জন্মায়। মুরগি কৃমি আক্রান্ত শামুক, পিঁপড়া, মাছি ইত্যাদি খেয়ে ফেললে কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়।

ফিতা কৃমির বিস্তার : 

বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড়ের মাধ্যমে এদের বিস্তার ঘটে।

লক্ষণ

 এ ধরনের কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হলে পাখির দেহে যে লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হলো-

  • দৈহিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটা। 
  • খাদ্য গ্রহণে অনীহা । 
  • পালক উসকো খুশকো হয়ে যাওয়া । 
  • পাতলা পায়খানা হওয়া । 
  • রক্তশূন্যতা দেখা দেয়া ।

চিকিৎসা 

নির্দিষ্ট মাত্রায় ডাইবিউটাইল-টিন-ডাইলাইউরেট পানি অথবা খাদ্যের সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে মুরগির দেহ থেকে ফিতাকৃমি সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যায়।

প্রতিরোধ 

নিম্নলিখিতভাবে ফিতাকৃমির আক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। যথা-

  • মুরগির বাসস্থানে সঠিক স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং বাসস্থানের আশেপাশে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে পোকামাকড় ধ্বংস করে ফেলতে হবে। 
  • মাঝে মধ্যে চিকিৎসার অর্ধেক মাত্রায় কৃমিনাশক খাওয়াতে হবে।

 

 

Content added By

৩.৪.৩ দেহের বহি:পরজীবী (External Parasite)

যেসব পরজীবী মুরগির দেহের বাইরের অংশ আক্রান্ত করে তাদেরকে বহিঃপরজীবী বা বহিঃদেহের পরজীবী বলে । যেমন-উকুন,আঠালি,মাইট এবং ফ্লি ইত্যাদি। এরা বেশির ক্ষেত্রেই মুরগির চামড়া এবং পালকের মধ্যে বসবাস করে । এ ধরনের পরজীবী পাখির দেহে কামড় দেয়,রক্ত শুষে নেয় এবং অনেক সময় ক্ষতের সৃষ্টি করে । আমাদের দেশের গরম আবহাওয়া এদের আক্রমণের অনুকূলে। যেকোনো মুরগি পালনে এলাকায় এদের আক্রমণ দেখা যায়। খাঁচা বা লিটার যে পদ্ধতিতেই পালন করা হোক না কেন, এদের আক্রমণ সব জায়গায়ই বিরাজমান ।

 

 

Content added || updated By

৩.৪.৩.১ উকুন (Lice)

এরা মুরগির বুক, পেট ও পাখার নিচের পালক ও ত্বকের সাথে শক্তভাবে লেগে থাকে। কামড়ানি ও শোষক এ দু'ধরণের উকুনের মধ্যে কামড়ানি উকুন মুরগিকে আক্রান্ত করে । উকুন তালের সম্পূর্ণ জীবনচক্র মুরগির মধ্যেই সম্পন্ন করে । পাখির দেহ ছাড়া এরা ছয় ঘন্টার বেশি বাঁচতে পারে না। এরা মুরগির পালকের মধ্যে ডিম দেয়। দু'সপ্তাহের মধ্যে ডিম ফুটে উকুনের বাচ্চা হয় এবং পরবর্তীতে পরিপূর্ণ উকুনে পরিণত হয়।

উকুনের আক্রমণের মুরগির দেহে যেসব লক্ষণঃ 

ক) উকুন চামড়ার উপরের অংশে কামড় দেয়, তাই মুরগি ঠোট দিয়ে শরীরের মধ্যে চুলকায়। 

খ) মুরগির মধ্যে অস্থিরতা প্রকাশ পায়। 

গ) চামড়া নষ্ট হয়ে যায় 

ঘ) মুরগি পালক খেয়ে ফেলে। 

ঙ) ডিম উৎপাদন কমে যায়।

প্রতিরোধ ও দমন 

নিম্নলিখিতভাবে পাখিতে উকুনের আক্রমণ প্রতিরোধ ও দমন করা যায়। যথা-

ক) মুরগির ঘরে যাতে বন্য পাখি ঢুকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

খ) মুরগির দেহে উকুন দেহে উকুন আছে কিনা তা প্রতিদিন যাচাই করতে হবে। 

গ) সুস্থ মুরগির ঘরে উকুন আক্রান্ত মুরগি ঢুকতে দেয়া যাবে না। 

ঘ) একই ব্যক্তিকে সুস্থ ও আক্রান্ত মুরগির ঘরে কাজ করতে দেয়া যাবে না। 

ঙ) যে এলাকাতে প্রতিবছর উকুনের আক্রমণ দেখা দেয়, সে এলাকার মুরগির ঘরে মাঝে মধ্যে উকুননাশক স্পে করতে হবে।

চিকিৎসা: 

ম্যালাথিয়ন, কার্বারাইল, ফেনক্লোরোফস নামক কীটনাশক নির্দিষ্ট মাত্রায় পানিতে বা বালিতে মিশিয়ে গোসল বা ধূলিয়ান করতে দিতে হবে।

 

 

Content added By

৩.৪.৩.২ আঠালি 

আঠালি মুরগির দেহ থেকে রক্ত শোষণ করে। রক্ত শোষণের পর দেহ থেকে নিচে নেমে আসে। যৌন মিলনের পর মারা যায়। স্ত্রী আঠালি মুরগির ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ডিম দেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে ডিম ফুটে লার্ভা বের করে। লার্ভা থেকে লিম্ফ এবং লিম্ফ থেকে পূর্ণাঙ্গ আঠালিতে পরিনত হয়। রাতের বেলায় মুরগির দেহ থেকে রক্ত শোষণ করে। 

আঠালি আক্রমনে মুরগির দেহে যেসব লক্ষণ

১) আঠালি কর্তৃক মুরগির রক্ত শুষে খাওয়ায় মুরগির রক্তশুন্যতা দেখা দেয়।

২) মুরগির মধ্যে অস্থিরতা প্রকাশ পায়।

 

 

 

Content added By