এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

৪.১ মুরগির ডিম উৎপাদন ও সংগ্রহ (Best Production and collection)

লেয়ার খামারে ডিম উৎপাদনেই প্রধান লক্ষ। ডিম উৎপাদনকারী মুরগিকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে পালন করা হয়। লিটারে ডিমপাড়া মুরগি পালনের ক্ষেত্রে ময়লা ডিম ও মেঝেতে পাড়া ডিম সংগ্রহ করা মুরগি পালনের জন্য একটি বড় বাধা। এছাড়া মেঝেতে ডিম পাড়ার কারণে মুরগির ফ্রকে ডিম খাওয়ার অভ্যাস এবং মলদ্বার ঠোকরানো অভ্যাস দেখা দিতে পারে। এর ফলে খামারের প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। যদি ডিমপাড়া মুরগির পরে সঠিক সময়ে উপযুক্ত পরিমাণে বা সংখ্যায় ডিম পাড়া বাক্স স্থাপন করা যায়, তবে উপরোক্ত সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব ।

 

 

Content added || updated By

৪.১.১ লিটার পদ্ধতির ক্ষেত্রে(In the case of the Litter method): 

(ক) ডিম পাড়ার বাসা স্থাপন 

লিটার পদ্ধতিতে প্রতি ৪-৫ টি মুরগির জন্য ১টি ডিম পাড়ার বাক্স বরাদ করতে হবে, যার পরিমাপ হবে ১২ ইঞ্চি x ১২ ইঞ্চি x ১৪ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-উচ্চতা) । মুরগির ঘরের এক পার্শ্বে অন্ধকারযুক্ত স্থানে (কষ আলো) যেখানে মুরগিদের চলাফেরা কম প্রথম স্থানে ডিম পাড়ার বাক্স বসাতে হবে।

পুলেট মুরগির ডিম পাড়া শুরুর ৪-৫ সপ্তাহ পূর্বে মিটার ও মাচাতে পালিত মুরগির ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে উপযুক্ত পরিমাপের ৰাসা স্থাপন করতে হবে। ফলে মুরগিগুলো ডিম পাড়া বাসার সাথে পরিচিত হবে। চিত্র পাড়ার সমরে মুরগিগুলো একটি নিরিবিলি জারগা খোজে, যেখানে সে ঝামেলা ছাড়াই ডিম পাড়তে পারবে। যদি ডিম পাড়া বাসা ঝামেলামুক্ত ও আরামপ্রদ না হয় বা সংখ্যার অপর্যাপ্ত পরিমাণ ও পরিমাপে সঠিক না হয় তাহলে মুরগিগুলো ঘরের ছায়াযুক্ত কোথায় বা খাবার পাত্র বা পানির পাত্রের নিচে বসে ডিম পাড়ে। মেঝেতে ডিম পাড়ার সময় অন্য মুরগি তার ডিম্বনালির শেষ অংশ ঠোকর দিয়ে ডিম্বনালি বের করতে পারে। ডিম পাড়া অবস্থায় মুরগির মাথা বাইরের দিকে থাকবে।

 

(খ) ডিম পাড়ার বাসার আকর্ষণীয়তা: 

ডিম পাড়া শুরু করার পূর্বে মুরগির ঘরে ডিম পাড়ার বাসা স্থাপন করে বাক্সের মধ্যে শুকনো, নরম ও আরামদায়ক বিছানা তৈরি করতে হবে। তাতে মুরগির কাছে বাসাগুলো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে। আবার একইসাথে সব বাসায় খড়ের টুকরা দেওয়া উচিত না। বাসার ভেতর ডিম পাড়তে অভ্যস্ত করার জন্য পূর্ব থেকে কোনো সিদ্ধ ডিম বা কৃত্রিম ডিম রাখা যেতে পারে। রাতে বাক্সের দরজা বন্ধ রাখতে হবে ও সকালে দরজা খুলতে হবে।

(গ) মেঝেতে ডিম পাড়ার কারণসমূহ:

  • সঠিক সময়ে মুরগির ঘরে ডিম পাড়া বাক্স স্থাপন না করলে। 
  • কম পরিমাণে ডিম পাড়া বাসা স্থাপন করলে । 
  • ডিম পাড়া বাসার পরিমাপ সঠিক না হলে। 
  • বাসা ঘরের নির্জন শান্ত ছায়াযুক্ত স্থানে না হলে ।
  • বাসা যথেষ্ট গভীর ও আরামপ্রদ না হলে। 
  • ডিম পাড়ার বাসায় ব্যবহৃত লিটার দ্রব্যের ত্রুটি থাকলে । 
  • ডিম পাড়ার বাসার ধরন সঠিক না হলে । 
  • খাদ্য প্রদান সময় ।

উপরোক্ত বিষয়গুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মেঝেতে ডিম পাড়ার অভ্যাস কমানো যায় ৷

 

 

 

Content added By

৪.১.২ ডিম পাড়া বাক্স বা বাসা 

দুই ধরনের হয়, যথা- 

(ক) পৃথক বা একক বাক্স :

  • ভারী জাতের ক্ষেত্রে ১৪ ইঞ্চি×১০ইঞ্চি×১৪ইঞ্চি (দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-উচ্চতা) এবং হালকা জাতের ক্ষেত্রে ১২ইঞ্চি×১২ ইঞ্চি×১৪ইঞ্চি (দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-উচ্চতা) মাপের ১ টি বাক্সেই ৪-৫ টি মুরগি ডিম পাড়ার জন্য যথেষ্ট।
  • তবে ডিম পাড়া একক বাক্স বহুতল বিশিষ্ট করা যায়, সেক্ষেত্রে বাক্সের সামনে সমান্তরাল সিঁড়ি দিতে হয় ।
  • একক বাসা পাশাপাশি স্থাপন করা যায়। 
  • বাসা কাঠ বা আয়রন শিট দিয়ে তৈরি করা যায় ।
  • বাসার উপরিভাগে ঢালু থাকে, ফলে মুরগি বসে পায়খানা করে নোংরা করতে পারে না । 
  • বাসার সামনে মুরগির দাঁড়ানোর প্লাটফরম থাকে। রাত্রে প্লাটফরম ভাঁজ করে বাসায় ঢোকার রাস্তা বন্ধ করা যায় ।
  • রাত্রে বাসার ভেতর মুরগি বসতে পারলে ব্রুডি হতে পারে এবং পারখানার করে নোংরা করতে পারে।
  • ঘরের নির্জন ছায়াযুক্ত, ঠাণ্ডা ও পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল সম্পন্ন জায়গায় বাসা দিতে হবে। প্রয়োজনে বাসাগুলো সরানো যাবে।

খ) দলভিত্তিক বাক্স

  • বড় বাণিজ্যিক খামারে এই ধরণের বাক্স ব্যবহৃত হয়। ৫০টি ডিমপাড়া মুরগির জন্য ৬০ইঞ্চিx ২৪ইঞ্চি× ২৪ ইঞ্চি (দৈর্ঘ্য গ্রন্থ x উচ্চতা) যাগের ১টি দলভিত্তিক বাক্সই যথেষ্ট।
  • বাসার ভেতর এককভাবে ডিম পাড়ার জন্য কোনো পার্টিশন থাকে না। 
  • এই বাসার উভয় প্রাজ্ঞে মুরগি ঢোকার পথ থাকে। 
  • ডিম সংগ্রহের জন্য স্লাইডিং দরজা থাকে ।

গ) রোল ওয়ে বাসা: 

  • মুরগির খাঁচার মেঝের সামনে চালু তৈরি করা হয়। 
  • খাঁচার মেঝের উপর ডিম পাড়লে গড়িয়ে খাচার বাইরে চলে আসে।
  • পাঁচার বাইরে ডিম জমা হওয়ার ব্যবস্থা থাকে। 
  • যান্ত্রিকভাবে ডিম সংগ্রহের জন্য ২ সারিতে খাঁচা স্থাপন করা হয়।
  • উভয় সারির নিজ দিয়ে কনভেয়র বেল্ট থাকে। 
  • ডিম পড়িয়ে এই বেল্টের উপর পড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিম সংগ্রহ ঘরে চলে যায়।

 

 

 

Content added By

৪.১.৩ খাঁচা হতে ডিম সংগ্রহ (Collect eggs from the cage)

  • খাঁচায় লেয়ার পালন করলে ডিম পাড়ার জন্য আলাদা কোনো বাক্সের প্রয়োজন হয় না। 
  • মুরগি খাঁচায় মেঝেতেই ডিম পাড়ে। খাঁচার তল বা মেঝে এমনভাবে তৈরি করা থাকে যেন ডিম পাড়ার সাথে সাথেই গড়িয়ে সামনের দিকে চলে আসে।
  • ডিম গড়িয়ে আসার পর জমা হওয়ার জন্য খাঁচার সামনের দিকে বাড়তি তলের ধার বা কোনো উপরের দিকে বাঁকা করা থাকে। বাঁকা করা স্থানে এসে ডিম স্থির হয়। মুরগি এই ডিমের নাগাল পায় না ।
  • লিটার পদ্ধতির মতই দিনে ২-৩ বার ডিম সংগ্রহ করে ট্রেতে রাখতে হয়। 
  • এক্ষেত্রে ডিম পরিষ্কার থাকে । 
  • ডিম জমা হওয়ার স্থানে নরম প্যাড ব্যবহার করলে ডিমে ফাটল সৃষ্টি হয় না ।

অটোমেটিক বেল্টের মাধ্যমে এই পদ্ধতিতে ডিম সংগ্রহ করা যায়। সেক্ষেত্রে ডিম গড়িয়ে এসে বেল্টের উপর পড়ে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর বেল্ট ঘুরতে থাকে এবং ডিম নির্দিষ্ট স্থানে জমা হয় ।

 

 

 

Content added By

৪.১.৪ ডিম উৎপাদনে প্রভাব বিস্তারকারী বিষয়সমূহ (Factors affecting eggproduction )

মুরগির ডিম উৎপাদনের সাথে বা ডিম উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার সাথে যে বিষয়গুলো জড়িত সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ 

১. খাদ্য: 

খাদ্য উপাদানে পরিবর্তন ঘটলে, যেমন- খাদ্যে গম বা ভুট্টা প্রদান না করলে অথবা নতুন কোনো উপাদান হঠাৎ বেশি দিলে, খাদ্য সরবরাহ পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটলে যেমন, ম্যাশ খাবারের পরিবর্তে পিলেট খাবার প্রদান করলে, খাদ্য প্রদানের সময় পরিবর্তন করলে ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ডিম উৎপাদন কমে যেতে পারে। 

২. খাদ্যমানঃ 

খাদ্যের গুণাগুণ ভালো না হলে, প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্যে সব উপাদান না থাকলে এবং খাদ্যে কোনো দোষ দেখা দিলে আমিষ, শর্করা, ক্যালসিয়াম ইত্যাদির অভাব হলে ডিম উৎপাদন কমে যেতে পারে । 

৩. পানি: 

পর্যাপ্ত পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ কোনো কারণে বন্ধ থাকলে ডিম উৎপাদন কমে যায়।

৪. মেঝের জায়গা: 

ঘরে প্রয়োজন অনুযায়ী জায়গা কম থাকলে, মুরগির ঘনত্ব বেশি হলে বা গাদাগাদি হলে বা ঠোকরা-ঠুকরি করলে উৎপাদন ব্যাহত হয়। 

৫. তাপমাত্রাঃ 

অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা মুরগি সহ্য করতে পারে না। ঘরের তাপমাত্রা ৫০° ফা. এর কম বা ৮০° ফা. এর বেশি হলে ডিম উৎপাদন হঠাৎ কমে যেতে পারে বা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মুরগি সাধারণত ৭০° ফা. তাপমাত্রায় কাম্য হারে ডিম পাড়ে। 

৬. উত্তেজনা ও ভয়: 

মুরগি হঠাৎ স্থান পরিবর্তন করলে, এক ফার্ম থেকে অন্য ফার্মে নিলে, এমনকি এক ফার্মে অভ্যন্তরে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিলে, নতুন কোনো অতিথি দর্শনার্থী বা একসঙ্গে বেশি লোক, বন্য জীব জন্তু বা যানবাহন, অস্বাভাবিক শব্দ ইত্যাদি হতে আতঙ্কিত হয় বা ভয় পায়। ফলে ডিম উৎপাদন ব্যাহত হয় । 

৭. কুঁচে ভাব ও পালক বদলানো: 

মুরগির মধ্যে কুঁচে ভাব দেখা দিলে বা বছরের নির্দিষ্ট সময়ে পালক বদলালে উৎপাদন কমে যায়। পালক বদলানোর শুরুতে পালক বদলানো বন্ধ করার জন্য উচ্চ আমিষ যুক্ত খাদ্য প্রদান করতে হবে।

৮. রোগ-ব্যাধি: 

মুরগির ঝাঁকে কোনো রোগব্যাধি দেখা দিলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় বা কমে যায়। মুরগির মধ্যে কৃমি থাকলে এবং উকুন, মাইট ও টিকের আক্রমণ হলে এদের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায় এবং উৎপাদন কমে যায়। ককসিডিওসিস, রাণীক্ষেত, ইনফেকশাস ব্রংকাইটিস, এগড্রপ সিনড্রম ইত্যাদি রোগ হলে ডিমের সংখ্যা কমে যায়। 

৯. বংশগত দোষ : 

বংশগতভাবে কোনো কোনো মুরগির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের দোষত্রুটি থাকতে পারে। যেমন- কিছু মুরগি ২-৩ দিন পর পর ডিম দেয়। আবার কিছু মুরগি আছে দীর্ঘদিন পর পর ডিম দেয়। 

১০. আলো নিয়ন্ত্রণ: 

ডিমপাড়া মুরগির ঘরে ১৬ ঘণ্টা আলো প্রদানের পরিবর্তে কম আলো প্রদান করলে ডিম উৎপাদন আশানুরূপ হয় না । 

১১. মুরগির বয়সঃ 

সাধারণত ১৯-২০ সপ্তাহ বয়সে মুরগি ডিম দিতে শুরু করে এবং ১৮ মাস বয়স পর্যন্ত একটানা গড়ে ৭৫- ৮৫% ডিম দিয়ে থাকে। মুরগির ব্যস বেশি হলে ডিম উৎপাদন কমে যায় ৷

১২. ঋতু পরিবর্তন: 

শীতকাল খামার মালিকদের জন্য অধিক লাভের জন্য উপযুক্ত সময়। গ্রীষ্মকালের চেয়ে শীতকালে মুরগি অধিক ডিম দিয়ে থাকে । 

১৩. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাঃ 

খামারে জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিয়ম শৃঙ্খলাগুলো মেনে না চললে বা সার্বিক পরিচ্ছন্নতার অভাব ঘটলে উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে । 

১৪. ডিম পাড়া বাক্স: 

ডিমপাড়া বাক্স যদি পর্যাপ্ত সংখ্যায় না থাকে তবে মুরগির ডিম উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে এবং মেঝেতে ডিমপাড়ার হার বেড়ে যাবে । 

১৫. খাবারের পরিমাণ: 

খাবারের পরিমাণ যদি বেশি হয় তবে ফ্যাটি লিভার সিন্ড্রম দেখা যায়। ফলে ডিমের সংখ্যা প্রচন্ডভাবে কমে যায়। খাবারের পরিমাণ যদি কম হয় তাহলেও ডিমের সংখ্যা কমে যাবে। খাবারের পরিমাণ সঠিকভাবে দিলে এবং প্রোটিনের ভাগ যদি ঠিক থাকে তাহলে ডিমের সংখ্যা আবার বেড়ে যাবে । 

১৬. মুরগির দেহে হরমোনের অভাব হলে ডিম উৎপাদন কমে যায় ।

 

 

 

Content added || updated By

৪.১.৫ ডিমের অস্বাভাবিকতা (Egg abnormalities): 

মুরগির ডিম সব সময় একই আকার আকৃতির হয় না। ভিতর ও বাইরের গঠনে কিছু পরিবর্তন বা অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। যেমন-

(১) দ্বিকুসুম ডিম: 

একটি ডিমের মধ্যে ২টি কুসুম থাকে, ফলে ডিমটি আকারে অনেকটা বড় হয়। এই ডিম ফুটানো যায় না ৷ 

(২) রক্ত ছিটা ডিম: 

ডিম্বাশয় বা ডিম্বনালিতে রক্তক্ষরণের ফলে ডিমের মধ্যে বিভিন্ন অংশে অনেক সময় কিছুটা জমাট রক্ত দেখা যায়। এ ডিম খেলে ক্ষতি নেই।

(৩) চান ডিম/ খোসা বিহীন ডিমঃ 

খাদ্য ক্যালসিয়ামের অভাব বা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অনুপাত সঠিক না থাকলে পর্দার মতো পাতলা খোসাযুক্ত ডিম হতে পারে।

(৪) কুসুমবিহীন ছোট ডিমঃ 

শরীরের কোন পদার্থ বা জমাট রক্ত যদি কোন কারণে ডিম্বনালির ভিতরে প্রবেশ করে এবং এটি যদি কুসুমের মতোই ডিম্বনালির বিভিন্ন অংশের মধ্যে দিয়ে চলে আসে , তাহলে ঐ পদার্থটি ঘিরে ডিমের অন্য সব অংশ তৈরি হবে। 

(৫) ডিমের ভেতর ডিম:

যদি একটি পূর্ণাঙ্গ ডিম কোনো কারণে ডিম্বনালিতে শেষ প্রাপ্ত থেকে পুনরার প্রথম প্রান্তে যার এবং আগের মত শেষ প্রান্তে নামতে থাকে, তবে ঐ ডিমের উপর ডিম্বনালি হতে ডিমের সাদা অংশ, খোসা ইত্যাদি সৃষ্টি হবে। ফলে ডিমের মধ্যে ডিম দেখা দিবে।

(৬) শ্বেত কুসুম ডিম:

মুরগির রক্তক্ষন্যতা বা রক্তস্বল্পতা বা মুরগি রোগাক্রান্ত হলে ডিমের কুসুম হলদে না হয়ে সাদা হতে পারে । কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খাদ্যে হলুদ রং সৃষ্টিকারী খাদ্যোপদানের অভাব হলে ডিমের রং সাদা হয়।

 

 

 

Content added By

৪.১.৬ খামার থেকে দৈনিক ডিম সংগ্রহ

  • শীতের সময় সকাল ১০-১১ টা ও বিকাল ৪.০০-৪.৩০ টার সময় ডিম সংগ্রহ করতে হয়। 
  • গরমের সময় সকাল-বিকাল ছাড়াও দুপুরে আরও একবার ডিম সংগ্রহ করতে হয়।
  • ডিম সংগ্রহের সময় বাক্সে ১টি ডিম রাখতে হয়। 
  • সন্ধ্যাবেলা বাসায় কোনো ডিম না রেখে সকালে বাসার দরজা খোলার সময় একটি করে ডিম রাখা যায়।
  • ডিম পাড়ার প্রাথমিক অবস্থায় মুরগিগুলো মেঝেতে ডিম পাড়লে তা প্রতি ১ ঘন্টা পর পর সংগ্রহ করতে হবে এবং ঐ মুরগিগুলোকে চিহ্নিত করে ডিম পাড়ার বাক্সে তুলে দিয়ে বাক্সে ভিম পাড়ার অভ্যাস করাতে হবে।

 

 

Content added By