এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

১.২ হাঁসের বাচ্চা ব্রুডিং

সাধারণত হাঁসের বাচ্চাকে নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত তাপ দিয়ে লালন-পালন করাকে ব্রুডিং বলে। শীতকালে ৪-৫ সপ্তাহ এবং গ্রীষ্মকালে ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত হাঁসের বাচ্চার ব্রুডিং করতে হয়। বাচ্চার দেহে তাপ নিয়ন্ত্রণের কলা কৌশল বৃদ্ধি পায় না বলে ব্রুডিং করতে হয়ে।

দু'ভাবে তাপ প্রদান করে হাঁসের বাচ্চা ব্রুডিং করা যায়। 

ক) প্রাকৃতিক নিয়মে অর্থাৎ ক্রডিহাস/মুরগির সাহায্যে তাপ প্রদানের মাধ্যমে ব্রুডিং । 

খ) কৃত্রিম উপায়ে অর্থাৎ বৈদ্যুতিক হিটার, বৈদ্যুতিক বাল্ব, কেরোসিনের বাতি ইত্যাদির মাধ্যমে তাপ প্রদানের মাধ্যমে ব্রুডিং ।

ব্রুডিং এর সুফল-

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠে। 
  • বিভিন্ন পীড়ণ থেকে সুরক্ষিত রাখে। 
  • সমস্ত বাচ্চা সমানভাবে বেড়ে ওঠে। 
  • সঠিক শারীরিক গঠন হয়। 
  • বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করা যায়। 
  • ঠান্ডা, গরম, বৃষ্টি, প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে বাচ্চাকে রক্ষা করা যায়।

প্রাকৃতিক নিয়মে হাঁসের বাচ্চার ব্রুডিং 

গ্রামাঞ্চলে হাঁসের ডিম ফোটানোর জন্য ব্রুডি মুরগি নির্বাচন করা হয়, কারণ হাঁস ডিমে তা দেওয়ায় কম অভ্যন্ত। একটি মুরগি ১০-১৫ টি হাঁসের ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটাতে পারে। বাচ্চা ফোটার পর প্রথমে মুরগিকে বাচ্চাসহ কয়েকদিন বন্ধ ঘরে রেখে খাবার ও পানি প্রদান করতে হবে। ৫-৭ দিন পর একটি সীমাবদ্ধ এলাকায় বাচ্চাসহ মুরগিকে ছাড়া যেতে পারে।

মুরগির সাথে বাচ্চাগুলো বাইরে ছেড়ে দেয়ার পর যদি বাচ্চাগুলো ঠাণ্ডা অনুভব করে তবে মুরগির পাখার নিচে চলে আসে এবং তাপমাত্রা নিরাশ করে। যদি পরিবেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে তবে বাচ্চাগুলো মুরগির সাথে স্বাভাবিকভাবে ঘুরে বেড়ায় ও খাদ্য গ্রহণ করে। যদি তাপমাত্রা বেশি অনুভব করে তবে বাচ্চাগুলো মুরগির সাথে গাছের ছায়ার নিচে চলে যায় এবং বেশি করে পানি গ্রহণ করতে চায়। ২-৩ সপ্তাহ পর বাচ্চার সঙ্গে মুরগি রাখার আর প্রয়োজন হয় না। তারপর থেকে বাচ্চাগুলোকে পানিতে ছেড়ে দিয়ে সাঁতার কাটার অভ্যাস করাতে হয় ।

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ

  • ব্রুডিং কাকে বলে? 
  • সাধারণত কত সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত হাঁসের বাচ্চাকে ঐটি করতে হয়। 
  • ব্রুডিং এর সুফল লেখ। 
  • প্রাকৃতিক উপায়ে হাঁসের বাচ্চার ত্রুটিং বর্ণনা কর। 
  • হাঁসের বাচ্চাকে কখন সাতার কাটার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়।

 

 

Content added By