এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

২.২ সুষম খাদ্য 

যে সব খাদ্য মিশ্রণে হাঁসের দৈহিক প্রয়োজন মিটানো ও উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত পরিমাণ ও সঠিক অনুপাতে সব পুষ্টি উপাদান থাকে সেই খাদ্য মিশ্রণকে সুষম খাদ্য বলা হয় ।

সুষম খাদ্যের সুফল-

  • পরিমানমত খাদ্য গ্রহণ করে । 
  • শারীরিক বৃদ্ধি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়ে থাকে । 
  • মাংস বৃদ্ধি ঘটে 
  • ডিম পাড়ার সংখ্যা বেড়ে যায়। 
  • ডিমের আকার বড় হয় । 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।

সুষম খাদ্যের বৈশিষ্ট্য-

  • একটি হাঁসের বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি থাকতে হবে। 
  • সুষম খাদ্যে সাধারণত গড়ে ৫০-৬০% শর্করা, ২০% আমিষ এবং ১৫-২৬% চর্বি থাকতে হবে। 
  • পৌষ্টিক নালীর পেরিস্টলিক ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও ছোবড়া ভুষি অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।
  • সুষম খাদ্যে অবশ্যই খনিজ পদার্থ যেমন; ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সোডিয়াম ও পটাশিয়াম থাকতে হবে ।
  • সুষম খাদ্যে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পরিমাণে পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। 
  • সুষম খাদ্য অবশ্যই সহজপ্রাচ্য হতে হবে।
  • সুষম খাদ্য উপাদান সহজলভ্য ও আনুপাতিক হারে সন্তা হতে হবে।

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ

  • খাদ্য কাকে বলে? 
  • হাঁসকে খাওয়ানোর উদ্দেশ্য লেখ। 
  • সুষম খাদ্যের সুফল লেখ। 
  • সুষম খাদ্যের বৈশিষ্ট্য লেখ।

 

 

Content added By

Promotion