এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

৩.১ হাঁসের রোগের সংজ্ঞা ও শ্রেণিবিভাগঃ

রোগের সংজ্ঞা, পর্যাপ্ত খাদ্য ও উপযুক্ত পরিবেশ দেয়ার পরও যদি শরীরে অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয় তবে তাকে রোগ বলে।

হাঁসের রোগ প্রধানত ২ (দুই) ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: 

১. সংক্রামক রোগ 

২. অসংক্রামক রোগ

১. সংক্রামক রোগ 

যে রোগ জীবাণু বা জীবিত বস্তধারা সংঘটিত হয় তাকে সংক্রামক রোগ বলে। যেমন : হাঁসের কলেরা, ডাকপ্লেগ ইত্যাদি।

সংক্রামক রোগ দুই প্রকারের। যথা: ছোঁয়াছে ও অছোঁয়াছে রোগ ।

যে রোগ আক্রান্ত হাঁসের সংস্পর্শে আসলেই সুস্থ হাঁসটি অসুস্থ হাঁসটির রোগে আক্রান্ত হয় তাকে ছোঁয়াছে রোগ বলে। 

যে রোগ আক্রান্ত হাঁসের সংস্পর্শে আসলেও সুস্থ হাঁসটি অসুস্থ হাঁসটির রোগে আক্রান্ত হয় না তাকে অছোঁয়াছে রোগ বলে।

 

২. অসংক্রামক রোগ: 

জীবাণু ছাড়া যে রোগ সংগঠিত হয় তাকে অসংক্রামক রোগ বলে । অসংক্রামক রোগ তিন প্রকার। যথা : 

১. আঘাতজনিত রোগ 

২. অপুষ্টিজনিত রোগ 

৩. বিষক্রিয়াজনিত রোগ ।

অন্যভাবে হাঁসের রোগকে সাধরণত ৫ ভাগে ভাগ করা যায়, যথা : 

১. ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ : যেমন- হাঁসের কলেরা। 

২. ভাইরাসজনিত রোগ : যেমন-ডাক প্লেগ ও হেপাটাইটিস । 

৩. ছত্রাকজনিত রোগ : যেমন- এসপারজিলোসিস। 

৪. অপুষ্টিজনিত রোগ : যেমন- প্যারালাইসিস, রিকেট, রাতকানা ইত্যাদি । 

৫. পরজীবজনিত রোগ : যেমন- কৃমি, আঠাঁলি ইত্যাদি।

 

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ

  • রোগ কাকে বলে? 
  • হাঁসের রোগের শ্রেণিবিন্যাস লেখ। 
  • একটি সুস্থ হাঁসের ৫টি লক্ষণ লেখ। 
  • কীভাবে তুমি একটি অসুস্থ হাঁস চিহ্নিত করবে?

 

 

 

Content added By