এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

কোয়েলের প্রজনন ব্যবস্থা

কোয়েলের ডিম ৮-১০ সপ্তাহ বয়সে সকল ঋতুতেই পুনরুৎপাদন কাজে ব্যবহার করা যায়। শুধু মাত্র ডিম ফুটাতে চাইলে স্ত্রী এবং পুরুষ কোয়েল একত্রে রাখার প্রয়োজন। ডিমের জন্য স্ত্রী কোয়েল পালন অধিক লাভজনক। আশানুরূপ ডিমের উর্বরতা পেতে হলে ২:১, ৫:২ বা ৩:১ অনুপাতে স্ত্রী এবং পুরুষ কোয়েল একত্রে রাখতে হবে। অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে ৩:১ অনুপাত অপেক্ষাকৃত ভালো। স্ত্রী কোয়েলের সাথে পুরুষ কোয়েল রাখার ৪ দিন পর থেকে বাচ্চা ফোটানোর ডিম সংগ্রহ করা উচিত। স্ত্রী কোয়েল থেকে পুরুষ কোয়েল আলাদা করার পর তৃতীয় দিন পর্যন্ত ফোটানোর ডিম সংগ্রহ করা যায় ৷

স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের আবহাওয়ায় কোয়েল ৬-৭ সপ্তাহ বয়সে ডিম পাড়া শুরু করে। ৮-১০ সপ্তাহ বয়সে ৫০% ডিম পাড়ে এবং ১২ সপ্তাহের পর থেকে ৮০% ডিম পাড়ে। উপযুক্ত পরিবেশে প্রথম বছর গড়ে ২৫০-৩০০ টি ডিম পাড়ে। কোয়েল ডিমের উর্বরতা স্বাভাবিক অবস্থায় শতকরা ৮২-৮৭ ভাগ। ডিমপাড়া শুরুর প্রথম দুই সপ্তাহের ডিম ফোটাতে বসানো উচিত নয়। ৫০ সপ্তাহের অধিক বয়সের কোয়েলের ডিমের উর্বরতা এবং ফোটার হার কম। ডিমের ওজন স্ত্রী কোয়েলের দৈহিক ওজনের ৮%। কোয়েল এক বাণিজ্যিক বছরের অধিককাল পালন করা উচিত নয়। আন্তঃপ্রজনন যাতে না হয় সে জন্য নিকট সম্পর্কযুক্ত কোয়েলের মধ্যে মিলন ঘটানো যাবে না ।

 

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ

  • অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে স্ত্রী কোয়েলের সাথে পুরুষ কোয়েল রাখার অনুপাত কত? 
  • স্ত্রী কোয়েলের সাথে পুরুষ কোয়েল রাখার কত দিন পর থেকে বাচ্চা ফোটানোর ডিম সংগ্রহ করা উচিত ব্যাখ্যা কর ।

 

 

Content added || updated By