এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

ব্রুডিংকালীন খাদ্য, পানি ও আলোক ব্যবস্থাপনা

ব্রুডিংকালীন সময়ে খাদ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা : 

টার্কির সুস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধের জন্য সুষম খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি জীবাণুমুক্ত ও রাসায়নিক পদার্থমুক্ত হতে হবে।

  • টার্কি বাচ্চা হ্যাচারি থেকে আনার পর গ্লুকোজ, পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বা ডাব্লিউ এস এবং ভিটামিন সি মিশ্রিত পানি খেতে দিতে হবে। এক্ষেত্রে- গ্লুকোজ = ২৫ গ্রাম ১ লিটার পানিতে ডাব্লিউ এস = ১ গ্রাম ২ লিটার পানিতে ভিটামিন সি = ১ গ্রাম ৩ লিটার পানিতে ব্রুডারে পূর্ব থেকে পাত্রে পানি প্রদান করা হয়।
  • ভিটামিন মিশ্রিত পানি পানে বাচ্চার ভ্রমণকালীন সময়ে পীড়ন হ্রাস পাবে, পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করবে এবং খাদ্য পরিপাক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
  • ভিটামিন মিশ্রিত পানি পান করার ৩ ঘন্টা পরে বাচ্চার জন্য তৈরিকৃত খাদ্য অল্প পরিমানে ট্রেতে সরবরাহ করতে হবে ।
  • কোন বাচ্চা পানি পান করতে না পারলে হাতে ধরে পানি পান করাতে হবে । 
  • খাদ্য প্রদানের পূর্বে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে প্রতিটি বাচ্চা সুষ্ঠুভাবে পানি পান করেছে । 
  • প্রথম ১-৪ দিন পর্যন্ত লিটারে ট্রে পাত্রের পাশাপাশি ট্রাফ পাত্রে খাবার দিতে হবে । 
  • ৪র্থ দিনের পর মেঝেতে বিছানো খাদ্য তুলে ফেলতে হয় । খাদ্য কখনই ব্রুডারের নিচে ছিটানো উচিত নয় ।
  • ব্রয়লার বাচ্চার প্রাথমিক খাদ্য বা স্টার্টার রেশন হিসাবে ক্রাম্বল খাদ্য ব্যবহার করা হয় । 
  • খাদ্য দেওয়ার সময় কখনও পাত্র পরিপূর্ণ করে দেওয়া ঠিক না । পাত্রের অর্ধেক বা এক তৃতীয়াংশ খালি রাখলে অপচয় কম হয় ।
  • প্রথম দিন ১৫ ঘন্টা পর্যন্ত বাচ্চাদের গ্লুকোজ মিশ্রিত পানি দিতে হয় । 
  • দিনের খাদ্য ২ বা ৩ ভাগে ভাগ করে সকালে-বিকালে বা সকালে-দুপুরে ও বিকালে দেওয়া যেতে পারে ।
  • প্রতিদিন একই সময় খাবার প্রদান করতে হবে । 
  • প্রতিদিন পানির পাত্র পরিষ্কার করতে হয় ও বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি সরবরাহ করতে হয় । 
  • সাধারন তাপমাত্রায় বাচ্চা দৈনিক যে পরিমান খাদ্য খায়, তার দ্বিগুণ পানি খায় । 
  • বাচ্চা যাতে প্রথম ৩ সপ্তাহ সব সময় পেট ভরে খেতে পারে- সেটা খেয়াল রাখতে হবে । 
  • এরপর দিনে ৪/৫ বার করে খাদ্য দিতে হবে । ২ ঘন্টার বেশি সময় যেন খাদ্য পাত্র খালি না থাকে।
  • সরবরাহকৃত পানি বিশুদ্ধকরণে ব্লিচিং পাউডার বা ৩ পিপিএম ক্লোরিন ব্যবহার করা যেতে পারে । তবে ভ্যাকসিন ও ভিটামিন পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগের সময় ব্লিচিং পাউডার পানিতে মেশানো যাবে না ।

টার্কি মুরগির বাচ্চা পালতে যা জানতে হয়: বাচ্চার শরীরে লোম পড়ে নতুন পালক না গজানো পর্যন্ত তারা শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর পর ৬-৮ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত তাপের ব্যবস্থাসহ বাচ্চাকে সর্বাধিক যত্ন নিতে হয়।

 

 

Content added By