এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

৪.৩ কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি (Recovery) করা

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা রিকভারি কি এবং রিকভারি করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারব।

রেফ্রিজারেন্ট রিকভার

রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি বলতে এমন একটি পদ্ধতিকে বোঝানো হয় যাতে একটি রেফ্রিজারেশন বা এয়ার- কন্ডিশনিং ইউনিট থেকে নিরাপদে যতটুকু সম্ভব রেফ্রিজারেন্ট বের করে অন্য কোন নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা। 

রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করার পদ্ধতি

যেসব ইউনিটে ক্ষতিকারক রেফ্রিজারেন্ট আছে, কিন্তু সেটি ভালভাবেই চলছে সেসব ইউনিটে রিকভারি করার প্রয়োজন নেই। তবে যদি এমন হয় যে, এরকম কোন ইউনিটে ইলেকটিক্যাল সমস্যা হয়েছে, তাইলেও রিকভারি করার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র তখনই রিকভারি করতে হবে যখন ইউনিটের মেকানিক্যাল অংশে কাজ করার প্রয়োজন পরবে (যেমন: কম্প্রেসর, কন্ডেন্সার, ইভাপোরেটর বা অন্য কোন মেকানিক্যাল অংশ পরিবর্তন অথবা ইউনিটের মেকানিক্যাল অংশের মেরামত)। আর রিকভারি করার পর ঐ রেফ্রিজারেন্ট আর নতুন কোন ইউনিটে ব্যবহার করা যাবে না। নিরাপদে সংরক্ষন করতে হবে ও পরবর্তীতে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা এমন ভাবে বিনষ্ট করতে হবে যাতে তা পরিবেশের ক্ষতি করতে না পারে। এখন প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে যে ইউনিট থেকে রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করা হয় ঐ ইউনিটের কি হবে? ঐ ইউনিটে রিপ্লেসমেন্ট রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে নতুবা রেট্রোফিট (Retrofit) করতে হবে। কেননা আগের রেফ্রিজারেন্ট আর বাজারে নতুন করে পাওয়াই যাবেনা। কারন ঐ রেফ্রিজারেন্ট ক্ষতিকারক ছিল বলেই ভা ফেজ আউট (Phase out) হয়েছে।

আগের অধ্যায়গুলোতে আমরা রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনারে রিকভারি করার দক্ষতা অর্জন করেছি। এই অধ্যায়ের ব্যবহারিকের মাধ্যমে আমরা ওয়াটার কুলারের রিকভারি করার দক্ষতা অর্জন করব ।

 

Content added By