এসএসসি(ভোকেশনাল) - উইভিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

ডাইং হচ্ছে টেক্সটাইল সামগ্রীকে পরিকল্পনা অনুযায়ী রং করা এবং সে রং ফুটিয়ে তুলতে এক বা একাধিক বর্ণের সমাহারও হতে পারে । ডাইং বিভিন্ন সেডে হতে পারে এবং ফাইবারের প্রকৃতি অনুসারে বিভিন্ন কাপড়ে বিভিন্ন ডাইং হয়ে থাকে।

ডাইং এমন একটি পদ্ধতি যার দ্বারা টেক্সটাইল সামগ্রীর বাহ্যিক রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন সাধিত হয়। ডাইং পদ্ধতিতে টেক্সটাইল সামগ্রীর গুণাগুণের পরিবর্তনের ফলে বস্তুতে আলো আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর বস্তুটি রঙিন দেখায়।

এখানে টেক্সটাইল সামগ্রী বলতে আঁশ (Fibre), সুতা (Yarn) এবং কাপড় (Fabric) কে বুঝায় । ডাইং, কালার ও ডাই-এর সংজ্ঞা (Definition of Dyeing, Colour & Dye )

ডাইং (Dyeing) 
যে প্রক্রিয়া দ্বারা ফাইবার, সুতা অথবা কাপড়ে অর্থাৎ টেক্সটাইল সামগ্রীর উপর রং প্রবেশের (পেনিট্রেশনের) মাধ্যমে বাহ্যিক ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন সাধন করে যা আপতিত আলো প্রতিফলনের ফলে রঙিন দেখায় সে পদ্ধতিকেই ডাইং (Dyeing) বলে।

ডাই (Dye) 
যে সকল পদার্থের মধ্যে ক্রোমোফোর (Chromophore) অর্থাৎ রং বহনকারী অংশ ও অক্সোক্রম (Auxochrome) গ্রুপ অর্থাৎ দ্রবণীয় করার অংশ বিদ্যমান তাকে ডাই বলে। এর মধ্যে ক্রোমোফোর হলো কালার বহনকারী গ্রুপ অর্থাৎ এই গ্রুপ কোন পদার্থের অণুতে বিদ্যমান থাকলে সে পদার্থ যে কোনো কালার প্রকাশ করবে আবার অক্সোক্রম হলো উক্ত পদার্থের দ্রবণীয় অংশ অর্থাৎ অক্সোক্রম থাকার কারণে ডাই পানিতে বা অন্য কোন তরল পদার্থে দ্রবীভূত হয় ।

কাজেই ডাই হলো এমন একটি রঙিন পদার্থ যা পানি বা অন্য কোন তরল পদার্থ সহযোগে টেক্সটাইল সামগ্রীতে প্রয়োগ করলে বিভিন্ন ধরনের রঙিন সেডের সৃষ্টি হয় ।

কালার (Colour) 
কালার হলো আলোর প্রতিফলিত রূপ বা এক প্রকার অনুভুতি । কোন বস্তুর উপর আলো আপতিত হলে বস্তুটি কিছু কিছু আলো শোষণ করে এবং কোন কোন আলো প্রতিফলিত করে। এ প্রতিফলিত আলো যখন মানব চোখ ৪২০°∈ মাইক্রোওয়েভ লেংথ (Lengh) এর মধ্যে আসে, তখন আমরা ঐ বস্তুকে প্রতিফলিত কালার রূপে দেখে থাকি। যদি বস্তুটি সম্পূর্ণ আলো প্রতিফলিত করে তখন সেটি সাদা দেখায়। অর্থাৎ বস্তুর মধ্যে আপতিত আলোর বিচ্ছুরণ, প্রতিসরণ ও প্রতিফলিত আলো দ্বারা সৃষ্ট এক বিশেষ ধরনের চাক্ষুস অনুভূতিই কালার ।

ডাইং এর উদ্দেশ্য (Objectives of Dyeing) 
০ টেক্সটাইল সামগ্রীকে চাহিদা অনুযায়ী সম্পূর্ণ অংশে সমানভাবে রং করা। 
০ কাপড়ের বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে আকর্ষণীয় করে তোলা ।
০ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রিন্টিং এর পূর্বে সম্পূর্ণ কাপড়কে রং করে প্রিন্টিং এর উপযোগী করে তোলা । 
০ ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলা ।


ডাই-এর শ্রেণি বিভাগ (Classification of Dye) 
ডাইকে নিম্নলিখিত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়- 
১. ডাইরেক্ট ডাই (Direct Dye) 
২. বেসিক ডাই (Basic Dye) 
৩. এসিড ডাই (Acid Dye) 
৪. রিঅ্যাকটিভ ডাই (Reactive Dye) 
৫. ডিসপার্স ডাই (Dispense Dye) 
৬. ভ্যাট ডাই (Vat Dye) 
৭. সালফার ডাই (Sulpher Dye)
৮. পিগমেন্ট ডাই (Pigment Dye ) 
৯. মরডান্ট ডাই (Mordant Dye ) 
১০. অ্যাজোইক ডাই (Azoic Dye ) 
১১. অ্যানিলিন ডাই (Aniline Dye ) 
১২. মিনারেল ডাই (Mineral Dye )

ডাইং মেশিন (Dyeing machine ) 
দুইটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ডাইং মেশিনের শ্রেণি বিভাগ করা হয় 
ক) মেটারিয়াল টাইপ (Material type) 
খ) মেটারিয়াল ও লিকার মুভমেন্ট (Material & Liquor movement )

মেটারিয়াল টাইপ এর উপর ভিত্তি করে ডাইং মেশিন প্রধানত ৪ প্রকার। যথা- 
১. লুজ স্টক ফরম ডাইং মেশিন (Loose stock form dyeing machine ) 
২. হ্যাংক ফরম ডাইং মেশিন (Hank form dyeing machine ) 
৩. প্যাকেজ ফরম ডাইং মেশিন (Package form dyeing machine)
৪. ফেব্রিক ফরম ডাইং মেশিন (Fabric form dyeing machine )

ফেব্রিক ফরম এ ডাইং করার জন্য নিম্ন বর্ণিত শ্রেণির মেশিন রয়েছে। 
১. জেড ডাইং মেশিন (Zet dyeing machine ) 
২. জিগার ডাইং মেশিন (Zigger dyeing machine) 
৩. উইন্স ডাইং মেশিন (Winch dyeing machine) 
৪. সলভেন্ট ডাইং মেশিন (Solvent dyeing machine ) 
৫. হাই প্রেসার ডাইং মেশিন (High pressure dyeing machine) 
৬. প্যাড ডাইং মেশিন (Pad dyeing machine)

মেটারিয়াল ও লিকার মুভমেন্টের উপর ভিত্তি করে ডাইং মেশিন তিন প্রকার । যথা- 
১. মেটারিয়াল মুভ (Material Move ) 
ক) জিগার ডাইং মেশিন (Zigger dyeing machine) 
খ) উইন্স ডাইং মেশিন (Winch dyeing machine) 
২. লিকার মুক্ত (Liquor Move ) 
ক) প্যাকেজ ডাইং মেশিন (Package dyeing machine) 
খ) হ্যাঙ্ক ডাইং মেশিন (Hank dyeing machine ) 
৩. মেটারিয়াল ও লিকার মুভমেন্টের (Material and liquor movement ) 
ক) জেড ডাইং মেশিন (Zet dyeing machine)

কাপড় রং করার প্রয়োজনীয়তা 
০ গ্রে রং বিহীন কাপড়কে রং করে এর উজ্জলতা বৃদ্ধি করা । 
০ বাহ্যিকভাবে কাপড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ ও আকর্ষণীয় করা। 
০ অভিজাতপূর্ণ রং এর মাধ্যমে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। 
০ ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী রং বিহীন কাপড়কে রং করা । 
০ সর্বোপরি কাপড় রং করে রপ্তানী উপযোগী করা

বিভিন্ন ডাই-এর ধারণা 
ডাইরেক্ট ডাই (Direct Dye ) 
যে সকল ডাই-এর ফাইবারের প্রতি সরাসরি আকর্ষণ আছে, সরাসরি প্রয়োগ করার জন্য কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন নেই তাকে ডাইরেক্ট ডাই বলে। 
প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উভয় প্রকার সেলুলোজ আঁশের প্রতি এ শ্রেণির ডাই-এর তীব্র আসক্তি ও রঞ্জন ক্ষমতা উল্লেখ করার মতো। কঠিন ও বিভিন্ন ধরনের ফাইবার যেমন- ভিসকোস, কিপ্রোমোনিয়াম ইত্যাদি রং করার ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়। কিন্তু সেলুলোজিক ফাইবারের প্রতি এ ডাই-এর আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। কাজেই কখনও কখনও এটাকে সাবস্ট্যান্টিভ ডাই (Substantive dye) বা ডাইরেক্ট কটন কালারও বলা হয়ে থাকে।

ডাইরেক্ট ডাই-এর বৈশিষ্ট্য 
০ ডাইরেক্ট ডাই খুব সহজেই প্রয়োগ করা যায় এবং দামেও অনেক সস্তা । 
০ এটি পানিতে অদ্রবণীয়। 
০ ফাইবারের প্রতি এর আসক্তি প্রবল। 
o সাধারণত সেলুলোজিক ফাইবারের প্রতি এর প্রবল আকর্ষণ রয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রোটিন ফাইবার রং করতেও এটি ব্যবহার করা হয়। 
০ আলোতেও ধৌত করলে এর রং ছেড়ে দেয় । 
০ পরিশেষে ক্রিয়া ( After treatment) ছাড়া এর রং পাকা হয় না। 
০ ডাইরেক্ট ডাই এসিড ডাই-এর মতোই সালফোনিক বা কার্বক্সিলিক এসিডের সোডিয়াম লবণ । 
০ এ ডাই দ্বারা বিভিন্ন ধরনের কালার শেড তৈরি করা যায় ।

ডাইরেক্ট ডাই-এর শ্রেণি বিভাগ (Classification of Direct dye ) 
প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে ডাইরেক্ট ডাইকে নিম্নলিখিতভাবে ভাগ করা যায়- 
১। ক্লাস-এ : সেলফ লেভেলিং ডাইরেক্ট ডাই (Class- A: Self Leveling Direct Dye ) 
২। ক্লাস-বি : সেলফ কন্ট্রোলেবল ডাইরেক্ট ডাই (Class B Self Controllable Direct Dye) 
৩। ক্লাস-সি : তাপমাত্রা কন্ট্রোলেবল ডাইরেক্ট ডাই (Class - C : temperaure Controllable Direct Dye)

ডাইরেক্ট ডাই-এর বর্ণনা -
১। ক্লাস-এ : সেলফ লেভেলিং ডাইরেক্ট ডাই (Class - A: Self Leveling Direct Dye ) 
এ ক্লাসের ডাই-এর খুব উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লেভেলিং ক্ষমতা আছে। কোন প্রকার লেভেলিং এজেন্ট ছাড়াই এ শ্রেণির ডাই-এর ফাইবারের স্থানান্তর বা পক্রিমণ করা সম্ভব। 

২। ক্লাস-বি সেলফ কন্ট্রোলেবল ডাইরেক্ট ডাই ( Class- A Self Controllable Direct Dye ) 
ক্লাস-এ এর ন্যায় এ শ্রেণির ডাই-এর লেভেলিং ক্ষমতা নেই বিধায় এগুলোর লেভেলিং ক্ষমতা মোটামুটি নিম্ন পর্যায়ে । তবে লবণ ব্যবহারের মাধ্যমে এ শ্রেণির ডাই-এর শোষণ ক্ষমতা ও লেভেলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায় । 

৩। ক্লাস-সি : তাপমাত্রা কন্ট্রোলেবল ডাইরেক্ট ডাই ( Class-C : temperature Controllable Direct Dye) - 
শ্রেণি বি এর ন্যায় এ শ্রেণির ডাইগুলোরও লেভেলিং ক্ষমতা খুবই কম। কেবল লবণ দ্বারা এর শোষণ ক্ষমতা বা লেভেলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। লবণ ব্যবহারের পাশাপাশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এ শ্রেণির ডাই-এর শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব ।

রং-করণ প্রণালি 
প্রথমে যে ম্যাটারিয়ালসকে রং করতে হবে তার ওজন নিতে হবে। অভগর রেসিপি অনুযায়ী অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে পেস্ট তৈরি করা হয়। পেস্ট এর জন্য ব্যবহার পানি মোট ২০ গুণ পানি থেকেই নিতে হবে। পেস্ট তৈরির সময় ওয়েটিং এজেন্ট যোগ করি। এখন রং এর ওজনের ১৫-২০% পানি নিয়ে স্টক দ্রবণ তৈরি করা হয় । অন্য দুইটি পাত্রে ৩% সোডা অ্যাস ও ২০% সোডিয়াম ক্লোরাইড এর দ্রবণ তৈরি করা হয় ।

এখন একটি বাথ-এ ম্যাটারিয়ালের ওজনের ২০ গুণ পানি নিয়ে তার মধ্যে সোডা অ্যাশ দ্রবণ যোগ করে ৭০ - ৮০° সে. তাপমাত্রায় ১০ মিনিট উত্তপ্ত করলে পানির খরতা দূর হয়। অতপর তাপমাত্রা ৮০° সে রেখে ডাই বাখে রং এর দ্রবণ যোগ করি। মেটারিয়ালকে ডাই বাথে নিয়ে ৩০ মিনিট ৮০-১০০ সে. তাপমাত্রায় নাড়াচাড়া করি । ডাই বাথে সোডিয়াম ক্লোরাইড যোগ করে আরও ৩০ মিনিট ম্যাটারিয়ালকে নাড়াচাড়া করি। পরিশেষে রং স্কুইজ করে প্রথমে গরম পানি ও পরে ঠান্ডা পানি দ্বারা ধৌত (ওয়াশ করা হয় । এভাবেই কাপড়ে রং-করা সম্ভব।

রি-অ্যাকটিভ ডাই (Reactive dye ) 
রি-অ্যাকটিভ ডাই ফাইবারের সাথে কো-ভ্যালেন্ট লিংক সৃষ্টি করে ফাইবারের একটি অংশে পরিণত হয় । এ ধরনের ডাই মোলিকূলে কিছু রি-অ্যাকটিভ গ্রুপ আছে যা ফাইবারের ফাংশনাল গ্রুপ। যেমন সেলুলোজের (OH) গ্রুপ এবং প্রোটিন ফাইবারের (-NH2) গ্রুপের সাথে বিক্রিয়া করে। এজন্য এ সকল ডাইকে ফাইবার রি-অ্যাকটিভ ডাই বলা হয় ।

অতএব, যে ডাই ফাইবারের সঙ্গে কো-ভ্যালেন্ট লিংক সৃষ্টির মাধ্যমে ফাইবারের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয় তাকে রি-অ্যাকটিভ ডাই বলে ।

বর্তমানে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে অধিক পরিমাণে রি-অ্যাকটিভ ডাই ব্যবহার হচ্ছে। কারণ এ ডাই সহজে ব্যবহার যোগ্য, তুলনামূলক দামে সস্তা, বহু বিচিত্র বর্ণের পাওয়া যায় ও সকল প্রাকৃতিক ফাইবারে ব্যবহারযোগ্য। এছাড়া বর্ণের উজ্জ্বলতা ও স্থায়িত্ব ভালো।

রি-অ্যাকটিভ ডাই-এর গুণাবলি - 
নিম্নে রি-অ্যাকটিভ ডাই-এর গুণাবলি আলোচনা করা হলো- 
০ ডাই প্রসেসের সময় ডাই-এর রি-অ্যাকটিভ গ্রুপ ফাইবারের সঙ্গে কো-ভ্যালেন্ট বন্ড সৃষ্টি করে এবং ফাইবারের একটি অংশ হিসেবে থেকে যায় 
০ এর ওয়েট ফাস্টনেস ভালো । তবে এর মাত্রা কো-ড্যালেন্ট বন্ডের স্থায়িত্বের উপর নির্ভর করে । 
• তুলনামূলক এ ডাই-এর উজ্জ্বলতা ও রাবিং ফাস্টনেস ভালো । 
০ এটি পানিতে দ্রবণীয়। 
০ এটি সাধারণত সেলুলোজিক ও প্রোটিন ফাইবারকে ডাই করার জন্য ব্যবহার হয়। 
০ ডাইং প্রসেস সাধারণত অ্যালকালি মিডিয়ামে করা হয়। 
০ এ ডাই দ্বারা সব ধরনের সেড পাওয়া যায়। 
০ এ ডাই দামে মোটামুটি সন্তা। 
O এ ডাই-এর প্রয়োগ পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ। 
০ এ ডাই রি-জেনারেটেড সেলুলোজ ফাইবারকে ডাই করা যায় । 
o গ্যাস ফেডিং এবং ড্রাই ক্লিনিং এ ডাই-এর কোন ক্ষতি হয় না।

বর্ণনা 
যে কাপড়কে রং করতে হবে তার ওজনের ১-৫% রং নিয়ে অল্প পরিমাণ ঠান্ডা পানি যোগ করে প্রথমে পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্ট এ ওয়েটিং এজেন্ট যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে ২০ গুণ পরিমাণ পানি দিয়ে ডাই-এর দ্রবণ প্রস্তুত করতে হবে । আলাদা দুইটি পাত্রে ২-৩% সোডা এ্যাশ ও ২০% লবণের দ্রবণ তৈরি করে নিতে হবে। 

অতপর ডাই বাথে কাপড়ের ওজনের ২০ গুণ পানি নিয়ে তার মধ্যে সোডা অ্যাস দ্রবণ যোগ করে ৭০° সে. তাপমাত্রায় ১০ মিনিট উত্তপ্ত করা হয়। ফলে পানির খরতা দূর হয়। বাথ এর তাপমাত্রা ৮০° সে. এ উঠানোর পর রং-এর দ্রবণ ও কাপড় দেয়া হয় এবং ৩০ মিনিট যাবৎ ক্রিয়া করা হয়। বাধের তাপমাত্রা ৯০-১০০° সে. পর্যন্ত উঠানোর পর লবণের দ্রবণ আস্তে আস্তে যোগ করা হয় এবং ৩০ মিনিট নাড়াচাড়া শেষে স্কুইজ করে অতিরিক্ত রং ফেলে দেওয়া হয় । অতপর প্রথমে গরম পানি ও পরে ঠান্ডা পানি সহযোগে কাপড় ধোওয়া হয় ।

Content added By

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 
১. ডাই কী? 
২. ডাই বলতে কী বুঝায়? 
৩. কালারের সংজ্ঞা দাও?
৪. রি-অ্যাকটিভ ডাই কোন কোন ফাইবারের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়? 
৫. যে কোন দুইটি রি-অ্যাকটিভ ডাই-এর বাণিজ্যিক নাম লেখ? 
৬. রি-অ্যাকটিভ ডাই-এর সংজ্ঞা দাও? 
৭. এসিড ডাই কোন ফাইবারের উপর প্রয়োগ করা হয়? 
৮. রঙের কোন অংশ কালার বহনকারী? 
৯. রংয়ের কোন অংশ দ্রবণীয় গুণ বহন করে? 
১০. রি-অ্যাকটিভ ডাই ফাইবারের সাথে কী লিংক সৃষ্টি করে ফাইবারের অংশে পরিণত হয়? 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 
১. ডাইং এর উদ্দেশ্য লেখ?
২. ডাই-এর শ্রেণি বিভাগ কর?
৩. বিভিন্ন কাপড় বা আঁশে ব্যবহার ডাই-এর নাম লেখ?
৪. ডাই মেশিন সমূহের শ্রেণি বিভাগ কর?
৫. কাপড় রং করার প্রয়োজনীয়তা কি লেখ?
৬. রি-অ্যাকটিভ ডাই-এর গুণাবলি লেখ?
৭. কোন পদার্থকে কখন ডাই বলা যাবে না? 

রচনামূলক প্রশ্ন 
১. ডাইং ও প্রিন্টিং এর মধ্যে পার্থক্য লেখ?
২. যে কোন এক প্রকার ডাই সম্বন্ধে আলোচনা কর?
৩. ডাইরেক্ট ডাই দ্বারা কটন কাপড় রং-করণ প্রণালি বর্ণনা দাও?
৪. রি-অ্যাকটিভ ডাই দ্বারা কটন কাপড় রং-করণ প্রণালি বর্ণনা দাও?

Content added || updated By