On This Page
এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে দৈনন্দিন কাজে আমরা কখনও কখনও কোন না কোন কম্পোনেন্ট বিচ্ছিন্ন বা পুনঃস্থাপন করি। যেমন-টিভির রিমোট অথবা ঘড়ির ব্যাটারি পরিবর্তন ইত্যাদি। চিন্তা করি তো, এগুলো আমরা কেন পরিবর্তন করি ? অকার্যকর কম্পোনেন্ট পরিবর্তন করে ভালো কম্পোনেন্ট পুনঃস্থাপন করলে ঐ মেশিন বা যন্ত্রটি আবার সচল হয়ে যায়। এই অধ্যায়ে আমরা রেক্সিজারেশন ইউনিটের কম্পোনেন্ট বিচ্ছিন্ন করণ ও পুনঃস্থাপন সম্পর্কে শিখব।

এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-

  • কম্পোনেন্টসমূহ পরিমাপ ও টেষ্ট করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারব 
  • মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্যালিব্রেট করে প্রোপার্টিজ পরিমাপ করতে পারব 
  • ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট টেষ্ট করতে পারব 
  • কাজ শেষ করে কর্মস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারব

উপর্যুক্ত শিখন ফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যায়ে আমরা একটি জব সম্পন্ন করব। এই জবের মাধ্যমে রেফ্রিজারেশন ইউনিটের ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট বিচ্ছিন্ন করে টেষ্ট করা, নষ্ট কম্পোনেন্টের পরিবর্তে নতুন কম্পোনেন্ট সংগ্রহ করা ও পুনঃস্থাপন করার দক্ষতা অর্জন করব। জবটি সম্পন্ন করার আগে প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়গুলো জেনে নেই ।

 

Content added By

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম, হ্যান্ড টুলস, হ্যান্ড টুলসের প্রকারভেদ, চিত্র সহ বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার, কাটিং টুলস, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং টুলস, রেফ্রিজারেশন টুলসের তালিকা, পাওয়ার টুলস ও পাওয়ার টুলসের রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জানব ।

Content added By

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (Personal Protective Equipment PPE ) 

কাজ করার সময় যে সকল সরঞ্জাম বা ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে নিজেকে মারাত্মক কোন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা যায় সেগুলিকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (সংক্ষেপে PPE ) বলে।

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামে যা থাকে -

  • মাক্স
  • সেফটি বেল্ট
  • সেফটি গগলস 
  • সেফটি হেলমেট 
  • সেফটি সু 
  • হ্যান্ড গ্লাভস 
  • অ্যান 
  • ইয়ার প্লাগ

 

Content added By

দৈহিক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে কাজকে সহজ করার জন্য যে সকল টুলস ব্যবহার করা হয় তাকে হ্যান্ড টুলস বলে। হ্যান্ড টুলস ছাড়া কারিগরি কাজ করা সম্ভব নয়। ইঞ্জিনিয়ার বা দক্ষ টেকনিশিয়ানগণের নির্মাণ বা রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করতে হ্যান্ড টুলস একান্ত প্রয়োজন ।

হ্যান্ড টুলসের ব্যবহার ক্ষেত্র 

কারখানা, গ্যারেজ, শিল্প প্রতিষ্ঠনে বিভিন্ন প্রকার কারিগরি কাজ (যেমন-যন্ত্রপাতি স্থাপন বা অবমুক্ত, মেরামত, পুনঃস্থাপন, যন্ত্রাংশ সংযোজন-বিয়োজন, ওভারহোলিং, সার্ভিসিং) করতে ব্যবহৃত হয়।

হ্যান্ড টুলসের ব্যবহার

  • কাটার জন্য 
  • ছিদ্র করার জন্য 
  • থ্রেড বা প্যাচ কাটার জন্য 
  • লিভার হিসাবে ব্যবহারের জন্য 
  • মসৃণ করার জন্য
  • গরম বা ধারালো জিনিস শক্ত করে ধরার জন্য 
  • পরিমাপ করার জন্য দাগাঙ্কন বা মার্কিং করার জন্য 
  • অন্য যন্ত্র পরিচালনার জন্য 
  • আঘাত করা বা বল প্রয়োগের জন্য 
  • পরিষ্কার পরিছন্ন করা সহ ইত্যাদি প্রয়োজনে হ্যান্ড টুলস ব্যবহার করা হয়

 

Content added By

দৈনন্দিন বহুবিধ কাজের জন্য অগণিত হ্যান্ড টুলস ব্যবহার করা হয় । কাজের সুবিধার্থে, কাজের ধরন, কাজের ক্ষেত্র ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে হ্যান্ড টুলসকে শ্রেণিবিভাগ করা হয়।

কাজের ধরন ও ক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে ৪ প্রকার -

ক. সাধারণ টুলস (Common Tools) 

কর্মক্ষেত্রে সাধারণ কাজে ব্যবহারযোগ্য টুলসকে সাধারণ টুলস বলে। যেমন- হাতুড়ি, স্ক্রু-ড্রাইভার ইত্যাদি। 

খ. পরিমাপক টুলস (Measuring Tools) 

পরিমাপ করার জন্যে যে সকল টুলস ব্যবহার করা হয় তাকে পরিমাপক টুলস বলে। যেমন - স্টীল রুলার, ট্রাই-স্কয়ার ইত্যাদি । 

গ. কাটিং টুলস (Cutting Tools) 

টিউব, রড, শীট, ইত্যাদি কাটার কাজে যে সকল টুলস ব্যবহার করা হয় তাকে কাটিং টুলস বলে । যেমন- হ্যাকস, ছুরি ইত্যাদি। 

ঘ. বিশেষ (ট্রেড ভিত্তিক) 

টুলস ট্রেড বা কাজ ভিত্তিক কিছু টুলস ব্যবহার করা হয় তাকে বিশেষ টুলস বলে । যেমন- রিমার, ফ্লায়ারিং টুলস ইত্যাদি ।

 

Content added By

সাধারণ টুলস (Common Tools)

হ্যামার ( Hammer): বিভিন্ন বস্তুর উপর আঘাত করতে হ্যামার ব্যবহার করা হয়। হ্যামার বিভিন্ন ধরনের ও সাইজের হয়ে থাকে। নিচে কিছু হ্যামারের নাম ও ব্যবহার দেয়া হল-

বলপিন হ্যামার (Ballpin Hammer) 

এটি বহুল ব্যবহৃত একটি হ্যান্ড টুলস। চিলে ও পাঞ্চের উপর আঘাত করতে বলপিন হ্যামার ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে মেটালিক পদার্থকে পিটিয়ে বাড়ানো যায় ও বিভিন্ন আকারে ভাঁজ করা যার। তাছাড়া রিভেট বসানোর কাজেও ব্যবহার করা হরে থাকে।

ক্ল হ্যামার  (Clow Hammer) 

এর মাথা সমান এবং অগ্রভাগ কাকের পায়ের মত চেরা বিধায়, এর সাহায্যে খুব সহজেই তারকাটা উঠানো যায়। 

বিশেষ করে কাঠ মিস্ত্রিরা এই হ্যামার ব্যবহার করে থাকে।

ম্যালেট বা সফট হ্যামার ( Mallet Hammer ) 

কাঠ, প্লাস্টিক, কপার লীড, অ্যালুমিনিয়াম, রাবার, চামড়া এবং ব্রাশ দিয়ে তৈরি করা হয়। যেখানে মেটালিক হ্যামার ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে, সেখানে এই হ্যামার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

চিপিং হ্যামার (Chipping Hammer) 

ওয়েল্ডিং স্লাগ, মরিচা পরিষ্কার করতে এই হ্যামার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে ওয়েল্ডিং শপে এই হ্যামার বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

স্লেজ বা ভারী হ্যামার (Slage Hammer) 

রড কাটা, দেয়াল ভাঙ্গার কাজে এই হ্যামার ব্যবহার করা হয়।

ক্রস পিন হ্যামার (Cross Pin Hammer)

ইট কাটা ও ভালার জন্য ক্রস পিন হ্যামার ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে রাজ মিস্ত্রিরা এই হ্যামার বেশি ব্যবহার করে থাকে।

 

ফাইল (File) 

ফাইল একটি ইঞ্জিনিয়ারিং হ্যান্ড টুলস। এটি কার্বন স্টীল দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। ধাতব বস্তুর তল/পিটকে ঘষে ক্ষয় ও মসৃণ করতে ফাইল ব্যবহার করা হয়। নিচে বিভিন্ন প্রকার ফাইলের নাম ও ব্যবহার দেয়া হল -

 

পাঞ্চ (Panch) 

শীট, প্লেট ইত্যাদির উপর মার্কিং বা চিহ্ন দিতে পাঞ্চ ব্যবহার করা হয়। নিচে বিভিন্ন প্রকার পাঞ্চ এর নাম ও ব্যবহার দেয়া হল-

 

স্ক্রু-ড্রাইভার (Screw Driver)

ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি হ্যান্ড টুলস স্ক্রু-ড্রাইভার। এটি বিভিন্ন ধরনের জু খোলা ও আটকানোর কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরণের ও সাইজের স্ক্রু-ড্রাইভার আছে যেমন ফ্লাট স্ক্রু- ড্রাইভার, স্টার স্ক্রু-ড্রাইভার, কানেটিং স্ক্রু-ড্রাইভার ইত্যাদি। এর মাপ সাধারণত ইঞ্চি হিসেবে হয়ে থাকে। নিচে কিছু স্ক্রু-ড্রাইভারের নাম ও ব্যবহার দেয়া হল -

ফিলিপস বা স্টার স্ক্রু-ড্রাইভার (Philips / Star Screw Driver) 

স্টার আকৃতির স্ক্রু খোলা ও আটকানোর কাজে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ফ্লাট স্ক্রু-ড্রাইভার (Flat Screw Driver) 

ফ্লাট আকৃতির স্ক্রু খোলা ও আটকানোর কাজে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে

 

রেঞ্চ (Wrench) 

বিভিন্ন প্রকার নাট-বোল্ট, পাইপ ইত্যাদি খুলতে ও আটকাতে রেঞ্চ ব্যবহার করা হয়। এটি বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে। এর মাপ সাধারণত ইঞ্চিতে হয়ে থাকে। নিচে বিভিন্ন প্রকার রেফের নাম ও ব্যবহার দেয়া হল-

স্লাইড বা এ্যাডজাস্টেবল রেঞ্চ   (Slide Wrench) 

বিভিন্ন সাইজের নাট বোল্টের মাথায় সহজে এ্যাডজাস্ট করে খুলতে ও আটকাতে স্লাইড বা এ্যাডজাস্টেবল রেঞ্চ ব্যবহার করা হয়।

ওপেন এন্ডেড রেঞ্চ (Open Ended Wrench) 

বিভিন্ন সাইজের নাট-বোল্ট আটকানো ও খোলার কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।

পাইপ রেঞ্চ (Pipe Wrench) 

এটি দিয়ে পাইপ ধরা, খোলা ও আটকানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।

চেইন রেঞ্চ  (Chain Wrench) 

পাইপ ফিটিং এর কাজে পাইপকে শক্ত করে ধরে ঘোরানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।

র‍্যাচেট রেঞ্চ (Rachet Wrench) 

ডিসচার্জ ও সাকশন ভাষের পোর্ট খোলা ও বন্ধ করার কাজে ব্যবহার করা হয়।

 

ভাইস (Vice) 

কোন বস্তুকে শক্ত করে আটকে/ধরে রাখার জন্য ভাইজ ব্যবহার করা হয়। ভাইজ বিভিন্ন ধরনের ও সাইজের হরে থাকে। এর মাপ সাধারণত ইঙ্গিত হয়ে থাকে। নিচে বিভিন্ন প্রকার ভাইজের নাম ও ব্যবহার দেয়া হল- 

গ্রীপ ভাইস প্লারার্স (Grip Vice Piler) 

কোন কিছুকে শক্ত করে ধরার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

 

পুলি পুলার (Pulley Puller ) 

কোন মেশিন অথবা ইঞ্জিনের বিয়ারিং ও গুলি খোলার জন্য পুলি পুলার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

অয়েল ক্যান (Oil Cane) 

কপার শীট অথবা জি, আই শীট দিয়ে অয়েল ক্যান তৈরি করা হয়। ধাতব পদার্থের তৈরি মেশিনের ঘূর্নায়মান স্থানে অথবা ঘর্ষনযুক্ত স্থানে তেল দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

স্পার্ক লাইটার (Spark Lighter) 

প্যাস ওয়েন্ডিং করার সময় ওয়েন্ডিং টর্চের মাথার আগুন জ্বালানোর কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

 

 

Content added By

কাটিং টুলস (Cutting Tools)

ডাইস্টক (Dle-Stock) 

পাইপে বা লোহার বাইরের দিকে প্যাঁচ কাটতে ব্যবহার করা হয়।

ক্রিমপিং টুলস (Crimping Tools) 

তারের মেইডে ক্লিপ লাগানোর কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এ্যালেন কী রেঞ্জ (Allen Key) 

এর সাহায্যে এ্যালেন কী ক্ষু খোলা ও লাগানো হয়। এটি বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে। বিশেষ করে স্পিলিট টাইপ এসির সাকশন ও ডিসচার্জ সার্ভিস তাৰ খোলা ও আটকানোর কাজে ব্যবহার করা হয়

ইলেকট্রিশিয়ান নাইফ (Electrician Knife) 

তারের ইন্সুলেশন অপসারণ ও স্কেপিং করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

স্নিপ (Snip) 

স্নিপ পাতলা শীট বা টিন কাটার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কাঁচি (Sessor) 

কাপজ, লেদার, সুতা, কাপড়, অ্যাম্পিয়ার টিউব ইত্যাদি কাটার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

কাটিং নিপার (Cutting Nipper) 

সুক্ষ্ম তারের ইন্সুলেশন, তার কাটার জন্য কাটিং নিপার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

 

Content added By

বিশেষ কাজের জন্য বিশেষ টুলস ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ কাজের ক্ষেত্র ও ধরনের আলোকে বিশেষ টুলস ব্যবহার হয়ে থাকে । যেমন ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য ইলেকট্রিক্যাল টুলস ব্যবহার করা হয়। অনুরূপ রেন্দ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং এর কাজের জন্যেও বিশেষ কিছু টুলস ব্যবহার করা হয়। রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং এর কাজের জন্য যে সকল টুলস ব্যবহার করা হয় সেগুলিকে রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার- কন্ডিশনিং টুলস বলে ।

রেফ্রিজারেশন টুলসের প্রয়োজনীয়তা

রেগ্রিজারেশন বা হিমায়ন পদ্ধতির কাজসমূহ সঠিক, সুন্দর ও পূর্ণাঙ্গ ভাবে স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করার প্রয়োজনে রেন্ড্রিজারেশন টুলস দরকার । এমন কিছু কাজ আছে যা টুলস ছাড়া করা সম্ভব নয়। যে সকল প্রয়োজনে রেক্সিজারেশন টুলস ব্যবহার হয় তা হল- 

১। নিরাপদে কাজ করার জন্য; 

২। দক্ষতার সাথে কাজ করার জন্য; 

৩। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কাজ সমাপ্তির জন্য; 

৪। সমর ও কাঁচামালের অপচয় রোধ করার জন্য; 

৫। গতিশীলতায় কাজ করা ও পরিচালনার জন্য ইত্যাদি ।

এছাড়া টিউবিং ও পাইপিং-এর সকল কাজ করার জন্য রেগ্রিজারেশন টুলস ব্যবহার করা হয়। যেমন- কাটিং, রিমিং, ফ্লায়ারিং সোয়াজিং, বেন্ডিং, সার্ভিসিং, চার্জিং, ভ্যাকুয়াম, সংযোজন-বিয়োজন, স্থাপন-পুনঃস্থাপন ইত্যাদি।

 

Content added By

স্থাপন, সার্ভিসিং ও মেরামস্কের ইত্যাদি কাজের জন্য টুলস ব্যবহার করা হয়। তবে সকল টুলসই সব কাজে ব্যবহার হয় না, কিছু কিছু টুলস শুধু সার্ভিসিং এ ব্যবহৃত হয়। কাজের গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে রেফ্রিজারেশন টুলসের তালিকা নিচে দেয়া হল-

ক্যাপিলারি টিউব কাটার (Capillary Tube Cutter) 

সুক্ষ্ম ব্যাসের ক্যাপিলারি টিউব কাটতে এই টিউব কাটার ব্যবহার করা হয়।

টিউব কাটার (Tube Cutter) 

টিউব কাটার কপার টিউব কাটার জন্য ব্যবহৃত হয়। অ্যালুমিনিয়াম টিউব ও বিভিন্ন সাইজের কপার টিউব কাটার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি স্টীল দিয়ে তৈরী। এতে দুইটি রোলারের সাথে একটি কাটার হুইল বা ব্লেড আছে। টিউব কাটারের নবের সাহায্যে ব্লেড সামনে ও পিছনে নেয়া যায়। কোন কোন কাটারের সঙ্গে রিমার ব্লেড আছে। এর সাহায্যে | টিউবের মুখের বাবরিগুলি পরিষ্কার বা রিমিং করা হয়।

ফ্লায়ারিং টুলস (Fluring Tools) 

এর দুইটি অংশ, একটি ইয়োক এবং অন্যটি ডাইস। একই বাসের দুইটি | কপার বা অ্যালুমিনিয়ামের টিউব অস্থায়ী ভাবে ফ্লায়ারিং নাটের মাধ্যমে জোড়া দেয়ার জন্য টিউনের মাথা ফ্লায়ারিং করা হয়। বিভিন্ন সাইজের টিউবের জন্য ভাইসে বিভিন্ন মাপের ছিদ্র করা থাকে।

সোরেজিং টুলস (Swaging Tools) 

রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতে দুই ধরনের সোরেজিং টুলস ব্যবহৃত হয়। 

ক। পাঞ্চ টাইপ খ। লিভার টাইপ 

এর সাহায্যে একই ব্যালের দুইটি কপার বা অ্যালুমিনিয়ামের টিউব স্থায়ী ভাবে জোড়া দেয়ার জন্য টিউবের মাথা সোয়েজিং করা হয়।

 

টিউৰ বেন্ডার (Tube Bender) 

এর সাহায্যে বিভিন্ন সাইজের কপার ও অ্যালুমিনিয়ামের টিউব বাঁকা করা হয়। টিউব বেন্ডার প্রধানত দুই প্রকার - ক) স্প্রিং টাইপ। খ) মেকানিক্যাল টাইপ।

ক) স্প্রিং টাইস টিউব বেন্ডার  (Spring Tube Bender) 

স্প্রিং টাইপ বেভারকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এদের একটি ইন্টার্নাল স্প্রিং বেস্তার এবং অপরটি এক্সটার্নাল স্প্রিং বেন্ডার । উভয় প্রকারই বিভিন্ন সাইজের হরে থাকে। ইন্টার্নাল স্প্রিং বেন্ডার টিউবের মাথা বাঁকা করা এবং সোজা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এক্সটার্নাল স্প্রিং বেন্ডার টিউবের মাঝামাঝি স্থানে বেড বা বাঁকা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

খ) মেকানিক্যাল টিউব বেন্ডার  (Mechanical Tube Bender) 

মেকানিক্যাল বেন্ডারকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এদের একটি লিঙ্কার টাইপ বেন্ডার এবং অপরটি গিয়ার টাইপ বা কম্বিনেশন লিভার টাইপ বেন্ডার । লিভার টাইপ টিউবের ব্যাস অনুপাতে বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে। কম্বিনেশন লিভার-টাইপের ফর্মা এবং ব্লক পরিবর্তন করে বিভিন্ন ব্যাসের টিউবকে বেন্ড করা যায়। 

পিয়ার্সিং ভাল্ব (Plercing Valve) 

রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের চার্জিং লাইন সিল/লক করা থাকলে রেক্সিজারেন্ট রিকভারি করতে এইভাল্ব ব্যবহার করা হয়।

পিঞ্চ-অফ টুলস (Pinch off Tools) 

চার্জিং লাইন সিল/লক করার জন্য ব্যবহার করা হয়। 

রিমার / ডিবুরিং টুল (Reamer Deburring Tool) 

টিউব কাটার দিয়ে টিউব কাটার পর টিউবের ভেতরের দিকে ঘটে যাওয়া অংশকে টেনে বের করে আনতে ব্যবহার করা হয়।

 

 

Content added By

যে সমস্ত টুলস বা যন্ত্রসমূহ বৈদ্যুতিক শক্তি দিয়ে পরিচালিত হয় তাকে পাওয়ার টুলস বা মেশিন টুলস বলে । মেশিন টুলস এর সাহায্যে কাটিং বা চালাই, পেটানো লোহা অথবা রোগ করা ধাতব বস্তুকে কাটা বা তা থেকে অতিরিক্ত ধাতু বা মেটাল অপসারিত করা হয়।

 

Content added By

পাওয়ার টুলসের রক্ষনাবেক্ষণ

১. পাওয়ার টুলসের ঘূর্ণায়মান অংশে তাপ ও ঘর্ষণ সীমিত রাখার জন্য সুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা 

২. বৈদ্যুতিক উৎস নিরাপদ কিনা তা নির্ধারিত সময় পরপর নিরীক্ষা করা; 

৩. মেশিনের নিরাপত্তা সরঞ্জামগুলো অবশ্যই মেশিনে রাখা; 

৪. কাজ শেষে মেশিন পরিষ্কার করা ; 

৫. মেশিন টুলস সঠিক এ্যালাইনমেন্টে বসানো; 

৬. মেশিন গুলোর মধ্যে সঠিক ও নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা।

 

Content added By

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা মেজারিং ইনট্রুমেন্টের নাম ও এদের ব্যবহার এবং মেজারিং ইনট্রুমেন্ট ক্যালিব্রেট সম্পর্কে জানব।

Content added By

কোন বস্তুর আকার আকৃতি অথবা দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা, ব্যাস ও ভজন, চাপ, পরিমান ইত্যাদি নির্ণয় করতে যে সব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তাকে মেজারিং ইনট্রুমেন্ট বলে। নিচে কিছু মেজারিং ইনট্রুমেন্টের নাম ও তাদের ব্যবহার দেয়া হল-

 

গেজ (Gange) 

এটি এক প্রকার টেমপ্লেট বা মাপদত্ত নিরামক। এর সাহায্যে একটি জানা মাপের সাহায্যে অজানা মাপের পার্থক্য বোঝা যায়। যার মাধ্যমে বন্ধ কাজের উপযোগী কিনা বা এটি নির্দিষ্ট মান বিশিষ্ট কিনা তা পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়।

ওয়্যার গেজ (Wire Gauge)  

তারের ডায়ামিটার এবং মেটালিক শীটের পুরুত্ব নির্ণয় করা যায় ।

টেস্ট ল্যাম্প (Test Lamp ) 

এটি একটি বৈদ্যুতিক টেস্ট বোর্ড। শর্ট সার্কিট, ওপেন সার্কিট, আর্থ সার্কিট এবং বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস টেস্টের মাধ্যমে ভাল-মন্দ শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

হাই প্রেশার গেজ (High Pressure Gauge ) 

এই ধরনের গেজ দিয়ে শুধুমাত্র বায়ুমণ্ডলীয় চাপের উর্দ্ধের চাপ পরিমাপ করা যায়। বিশেষ করে রেষ্ট্রিজারেশন সিস্টেমের শিক পরিক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়। এর দুইটি পোর্ট থাকে এবং একটি হ্যান্ড শার্ট অফ ভাল থাকে।

কম্পাউন্ড গেজ (Compound Gauge) 

যে গেজ দিয়ে বায়ুমণ্ডলীয় চাপের উর্দ্ধের (Above Atmospheric) এবং বায়ুমণ্ডলীয় চাপের নিম্নের (Below Atmospheric) চাপ মাপা যায় তাঁকে কম্পাউন্ড গেজ (Compound Grange) বলে। অর্থাৎ কম্পাউন্ড গেজ দিয়ে ঊর্ধ্ব চাপ ও চাপ শুণ্যতা উভয়ই পরিমাপ করা যায়। রেফ্রিজারেশন সিস্টেমে গ্যাস চার্জ ও ভ্যাকুয়াম করার কাজে ব্যবহৃত হয়।

ডাবল গেজ মেনিফোল্ড (Double Gauge Manifold) 

ডাবল গেজ মেনিকোল্ড এর সাহায্যে লিক টেস্ট, ভ্যাকুয়াম এবং গ্যাস চার্জ করা হয়। এই মেনিফোল্ডের মধ্যে কম্পাউন্ড গেজ এবং হাই প্রেশার পেজ যুক্ত করা থাকে। মেনিফোল্ডের মধ্যে দুইটি তাৰ ও তিনটি পোর্ট থাকে।

বিলোজ টাইপ থার্মোমিটার (Below Type Thermometer) 

বিলোজ টাইপ থার্মোমিটারের সাহায্যে রেক্সিজারেটরের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা এবং এসি কক্ষের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়।

 

Content added By

রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং এর কাজে ব্যবহৃত পেজগুলোর মধ্যে হাই প্রেশার গেজ, কম্পাউন্ড পেজ, ডাবল পেজ মেনিফোল্ড বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই গেজের কাটা স্বাভাবিক অবস্থায় শূন্য (০) পজিশনে থাকে । কিন্তু ত্রুটির কারণে মাঝেমধ্যে কাটাটি উপরে বা নিচে নেমে যেতে পারে। এমন অবস্থায় আমরা নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে এই ত্রুটি থেকে মুক্তি পেতে পারি। সবচেয়ে প্রথম গেজের উপরে থাকা প্লাস্টিক কাভারটি খুলতে হবে। তারপর একটি ক্রু-ড্রাইভারের সাহায্যে এ্যাডজাস্টিং স্ক্রুটিকে ঘুরিয়ে কাঁটা শূন্য (০) পজিশনে অনতে হবে।

 

Content added By

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ভোল্টমিটার, অ্যাম্পিয়ারমিটার, অ্যাডোমিটার, ইলেকট্রনিক লীক ডিটেক্টর, ক্যাপাসিটর অ্যানালাইজার এবং ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট টেষ্ট করা সম্পর্কে জানব। 

যে যন্ত্রের সাহায্যে কোন বৈদ্যুতিক রাশির পরিমান নির্ণয় করা হয়, তাকে পরিমাপক যন্ত্র বলে। এই পরিমাপ যন্ত্র যখন তড়িৎ প্রবাহের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, তখন তাকে বৈদ্যুতিক পরিমাপক যন্ত্র বলে। নিচে বৈদ্যুতিক পরিমাপক যন্ত্রের নাম ও কার্য প্রশানী দেখানো হল-

 

Content added By

যে মিটারের সাহায্যে সরবরাহ লাইনের তড়িৎ চাপ (Voltage) সরাসরি মাপা যায়, তাকে ভোল্টমিটার বলে। ডোন্টমিটার লাইনের দুই ভারের (ফেজ ও নিউট্রাল) সাথে সংযুক্ত থাকে এবং ঐ দুই ভারের মধ্যে জড়িৎ বিভবের বৈষম্য (Potential Difference) কত ভোল্ট তা নির্দেশ করে। ভোল্টমিটারের কয়েলে চিকন তারের অধিক সংখ্যক প্যাঁচ থাকে বিধায় এর রেজিস্ট্যান্স খুব বেশী। ভোল্টমিটার দুই তারের সংঙ্গে প্যারালালে সংযুক্ত থাকে।

 

Content added By

যে মিটারের সাহায্যে সরবরাহ লাইনের তড়িৎ (কারেন্ট) প্রবাহের পরিমাপ সরাসরি মাপা হয় তাকে অ্যাম্পিয়ার মিটার বলে। অ্যাম্পিয়ার মিটারের কয়েলের রেজিস্ট্যান্স বা রোধক খুব কম। অ্যাম্পিয়ার মিটার লাইনের সংঙ্গে সিরিজে সংযুক্ত থাকে, ফলে পুরো লাইন কারেন্ট মিটারের কয়েল দিয়ে প্রবাহিত হয়।

অ্যাম্পিয়ার মিটারের কয়েলের রেজিস্ট্যান্স খুব কম হওয়া দরকার, তা না হলে কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার সময় মিটারে এতো বেশী ভোল্টেজ ড্রপ (V=IxR) বা তড়িৎ চাপের পতন ঘটবে যে, লোড সার্কিটে নির্দিষ্ট তড়িৎ চাপ (Voltage) অপেক্ষা অনেক কম ভোল্টেজে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাবে। তখন ৰাতি ঠিকমত জ্বলবে না বা অন্যান্য লোড ঠিকভাবে কাজ করবে না।

এই মিটার সার্কিটের ব্যবহার বা কানেকশন করার সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এই মিটার কখনও প্যারালালে সংযোগ করা যাবে না, কারণ মিটারের কয়েলটি খুব বেশী গরম হতে থাকবে এতে মিটারটি পুড়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন রেঞ্জের মিটার বাজারে পাওয়া যায়। সার্কিটের কারেন্টের পরিমাণ আন্দাজ করেই সঠিক রেঞ্জের মিটার ব্যবহার করা হয়। যেখানে বড্ড অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত হবে সেখানে তার চাইতে একটু বেশী রেটিং এর মিটার ব্যবহার করা উচিত। সাধারণত মাইক্রো অ্যাম্পিয়ার থেকে শুরু করে কয়েক শত অ্যাম্পিয়ার রেঞ্জের মিটার পাওয়া যায়। একই মিটারে কয়েক রেঞ্জে কারেন্ট মাপারও ব্যবস্থা থাকে। সেক্ষেত্রে শুধু মিটারের নবকে সিলেক্ট করলেই হয়।

 

Content added By

এ্যাভোমিটারের অপর নাম হচ্ছে মাল্টিমিটার। মাল্টি শব্দের অর্থ হচ্ছে একের অধিক। এ্যাভোমিটার দিয়ে একের বেশি ইলেকট্রিক রাশিকে পরিমাপ করা যায় বলে একে মাল্টিমিটারও বলা হয়।

AVO শব্দটি Amper এর প্রথম অক্ষর “A” Volt এর প্রথম অক্ষর " V" এবং Ohms এর প্রথম অক্ষর "O" এই তিনটি অক্ষর এর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। অর্থাৎ, এই মিটার দিয়ে কারেন্ট (অ্যাম্পিয়ার), ভোল্টেজ (ভোল্ট) এবং রেজিস্ট্যান্স (ওহম্স‌) পরিমাপ করা যায়।

 

এ্যাডোমিটার ব্যবহার করার নিয়ম

 

Content added By

একে সাউন্ড লিক ডিটেক্টর বলা হয়। এটি ব্যাটারির সাহায্যে চলে । এর দু'টি অংশের একটি ফেক্সিবল সেন্সর প্ৰোৰ (Flexible Sensor Probe) এবং অন্যটি যতি। সেন্সরের অস্ত্রভাগে ইলেকট্রোড কেজ (Electrode Cage) থাকে। ইলেকট্রোড কেজের সর্বশেষাংশে টিশ প্রটেক্টর (Tip Protector) থাকে । ভালো ফল পাবার জন্য মাঝে মাঝে টিপ পরিষ্কার করতে হয়। কোন কোন সাউন্ড ডিটেক্টর ৪০-১০০ ডি.বি (Decibel) এর শব্দেও কাজ করতে পারে। একে সম্ভাব্য লিকের স্থানে ধরলে, নিক থাকলে নির্দেশ করতে পারে । মিটার বা লাইট শব্দ নিয়ন্ত্রন করে। আউটপুট জ্যাকের সাহায্যে শব্দ রেকর্ড করা হয় । মূলত লিকের স্থান থেকে বের হওয়া মানুষের শ্রবণশক্তির অনেক নিচেরক্টরের শব্দও এর সাহায্যে নির্দেশ করা সম্ভব। তাই সুক্ষ্ম লিক নির্ণরে এটি ব্যবহার করা হয়।

 

Content added By

ক্যাপাসিটর অ্যানালাইজার দিয়ে ক্যাপাসিটর পরীক্ষা করা হয়। এর সাহায্যে ক্যাপাসিটরের বিভিন্ন রেটিং মান পরিমাপ করা যায়। দু'ধরনের অ্যানালাইজার ব্যবহৃত হয়ে থাকে । একটি সরল ও অপরটি জটিল প্রকৃতির ।

সরল প্রকৃতির ক্যাপাসিটর অ্যানালাইজার

এ ধরনের অ্যানালাইজার ব্যাটারির পাওয়ার দিয়ে চালানো হয়। এর সাহায্যে ক্যাপাসিটরের শুধু ক্যাপাসিট্যান্সের মান বের করা যায়। অ্যানালাইজারের বিভিন্ন অংশের নাম হলো- ১। ডিসপ্লে ২। রেঞ্জ নব ৩। পরেন্টার ৪। বডি ৫। প্রোব ইত্যাদি।

জটিল প্রকৃতির ক্যাপাসিটর অ্যানালাইজার

এ ধরনের অ্যানালাইজার বৈদ্যুতিক পাওয়ার দিয়ে চালানো হয়। এতে কয়েকটি সুইচ, স্কেল ও কর্ড থাকে। এর সাহায্যে ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিট্যান্স, পাওয়ার ফ্যাক্টরসহ সব রেটিং এর মান পাওয়া যায়। এর ব্যবহার পদ্ধতি বেশ জটিল। তাই এর নাম জটিল ক্যাপাসিটর অ্যানালাইজার। এ অ্যানালাইজার পাওয়ার কর্ড, টেস্ট কর্ড ও ক্লিপ, টেস্ট (অন-অফ) সুইচ, আই টিউব ভোল্ট রেঞ্জ সুইচ, রেঞ্জ সুইচ ইত্যাদি অংশ নিয়ে গঠিত। এর সাহায্যে ক্যাপাসিটরের যে টেস্টগুলো করা হয় তা হলো- Open Test, Short Test, মাইক্রোফ্যারাড মান নির্ণয়, পাওয়ার ফ্যাক্টর ইত্যাদি ।

 

Content added By

থার্মাল ফিউজ : থার্মাল ফিউজের দুই টার্মিনালে মিটার প্রোণ ধরি । যদি কন্টিনিউটি দেখায় তাহলে বুঝতে হবে থার্মাল ফিউজটি ভালো আছে।

কুলিং ওভারলোড : ক্লিপ অন মিটারের সিলেটিং সুইচকে কন্টিনিউটি পজিশনে সেট করি এবং কুলিং ওভার লোডের দুই টার্মিনালে মিটার প্রোব ধরি । যদি স্বাভাবিক অবস্থায় কন্টিনিউটি না দেখার এবং কুলিং ওভারলোডটিকে বরফের ভেতর ডুবিয়ে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা তৈরি হওয়ার পর কন্টিনিউটি দেখার তাহলে বুঝতে হবে কুলিং ওভারলোডটি ভালো আছে।

ডোর ল্যাম্পঃ মিটার প্রোবকে ভোর ল্যাম্পের দুই টার্মিনাল (থ্রেড কন্টাক্ট ও ফুট কন্টাক্ট) ধরে যদি কন্টিনিউটি দেখায় তাহলে বুঝতে হবে ডোর ল্যাম্পটি ভালো আছে। কন্টিনিউটি না দেখালে বুঝতে হবে ডোর ল্যাম্পটি নষ্ট আছে।

 

Content added By

এই শিখন ফলে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার প্রয়োজনীয় Cleaning Materials এর চিত্রসহ নাম জানতে পারব।

কাজ শুরু করার আগে এবং পরে কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লিনিং ইকুইপমেন্ট পাওয়া যায়। কার্যকারী ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে অতি অল্প সময়ে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব।

 

৩.৪.১ Cleaning Materials এর নামসহ চিত্র দেয়া হল-

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা
  • প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা 
  • রেফ্রিজারেশন ইউনিট হতে ইনট্রুমেন্ট বিচ্ছিন্ন করার জন্য নির্ধারিত সতর্কতা অবলম্বন করা 
  • ইউনিট হতে ইনট্রুমেন্ট বিচ্ছিন্ন করার জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করা 
  • কম্পোনেন্টটি ইউনিট হতে সতর্কতার সহিত বিচ্ছিন্ন করার পর প্রয়োজনীয় টেষ্টের জন্য নির্ধারিত স্থানে স্থানান্তর করা
  • ইন্সট্রুমেন্ট পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ সম্পন্ন করে কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে পুনঃস্থাপন করা
  • কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা
  • অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা
  • ওয়েস্টেজ এবং স্ক্র্যাপ নির্ধারিত স্থানে ফেলা
  • কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া

(ক)ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

 

(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)

 

(ঘ) কাজের ধারা

১. রেফ্রিজারেশন ইউনিটের ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট বিচ্ছিন্ন করো। 

২. ওয়ার্কিং টেবিলে সংগ্রহিত কম্পোনেন্ট সমূহ স্থানান্তর করো। 

৩. কোন কম্পোনেন্ট পরীক্ষা করতে কোন ধরণের মেজারিং টুলসের প্রয়োজন তা নির্ধারণ করো। 

৪. ইনফরমেশন শীট (৩.৩.৬) এ উল্লেখিত নিয়ম অনুয়ায়ী মেজারিং টুলসের সাহায্যে কম্পোনেন্ট পরীক্ষা করে ভাল ও নষ্ট কম্পোনেন্টকে আলাদা করো। 

৫. আলাদা করা নষ্ট কম্পোনেন্টের স্পেসিফিকেশন দেখে পরের পাতায় উল্লেখিত ছকটি পুরণ করো । 

৬. নষ্ট কম্পোনেন্টের পরিবর্তে নতুন কম্পোনেন্ট সংগ্রহ করো। 

৭. সঠিক নিয়মে রেফ্রিজারেশন ইউনিটে কম্পোনেন্ট সমূহকে পুনঃস্থাপন করো ।

 

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ

রেফ্রিজারেটরের ধরণ-

কাজের সতর্কতা

  • অবশ্যই নিরাপত্তা মূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করে কাজ করতে হবে 
  • কম্পোনেন্ট সমুহ বিচ্ছিন্ন করার আগে বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে 
  • কাজটি করতে কোন প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন হলে অবশ্যই শিক্ষক/ট্রেইনারকে জানাতে হবে

আত্মপ্রতিফলন 

রেফ্রিজারেশন ইউনিটের ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট সমুহের অবস্থান শনাক্ত করে বিচ্ছিন্ন করা এবং সেগুলো টেষ্ট করে পুনঃস্থাপন করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

Content added By
Please, contribute to add content into অনুশীলনী.
Content

Promotion