On This Page
এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

বাসা বাড়ী বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত বিভিন্ন মেশিনগুলি দীর্ঘদিন ব্যবহারের পরে অনেক সময় অকার্যকর হয়ে পরে অর্থাৎ অচল হয়ে যায়। তখন আমরা কী করি? তখন আমরা এগুলিকে সচল বা কার্যক্রম করতে মেরামত করি। আর সচল মেশিনগুলির দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্ষমতা ধরে রাখার জন্য রক্ষনাবেক্ষণ করে থাকি। এই অধ্যারে আমরা রেফ্রিজারেশন ইউনিট মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিখৰ ।

এই অধ্যার পাঠ শেষে আমরা-

  • রেফ্রিজারেশন ইউনিটের কম্পোনেন্ট সমূহ টেষ্ট করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করব 
  • মেজারিং ইনট্রুমেন্টের সাহায্যে কম্পোনেন্ট সমুহ পরীক্ষা করতে পারব
  • ব্যবহৃত রেগ্রিজারেন্ট রিকভারি ইউনিটের সাহায্যে রিকভারি সিলিন্ডারে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে পারব
  • রেফ্রিজারেশন ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহ চিহ্নিত করতে পারব 
  • রেফ্রিজারেশন ইউনিটের লিকেজ নির্ণয় ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করতে পারব

উপর্যুক্ত শিখনফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যারে আমরা দু'টি জব সম্পন্ন করব। এই দু'টি জবের মাধ্যমে রেফ্রিজারেশন ইউনিট থেকে রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করা, লিকেজ নির্ণয় ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জন করব। জবগুলো সম্পন্ন করার আগে প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়গুলো জেনে নেই ।

 

Content added By

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম এবং একটি অনুসন্ধানমূলক কাজের মাধ্যমে রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং (আরএসি) এর কম্পোনেন্টের লোকাল/আঞ্চলিক নাম ও সঠিক নাম সম্পর্কে জানব ।

Content added By

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (Personal Protective Equipment PPE )

কাজ করার সময় যে সকল সরঞ্জাম বা ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে নিজেকে মারাত্মক কোন দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা যায় সেগুলিকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (PPE) বলে।

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামে যা থাকে -

  • মাক্স
  • সেফটি বেল্ট 
  • সেফটি গগলস 
  • সেফটি হেলমেট
  • সেফটি সু 
  • হ্যান্ড গ্লাভস 
  • অ্যাপ্রোন 
  • এয়ার প্লাগ 

 

Content added By

রেফ্রিজারেশন ইউনিটের ধরণ অনুযায়ী কম্পোনেন্টের ধরণ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এই সকল ইউনিটের মধ্যে যে সকল কম্পোনেন্ট বেশি ব্যবহার করা হয় নিচের হবে সেই স ম্পোনেন্টের চিত্র দেয়া হল-

অনুসন্ধানমূলক কাজ 

তোমার এলাকা অথবা বিদ্যালয়ের বা ইন্সটিটিউটের আশে পাশের রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং এর ওয়ার্কশপ থেকে নিচে উল্লেখিত কম্পোনেন্টের লোকাল/আঞ্চলিক নাম ও সঠিক নাম জেনে সঠিক নামটি পরের পাতার তালিকায় লেখ।

 

Content added By

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা রিলে ও রিলের প্রকারভেদ, রিজের পরীক্ষা পদ্ধতি, ওভারলোড প্রটেক্টর ও ওভারলোড প্রটেক্টরের প্রকারভেদ, থার্মোস্ট্যাট ও থার্মোস্ট্যাটের প্রকারভেদ, থার্মোস্ট্যাট পরীক্ষা পদ্ধতি, টাইমার ও টাইমারের প্রকারভেদ, কার্যপ্রণালি, ক্যাপাসিটর ও ক্যাপাসিটরের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানৰ ।

রেথ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং এ বিভিন্ন ধরনের কম্পোনেন্ট ব্যবহার করা হয়। মেজারিং ইনট্রুমেন্টের সাহায্যে এই সকল কম্পোনেন্ট পরীক্ষা করা যায়। নিচে কিছু কম্পোনেন্ট সম্পর্কে আলোচনা করা হল -

Content added || updated By

রিলে এক ধরনের স্টার্টিং সুইচ বা ডিভাইস। যে ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইসের সাহায্যে মোটরের স্টার্ট কয়েলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহ ঘটানো যায় তাকে রিলে বলে। এর সাহায্যে সহজে মোটরের স্টার্টিং টর্ক সৃষ্টি হয়। মোটর চালু হয়ে প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ পতি প্রাপ্ত হবার পর রিলে স্টার্টিং-এ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। স্প্লিট ফেজ, স্টার্ট (Start) ও রান (Run) ক্যাপাসিটর বিশিষ্ট সিঙ্গেল ফেজ মোটরকে স্টার্ট করতে রিলের প্রয়োজন।

রিলের কাজ 

সিঙ্গেল ফেজ মোটরের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো এটিকে সব ক্ষেত্রে শুধু মেইন বা রানিং কয়েল দিয়ে চালু করা যায় না। তাই একে চালু করার জন্যে সাহায্যকারী ব্যবস্থা বা স্টার্টিং কয়েলের দরকার হয়। মোটরের কয়েলে দ্রুত ও ব্যাপক ক্ষতি হয় তাই এই স্টার্টিং কয়েলকে নিরাপদে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রিশের দরকার হয়। মোটর চালু করার সময় রিলে প্রধানত যে কাজগুলো করে তা হল -

১) কারেন্ট কয়েল রিলে: স্টার্টিং কয়েলে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে তা বন্ধ করে; 

২) পটেনশিয়্যাল রিলে: স্টার্টিং ক্যাপাসিটরের লাইন অফ করে; 

৩) পিটিসি রিলে: কারেন্ট কমিয়ে স্টার্টিং কয়েলকে রক্ষা করে; 

৪) সেন্টিফিউগ্যাল সুইচ: মোটর চালু হয়ে প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ গতি প্রাপ্ত হওয়ার পর মোটরের স্টার্টিং কয়েলে সরবরাহ বন্ধ করে দেয়; 

৫) হট ওয়্যার রিলে: স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তামূলক সুইচ হিসেবে ওভার লোড প্রটেক্টরের মতো কাজ করে । 

৬) টাইম ডিলে রিলে: কোন কোন সময় টাইম ডিলে করে মোটরকে পুনরায় চালু করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

 

রিলের প্রকারভেদ 

বিভিন্ন প্রকার মোটরের বিভিন্ন রকমের স্টার্টিং ব্যবস্থা রয়েছে। এ স্টার্টিং ব্যবস্থার মধ্যে রিলেই প্ৰধান । বিভিন্ন রকমের রিলেও ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যে কাজ করে। বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে রিলে সাত প্রকার । যথা-

ক. কারেন্ট কয়েল রিলে (Current Coil Relay) 

খ. হট ওয়্যার বা বাইমেটালিক রিলে (Hot Wire or Bimetallic Relay) 

গ. পটেনশিয়াল রিলে (Potential Relay) 

ঘ. থার্মিস্টর বা পিটিসি রিলে (Thermistor or PTC Relay) 

ঙ. সলিড টেস্ট ইলেট্রনিক রিলে (Solid State Electronic Relay ) 

চ. ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক রিলে (Electromagnetic Relay) 

ছ. লক-আউট রিলে ( Lock Out Relay)

 

বিভিন্ন প্রকার রিলের বর্ণনা 

ক) কারেন্ট কয়েল রিলে (Current Coil Relay) 

এই রিলে বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে পরিচালিত হয় । এতে একটা ম্যাগনেটিক কয়েল থাকে । সার্কিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে রিলের এই কয়েল হয়ে মোটরের রানিং ওয়াইন্ডিং-এ বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য উক্ত কয়েলে চুম্বকের সৃষ্টি হয় । ফলে সলিনয়েড লিভার উপরে উঠে স্টার্ট পয়েন্ট সংযোগ দেয়াতে মোটরের স্টার্টিং ওয়াইন্ডিং-এ বিদ্যুৎ প্রবাহ ঘটে। মোটর প্রায় ৭৫% গতি প্রাপ্ত হলে ব্যাক ইএমএফ বা বিপরীত ভোল্টেজ তৈরি হওয়াতে রানিং ওয়াইন্ডিং-এ বিদ্যুৎ কমে যায় এবং কম চুম্বকত্বের সৃষ্টি হয়। ফলে লিভার স্টার্ট পয়েন্ট হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্টার্ট ওয়াইন্ডিং-এর বিদ্যুৎ প্রবাহ অফ করে দেয়। রানিং ওয়াইন্ডিং সর্বদা বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়াতে মোটরটি চলতে থাকে।

 

খ) হট ওয়্যার বা বাইমেটালিক রিলে (Hot Wire or Bimetallic Relay) 

এই রিলে বিদ্যুৎ প্রবাহজনিত তাপ দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে । সার্কিটে বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে মোটরের উভয় ওয়াইন্ডিং-এ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় এবং মোটর চালু হয় । মোটরের স্টার্টিং কয়েলে বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে স্টার্টিং বাইমেটালিক পাত বাঁকা হয়ে স্টার্টিং কন্ট্যাক্ট পয়েন্ট বিচ্ছিন্ন করে দেয়। রানিং কয়েলের মাধ্যমে মোটর চলতে থাকে । রিলের রানিং পয়েন্টের সাথে লিভারের সাহায্যে হিটিং এলিমেন্ট যুক্ত থাকে । রানিং কয়েলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহ হলে হিটিং এলিমেন্ট (বাইমেটাল পাত) বাঁকা হয়ে সরবরাহ বন্ধ করে মোটরকে রক্ষা করে। অর্থাৎ এটি ওভার লোড প্রটেক্টরের কাজও করে। তাই এ প্রকার রিলের ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওভার লোড প্রটেক্টর ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না ।

 

গ) পটেনশিয়াল রিলে (Potential Relay) 

এই রিলে চৌম্বক শক্তির সাহায্যে কাজ করে । রিলে কন্ট্রাক্ট পয়েন্টদ্বয় সাধারণ অবস্থায় লাগানো (অন করা ) থাকে। বিদ্যুৎ প্রবাহ হলে একই সঙ্গে কন্ট্রাক্টদ্বয়ের মাধ্যমে স্টার্টিং ও রানিং ওয়াইন্ডিং বিদ্যুতায়িত হয় এবং মোটর চলতে থাকে । এর স্টার্টিং পয়েন্টের সাথে একটা ম্যাগনেটিক কয়েল থাকে। মোটর চালু হবার পরই কয়েলে চৌম্বকত্বের সৃষ্টি হয়। ফলে এ চুম্বক শক্তি কষ্ট্যাক্ট পয়েন্টের লিভারকে টেনে স্টার্টিং ক্যাপাসিটরের লাইনকে অফ করে দেয়। বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হলে কয়েলের চুম্বক শক্তি বিলোপ পায় । ফলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ১, ২ ৪, ও ৬ নম্বরের টার্মিনাল থাকে । মোটর স্টার্টের জন্য এদের ১, ২ ও ৫ চিহ্নিত টামিনাল তিনটিতে সংযোগ দেয়া হয় । বাকি ৪ নং টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন লাইনে সংযোগ দেয়া হয় । তাই ৩, ৪ ৬ নং টার্মিনাল গুলো জাংশন বা কানেক্টর পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে । এই রিলের প্রধান অংশগুলোর নাম হল- ১ । মুভিং কন্টাক্ট, ২। মুভিং ব্লেড, ৩ । কন্ট্রাক্ট স্ক্রু, ৪। আর্মেচার লিটার, ৫। স্থির কন্টাক্ট, ৬। স্থির ব্লেড, ৭। আর্মেচার, ৮ । কোর, ৯ । স্প্রিং ।

 

ঘ) থার্মিস্টর বা পিটিসি রিলে (Thermistor or PTC Relay) 

এই রিলকে পজিটিভ টেম্পারেচার কো-ইফিসিয়েন্ট (P.T.C Positive Temperature = Coefficient) রিলে বলে । এ রিলের স্টার্টিংয়ের সাথে একটা থার্মিস্টর থাকে । এ থার্মিস্টর ঠান্ডা অবস্থায় সুপরিবাহী হিসাবে স্টার্টিং ওয়াইন্ডিং এ সহজে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে দেয়। মোটর স্টার্ট হবার পর কিছুক্ষণের মধ্যে এটি গরম হয়ে অর্ধপরিবাহিতে পরিনত হয়। সরবরাহ পথে রোধ সৃষ্টি হওয়ায় স্টার্টিং ওয়াইন্ডিং এ বিদ্যুৎ প্রবাহ কমে যায় ৷ বর্তমানে পিটিসি একটি বহুল ব্যবহৃত রিলে। এর প্রধান অংশ হলো- ১। কন্ট্রাক্ট পয়েন্ট, ২ । বডি ও ৩। ষ্টোন বা পাথর

 

ঙ) সলিড টেস্ট ইলেকট্রনিক রিলে (Solid State Electronic Relay)

হারমেটিক কম্প্রেসর মোটর চালু করার জন্য প্রচলিত রিলের পরিবর্তে সলিড স্টেট ট্রানজিস্টর, ডায়াড, সিলিকন, রেক্টিফায়ার ডায়াক, ট্রায়াক ব্যবহার করা হয়। হারমেটিক মোটর চালু হবার মুহূর্তে এবং পূর্ণ গতি অর্জনের ঠিক আগে ইলেকট্রনিক রিলে স্টার্টিং ওয়াইন্ডিং এ বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়। ৬০ হতে ২৫০ ওয়াটের হারমেটিক মোটরে একই মানের ও সাইজের রিলে ব্যবহৃত হয় ।

 

চ) ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রিলে (Electromagnetic Relay) 

এই রিলের মধ্যে একটা কয়েল ও একটা আর্মেচার থাকে । সকল প্রকার সংযোগাদি সুসম্পন্ন করে যখন বর্তনীতে সরবরাহ দেয়া হয় তখন কয়েলে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক আর্মেচারকে স্থানান্তর করে। তখন ডিভাইসের স্টার্টিং বর্তনী বা পয়েন্ট সংযোগ প্রাপ্ত হয় এবং স্টার্ট হয়ে মোটর চলতে থাকে। মোটর পূর্ণ গতিতে আসার পর স্টার্টিং কয়েলে সরবরাহ কমতে থাকে। ফলে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক শক্তিও কমতে থাকে। অবশেষে স্প্রিং আর্মেচারকে টেনে আগের অবস্থায় আনে। এতে স্টার্টিং এ সরবরাহ বন্ধ হয়। এই রিলে ট্রান্সফরমার যুক্ত ও ট্রান্সফরমার বিহীন হয়ে থাকে। সাধারণ অবস্থায় এটি কন্টাক অবস্থায় থাকে। একে ফ্যান রিলেও বলে ।

 

ছ) লক আউট রিলে (Lock Out Relay) 

এই রিলে মোটরের নিরাপত্তামূলক ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার হয়। এটি কন্টাক্টরের সাথে লাগানো থাকে । কন্টাক্টরের কয়েল ভোল্টেজ এবং রিলে ভোল্টেজ সমান থাকে। এর সংযোগটি সাহায্যকারী সংযোগ হিসেবে কাজ করে। সার্কিটে কন্টাক্টরের কয়েলের সাথে রিলের কয়েল প্যারালাল এবং কন্টাক্টরের কয়েলের সাথে রিলের কন্টাক্ট পয়েন্ট সিরিজ অবস্থায় থাকে । তবে রিলের কয়েল ও রিলের কন্টাক্ট পয়েন্ট পরস্পর সমান্তরালে থাকে । প্রেশারকাট আউট, ওভারলোড ও অন্যান্য সেফটি ডিভাইস মোটরকে বন্ধ করে দিলেও পুনরায় মোটর বৈদ্যুতিক শক্তি প্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত লক আউট রিলে মোটরকে চালু রাখে।

বিভিন্ন প্রকার রিলের পরীক্ষা পদ্ধতি 

রিলে পরীক্ষা বলতে রিলের কার্যকারিতা পরীক্ষা বোঝায়। বিভিন্ন প্রকার রিলের পরীক্ষা পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন। রিলে সাধারণত তিন প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা করা হয়। পদ্ধতি তিনটির বর্ণনা নিচে আলোচনা করা হল-

১। প্রদর্শন ও শব্দ পদ্ধতি 

ক. প্রথমেই রিলের বাইরের আবরণ ভালো থাকলে বাতি খুলে অভ্যন্তরীণ সংযোগাদি সঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। 

খ. কারেন্ট কয়েল রিলে ঝাঁকুনি দিয়ে শব্দের সৃষ্টি করলে বুঝতে হবে প্রাথমিকভাবে এটি কার্যক্ষম আছে । 

গ. পিটিসি রিলে ঝাঁকুনি দিয়ে শব্দ সৃষ্টি না করলে বুঝতে হবে প্রাথমিকভাবে এটি কার্যক্ষম আছে। 

ঘ. হট ওয়্যার রিলের বডি খুলে হট ওয়্যার লিভার হাত দিয়ে চাপ দিলে মুভ করে পূর্বস্থলে ফিরলে বুঝতে হবে প্রাথমিকভাবে এটি কার্যক্ষম আছে। 

ঙ. পটেনশিয়াল রিলের বডি খুলে ম্যাগনেটিক লিভার হাত দিয়ে চাপ দিলে মুভ করে পূর্বস্থলে ফিরলে বুঝতে হবে প্রাথমিকভাবে এটি কার্যক্ষম আছে।

রিলের ব্যবহার

 

 

Content added By

বৈদ্যুতিক মোটর চালক যন্ত্র হিসেবে কম্প্রেসরকে চালিত করে । বিদ্যুৎ সরবরাহের ত্রুটি-বিচ্যুতি, সংযোগ, তার বিন্যাস, পরিচালনাসহ অন্যান্য কারণে মোটরের উপর উচ্চ বৈদ্যুতিক চাপের প্রভাব পড়তে পারে। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেও বৈদ্যুতিক সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্ত অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক বা যান্ত্রিক লোডজনিত ক্ষয়- ক্ষতি থেকে মোটরকে রক্ষা করা খুবই জরুরি । বৈদ্যুতিক বা যান্ত্রিক সমস্যাদি হতে মোটরকে রক্ষার জন্য যে নিরাপত্তামূলক ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তাকে ওভারলোড প্রটেক্টর বলে। যার অপর নাম ওভার কারেন্ট প্রটেক্টর । কোন কারণে মোটর অতিরিক্ত কারেন্ট গ্রহণ করলে পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করাই ওভারলোড প্রটেক্টরের কাজ ।

মোটর ওভার লোডেড হওয়ার কারণ 

বিভিন্ন কারণে মোটর ওভার লোডেড হতে পারে। কারণগুলোকে প্রধান দু'টি অংশে পৃথক করা যায়- 

১। বৈদ্যুতিক কারণ ও ২। যান্ত্রিক কারণ ।

মোটর ওভার লোড হওয়ার কারণ সমূহের মধ্যে অন্যতম কারণ-

১। বৈদ্যুতিক বিভ্রাট,

২। যান্ত্রিক ত্রুটি, 

৩। হিমায়ক প্রবাহে বাধা, 

৪ । অতি উত্তপ্ত মোটর,

৫। শর্ট সাইক্লিং মোটর চালু রাখা, 

৬। আবদ্ধ কম্প্রেসর, 

৭। অপরিমিত লুব অয়েল, 

৮ । ইউনিট হতে তাপ সঞ্চালনে প্রতিবন্ধকতা, 

৯। নিয়মিত ও যথাযথ সার্ভিসিং না করা,   

১০ । রিলেতে ত্রুটি ইত্যাদি ।

 

ওভারলোড প্রটেক্টরের প্রয়োজনীয়তা

উপরের বর্ণনা হতে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে, নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে বৈদ্যুতিক লোডকে পরিচালনার জন্য ওভারলোড প্রটেক্টরের গুরুত্ব অসীম । সে প্রেক্ষিতে এর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হল-

ক) যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে অধিক কারেন্ট গ্রহণ করলে মোটরকে রক্ষা করে। 

খ) সাপ্লাইকৃত অধিক বা কম ভোল্ট জনিত কারণে মোটর কয়েলের ক্ষতি রোধ করে । 

গ) ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য মোটর চালু হতে না পারলে মোটরকে রক্ষা করে । 

ঘ) ত্রুটিপূর্ণ সংযোগের ক্ষেত্রে মোটরের নিরাপত্তা বিধান করে ৷

ওভারলোড প্রটেক্টরের প্রকারভেদ 

বিভিন্ন কাজে ভিন্ন ভিন্ন ওভারলোড প্রটেক্টর ব্যবহার করা হয়-

ক) থার্মাল টাইপ 

থার্মাল টাইপ প্রটেক্টর শুধু তাপমাত্রার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে নিরাপত্তা বিধান করে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ প্রবাহ জনিত তাপের প্রভাবে এটা কাজ করে । 

খ) থার্মাল অ্যান্ড কারেন্ট টাইপ 

এই ধরণে ওভারলোড প্রটেক্টর কারেন্ট এবং তাপমাত্রার প্রভাবে কাজ করে । কম্প্রেসর শেল (অভ্যন্তরীন) টেম্পারেচার এবং মোটর কারেন্টের প্রভাবে এটি প্রভাবিত হয়। এটি মোটর কারেন্ট এবং বর্তনীর পাওয়ারের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। অবস্থান ও লাইন ব্রেকের ভিত্তিতে ওভারলোড প্রটেক্টর দুই প্রকার- 

1. External Line Break Over Load: এটি কম্প্রেসর হাউজিং-এর বাইরের পয়েন্টের সাথে লাগানো থাকে । 

2. Internal Line Break Over Load: এটি মোটর ওয়াইন্ডিং-এর মধ্যে হিট সিল্ক অংশের কেন্দ্ৰে লাগানো থাকে ।

 

ওভারলোড প্রটেক্টরের বর্ণনা 

হার্মেটিক কম্প্রেসরে ব্যবহৃত ওভারলোড প্রটেক্টরের আকার গোলাকার বা চ্যাপ্টা হয়ে থাকে। এটা কম্প্রেসর মোটরের কমন টার্মিনালের সাথে সিরিজে সংযোগ করা হয় । এর ভেতর একটা বাইমেটাল ডিস্ক থাকে এবং এর নিচে একটা হিটিং কয়েল থাকে । একে হিটিং এলিমেন্ট বলে। হিটিং এলিমেন্ট ও বাইমেটালিক ডিস্ক একটা প্রকোষ্ঠ বা হাউজিং এর ভেতর বসানো থাকে । বাইমেটাল ডিস্কটি তাপে বাঁকা হলে প্রবাহ লাইন বন্ধ হয় । ১৫০ ডিগ্রী সেঃ উষ্ণতা বৃদ্ধির পূর্বেই প্রটেক্টর বর্তনী প্রবাহ বন্ধ করে মোটরকে রক্ষা করে ।

ওভারলোেভ প্রটেক্টরের ব্যবহার

 

Content added By

Refrigeration & Air Conditioning এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রক থার্মোস্ট্যাট। যে ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস ইভাপোরেটরের উষ্ণতার প্রভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হিমায়ন চক্রের কম্প্রেসর মোটরকে চালু ও বন্ধ করে তাকে থার্মোস্ট্যাট বলে। মোট কথা থার্মোস্ট্যাট কম্প্রেসরকে বা সলিনয়েড ভাল্ভকে অফ-অন করে। এটি তাপমাত্রার সাপেক্ষে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণকারী সুইচ বা কন্ট্রোলার ।

থার্মোস্ট্যাটের প্রয়োজনীয়তা 

হিমায়ন পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো ইভাপোরেটর অংশে প্রয়োজন মতো নিম্ন তাপমাত্রা সংরক্ষণ করা। থার্মোস্ট্যাটের সাহায্যে ইভাপোরেটর অংশে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে প্রত্যাশিত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য থার্মোস্ট্যাটের গুরুত্ব অসীম। নিচে থার্মোস্ট্যাটের প্রয়োজনীয়তা বর্ণিত হল-

ক. থার্মোস্ট্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহকে (কম্প্রেসরকে) অফ-অন করে । 

খ. এটি ইভাপোরেটর অংশে নির্ধারিত উষ্ণতা রক্ষা করতে সাহায্য করে । 

গ. ইউনিটের উচ্চচাপ ও নিম্নচাপ পরিমিত রাখার জন্য কম্প্রেসরকে চালু ও বন্ধ করে। 

ঘ. কোন কোন ক্ষেত্রে ডিফ্রস্ট হিটারকে চালু করে ডিফ্রস্টিংএর কাজ করে । 

ঙ. চালু ও বন্ধ করে কম্প্রেসরকে বিশ্রামের ব্যবস্থা করে । 

চ. থার্মোস্ট্যাট সলিনয়েড ভাল্ভকে অফ-অন করে প্রবাহী (হিমায়ক, চিল্ড ওয়াটার, ব্রাইন, স্টিম) প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।

 

থার্মোস্ট্যাটের প্রকারভেদ 

হিমায়ন পদ্ধতির লক্ষ্য হল তাপ স্থানান্তরের মাধ্যমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা । এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন প্রকার থার্মোস্ট্যাট ব্যবহার করা হয়। কার্যক্রম, ব্যবহার, গঠন, নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে থার্মোস্ট্যাট সুইচের শ্রেণি বিন্যাস দেখানো হল -

১। ডাইরেক্ট অ্যাক্টিং থার্মোস্ট্যাট 

তাপমাত্রা অনুভবকারী সেন্সর ধাতব পদার্থের তৈরি হয়। এতে কোন প্রবাহী (তরল বা বায়বীয়) পদার্থ ব্যবহার করা হয় না । ধাতব পদার্থ সংকোচন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে কাজ করে । 

২। ইনডাইরেক্ট অ্যাক্টং থার্মোস্ট্যাট 

তাপমাত্রা অনুভবকারী সেন্সরের মধ্যে প্রবাহী (তরল বা বায়বীয়) পদার্থ ব্যবহার করা হয় যা তাপের প্রভাবে প্রভাবিত হয়। প্রবাহীর সংকোচন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে কাজ করে ডায়াফ্রাম নিয়ন্ত্রণ করে।

ডাইরেক্ট অ্যাক্টিং থার্মোস্ট্যাট দুই প্রকার- 

ক) বাইমেটাল টাইপ থার্মোস্ট্যাট, 

খ) স্প্রিং টাইপ থার্মোস্ট্যাট ।

 

ইনডাইরেক্ট অ্যাক্টিং থার্মোস্ট্যাট (লিকুইড ফিল্ডে ব্যবহৃত প্রভাবকের উপর ভিত্তি করে) দুই প্রকার- 

ক) লিকুইড ফিল্ডে হিমায়ক ব্যবহৃত থার্মোস্ট্যাট, 

খ) লিকুইড ফিল্ডে পারদ ব্যবহৃত থার্মোস্ট্যাট।

 

লিকুইড ফিল্ডের গঠনের উপর ভিত্তি করে ইনডাইরেক্ট অ্যাক্টিং থার্মোস্ট্যাট দুই প্রকার- 

ক) রিমোটি ভাল্ব যুক্ত থার্মোস্ট্যাট: প্রবাহী ফিল্ড হিসাবে শুধু সেন্সিবল টিউব ও রিমোট ভাল্ব থাকে । 

খ) রিমোট ভাল্ব মুক্ত থার্মোস্ট্যাট: প্রবাহী ফিল্ড হিসাবে শুধু সেন্সিবল টিউব থাকে । রিমেট ভাল্ব থাকে না ।

 

কন্ট্রোল পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে দুই প্রকার- 

ক) অ্যাডজাস্টেবল থার্মোস্ট্যাট: অ্যাডজাস্ট করা যায় । 

খ) ফিক্সড থার্মোস্ট্যাট: অ্যাডজাস্ট করা যায় না ।

 

কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে থার্মোস্ট্যাট সুইচ তিন প্রকার- 

ক) কুলিং থার্মোস্ট্যাট, (Cooling Th.) 

খ) হিটিং থার্মোস্ট্যাট, (Heating Th.) 

গ) কুলিং ও হিটিং থার্মোস্ট্যাট। (Cooling & heating Th.)

 

বহুল ব্যবহৃত থার্মোস্ট্যাটগুলোর নাম- 

ক. বিলোজ টাইপ থার্মোস্ট্যাট (Bellows type thermostat ) 

খ. বাইমেটাল টাইপ থার্মোস্ট্যাট (Bimetal type thermostat ) 

গ. ডিফারেন্সিয়্যাল থার্মোস্ট্যাট (Differential thermostat) 

ঘ. রেঞ্জ অ্যাডজাস্টমেন্ট থার্মোস্ট্যাট (Range adjustment thermostat ) 

ঙ. অটোমেটিক ডিফ্রষ্ট থার্মোস্ট্যাট (Automatic defrost thermostat 

চ. পুশ ডিফ্রষ্ট থার্মোস্ট্যাট (Push defrost thermostat ) 

ছ. হিট পাম্প ডি-আইস কন্ট্রোল থার্মোস্ট্যাট (Heat pumps de-ice thermostat ) 

জ. থার্মোমিটার টাইপ থার্মোস্ট্যাট (Thermometer type thermostat 

ঝ. স্টেজিং থার্মোস্ট্যাট (Staging thermostat 

ঞ. পোর্টেবল থার্মোস্ট্যাট (Portable thermostat )

 

থার্মোস্ট্যাট কন্ট্রোলের বর্ণনা -

বাইমেটাল টাইপ থার্মোস্ট্যাট 

তাপ অনুভবশীল এলিমেন্ট হিসেবে দ্বিধাতুর পাত ব্যবহার করা হয়। এক পার্শ্বে বেশি ও অপর পার্শ্বে কম প্রসারাংঙ্কের ধাতু দিয়ে পাতটি তৈরি করা হয়। ফলে বেশি তাপে এটি বাঁকা হয়ে কন্ট্যাক্ট পয়েন্টকে অন করে । কম তাপে কন্ট্যাক্ট পয়েন্টকে অফ করে।

স্প্রিং টাইপ থার্মোস্ট্যাট 

স্প্রিং টাইপ থার্মোস্ট্যাটে স্প্রিং ব্যবহার হয়। তাপের কারণে এই স্প্রিং ক্রিয়াশীল হয়ে কন্ট্যাক্ট পয়েন্টকে অফ ও অনেক কাজ করে। কম তাপমাত্রায় স্প্রিং সংকোচিত হয়ে অফ এবং তাপমাত্রা বাড়লে স্প্রিং সম্প্রসারিত হয়ে অন করে। এর প্রধান অংশ সমুহ হল- 

১। স্প্রিং 

২। চলমান সংযোগ, 

৩। স্থায়ী সংযোগ ।

ফিল্ডে হিমায়ক ব্যবহৃত থার্মোস্ট্যাট 

থার্মোস্ট্যাটের ফিল্ডে হিমায়ক জাতীয় তাপ সংবেদনশীল লিকুইড প্রবাহী চার্জ করা হয় যার কিছু অংশ সম্পৃক্ত বাষ্পাকায়ে থাকে। বেশি তাপমাত্রায় এই প্রবাহী সম্প্রসারিত হয়ে কন্ট্রাক্ট পয়েন্টকে অন ও কম তাপমাত্রায় তরল সংকোচিত হয়ে কন্টাক্ট পয়েন্টকে অফ করে ।

ফিন্ডে পারদ ব্যবহৃত থার্মোস্ট্যাট 

লিকুইড ফিল্ডে তাপ সংবেদনশীল তরল এজেন্ট হিসাবে পারদ চার্জ করা থাকে। বেশি তাপমাত্রায় উক্ত পারদ সম্প্রসারিত হয়ে কন্ট্যাক্ট পয়েন্টকে স্পর্শ করে (নিজে কন্ডাক্টর হিসেবে) কন্টাক্ট পয়েন্টকে অন ও কম তাপমাত্রায় সংকোচিত হয়ে কন্টাক্ট পয়েন্টকে অফ করে। এই থার্মোস্ট্যাটে সম্প্রসারণ ও সংকোচনশীল বিলোজ বা ডায়াফ্রাম একটা সীমিত দৈর্ঘ্য ও চিকন ক্যাপিলারি টিউবের সাহায্যে একটা রিমোট ভাল্ব সংযুক্ত থাকে। রিমোট ভাল্ব ক্যাপিলারি টিউব ও বিলোজের অভ্যন্তরে হিমায়ক চার্জ করা থাকে। রিমোট ভাল্ব বা ক্যাপিলারি টিউব স্থাপনের এলাকা গরম হলে চার্জিত হিমায়ক সম্প্রসারিত হয়। এতে বিলোজ সম্প্রসারিত হয়ে কন্টাক্ট পয়েন্টকে অন করে । আবার ঠান্ডা হলে রিমোট ভাল্বের হিমায়ক ঘনীভূত হওয়াতে বিলোজ সংকোচিত হয় এবং কন্টাক্ট পয়েন্ট অফ হয়।

রেঞ্জ অ্যাডজাস্টমেন্ট থার্মোস্ট্যাট 

রেঞ্জ অ্যাডজাস্টমেন্ট থার্মোস্ট্যাট ডিফারেন্সিয়্যাল থার্মোস্ট্যাটের অনুরূপ। অফ-অন তাপমাত্রার ব্যবধান সর্বদা সমান বজায় রেখে এটি নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় পরিবর্তিত হয়।

অটোমেটিক ডিফ্ৰষ্ট কন্ট্রোল থার্মোস্ট্যাট 

এই থার্মোস্ট্যাট কুলিং চেম্বারের বরফ স্বয়ংক্রিয়ভাবে গলাতে সাহায্য করে। কুলিং কয়েল হিমাংঙ্কের নিচে উপনীত হলে তাতে বরফ জমে । এই বরফ মুক্ত করার জন্য হিটারে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন হয়। হিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া অটোমেটিক ডিফ্রষ্ট থার্মোস্ট্যাটের কাজ। বরফ মুক্ত হলে হিটারকে বন্ধ করে দেয়। একে কুলিং ওভারলোডও বলা হয় ৷

পুশ ডিফ্রষ্ট থার্মোস্ট্যাট 

এটি ম্যানুয়ালি বরফ গলাবার একটা ব্যবস্থা (অফ সাইকেল ডিফ্রস্টিং)। যখন ইভাপোরেটরের বরফ গলানোর প্রয়োজন হয় তখন হাত দিয়ে থার্মোস্ট্যাটের নবে পুশ (চাপ) দিতে হয়। ফলে হিটার লাইন বিদ্যুৎ প্ৰাপ্ত হয় এবং বরফ গলতে শুরু করে। বরফ বিমুক্ত হলে নবের পুশ মুক্ত করে হিটারের লাইন বন্ধ করা হয়।

থার্মোমিটার টাইপ থার্মোস্ট্যাট 

থার্মোমিটার টাইপ থার্মোস্ট্যাটে খুব অল্প ডিফারেন্সিয়্যাল তাপমাত্রা সেট করা যায়। মার্কারি কলামের মাধ্যমে রিলেতে ট্রানজিস্টরের সংযোগ দেয় এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যে সব ক্ষেত্রে খুব অল্প পরিমাণ উষ্ণতার পার্থক্য নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন হয় সেই সব ক্ষেত্রে এই থার্মোস্ট্যাট ব্যবহার করা হয়।

হিট পাম্প ডি-আইস থার্মোস্ট্যাট 

এই থার্মোস্ট্যাট শীতকালে হিট পাম্পের আউটডোর কয়েলের বরফ গলার জন্য কাজ করে। এটি হিট পাম্পের বাইরের অংশে লাগানো থাকে। শীতকালে বাইরের অংশের বরফ মুক্ত করার জন্য এটি হিটার লাইনে বা সলিনয়েড লাইনকে অন করে এবং হিটিং কার্যক্রম শেষে বরফ বা তুষার মুক্ত হলে হিটারকে অফ করে ।

স্টেজিং থার্মোস্ট্যাট 

স্টেজিং থার্মোস্ট্যাটে হিটিং ও কুলিং নিয়ন্ত্রণকারী মিটারসহ ব্লোয়ার ফ্যানের সংযোগ দেয়া হয়। সপ্তাহে কোন দিন কতটার সময় চালু হবে এতে তা নির্ধারণ করা যায়। কতক্ষণ পর পর ইউনিট চালু বা বন্ধ হয় তাও সহজে নির্ধারণ করা যায় এবং রিডিং হতে সমগ্র প্লান্টের অবস্থা বোঝা যায় ।

পোর্টেবল থার্মোস্ট্যাট 

পোর্টেবল থার্মোস্ট্যাট এক প্রকার রিমোট কন্ট্রোল ইলেক্ট্রনিক থার্মোস্ট্যাট। ইউনিট হতে প্রায় ৩৫ মিটার দূর হতে রিমোটের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।

থার্মোস্ট্যাট ব্যবহারের তালিকা 

হিমায়ন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্যই থার্মোস্ট্যাটের ব্যবহার করা হয়। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ বলতে নিচে (কুলিং) ও উচ্চ (হিটিং) উভয় অবস্থাকে বোঝানো হয়। সেদিক বিবেচনা করে তিন প্রকার থার্মোস্ট্যাটের ব্যবহার ছকে বর্ণনা করা হল-

 

থার্মোস্ট্যাট পরীক্ষা পদ্ধতি -

শব্দ পরীক্ষা 

থার্মোস্ট্যাট পরীক্ষা করতে হলে লবণ মিশ্রিত এক গ্লাস গুঁড়া বরফের প্রয়োজন। থার্মোস্ট্যাট অন অবস্থায় (সর্বনিন্ম) এর থার্মাল ভাল্ব বা সেন্সিবল টিউব বরফের ভেতর ডুবাতে হবে। খেয়াল করতে হবে কোন আওয়াজ করে কিনা । যদি আওয়াজ করে তাহলে কন্টাক্ট পয়েন্ট অফ হলো । থার্মাল বন্ধ বা সেন্সিবল টিউব বরফ হতে বের করে কিছুক্ষণ পর আবার শব্দ করলে বুঝতে হবে কন্টাক্ট পয়েন্ট অন হলো। অর্থাৎ থার্মোস্ট্যাট সুইচটি ভালো আছে । অন্যথায় খারাপ ।

কন্টিনিউটি পরীক্ষা 

সাধারন অবস্থায় ওহম মিটারে প্রোবদ্বয় থার্মোস্ট্যাটের দুই কন্ট্যাক্ট পয়েন্টে স্পর্শ করলে যদি কন্টিনিউটি দেখা এবং ওর রিমোট ভাল্ব বা সেন্সিবল টিউব শুধু বরফ অথবা লবণ মিশ্রিত বরফ পূর্ণ পাত্রে ডুবিয়ে কিছুক্ষণপর যদি কন্টিনিউটি বন্ধ হয়ে যায় এবং পাত্র হতে রিমোট ভাল্বকে অথবা সেন্সিবল টিউবকে উঠানোর কিছুক্ষণ পর কক্টিনিউটি দেখালে এটি ভালো। অন্যথায় নষ্ট ।

ল্যাম্প পরীক্ষা 

সার্কিটে একটা ল্যাম্প স্থাপন করে প্লাগ সকেটে ঢুকিয়ে সুইচ অন করলে সাধারণ অবস্থায় বাতি জ্বলবে এবং রিমোট অথবা সেন্সিবল টিউবকে বরফ ও লবণ পূর্ণ পাত্রে ডুবানোর কিছুক্ষণ পর বাতি নিভে গেলে বুঝতে হবে থার্মোস্ট্যাটটি ভালো আছে। অন্যথায় খারাপ ।

 

 

Content added By

টাইম শব্দের অর্থ সময় বা কাল। এ টাইম থেকে টাইমার এসেছে। হিমায়ন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের সময়, তাপমাত্রা, চাপ, আর্দ্রতা, হিমায়ক প্রবাহ ইত্যাদি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে সংরক্ষণ করে সিস্টেমকে স্বয়ংক্রিয় করা হয়। সময় স্বয়ংক্রিয় করার জন্য টাইমার ব্যবহার করা হয়।

টাইমার 

টাইমার হল সময়ের প্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রিত এক প্রকার স্বয়ংক্রিয় সুইচ। ঘড়ির অনুরূপ নির্ধারিত সময় অন্তর অন্তর এ ডিভাইস পদ্ধতির বৈদ্যুতিক প্রবাহের সংযোগ ও বিচ্ছিন্নের মাধ্যমে ইউনিটকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই একে টাইম ক্লক ও বলা হয়। সময়ের ভিত্তিতে টাইমার বর্তনীর একাধিক অংশের বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র-যন্ত্রাংশকে নিয়ন্ত্রন করে । বৈদ্যুতিক বা যান্ত্রিক শক্তি দিয়ে চালিত যে ডিভাইজ স্বয়ংক্রিয় ভাবে সময়ের প্রেক্ষিতে বৈদ্যুতিক বর্তনীর একাধিক অংশকে পর্যায়ক্রমে চালু ও বন্ধ করে তাকে টাইমার বলে । টাইমার রেফ্রিজারেশনের ক্ষেত্রে হিমায়ন বর্তনী (কম্প্রেসর মোটরকে) অফ করিয়ে ডিফ্রস্টিং হিটারের লাইন চালু করে দেয়। ডিফ্রস্টিং লাইন অফ করে নির্ধারিত সময় শেষে পুনরায় মোটরকে অন করে দেয়। অর্থাৎ টাইমার সিস্টেমের দুই বা ততোধিক লোড সম্বলিত সমান্তরাল বৈদ্যুতিক বর্তনীকে নিয়ন্ত্রণ (অফ-অন) করে। অফ-অন এর সময়টা নির্ভর করে টাইমারের পিরিয়ড সেটিং এর উপর যা সাধারণত নির্মাতা কর্তৃক নির্ধারিত থাকে ।

টাইমারের প্রকারভেদ 

ক) গঠনগত দিক দিয়ে টাইমার দুই ধরনের -

 ১. বৈদ্যুতিক টাইমার (Electrical Timer): বৈদ্যুতিক শক্তি দিয়ে চালিত হয় । 

২. যান্ত্রিক টাইমার (Mechanical Timer): যান্ত্রিক শক্তি দিয়ে চালিত হয়।

 

খ) ডিলে সময়ের উপর ভিত্তি করে দুই প্রকার- 

১। On Delay Timer: লোড চালু হবার যতক্ষণ পর লোড বন্ধ হবার কথা ঠিক ততক্ষণ পর লোড বন্ধ হলে তাকে On delay timer বলে ।

২। Off Delay Timer: লোড বন্ধ হবার যতক্ষণ পর লোড চালু হবার কথা ঠিক ততক্ষণ পর লোড চালু হলে তাকে Off delay timer বলে ।

 

গ) টাইমারের টার্মিনাল সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এটি দুই প্রকার- 

১। চার টার্মিনাল বিশিষ্ট টাইমার 

ক) নিউট্রাল লাইন সংযোগ (মোটর) টার্মিনাল 

খ) ফেজ ইন (ফেজ সংযোগ লাইন) টার্মিনাল 

গ) কম্প্রেসর মোটরের সংযোগ টার্মিনাল 

ঘ) ডিফ্রস্ট হিটার সংযোগ টার্মিনাল

২। পাঁচ টার্মিনাল বিশিষ্ট টাইমার 

ক) নিউট্রাল লাইন সংযোগ (মোটর) টার্মিনাল 

খ) কমন বা ফেজ ইন (ফেজ সংযোগ লাইন) টার্মিনাল 

গ) কম্প্রেসর মোটরের সংযোগ টার্মিনাল 

ঘ) কুলিং ফ্যান মোটরের সংযোগ টার্মিনাল 

ঙ) ডিফ্রষ্ট হিটার সংযোগ টার্মিনাল

টাইমারের কার্যপ্রণালি 

টাইমার বৈদ্যুতিক বা যান্ত্রিক শক্তি দিয়ে চালিত একটা স্বয়ংক্রিয় ডিভাইস যা সময়ের প্রেক্ষিতে বৈদ্যুতিক বর্তনীকে চালু ও বন্ধ করে। এ নির্ধারিত সময়ান্তর কন্ট্যাক্ট পয়েন্টগুলোকে পর্যায়ক্রমে অফ-অন করে । অফ- অনের এ পিরিয়ড যথাক্রমে ২৪ বা ১৮ বা ১২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর হতে পারে। যা নির্মাতার পরিকল্পনার উপর নির্ভরশীল। সুতরং বিভিন্ন রকমের টাইমারের কার্যপ্রক্রিয়াও বিভিন্ন। নিচে টাইমারের কার্যপদ্ধতি বর্ণনা করা হল-

বৈদ্যুতিক টাইমার 

বিদ্যুৎ দিয়ে চালিত টাইমারকে বৈদ্যুতিক টাইমার বলে । টাইমারে ৪টি টার্মিনাল থাকে । টার্মিনাল চারটির নাম হল- ক. কমন বা ফেজ, খ. নিউট্রাল, গ. কম্প্রেসর মোটর, ঘ. হিটার। এই টাইমারের প্রধানত রাজেড ক্যাম, ডায়াল, বডি ও কমন ও নিউট্রালের মধ্যে একটা মোটর কয়েল থাকে । মোটরের রোটরের সাথে একটি চিকন শ্যাফট ও কয়েকটি গিয়ার ও পিনিয়ন থাকে। চিকন শ্যাফটের সাথে বড় গিয়ারের সমন্বয় থাকার কারণে শ্যাফটি খুব দ্রুত এবং গিয়ারটি খুব ধীরে ঘোরে।

প্রথম অবস্থায় থার্মস্টাটটি বা সুইচের সাহায্যে টাইমারের কমন বা ফেজ ইন কানেকশন পয়েন্টে বিদ্যুৎ প্রবাহ পায় । ফলে মোটরটি চলতে থাকে । নির্ধারিত সময় অতিক্রম হবার পর টাইমারের মোটরটি কর্তৃক রাজেড ক্যাম পরিমিত পরিমাণ সরে যায়। সাথে সাথে কম্প্রেসর মোটরের কন্ট্যাক্ট বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । তখন অভ্যন্তরীণভাবে হিটার পয়েন্ট সংযোগ প্রাপ্ত হয়। সাপ্লাই পাবার পর একটা নির্দিষ্ট সমর পর্যন্ত হিটার উত্তপ্ত হতে থাকে । নির্ধারিত সময় অতিক্রমের পর টাইমার মোটর রাজেড ক্যামকে আবার সরিয়ে দেয়ার সাথে সাথে হিটার কষ্ট্যাক্ট পয়েন্ট বিচ্ছিন্ন হয় এবং কম্প্রেসর মোটর পুনরার সংযোগ পায় এবং চলতে থাকে । এভাবে পর্যায়ক্রমে মোটর চালু হিটার বন্ধ এবং হিটার চালু মোটর বন্ধের মাধ্যমে পদ্ধতি সচল থাকাতে ফ্রিজার চেম্বার বরফ মুক্ত থাকে ।

টাইমারের ব্যবহার ক্ষেত্র 

বিভিন্ন প্রকার কাজ সম্পাদন করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাইমার ব্যবহার করা হয়। একই ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কাজ সম্পন্ন হতে পারে, আবার ভিন্ন ক্ষেত্রে একই কাজ সংঘটিত হতে পারে। টাইমার যে সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তা হল- 

১) টাইম ডিলে রিলে 

২) মোটর কন্ট্রোল 

৩) পাম্প মোটর কন্ট্রোল 

৪) এজিটেটর কন্ট্রোল 

৫) ডিফ্রস্ট হিটার কন্ট্রোল 

৬) রেফ্রিজারেটরের মোটর ও হিটার কন্ট্রোল

 

 

Content added || updated By

এটি একটি স্টোরেজ ডিভাইস বা জমাকারক পাত্র, এতে বিদ্যুৎ শক্তি জমা করে রাখা হয়। এর কাজ সিঙ্গেল ফেজ মোটরকে চালু করা। অর্থাৎ, মোটর চালু করার সময় কিছু অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয় । ক্যাপাসিটরের মাধ্যমে সেই শক্তি প্রয়োগ করে মোটরকে স্টার্ট বা চালু করা হয় । ক্যাপাসিটর সাধারনত দুই প্রকার- 

১। স্টার্ট ক্যাপাসিটর ( Start Capacitor) 

২। রান ক্যাপাসিটর ( Run Capacitor)

এছাড়াও আরএসি ট্রেডে আরো এক প্রকার ক্যাপাসিটর ব্যবহৃত হয়, যা কম্বাইন্ড (Combined) ক্যাপাসিটর নামে পরিচিত। দু'টি রান ক্যাপাসিটরের সমন্বয়ে এটি গঠিত হয়। 

১। স্টার্টিং ক্যাপাসিটর (Start Capacitor ) 

যে ক্যাপাসিটর শুধু মোটর স্টার্ট করতে সাহায্য করে তাকে স্টার্টিং ক্যাপাসিটর বলে। এটি দেখতে অনেকটা গোলাকার, ওজনে হাল্কা, ক্ষমতা বেশী অর্থাৎ বেশি মানের হয়, যেমন ৪০-৭০ (MFD), ৮-১১ (MFD) পর্যন্ত হয়ে থাকে। রেফ্রিজারেটরে সাধারণত ৪০-৭০ (MFD) এবং (AC) তে ৮০-১১০ (MFD) মানের ক্যাপাসিটর ব্যবহার হয়ে থাকে। এই ক্যাপাসিটরের পায়ে পরিবর্তনশীল ভাবে মান লেখা থাকে। যেমন- ৪০ হতে ৭০ (MFD) । এটি স্টার্টিং ওয়াইন্ডিং এর সাথে সিরিজে সংযোগ করতে হয়।

২। রানিং ক্যাপাসিটর ( Run Capacitor) 

যে ক্যাপাসিটর মোটরকে স্টার্ট ও চলতে সাহায্য করে তাকে রানিং ক্যাপাসিটর বলে। এটি আকারে বড়, ওজনে ভারী, মেটাল বডি এবং ক্ষমতায় কম হয়ে থাকে। এর গায়ে নির্দিষ্ট মান লেখা থাকে। যেমন- ২.৫ (MFD) ২৫ (MFD) ইত্যাদি। এটি সাধারনত ১.৫ হইতে ৬০ (MFD) পর্যন্ত হরে থাকে। এটি সাধারনত ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন ফ্যান মোটর, পানির মোটর, এসির কম্প্রেসর মোটর ইত্যাদি ক্ষেত্রে। স্ক্যান মোটরে ১.৫ হতে ৫ (MFD) এর ক্যাপাসিটর এবং (AC) এর কম্প্রেসরে ২৫ হইতে ৬০ (MFD) এর ক্যাপাসিটর ব্যবহৃত হয়। এটি স্টার্টিং এবং রানিং ওয়াইন্ডিং এর সাথে সংযোগ করতে হয়।

কম্বাইন্ড ক্যাপাসিটর (Combined Capacitor) 

দু'টি রান ক্যাপাসিটর মিলে যখন একটি ক্যাপাসিটর গঠিত হয় তখন তাকে কম্বাইন্ড ক্যাপাসিটর বলে। এটি সাধারনত এসির ইলেকট্রিক্যাল সার্কিটে ব্যবহৃত হয়। একটি কম্বাইন্ড ক্যাপাসিটর এর সাহায্যে এক সাথে দু'টি মোটর চালানো যায়। এতে তিনটি পয়েন্ট থাকে যেমন- ১) হারমেটিক (HEARM) ২) ফ্যান (FAN) ৩) কমন (C) । হারমেটিকে কম্প্রেসরের স্টার্টিং, ফ্যানে ফ্যান মোটরের স্টার্টিং, এবং কমনে ফ্যানের এবং কম্প্রেসরের রানিং ও নিউট্রাল তার সংযোগ করতে হয়।

টার্মিনাল নির্বাচন

সাধারনত মাঝখানের টার্মিনালটি কমন হিসেবে থাকে। এবার AVO Metter এর Selector Knob কে এস এ সেট করি। AVO মিটারের এক প্রাপ্ত কমন (C) টার্মিনালের সাথে এবং অপর প্রাপ্ত ক্যাপাসিটরের অন্য দুই টার্মিনালের সাথে পরপর সংযোগ করি। যে টার্মিনালের সাথে ধরলে বেশি রিডিং দেখাবে সেটি হবে কম্প্রেসরের মোটর (Compressor Motor) টার্মিনাল আর বে টার্মিনালের সাথে মিটার ধরলে কম রিডিং সেখাৰে সেটি হবে Fan Motor এর টার্মিনাল ।

 

Content added By

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা রিকভারি কী এবং রিকভারি করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানব ।

৪.৩.১ রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি এমন একটি পদ্ধতি যাতে একটি রেফ্রিজারেশন বা এয়ার-কন্ডিশনিং ইউনিট থেকে নিরাপদে রেফ্রিজারেন্ট বের করে অন্য কোন নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা হয়।

রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি অজৈব পদার্থ যাকে Synthetic Compound বলে । এই হিমায়ক যদিও রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং এ রক্তের মত ব্যবহার হয় তবুও এর কিছু ভয়ানক প্রভাব রয়েছে। আমাদের পরিবেশের জন্য যা খুবই ক্ষতিকর। রেফ্রিজারেন্ট রিকভারির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষা । যখন ইউনিটের মেকানিক্যাল কোন অংশে কাজ করার প্রয়োজন হয় (যেমন- কম্প্রেসর, কন্ডেন্সার, ইভাপোরেটর বা অন্য কোন মেকানিক্যাল অংশ পরিবর্তন অথবা ইউনিটের মেকানিক্যাল অংশের মেরামত) তখন রেফ্রিজারেন্টকে বাতাসে ছেড়ে না দিয়ে রিকভারি করতে হয়।

রিকভারি পদ্ধতি 

মূলত তিনটি পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করা হয়- 

১। ভ্যাপার রিকভারি পদ্ধতি 

২। তরল রিকভারি পদ্ধতি 

৩। পুশ-পুল রিকভারি পদ্ধতি

ভ্যাপার ও লিকুইড রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি পদ্ধতি 

ভ্যাপার ও তরল রেফ্রিজারেন্টের রিকভারি পদ্ধতি অনেকটা একই রকমের। সাধারণত ছোট ইউনিট যেমন- বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেটর, এয়ার-কন্ডিশনার ইত্যাদিতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ইউনিটে ভ্যাপার ও লিকুইড রিকভারি এর মধ্যে লিকুইড রিকভারি করাই উত্তম। শুধুমাত্র ভ্যাপার লাইন থেকে রিকভার করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এমনও হতে পারে যে কোন ইউনিটে ব্লক ছিল তাই রিকভারি করার সময় শুধুমাত্র লো সাইড অংশের রেফ্রিজারেন্টটুকুই রিকভারি হয়েছে। হাই সাইডের রেফ্রিজারেন্ট ইউনিটেই রয়ে গেছে। তাই সবচেয়ে ভাল হয় যদি লিকুইড লাইনে পিয়ার্সিং অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করা যায় ।

পুশ-পুল রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি পদ্ধতি 

বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিট যেখানে লিকুইড রেফ্রিজারেন্ট খুব বেশি পরিমানে থাকে সেখানে সাধারণ রিকভারি অনেক সময় সাপেক্ষ হয়। এই ইউনিট গুলিতে পুশ-পুল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেসব ইউনিটে ১৫ পাউন্ড বা প্রায় ৭ কেজির বেশি রেফ্রিজারেন্ট থাকে সেসব ক্ষেত্রেই এই পুশ-পুল পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। ভ্যাপার দিয়ে ধাক্কা দিয়ে লিকুইড এনে সিলিন্ডারে আটকে রাখার প্রক্রিয়াকে পুশ-পুল বলা হয় ।

রেফ্রিজারেশন ইউনিট মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষন

 

Content added || updated By

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভেদে রেফ্রিজারেটরের কিছু কিছু যন্ত্রাংশের অবস্থান ভিন্ন হতে পারে। ৪.৬ চিত্রে একটি নন- ফ্রস্ট টাইপ রেফ্রিজারেটরে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহ দেখানো হয়েছে।

 

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ

নিজ বাসা অথবা বিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউটে রেফ্রিজারেটর দেখে ৪.১.২ ইনফরমেশন শিটে উল্লেখিত কম্পোনেন্টের তালিকা হতে, রেফ্রিজারেটরের বিভিন্ন অংশ শনাক্ত ও এর অবস্থান চিহ্নিত করে নিচে দেয়া এ্যাক্টিভিটি ফর্মটিতে লিপিবদ্ধ কর।

রেফ্রিজারেটরের ধরণ:

 

Content added || updated By

রেফ্রিজারেটরের ত্রুটি নির্ণয় ও প্রতিকার ( Fault Finding & Remedy of Refrigerator)

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা রেফ্রিজারেটরের বিভিন্ন ত্রুটি, ত্রুটির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানব ।

রেফ্রিজারেটর চলেনা

 

রেফ্রিজারেটর চালু হয়েই বন্ধ হয়ে যায়

 

রেফ্রিজারেটর চলে কিন্তু ঠান্ডা হয় না

 

রেফ্রিজারেটর চলে কিন্তু ঠান্ডা কম হয় ।

 

রেফ্রিজারেটরে বরফ বেশী জমে ।

 

রেফ্রিজারেটর অনবরত চলতে থাকে

 

রেফ্রিজারেটরের ভেতর থেকে পানি বের হয়

 

রেফ্রিজারেটরের বডিতে হাত দিলে শক্‌ করে

 

রেফ্রিজারেটর চলার সময় অতিরিক্ত শব্দ করে চলে

 

রেফ্রিজারেটরের লাইট জ্বলেনা

 

রেফ্রিজারেটরের ডিপ চেম্বারে ঠান্ডা হয় কিন্তু নরমালে ঠান্ডা হয় না

 

রেফ্রিজারেটর চালু করলেই ফিউজ কেটে যায় / সার্কিট ব্রেকার অফ হয়ে যায়

 

রেফ্রিজারেটর চালু করলে চলে না কিন্তু অ্যাম্পিয়ার বেশি নেয়

 

 

Content added By

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা গ্যাস চার্জিং এর লক্ষণ ও বিল তৈরি করা সম্পর্কে জানব।

৪.৫.১ রেফ্রিজারেন্টকে টেকনিশিয়ানরা গ্যাস নামে চেনে। রেফ্রিজারেশন ইউনিট বা হিমায়ন যন্ত্রে লিকেজ নির্ণয় ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করতে হলে নিচে উল্লেখিত কাজগুলো ধারাবাহিক ভাবে সম্পন্ন করতে হয়-

  • সম্পূর্ন মেকানিক্যাল সাইকেল একত্রে অথবা আলাদা আলাদা লিক টেস্ট করা
  • প্রয়োজনে ক্লিনিং ও ফ্লাশিং করা
  • লিক মেরামত করা
  • পুনরায় সম্পূর্ণ সাইকেল এক সাথে লিক টেস্ট করা 
  • সম্পূর্ন মেকানিক্যাল সাইকেলকে বায়ুশুন্য করা 
  • তার পরে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা

আমরা ব্যবহারিক-২ নং জবের মাধ্যমে উপর্যুক্ত বিষয়গুলি শিখব। তবে রেফ্রিজারেন্ট চার্জিং এর কিছু লক্ষণ আছে- যা দেখে আমরা সহজেই বুঝতে পারব রেফ্রিজারেশন ইউনিট বা হিমায়ন যন্ত্রে সঠিক রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা হয়েছে কি না ।

 

Content added By

রেফ্রিজারেন্ট চার্জিং সঠিক আছে বোঝার উপায়গুলো নিচে দেয়া হল-

  • ডিসচার্জ লাইন গরম হবে এবং সাকশন লাইনে ঘাম ঘাম ভাব দেখা দিবে 
  • কন্ডেন্সার পরিপূর্ন রূপে গরম হবে 
  • ড্রায়ার হালকা কুসুম গরম হবে
  • ক্লিপ অন মিটারে অ্যাম্পিয়ার সঠিক দেখাবে 
  • কিছুক্ষণ চলার পর ইভাপোরেটরে বা চেম্বারে চিনির দানার মত গুড়া বরফ আসবে 
  • রেফ্রিজারেটরে এক গ্লাস পানি রাখলে ১২ ঘন্টা চলার পর তা বরফে পরিণত হবে। মাটিতে আছাড় দিলে অনেক টুকরো হবে
  • ১-২ ঘন্টা চালানোর পর ইভাপোরেটর থেকে কুয়াশার মত ধোঁয়া বের হবে 
  • ৩-৪ ঘন্টা চালনার পর কম্প্রেসরটি থার্মোস্ট্যাটের মাধ্যমে অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। গেজের কাটা আবার উপরে উঠতে থাকবে- এখন যে প্রেশার দেখাবে তাকে বলে ব্যাক প্রেশার বা আইডল প্রেসার।
  • টেম্পারেচার মিটারের মাধ্যমে পরীক্ষা করলে দেখা যাবে ফ্রোজেন ফুড চেম্বারের তাপমাত্রা (-১৮ ° থেকে -২৩°) সেলসিয়াস এবং ফ্রেশ ফুড চেম্বারের তাপমাত্রা (৬ ° থেকে ৮ °) সেলসিয়াস
  • আবাসিক রেফ্রিজারেটর স্টার্টিং এর সময় অ্যাম্পিয়ার হবে = ৫ - ১০ অ্যাম্পিয়ার 
  • আবাসিক রেফ্রিজারেটর রার্নিং অবস্থায় অ্যাম্পিয়ার হবে = ০.৫ - ১.৫০ অ্যাম্পিয়ার (সর্বোচ্চ)

রেফ্রিজারেন্ট চার্জ বেশি হলে বোঝার উপায়

  • সাকশন লাইনে বরফ জমবে।
  • কম্প্রেসরে অ্যাম্পিয়ার বেশি নেবে।

আবাসিক রেফ্রিজারেটরে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার ক্ষেত্রে নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন-

 

 

Content added By

১। একটি রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসর পরিবর্তন করে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা হয়েছে। এর চুড়ান্ত বিল কত?

 

২। একটি রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসর ফ্লাশিং করে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা হয়েছে। এর চূড়ান্ত বিল কত?

 

৩। একটি রেফ্রিজারেটরের ওভারলোড, রিলে ও কুলিং ফ্যান পরিবর্তন করা হয়েছে। এর চুড়ান্ত বিল কত?

 

 

Content added By

এই শিখন ফলে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার করণীয়, Cleaning Materials এর চিত্র সহ নাম জানতে পারব।

কাজ শুরু করার পূর্বে এবং পরে কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লিনিং ইকুইপমেন্ট পাওয়া যায়। কার্যকারী ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে অতি অল্প সময়ে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব।

৪.৬.১ Cleaning Materials এর নামসহ চিত্র দেয়া হল-

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা
  • প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা
  • রেফ্রিজারেশন ইউনিটের টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করা 
  • রেফ্রিজারেশন ইউনিটের সাথে রিকভারি ইউনিটের সংযোগ স্থাপন করা
  • বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে রিকভারি ইউনিট চালু করে নির্ধারিত সিলিন্ডারে রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করা
  • কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা
  • অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা
  • ওয়েস্টেজ এবং ক্র্যাপ নির্ধারিত স্থানে ফেলা
  • কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

 

খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)

 

গ) মালামাল (Raw Materials )

 

(ঘ) কাজের ধারা

১। রিকভারি মেশিনে হোস পাইপ সংযোগ কর। 

ক. রিকভারি মেশিনের ইনলেট ও আউটলেট ক্যাপ খোল;

খ. রিকভারি মেশিন ও সিলিন্ডারের সাথে ডবল গেইজ মেনিফোল্ডে হোস পাইপ স্থাপন কর (রেফ্রিজারেটরের লিকুইড লাইন থেকে ডবল গেজের মাঝের পোর্টে, ডবল গেজের কম্পাউন্ড পোর্ট থেকে রিকভারি মেশিনের ইনলেট পোর্টে, রিকভারি মেশিনের আউটলেট পোর্ট থেকে সিলিন্ডারের লিকুইড লাইনের সাথে সংযোগ করো )

২। হোস পাইপটি পার্জিং করো। 

ক. রিকভারী মেশিনের ইনলেট ও আউটলেট এর সিলেক্টর সুইচকে ওপেন পজিশনে সেট করো; 

খ. পাওয়ার সুইচ অন করো; 

গ. অপর সিলেক্টর সুইচকে পার্ল পক্ষিশনে সেট করো; 

ঘ. স্টার্ট সুইচ অন কর (৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সিলেক্টর সুইচকে রিকভারি পজিশনে সেট করো। পাইপটি অটোমেটিক ভাবে পার্লিং হয়ে যাবে)।

৩। রিকভারি করো। 

ক. সিলিন্ডারের লিকুইড ভাবটি খুলে দাও 

খ. কম্পাউন্ড গেজের কাটা জিরো এর নিচে নেমে যাবে এবং রিকভারি মেশিনটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে: 

গ. ডাবল পেজের ভাষটি বন্ধ করো।

৪। রিকভারি মেশিন বন্ধ করো 

ক. সিলিন্ডারের লিকুইড ভাষটি বন্ধ করো; 

খ. স্টার্ট সুইচ ও পাওয়ার সুইচ অফ করো; 

গ. রিকভারি পজিশনে সেট করা সিলেক্টিং সুইচকে পার্ল পজিশনে সেট করো; 

ঘ. রিকভারি মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করো; 

ঙ. হোস পাইপটি খুলে ফেল।

 

কাজের সতর্কতা

  • অবশ্যই নিরাপত্তা মূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করে কাজ করতে হবে 
  • কিছু রেचিজারেন্টে আগুন ধরার সম্ভাবনা থাকে বিধায় সতর্কতার সাথে কাজটি করতে হবে 
  • কাজটি করতে কোন প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন হলে অবশ্যই শিক্ষক/ট্রেইনারকে জানাতে হবে

আত্নপ্রতিফলন 

রেফ্রিজারেশন ইউনিটের রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা 
  • প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা 
  • রেফ্রিজারেশন ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের তালিকা তৈরি করা
  • রেফ্রিজারেশন ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহের অবস্থান চিহ্নিত করে যন্ত্রাংশ সমূহ বিচ্ছিন্ন করা 
  • রেফ্রিজারেশন ইউনিটে যন্ত্রাংশের ত্রুটি চিহ্নিত করা 
  • রেফ্রিজারেশন ইউনিটে ত্রুটিপুর্ন যন্ত্রাংশ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পরিবর্তন করা 
  • ত্রুটিপুর্ন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন / মেরামতের পর সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ পরীক্ষা করা
  • মেরামতের পর রেফ্রিজারেশন ইউনিটে বিধি মোতাবেক বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে চালু করা
  • মেজারিং টুলসের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক রিডিং সংগ্রহ ও ডাটা শিটে লিপিবদ্ধ করে ইউনিটটির মেরামত কার্য সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা
  • কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা
  • অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা 
  • ওয়েস্টেজ এবং স্ক্র্যাপ নির্ধারিত স্থানে ফেলা 
  • কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

 

(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)

 

(গ) মালামাল (Raw Materials )

 

(ঘ) কাজের ধারা

১. রেফ্রিজারেটর ইউনিট ফ্লাশিং কর।

ক. কন্ডেনসার,ইভাপোরেটরের এক প্রান্তে নন রির্টান ভাল্ব লাগাও এবং ড্রাই নাইট্রোজেন দিয়ে প্রেশার দাও; 

খ. অপর প্রান্ত আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধর। যখন প্রেশার তৈরি হবে তখন ছেড়ে দাও । এভাবে বারবার করো ।

 

২. রেফ্রিজারেটরের লিক নির্ণয় করো । 

ক. ইউনিটের সাথে হাই প্রেশার গেজ ও ড্রাই নাইট্রোজেন সিলিন্ডারের হোজ পাইপ সংযোগ করো; 

খ. চিত্র অনুয়ায়ি ইউনিটে ৭০-৭৫ পি.এস.আই, ড্রাই নাইট্রোজেন প্রেশার দাও; 

গ. প্রেশার দিয়ে অপেক্ষা কর এবং লক্ষ্য কর গেজ মিটারের কাটা নেমে যাচ্ছে কিনা । গেজ মিটারের কাটা নেমে গেলে বুঝতে হবে ইউনিটে লিক আছে; 

ঘ. টিউবের বিভিন্ন জয়েন্টে ও সন্দেহজনক স্থানে সাবান ফেনা ধর; 

ঙ. লক্ষ্য কর কোথা থেকে সাবান ফেনার বাবল তৈরি হচ্ছে । যেখান থেকে বাবল তৈরি হচ্ছে সেখানেই লিক আছে।

 

৩. রেফ্রিজারেটরের লিক মেরামত করো। 

ক. রেফ্রিজারেটর ইউনিটের চার্জিং লাইন খুলে ড্রাই নাইট্রোজেন বের করে দাও, 

খ. মডিউল ৫ এর ১ অথবা ২ নং জব অনুসরণ করে ওয়েল্ডিং অথবা লকরিং জয়েন্টের মাধ্যমে লিক মেরামত করো; 

গ. ওয়েল্ডিং অথবা লকরিং এর মাধ্যমে নতুন ড্রায়ার লাগাও ।

 

৪. রেফ্রিজারেটর সিষ্টেমটি ভ্যাকুয়াম করো । 

ক. চিত্র অনুযায়ি রেফ্রিজারেটরের সাথে হোজ পাইপ, গেজ মেনিফোল্ড, ভ্যাকুয়াম পাম্প, সঠিক রেফ্রিজারেন্ট সিলিন্ডার স্থাপন করো; 

খ. ভ্যাকুয়াম পাম্পে বিদ্যুৎ সাপ্লাই দাও ও ভ্যাকুয়াম পাম্পটি চালু করো; 

গ. গেজ মেনিফোল্ডের সকল ভাল্ব খুলে দাও; 

ঘ. কম্পাউন্ড গেজের কাঁটা -২৯.৯ ইঞ্চি অব মার্কারিতে (inch of Hg) নামা পর্যন্ত ভ্যাকুয়াম পাম্পটি চালু রাখ; 

ঙ. কম্পাউন্ড গেজের কাঁটা -২৯.৯ ইঞ্চি অব মার্কারিতে (inch of Hg) নেমে গেলে হাই প্রেসারগেজ মিটারের ভাল্বটি বন্ধ করো; 

চ. ভ্যাকুয়াম পাম্পটি বন্ধ কর এবং আনপ্লাগ

 

৫. রেফ্রিজারেটরে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করো। 

ক. গ্যাস সিলিন্ডারের ভাল্বটি খুলে ফেল; 

খ. কম্পাউন্ড গেজে মিটারের ভাল্বটি খুলে ফেল; 

গ. রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করে সঠিক (রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী) চার্জিং প্রেশার তৈরি কর এবং কম্পাউন্ড গেজ মিটারের ভাল্বটি বন্ধ করো; 

ঘ. সাপ্লাই লাইনে ক্লিপ অন মিটার সংযোগ করো; 

ঙ. বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ করে ইউনিটি চালু করো; 

চ. রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী, রানিং প্রেশার ও অ্যাম্পিয়ার সঠিক (ইনফরমেশন শিটে উল্লেখিত) আছে কিনা লক্ষ্য করো; 

ছ. রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী, রানিং প্রেশার ও অ্যাম্পিয়ার কম হলে পুনরায় রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করে সঠিক রানিং প্রেশার ও অ্যাম্পিয়ার (ইনফরমেশন শিটে উল্লেখিত) তৈরি করো।

রেফ্রিজারেশন ইউনিট মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষণ 

 

৬. রেফ্রিজারেটরটিতে পরিপূর্ণ গ্যাস চার্জ হয়েছে কিনা পর্যবেক্ষন করো। 

ক. ইনফরমেশন শিট অনুযায়ী সঠিক গ্যাস চার্জিং এর লক্ষন গুলি মেলাও ও সঠিক তথ্য ডাটা পিঠে লেখ; 

খ. লক্ষণ গুলি মিলে পেলে গ্যাস সিলিন্ডারের ভালগুটি বন্ধ কর এবং হোজ পাইপ ও পেজ মেনিকোল্ড খুলে ফেল; 

গ. চার্জিং লাইনটি পিকিং টুলসের সাহায্যে সিদ্ধ করো; 

ঘ. গেঞ্জের তালুত অল্প খুলে দেখ রেফ্রিজারেন্ট বের হয় কিনা। বের হলে আবারও সিন্ড কর। বের হওয়া বন্ধ হলে গ্যাস ওয়েল্ডিং বা সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে ঝালাই কর এবং নন রিটার্নের মাথার একটি ডেড ক্যাপ দিয়ে বন্ধ করো।

কাজের সতর্কতা

  • অবশ্যই নিরাপত্তা মূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করে কাজ করতে হবে 
  • কিছু রেফ্রিজারেন্টে আগুন ধরার সম্ভাবনা থাকে বিধায় সতর্কতার সাথে কাজটি করতে হবে 
  • কাজটি করতে কোন প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন হলে অবশ্যই শিক্ষক/ট্রেইনারকে জানাতে হবে

আত্মপ্রতিফলন

রেক্সিজারেশন ইউনিট ফ্লাশিং লিক টেস্ট, ভ্যাকুয়াম করে রেগ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

Content added By
Please, contribute to add content into অনুশীলনী.
Content

Promotion