On This Page
এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

আধুনিক যুগে বিভিন্ন পেশাগত ও পারিবারিক কারণে মানুষের জীবন এতটাই পতিশীল হয়ে উঠেছে যে তাদেরকে অনেক বেশি ভ্রমণ করতে হয়। এই ভ্রমণকে আরামদায়ক করার জন্য বর্তমানে প্রায় ৯৯% নতুন পাড়িগুলোতে আধুনিক এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম যুক্ত। এই সিস্টেমের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে তাই বিশ্বজুড়ে দক্ষ টেকনিশিয়ানের বিশেষ চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। চিন্তা করি তো, কার এয়ার কন্ডিশনারের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কৌশল কী হতে পারে? এই অধ্যায়ে আমরা কার এয়ার কন্ডিশনার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণার্জন ও তাদের মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণ কৌশল সম্পর্কে শিখব।

এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-

  • ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল কম্পোনেন্টগুলো টেষ্ট করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারব 
  • ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্টগুলো পরীক্ষা করতে পারব
  • ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি ইউনিটের মাধ্যমে রিকভারি সিলিন্ডারে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে পারব
  • ব্যবহৃত যন্ত্রাংশগুলো চিহ্নিত করতে পারব
  • লিকেজ নির্ণয় ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করতে পারব
  • কাজ শেষে কর্মস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারব

উপযুক্ত শিখনফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যায়ে আমরা তিনটি জব সম্পন্ন করব। এই জবের মাধ্যমে কার এয়ার কন্ডিশনারের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্টগুলো পরীক্ষা করা, সিস্টেমের রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জন করব। জবগুলো সম্পন্ন করার আগে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়গুলো জেনে নেই।

 

 

Content added By

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা সুরক্ষা পোশাক, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা, কর্মক্ষমতা যাচাই এর জন্য বিশেষ টুলস ও ইকুইপমেন্টস সম্পর্কে জানব ।

Content added || updated By

সুরক্ষা পোশাক (PPE)

 

Content added By

তোমরা প্রথম অধ্যায়ে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা বিষয়ে জেনেছ। প্রয়োজনে আবার দেখে নাও ।

Content added By

কার এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমে কাজ করতে এর মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট এবং তাদের কম্পোনেন্ট সমূহ টেষ্ট, মেরামত ও রক্ষণাক্ষেণ করার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ টুলস ও ইকুইপমেন্টস সম্পর্কে জেনে নেই।

এ্যাভো মিটার (AVO Meter)

 লাইন বা লোডের কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স মাপার জন্য ব্যবহার করা হয়।

কুইক কাপলার কানেকটর (Quick Coupler Connector) 

কার এসির সার্ভিস পোর্ট এবং রেফ্রিজারেন্ট ১৩৪ (R-134a) এর হোস পাইপ সংযোগ করার জন্য ব্যবহৃত হয় ।

চিত্র ২.৩: কুইক কাপনার কানেকটর

মেনিফোল্ড গেজ এডাপটার (Manifold Gauge Adapter) 

নির্দিষ্ট কোন রেফ্রিজারেন্টের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্রান্ডের হোস পাইপ মেনিফোন্ডে লাগানোর জন্য এই এডাপটার ব্যবহার করা হয়।

ইনফ্রারেড টেম্পারেচার মিটার (Infrared Temperature Meter) 

ইনফ্রারেড টেম্পারেচার মিটার দূরবর্তী স্থান থেকে ডিজিটালি ভাপমাত্রা মাপার জন্য ব্যবহার করা হয়।

টু স্টেজ রোটারী ভ্যাকুয়াম পাম্প (Two Stage Rotary Vaccum Pump) 

টু স্টেজ রোটারি ভ্যাকুয়াম পাম্প মেকানিক্যাল রেফ্রিজারেশন সিস্টেমকে বায়ু শুন্য করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

রিকভারি ইউনিট (Recovery Unit) 

রেফ্রিজারেশন সিস্টেম থেকে রেফ্রিজারেন্ট পুনরুদ্ধার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। পুনরুদ্ধারকৃত গ্যাস রিসাইক্লিং করে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং অবমুক্ত গ্যাস দিয়ে পরিবেশের ক্ষতি হয় না।

সোল্ডারিং আয়রন (Soldering Iron) 

পিসিবিতে ইলেকট্রনিক্স পার্টস এবং বৈদ্যুতিক তার সোল্ডারিং জোড়া দিতে ভাপের উৎস হিসেবে ইলেকট্রিক সোল্ডারিং আয়রন ব্যবহার করা হয়। সোল্ডারিং আয়রনের ভেতর একটি হিটিং এলিমেন্ট থাকে। ইলেকট্রনিক্স কাজে সাধারণত ৩০ থেকে ৬০ ওয়াটের সোল্ডারিং আয়রন ব্যবহৃত হয়।

সাকার (Sucker ) 

পিসিবি বোর্ডের ঝালাইকৃত অংশে লেগে থাকা লীড সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে গলানোর পর সাকার বা ডিসোল্ডারিং পাম্প তা অপসারণ করে। এর ভেতর একটি স্প্রিং নিয়ন্ত্রিত পিস্টনের ভ্যাকুয়াম চাপে গলিত লীড বের করে আনে।

ডিজিটাল মাইক্রোন মিটার/ গেজ (Digital Micron Meter / Gauge) 

মেকানিক্যাল রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের সঠিক ভ্যাকুয়াম পরিমাপ করার জন্য ডিজিটার মাইক্রন পেজ ব্যবহার করা হয়।

ক্লাচ হোল্ডিং টুলস (Clach Holding Tools) 

কার এসির কম্প্রেসর থেকে ক্লাচ প্লেট খোলার জন্য ক্লাচ হোল্ডিং টুলস ব্যবহার করা হয়।

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ ১ 

নিচের ছকের টুলস্ ইকুইপমেন্টের ছবিগুলির নাম ও ব্যবহার লিপিবদ্ধ করি।

 

 

Content added By

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা বিদ্যুৎ, চাপ ও তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করতে পারব।

Content added By

যে সমস্ত যন্ত্র মেজারিং বা পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হয় তাকে মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট বলা হয়। আর মেজারিং ইন্সট্রুমেন্টকে নির্দিষ্ট রেঞ্জে সেটিং করে পরিমাপ করার উপযুক্ত করাই ক্যালিব্রেট।

মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট 

ইনভার্টার টাইপ রেফ্রিজারেশন সিস্টেমে ব্যবহৃত মেজারিং ইন্সট্রুমেন্টগুলো হল- 

ক) AVO মিটার 

খ) ডিজিটাল থার্মোমিটার 

গ) হাই প্রেশার গেজ, লো-প্রেশার গেজ

AVO মিটার 

এ্যাভো মিটার দিয়ে বৈদ্যুতিক সার্কিটের ডিসি/এসি কারেন্ট, বৈদ্যুতিক ডোস্টেজ ও ওম বা রোধ পরিমাপ করা হয়। কারেন্ট ও ডোস্টেজ পরিমাপের সময় লোডের চেয়ে বেশি রেজে রেখে পরিমাপ করতে হয়, এতে মিটার সহজে নষ্ট হয় না।

AVO মিটার ক্যালিব্রেটিং 

এ্যাডো মিটার ক্যালিব্রেট করার পদ্ধতি-

ক) কারেন্ট ও ভোল্টেজ পরিমাপের সময়

  • সিলেক্টর সুইচকে কারেন্ট বা ভোল্টেজ পজিশনে আমি
  • মিটারর ডারাল ছেলের বামে আর হওয়া পাঠ শুন্য "o" অবস্থানে আছে কিনা দেখি
  • শুন্য “০” অবস্থানে না থাকলে জিরো এ্যাডজাস্টিং জু ঘুরিয়ে কাটা শুন্য অবস্থানে আনি

খ) রোধ পরিমাপের সময়

  • সিলেক্টর সুইচকে ওহম পজিশনে আনি
  • মিটার প্রব দুটি সর্ট করি
  • মিটারর ভায়াল ক্ষেলের ভানে ওহম পাঠ শুন্য "০" অবস্থানে আছে কিনা দেখি
  • শুন্য "o" অবস্থা না থাকলে অহম এ্যাডজাস্টিং ফু ঘুরিয়ে কাটা শুন্য অবস্থানে আনি

(ডিজিটাল মিটার অন করলে রিডিং জন্য দেখায় কিনা দেখতে হবে, তাছাড়া অন্য কোন ক্যালিব্রেটিং এর প্রয়োজন হয় না)

 

Content added By

এই মিটার দিয়ে কর্মাশিয়াল এ্যাপ্লাইলের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। থার্মোমিটার সাধারণত দুই প্রকার ডায়াল টাইগ ও ডিজিটাল টাইপ। ডিজিটাল থার্মোমিটরে তাপমাত্রার বিভিন্ন স্কেল সেট করার বাটন থাকে । রিডিং নেয়ার আগে সেটিং বাটন দিয়ে নির্দিষ্ট স্কেল সেট করতে হয়।

 

Content added By

এটা চাপ পরিমাপক যন্ত্র। এটি দিয়ে সাধারণত বায়ুমন্ডলীর চাপের অধিক চাপ পরিমাপ করা হয়। FPS (ফুট, পাউন্ড, সেকেন্ড) পদ্ধতিতে এর একক PSI (পাউন্ড পার ইঞ্চি) আবার MKS (মিটার, কিলো গ্রাম, সেকেন্ড) পদ্ধতিতে কেজি পার সেন্টি মিটার স্কয়ার (kg/cm2)

 

Content added By

এটি একটি চাপ পরিমাপক যন্ত্র যা দিয়ে বায়ুমণ্ডলীয় চাপের নিচের চাপ পরিমাপ করা হয়। লো-প্রেশার পেজকে পানি বা পারদের সাথে তুলনা করে এর একক নির্ধারণ করা হয়। FPS (ফুট, পাউন্ড, সেকেন্ড) পদ্ধতিতে এর একক ইঞ্চি অব মারকারি in Hg। CGS (সেন্টি মিটার, গ্রাম, সেকেন্ড) পদ্ধতিতে সেন্টি মিটার অব মারকারি।

 

Content added By

ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি ইউনিটের মাধ্যমে রিকভারি সিলিন্ডারে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা (Used Refrigerant Collect by Recovery Unit and Store in Recovery Cylinder)

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা রিকভারি মেশিন ব্যবহার করে কার এসিতে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্টকে পুনরুদ্ধার করে স্টোরেজ সিলিন্ডারে সংরক্ষণ করতে পারব।

Content added By

মেকানিক্যাল রেফ্রিজারেশন সাইকেলের কোন অংশ পরিবর্তন না মেরামতের প্রয়োজন হলে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্টকে পুনরূদ্ধার করে স্টোরেজ সিলিন্ডারে সংরক্ষণ করার প্রকৃয়াই রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি। রেফ্রিজারেন্ট পুনরুদ্ধার কাজে যে মেশিন ব্যবহার করা হয় তাকে রিকভারি মেশিন বলে। চিত্র ২.১৬ এ রিকভারি মেশিन দেখানো হল। রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি মেশিন ইনপুট ও আউটপুট পেজ ভাত, একটি কুলিং ফ্যান, একটি কম্প্রেসর, প্রেশার কটি অব সুইচ, শাট অফ ভালভ এবং কিছু সুইচের সমন্বয়ে গঠিত।

 

Content added By

উদ্ধারকৃত রেফ্রিজারেন্টকে স্টোরেজ সিলিন্ডারে সংরক্ষণ করা হয়। স্টোরেজ সিলিন্ডারটি বিশেষভাবে তৈরি যা শুধু রিকভারি করার জন্যই ব্যবহার করা হয়। রিকভারি করার সময় সিলিন্ডারকে ৮০% এর বেশি ভর্তি করা যাবে না। প্রতিটা রেফ্রিজারেন্টের জন্য আলাদা আলাদা রিকভারি সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হয়। একই সিলিন্ডারে একাধিক রেফ্রিজারেন্টের মিশ্রণ ঘটলে তা আলাদা করার জন্য বিশেষ কোন প্রক্রিয়া না থাকায় এই মিি গ্যাস আবার ব্যবহার করা যাবে না এবং নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করতে হবে যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আবার রিকভারি করা রেফ্রিজারেন্টকে রিসাইক্লিং না করে আবার ব্যবহার করা বার না কারণ এই তেল, আর্দ্রতা, এসিড এবং বিশেষ কোন কণিকা দিয়ে দুষিত থাকতে পারে।

 

Content added || updated By

মূলত তিনটি পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করা হয়- 

১। ভ্যাপার রিকভারি পদ্ধতি 

২। ভরণ রিকভারি পদ্ধতি 

৩। পুশ-পুল রিকভারি পদ্ধতি

কার এসিতে তরল রিকভারির প্রয়োজন হয় না নিচে তাই ভ্যাপার রিকভারি ও পুন-গুল রিকভারি পদ্ধতি দেখানো হল।

ভ্যাপার রিকভারি 

সিস্টেমে যদি ১৫ পাউন্ডের কম রেফ্রিজারেন্ট থাকে তাহলে এ প্রক্রিয়ায় রিকভারি করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ইউনিটের ভেপার ও লিকুইড দু'টিই সরাসরি রিকভারি মেশিনের মাধ্যমে স্টোরেজ সিলিন্ডারে জমা হয়।

চিত্র ২.১৮: ভ্যাপার রিকভারি

পুশ-পুল রিকভারি

সিস্টেমে যদি ১৫ পাউন্ড অথবা তার বেশি রেফ্রিজারেন্ট থাকে তাহলে এ প্রক্রিয়ায় রিকভারি করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় চিত্রের মত সিস্টেমের লিকুইড রেফ্রিজারেন্ট একটি সাইট গ্লাস যুক্ত হোস পাইপের মাধ্যমে সরাসরি স্টোরেজ সিলিন্ডারে নেয়া হয়। পরে লিকুইড লাইন বন্ধ করে অবশিষ্ট বাস্পীয় রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি মেশিনের মাধ্যমে স্টোরেজ সিলিন্ডারে জমা হয়।

চিত্র ২.১৯ : পুশ-পুল রিকভারি

 

Content added By

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশগুলো সম্পর্কে জানতে পারব। সাথে কার এসি সিস্টেম সম্পর্কেও ধারণার্জন করব।

 

Content added || updated By

১৯৩৫ সাল ৭ অক্টোবর তারিখ Ralph Peo of Houde Engineering, Buffalo, Newyork, "Air Cooling Unit for Automobiles এর পেটেন্ট জন্য আবেদন করে। ১৯৩৭ সালের ১৬ নভেম্বর তারিখ তাদের আবেদন মঞ্জুর হয়। ১৯৪০ সালে Packard প্রথম গাড়িতে এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম স্থাপন করে। ১৯৬৯ সাল হতে প্রায় ৫০% ব্যক্তিগত গাড়ী এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের আওতায় চলে আসে। বর্তমানে প্রায় ৯৯% নতুন কার (Car ) আধুনিক এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমে চলে।

অটোমাবোইল এয়ারকন্ডিশনিং-এর রেফ্রিজারেন্ট ইউনিট পরিচালনার জন্য প্রাইমমুভার হিসেবে ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়। তাই ইঞ্জিনের আরপিএম পরিবর্তনের সাথে সাথে কম্প্রেসরের গতি ওঠানামা করে। যে কারণে রেফ্রিজারেন্ট প্রক্রিয়া কিছুটা বিঘ্নিত হয়। এই অসুবিধা দুর করার জন্য বর্তমানে পাড়িতে থার্মোস্টেটিক সুইচ নিয়ন্ত্রিত ম্যাগনেটিক ক্লাচ-এর মাধ্যমে কম্প্রেসরের কাজ নিরন্ত্রণ করা হয়। যে সিস্টেমের মাধ্যমে একটি আবদ্ধ স্থান বা কক্ষের মধ্যে অবস্থিত বাতাসের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, গতিবেগ এবং বিরুদ্ধতা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় তাকে এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম বলে। অটোমোবাইল এয়ার কন্ডিশনিং অন্যান্য এয়ার কন্ডিশনিং এর মতই। তবে এর রেফ্রিজারেন্ট হিসেবে ১৯৯৬ সাল হতে R-12 এর পরিবর্তে R-134a ব্যবহৃত হয় এবং কম্প্রেসর ইঞ্জিন দিয়ে পরিচালিত হয়। ইঞ্জিনের শক্তি ক্র্যাংক শ্যাফট থেকে সরাসরি তি-বেল্ট ও পুলির মাধ্যমে কম্প্রেসরে সরবরাহ করা হয়। তাই ইঞ্জিন দিয়ে পরিচালিত কম্প্রেসর কর্তৃক রেফ্রিজারেন্ট সাইকেল এবং রোয়ার দিয়ে বাতাস প্রবাহের মাধ্যমে গাড়ি এয়ার কন্ডিশনিং হয়।

কার এয়ার কন্ডিশনারের উদ্দেশ্য (Purpose of Car Air Conditioner )

গাড়ির কেবিন বা অভ্যন্তরে কুলিং ক্ষমতা প্রয়োগ করে গ্রীষ্মকালে (Summer) আরামদায়ক শীতল পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং হিটিং ক্ষমতা প্রয়োগ করে শীতকালে আরামদায়ক গরম পরিবেশ সৃষ্টি করাই কার এরার কন্ডিশনারের প্রধান কাজ। গ্রীষ্মকালে এয়ারকন্ডিশনিং স্পেসের আর্দ্রতা (Humidity) কমানো প্রয়োজন। তখন ইভাপোরেটর কিছু পরিমাণ জলীয়বাষ্প (Moisture) শোষণ করে বাতাসকে আর্দ্রতা যুক্ত করে। এ ছাড়াও নিয়ন্ত্রিত বাতাসকে পরিশ্রুত করার জন্য ফিস্টার ব্যবহার করা হয়। এক বাক্যে বলতে গেলে, গাড়ির ভেতরের বাতাসের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বিশুদ্ধতা, গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের জন্য আরামদায়ক আবহাওয়া সৃষ্টি করাই এয়ার কন্ডিশনারের উদ্দেশ্য।

 

Content added By

কার এয়ারকন্ডিশনিং-এর ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেম (Electrical and Electronic Control Systen of Car Air Conditioning)

কার এয়াকন্ডিশনিং-এ ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেম দু'টি ভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা 

(ক) হস্তচালিত ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেম (Manually Electronic Control System ) 

(খ) স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেম (Automatic Electronic Control System)

(ক) হস্তচালিত ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেম (Manually Electronic Control System )

কার এয়াকন্ডিশনিং পদ্ধতিতে বেশ কিছু কার এ হস্তচালিত ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেম ব্যবহার হয়ে থাকে । পাড়িচালক এয়ার কন্ডিশনিং নিয়ন্ত্রণের জন্য সিলেক্টর সুইচগুলো হাত দিয়ে সেটিং করে পাড়ির অভ্যন্তরে নিয়ন্ত্রিত প্রবাহ সৃষ্টি করে। তাই সিলেক্টর লিভারগুলোকে হাত দিয়ে স্থানান্তর (Transfer ) করে মুক্ত (Mode) পরিবর্তন করে বলে একে হস্তচালিত ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেম (Manually Elctronic Control COOL System) বলে।

এ পদ্ধতিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এয়ারজেন্ট (Airvent) ও কন্ট্রোল হিটার বা কুলার (Control Heater or Cooler) কে চালু বা বন্ধ করার জন্য সিলেক্টর সুইচ বা লিভারকে শার্ট অফ (Shut Off) করা হয়, ফলে পাড়ির অভ্যন্তরে নিয়ন্ত্রিত বাভাসের (Conditioning Air) সৃষ্টি হয়। চিত্র ২.২১এ হস্তচালিত ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেম দেখানো হয়েছে।

কন্ট্রোল প্যানেলে ১ থেকে ৭ পর্যন্ত সাতটি সিলেক্টর লিভার আছে- 

১। ব্লোয়ার বন্ধ (Blower Stop), তাই সিলেক্টর লিডার অফ (Off) পজিশন। 

২। সর্বোচ্চ ঠান্ডা (Maximum Cool) বাতাস প্রবাহের মাধ্যমে গাড়ির অভ্যন্তরে শীতলতা বজায় রাখে। 

৩। নিয়ন্ত্রিত বাভাস সরাসরি প্যানেলে প্রবাহিত হয়ে ফ্লোর আউটলেট (Floor Outlet) এবং উইন্ডশিল্ড (Windshield) এর মধ্যে প্রবেশ করে। 

৪। নিয়ন্ত্রিত বাতাস সরাসরি প্যানেলে (Directly Panel) প্রবাহিত হয়ে ফ্লোর আউটলেট এবং উইন্ডশিল্ডে পরিচালিত হবে। 

৫। কম্প্রেসর বন্ধ অবস্থায় বাইরের সজীব বাতাস (Fresh Air) কন্ট্রোল প্যানেল আউটলেটে প্রবেশ করে। 

৬। কম্প্রেসর বন্ধ অবস্থায় বাইরের সজীব বাতাস এবং নিয়ন্ত্রিত কক্ষের বাতাস ৪০% এবং ২০% হারে মিক্সিং (Mixing) করে নিয়ন্ত্রিত স্থানে প্রবেশ করে । 

৭। নিম্নন্ত্রিত বাতাস ৪০% উইন্ডশিল্ডে (Windshield) ও জানালা দিয়ে এবং ২০% ক্লোর আউটলেট দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে বর্তমানে এই কন্ট্রোল সিস্টেম তেমন ব্যবহার করা হয় না । 

(খ) স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রোনিক কন্ট্রোল সিস্টেম (Automatic Electronic Control System ) 

স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেম কার এয়ারকন্ডিশনিং অনেকটা হস্তচালিত ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেমের মতই। তবে পার্থক্য শুধু গাড়ির চালককে সিলেক্টর সুইচের লিভার অটোমেটিক পজিশনে রাখতে হয়। নির্ধারিত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও সিলেক্টর সুইচকে অটোমেটিক পজিশনে রাখতে হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্যাসোর কম্পার্টমেন্টের (Passenger Compartment) চাহিদা অনুসারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের মাধ্যমে পরম ৰা ঠান্ডা (Hot or Cool) প্রয়োজন অনুসারে কাজ করে। বিশেষ ক্ষেত্রে ব্রোয়ারের গতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে বলে পাড়ির চালকের অন্যকোন অতিরিক্ত নিম্নম্নণের প্রয়োজন হয় না, কারণ সিস্টেমটি তখন প্রোগ্রাম সেটিং অনুযায়ী কাজ করে।

উচ্চ বিলাসী গাড়ি বা কারসমূহে ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেমে বড়ি কন্ট্রোল মডিউল (Body Control Module, BCM) ব্যবহার করা হয়। একে সূক্ষ্ম তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে একটি মাইক্রো প্রসেসরের (Microprocessor) প্রয়োজন হয়, বা কারের সামনের ও পিছনের সিটে (Front seat and back seat) ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেমে বিভিন্ন সেন্সর থেকে উপাত্ত (Data) সংগ্রহ করে এয়ার কন্ডিশনিং নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন- 

(ক) সানলোড বা সোলার সেন্সর (Sunload or Solar Sensor) 

(খ) ইন ভেহিক্যাল টেম্পারেচার সেন্সর (In Vehicle Temperature Sensor) 

(গ) অ্যামবিয়েন্ট টেম্পারেচার সেন্সর (Ambient Temperature Sensor) 

(ঘ) ইঞ্জিন কুলেন্ট টেম্পারেচার সেন্সর (Engine Coolant Temperature Sensor) 

(ঙ) ক্লাচ সাইক্লিং প্রেসার সুইচ (Clutch Cycling Pressure Switch) 

(চ) ইনট্রুমেন্ট প্যানেল (Instrument Panel) |

বিভিন্ন উপাত্ত থেকে সংগৃহীত উপাত্ত সমন্বয় করে ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল মডিউল স্বয়ংক্রিয়ভাবে এয়ার কন্ডিশনিং নিয়ন্ত্রণ করে । এ পদ্ধতিতে গাড়ির দরজাগুলো, ব্রোয়ার মোটর (Blower Motor) এবং কম্প্রেসরের ক্লাচ (Compressor's Chutch) স্বয়ংক্রিয়ভাৰে নিয়ন্ত্রিত হয়। চিত্র: ২.২৩ এ একটি উন্নতমানের গাড়ির এয়ারকন্ডিশনিং কন্ট্রোল সিস্টেমের ওয়ারিং ডায়াগ্রাম দেখানো হয়েছে।

 

Content added By

কার এয়ারকন্ডিশনিং হিমায়ন ইউনিটকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা (Prime Role) পালন করে। কার এয়ারকন্ডিশনিং-এ হিটিং সিস্টেম (Heating system), কুলিং সিস্টেম, হিউমিডিফিকেশন সিস্টেম (Humidification System), ডি- হিউমিডিফিকেশন (De-Humidification) সিস্টেমসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু, বন্ধ, নিরাপত্তা বিধান ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কম্পোনেন্টসমূহ অত্যাবশ্যক। শুধু তাই নয়, এটা সিস্টেমে বিভিন্ন সমস্যাবলী (Problems) নির্দেশকের মাধ্যমে চিহ্নিত করে হিমায়ন ইউনিটকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন (Safe and Smooth) পরিচালনা করে।

ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল মডিউল (ECM) 

কার এয়ার কন্ডিশনারের ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল মডিউল (ECM) এর বৈদ্যুতিক সার্কিট, সেন্সর ও স্বয়ংক্রির নিয়ন্ত্রক ডিভাইসগুলোকে একটি ইলেকট্রনিক প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (PCB) এ সন্নিবেশিত করেছে। এতে করে সিস্টেমের দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে স্থায়িত্বতা ও বিশ্বস্ততাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইলেকট্রো সার্ভো-কন্ট্রোল (Electro Servo Control)

কার এয়ারকন্ডিশনিং এর হিমায়ন ইলেকট্রো সার্ভো-কন্ট্রোল সিস্টেম সচরাচর ব্যবহৃত কন্ট্রোলিং ডিভাইস, যা নিয়ন্ত্রিত বাতাসকে প্যাসেঞ্জার কম্পার্টমেন্টের (Passanger Compartment), চাহিদা অনুসারে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে (Automatically) সরবরাহ করা যায়। ইলেকট্রো সার্ভো-কন্ট্রোল বাতাসের প্রবাহ নির্দিষ্ট পরিমাণে সার্ভো মোটর (Servo Motor) ভেনসমূহ (Vanes) ওপেন ক্লোজ করে নিয়ন্ত্রণ করে। এটা এসি ডিসি উভয় বৈদ্যুতিক প্রবাহ দিয়ে পরিচালিত হলেও সাধারণত ডিসি সরবরাহ দিয়ে এ কন্ট্রোলিং ডিভাইস কাজ করে । সম্পূর্ণ কন্ট্রোল ইউনিটটি হিমায়ন সিস্টেমের অভ্যন্তরে নিরাপদ স্থানে (Safety Place) স্থাপন করা যায়। চিত্র: ২.২৬ এ ইলেকট্রো সার্ভো কন্ট্রোল সিস্টেম দেখানো হয়েছে। এ পদ্ধতি অ্যান্টি-আইসিং (Anti-Icing) | করে কোনক্রমেই ইভাপোরেটর বা কুলিং করেলে (Evaporator or Cooling Coil) তুষার জমতে দেয় না ।

কার এয়ারকন্ডিশনারের ক্লাচ সাইক্লিং সুইচ (Clutch Cyeling Switch of Air Conditioning)

কার এয়ারকন্ডিশনিং-এর হিমায়ন সিস্টেমের ক্লাচ সাইক্লিং সুইচ হল একটি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ডিভাইস। সিস্টেমের লো-সাইড এবং হাই-সাইড দু'দিকেই এই ইলেকট্রিক সুইচ লাগানো থাকে। লো প্রেশার সুইচ কম্প্রেসরের পূর্বে সাধারণত এ্যাকুমুলেটরের উপর স্থাপন করা হয় এবং হাই প্রেশার সুইচ কম্প্রেসরের পরে থাকে। সুইচটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্লাচের বৈদ্যুতিক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে হিমায়ন দক্ষতা বৃদ্ধি করে। এয়ার কন্ডিশনারের সাইক্লিং সুইচ হিমায়ন চক্রের অভ্যন্তরীন চাপ অনুযায়ী রেজিস্ট্যান্সের পরিবর্তন ঘটার। তখন এই ইনফরমেশন ব্যবহার করে ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল মডিউল (ECM) সেটিং প্রোগ্রাম অনুযায়ী কম্প্রেসরের ক্লাচ নিয়ন্ত্রণ করে। এভাবে প্রক্রিয়াটি অনবরত (Continuously) চলতে থাকে। হাই প্রেশার সুইচও অনুরূপ ভাবে বেশি চাপে কম্প্রেসর বন্ধ করে এবং সেটিং প্রেসারে চালু করে ।

থার্মোস্ট্যাটিক সাইক্লিং সুইচ (Thermostatic Cycling Switch)

থার্মোস্ট্যাটিক সাইক্লিং সুইচ বা সাইক্লিং থার্মোস্ট্যাট (Cycling Thermostat ) হিমায়ন সিস্টেমে ইভাপোরেটরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট মানে পৌছানোর আগে পর্যন্ত ইভাপোরেটরকে নিয়ন্ত্রণ করে। ইভাপোরেটরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট মানে পৌঁছানোর পর কম্প্রেসরের ক্লাচকে অন/অফ করে। চিত্র ২.২৮ এ থার্মোস্ট্যাটিক সাইক্লিং সুইচ দেখানো হয়েছে। কার এয়ারকন্ডিশনিং এর হিমায়ন সিস্টেমে ইভাপোরেটরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে থার্মোস্ট্যাটিক সাইক্লিং সুইচ ডিস্টিং (De-Frosting) বা অ্যান্টি আইসিং ক্রিয়া (Anti Icing Action) সম্পন্ন করে। কন্ট্রোল সিস্টেমের এ্যাডজাস্টমেন্ট সেটিং এর মাধ্যমে থার্মোস্ট্যাটটিকে অন-অফ করে। সিস্টেমে যখন ২৬° ফাঃ (-৩° সে.) তাপমাত্রার উদ্ভব হয় তখন ইভাপোরেটরে বরফ জমার প্রবণতা সৃষ্টি করে ফলে এ তাপমাত্রায় পৌঁছানোর সাথে সাথে থার্মোস্ট্যাট সিগন্যালের মাধ্যমে বরফ সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করে।

চিত্র ২.২৮ : থার্মোস্ট্যাটিক সাইক্লিং সুইচ

অ্যাম্বিয়েন্ট টেম্পারেচার সুইচ (Ambient Temperature Switch) 

অ্যাম্বিয়েন্ট টেম্পারেচার সুইচটি হিমায়ন সিস্টেমের ইনলেট এয়ার ডাক্টে ( Inlet Air Duct) বসানো থাকে। এটা বাইরে থেকে সিস্টেমে প্রবাহিত বাতাসের তাপমাত্রা সেনসিং (Sensing) করে । যদি বাতাসের তাপমাত্রা প্রিসেট তাপমাত্রা (Preset Temperature) থেকে নিচে থাকে অর্থাৎ 40°. (8.8° সে.) তবে এ সুইচ কম্প্রেসর ক্লাচ সার্কিটকে খুলে দেয়। 

চিত্র ২.২১: অ্যাম্বিয়েন্ট টেম্পারেচার সুইচ

লো-প্রেসার কার্ট অব সুইচ (Low Pressure Cut off Switch) 

লো-প্রেসার কাট অফ সুইচটি ইভাপোরেটর এর চাপ সেনসিং করে। যদি ইভাপোরেটরে প্রেসার-ড্রপ (Pressure Drop) খুবই বেশি হয়, তখন লো-প্রেসার কাট অফ সুইচটি কম্প্রেসরের ক্লাচকে বিচ্ছিন্ন (Disangages Compressor Clutch) করে দেয়। নিম্ন ইভাপোরেটিভ প্রেসার সিস্টেমে হিমায়ক ঘাটতি এবং কম্প্রেসরে তেলের ঘাটতি প্রকাশ করে। এভাবে সিস্টেমে কম্প্রেসর চালনা করলে কম্প্রেসর ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা নষ্ট (Damage or Destroy) হতে পারে।

চিত্র ২.৩০ : লো-প্রেসার কাট অফ সুইচ

হাই-প্রেসার রিলিফ ভালভ (High Pressure Relief Valve) 

কোন কারণে সিস্টেমের হাই-সাইডে প্রেসার ( High Side Pressure) যদি অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায় তখন রিলিফ ভালভ ওপেন হয়ে চাপ সমতা করে। কোন ময়লা-আবর্জনা (Dirt- Trash) দিয়ে কন্ডেন্সার ব্লকড (Blocked) হলে অথবা অন্য কোন কারণে বাতাস প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে সিস্টেমের চাপ অত্যধিক বেড়ে যায়, তখন হাই প্রেসার রিলিফ ভাকৃত স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া চার্জিং (Charging ) এর সময় অতিরিক্ত হিমায়ক চার্জ হলে সিস্টেম প্রতিকূল অবস্থায় পড়ে-বা হাই প্রেসার রিলিফ ভালুত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

হাই-প্রেসার কার্ট অব সুইচ (High Pressure Cut of Switch)

 হাই প্রেসার কাট অফ সুইচ কম্প্রেসর আউটলেটে অর্থাৎ ডিসচার্জ লাইনে বসানো হয়। সিস্টেমে যখন ডিসচার্জ প্রেসার (Discharge Pressure) বেশি হয় তখন হাই প্রেসার কাট অফ সুইচ ওপেন হয়ে কম্প্রেসর ক্লাচকে বিচ্ছিন্ন করে। হাই প্রেসার কাট অফ সুইচের ওপেনিং প্রেসার প্রায় 430 Psi (2967 Kpa)।

চিত্র ২,৩২: হাই প্রেসার কার্ট অব সুইচ

 

 

Content added By

২.৪.৪ কার এয়ার কন্ডিশনারের মেকানিক্যাল সার্কিট (Mechanical Circuit of Car Air Conditioner)

চিত্র ২.৩৩: কার এসির মেকানিক্যাল সার্কিট।

হিমায়ন ছাড়া এয়ারকন্ডিশনিং সম্ভব নয়, তাই একে রেফ্রিজারেন্ট বাই এয়ারকন্ডিশনিং (Refrigeration by Air Conditioning) বলে। কার এয়ারকন্ডিশনিং এর ক্ষেত্রেও অনুরূপ রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির প্রয়োজন পড়ে। সাধারণত কার এয়ারকন্ডিশনিং মেকানিক্যাল রেফ্রিজারেশন পদ্ধতি বা ভেগার কম্প্রেসন রেফ্রিজারেশন bur (Mechanical Refrigeration System or Vapour Compression Refrigeration Cycle) ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

Content added By

২.৪.৫ কার এয়ার কন্ডিশনারের মেকানিক্যাল/ ভেপার কম্প্রেসন চক্রের বর্ণনা

কার এয়ারকন্ডিশনিং এ হিমায়কের (Refrigerant) অবস্থার পরিবর্তন তাপমাত্রা ও চাপের পরিবর্তনের মাধ্যমে ঠাাকরণ সম্পন্ন হয়। ইভাপোরেটরে (Evaporator) मং ক্রিয়া বা তাপ শোষনের মাধ্যমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ বা এয়ারকন্ডিশনিং ক্রিয়া কার্যে রূপান্তরিত হয়ে থাকে। ইভাপোরেটর টিউব অ্যান্ড ফিন টাইপ (Tube And Fin Type) একটি হিট এক্সচেঞ্জার ( Heat Exchanger), বা গাড়িতে প্যাসেজার কম্পার্টমেন্টের পেছনে/সামনে অবস্থান করে শীতল বা গরম বাতাস নিয়ন্ত্রিত করে গাড়ির অভ্যন্তরে সরবরাহ করে । এখানে তরল হিমায়ক প্রবেশ করে তাপ শোষণের (Heat Absorbed) মাধ্যমে বাষ্পীভূত হয়, অর্থাৎ তরুণ হিমায়ক বাপ্পীর হিমারকে পরিণত হয়, যার চাপ ৩০ পিএসআই (২০০ কেপিএ) এবং তাপমাত্রা ৩২° ফাঃ (০° সে.)। এই লো-প্রেসার ভ্যাপার রেফ্রিজারেন্ট অ্যাকুমুলেটরের (Accumulator) মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সম্পুর্ণ বাষ্পীভূত হিমায়ক কম্প্রেসরে (Compressor) প্রবেশ করে। কম্প্রেসর লো-প্রেসার ভ্যাপার রেফ্রিজারেন্টকে উচ্চ চাপীয় ও তাপীয় হিমারকে (High Pressureed and Temperatured) পরিণত করে কলোরে (Condenser) প্রেরণ করে । কভেলার একটি টিউব অ্যান্ড ফিন টাইপ ( Tube and Fin Type) হিট এক্সচেঞ্জার, যা ইঞ্জিনের রেডিয়েটরের সামনে বসানো থাকে। কন্ডেন্সার হিমায়কের সুপ্ত তাপ অপসারণ করে তরলে পরিণত করে। উচ্চ চাপীয় তৰল হিমায়ক নিয়ন্ত্রকের  Refrigerant Controller) মাধ্যমে ইভাপোরেটরে প্রবেশ করে পারিপার্শ্বিক হতে সুপ্ততাপ গ্রহণ করে বাষ্পীয় হিমায়কে পরিণত হয়। এই বাষ্পীয় হিমায়ক আবার কম্প্রেসর দিয়ে শোষিত এবং কম্প্রেসড হয়ে কন্ডেন্সারে যায়। এভাবে প্রক্রিয়াটি অনবরত কাজ করে কার এয়ারকন্ডিশনিং-এ হিমায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন কৰে । 

চিত্ৰ ২.৩৪: কার এসির মেকানিক্যাল সার্কিটে রেফ্রিজারেন্টের অবস্থা

 

 

Content added By

এয়ার কন্ডিশনিং মেকানিক্যাল সার্কিটের কম্পোনেন্ট সমূহ-

  • কম্প্রেসর 
  • রিসিভার 
  • ম্যাগনেটিক ক্লাচ কন্ট্রোল 
  • কন্ডেন্সার 
  • ড্রায়ার বা স্ট্রেইনার 
  • সলিনয়েড বাইপাস ভাল্ব 
  • ইভাপোরেটর 
  • অ্যাকুমুলেটর 
  • সাকশন থ্রোটল কন্ট্রোল 
  • এক্সপানশন ডিভাইস/ভাল্ব 
  • লিকুইড ইন্ডিকেটর 
  • অয়েল সেপারেটর 
  • হিট এক্সচেঞ্জার।

কম্প্রেসর

কম্প্রেসর হচ্ছে এক ধরনের পাম্প যা দিয়ে অটোমোবাইল এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের রেফ্রিজারেন্টকে চাপ প্রয়োগ করা হয়। অর্থাৎ ৰায়ৰীয় (Gasius) পদার্থের অণুগুলো সংকোচন (Compress) করে চাপ বৃদ্ধি করা হয়। কম্প্রেসর গাড়ির ফ্রন্ট সাইডে ইঞ্জিনের পাশে সেট করা থাকে। ম্যাগনেটিক ক্লাচের মাধ্যমে বেল্ট দিয়ে ইঞ্জিন জাঙ্কশ্যাফট গুলির সাথে সংযাগ দেয়া হয়। কার এরার কন্ডিশনিং সিস্টেমে সাধারণত সোয়াল প্লেট কম্প্রেসর ব্যবহৃত হয়। ইঞ্জিন চলন্ত অবস্থায় এটি চালু থাকে। গাড়ির আইডো স্পীডে কম্প্রেসর ফুল স্পীডে চলতে পারে কারণ এতে ক্লাচ ও গিয়ার ব্যবহার করা হয়।

কম্প্রেসর মূল কাজগুলো হল-

  • ইভাপোরেটর হতে লো প্রেশার বা শোষণ করে 
  • রেফ্রিজারেন্টের চাপ ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে 
  • হাই প্রেশার বাম্পকে কন্ডেন্সারে প্রেরণ করে

কন্ডেন্সার

রেফ্রিজারেন্ট সাইকেলের যে অংশে সুপ্ততাপ অপসারণের মাধ্যমে হাই প্রেশার বাস্পীয় (Vapor) রেফ্রিজারেন্টকে তরলে পরিণত করে তাকে কন্ডেসার বলে। রেডিয়েটরের মতো ইঞ্জিনের সামনে কভেলার স্থাপন করা হয় এবং সিস্টেমে কম্প্রেসরের পরে এবং রিসিভারের আগে বসানো থাকে। গাড়ি যখন চলতে থাকে তখন সামনের বাধাপ্রাপ্ত বাতাস কন্ডেলারের তাপ শোষণ করে- ফলে রেফ্রিজারেন্ট ঠাণ্ডা ও ঘনীভূত হয় | গাড়ি থামা অবস্থায় ব্যাটারির বিদ্যুৎ চালিত ফ্যান দিয়ে ঠাণ্ডা করা হয়।

চিত্র ২.৩৬ কন্ডেনসার

কন্ডেন্সারের মূল কাজ-

  • রেফ্রিজারেন্ট ইভাপোরেটার যে তাপ গ্রহণ করে কন্ডেন্সার সে তাপ বর্জন করে
  • কম্প্রেসর যে তাপ বৃদ্ধি করে কন্ডেসার সে ভাপ বর্জন করে 
  • কম্প্রেসার বাস্পীয় রেফ্রিজারেন্টকে তরলে পরিণত করে
  • কভেসার রেফ্রিজারেন্টকে সম্পৃক্ত (Saturated) তাপমাত্রায় পৌছায়

ইভাপোরেটর

এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের যে অংশে তরল রেফ্রিজারেন্ট সুপ্ততাপ গ্রহণ করে বাষ্পীভূত হয় তাকে ইভাপোরেটর বলে। ইভাপোরেটরকে হিট এক্সচেঞ্জারও বলা হয়। কার এসিতে সাধারণত ফিন্স টাইপ ইভাপোরেটর ব্যবহার করা হয়।

ইভাপোরেটররের মূল কাজগুলো হল-

১) ইভাপোরেটর লো প্রেসারের তরল রেফ্রিজারেন্টকে বাস্পীভূত করে। 

২) ইভাপোরেটর নিজে তাপ গ্রহণ করে এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের অন্যান্য এলাকাকে তুলনামূলক নিম্ন তাপমাত্রায় আনতে পারে।

৩) এটি ভাগ বহনকারী উপাদান হতে তাপ শোষণ করে। 

৪) ইভাপোরেটর এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

কার এয়ারকন্ডিশনিং-এ সাধারণত দুই প্রকারের ইভাপোরেটর ব্যবহৃত হয়-

ক) ফিল টাইপ ইভাপোরেটর (Fines Type Evaporator) 

(খ) ফোর্সড কনডেকশন টাইপ ইভাপোরেটর (Forced Convection Type Evaporator)

এক্সপানশন ডিভাইস/ভালভ

এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে যে ডিভাইস দিয়ে তরল রেফ্রিজারেন্ট এর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাকে এক্সপানশন ডিভাইস/ভাষ বলে। কার এসিতে ব্যবহৃত এক্সপানশন ডিভাইস তিন প্রকার-

 

রিসিভার

রিসিভার এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের রেফ্রিজারেন্ট জমা রাখে। রিসিভার এমন একটি ডিভাইস যা এরারকন্ডিশনিং সিস্টেমের সাইকেলে লিকুইড বা তরল রেফ্রিজারেন্টকে ইভাপোরেটরে প্রবাহের নিশ্চয়তা প্রদান করে। এটি কন্ডেন্সার ও কন্ট্রোল ডিভাইসের মধ্যে ৰসানো থাকে। অটোমাবোইল এসিতে রিসিভার ও ড্রারার একই সাথে সন্নিবেশিত থাকে। সঠিকভাবে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ অবস্থায় রিসিভার হতে এক্সপানশন ভাত পর্যন্ত তরল রেফ্রিজারেন্ট দিয়ে পূর্ণ থাকে।

ড্রায়ার বা স্ট্রেইনার

এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের যন্ত্রপাতি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা প্রয়োজন- এতে কোন ধরনের ময়লা, আর্দ্রতা, ক্ষতিকরি পদার্থ যেন না থাকে। যদি অপদ্রব্য থাকে তাহলে এক্সপানশন ভালভের সরু পথে আটকে গিয়ে রেফ্রিজারেন্ট সরবরাহে বাঁধার সৃষ্টি করতে পারে। তাই স্ট্রেইনার বা ফিস্টার সম্বলিত ড্রায়ার ব্যবহার করা হয়।

অ্যাকুমুলেটর

অ্যাকুমুলেটর, ইভাপোরেটর এবং কম্প্রেসর লো প্রেশার লাইনে সংযুক্ত থাকে। এর প্রধান কাজ হল ইভাপোরেটর হতে অনাকাঙ্কিত বা অতিরিক্ত ভরণ রেফ্রিজারেন্ট কম্প্রেসরে যেতে বাধা প্রদান করা, ফলে কম্প্রেসৱ তরল রেফ্রিজারেন্ট শোষণ করা হতে রক্ষা পায়।

লিকুইড ইনডিকেটর

লিকুইড ইনডিকেটর স্বচ্ছ কাঁচযুক্ত তরল পদার্থ পর্যবেক্ষণ যন্ত্রাংশ। এটি রিসিভার ও ড্রায়ারের একটা অংশ। তরল পদার্থের সাথে কোন বাষ্প বা ময়লা প্রবাহিত হচ্ছে কিনা তা এই লিকুইড ইনডিকেটরের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করা যার। এর পার্শ্ববর্তী বায়ু অথবা রিসিভারের তাপমাত্রা ২৯° সেন্টিগ্রেড এর উপরে উঠলে গ্যাসের বাবল পরিলক্ষিত হয়।

ম্যাগনেটিক ক্লাচ

যখন অটোমোবাইল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে কম্প্রেসর পরিচালনা দরকার তখন ম্যাগনেটিক ক্লাচটি নিয়ন্ত্রণ করলে কম্প্রেসর চালু হয়। ইঞ্জিনের পুলি দিয়ে ক্লাচটি সংযোজিত থাকে। রেফ্রিজারেন্ট এর চাহিদা কম্প্রেসরকে চালু বা বন্ধ করে। এটি একটি স্থির কয়েল বা বৈদ্যুতিক চুম্বকীয় (Magnetized) সার্কিট দিয়ে আটি হয়। এর ড্রাইভ শ্যাফটের সাথে আর্মেচার শ্যাফট থাকে। আর্মেচার শ্যাফটি চৌম্বকত্ব দিয়ে কম্প্রেসর শ্যাফটকে আটকে ফেলে এবং কম্প্রেসর চলতে শুরু করে। ম্যাগনেটিক ক্লাচ সংযোগ বা বিচ্ছিন্ন কোনটিতে ঘূর্ণায়মান (Rotating) কম্প্রেসর পুলির ঘূর্ণনে বাঁধা দেয় না।

সলিনয়েড বাইপাস ভালভ

সলিনয়েড ভালভ থার্মোস্ট্যাট এবং মেইন সুইচ সিরিজে সংযুক্ত থাকে । ইভাপোরেটরের তাপমাত্রা ০° হলে থার্মোস্ট্যাটের মলিনয়েড ভাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সলিনয়েড বাইপাস লাইন খুলে যায় । ঐ সময়ে কন্ডেন্সার হতে উচ্চ চাপযুক্ত (High Pressure) গ্যাসীয় রেফ্রিজারেন্ট সলিনয়েড ভাত ৰাইপাস লাইন এবং ইভাপোরেটর হয়ে সাকশন লাইনের মধ্য দিয়ে কম্প্রেসরে ফিরে যায় । এই প্রক্রিয়ার ৩° সেন্টিােডে পৌঁছলে সলিনয়েড তালুত বন্ধ হয়ে যায় এবং আবার স্বাভাবিক প্রবাহ চলতে থাকে।

সাকশন থ্রোটল কন্ট্রোল 

অত্যাধুনিক অটোমাবোইল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে এ ধরনের প্রোটন কন্ট্রোল ব্যবহার করা হয়। এর ইনলেট পোর্টে ইন্ডাপারেটরের আউটলেটের সাথে এবং আউটলেট পোর্ট কম্প্রেসরের সাকশন পোর্টের সাথে সংযোগ করা থাকে।

অয়েল সেপারেটর

রেফ্রিজারেন্ট কম্প্রেসর হতে নির্গমনের সময় এর সাথে কিছু পরিমাণ কম্প্রেসর অয়েল চলে আসে। অয়েল সেপারেটর এই অয়েলকে জমা করে। অয়েল সেপারেটর ভার্টিক্যাল হাই প্রেশার লাইনে স্থাপন করা হয়।

হিট এক্সচেঞ্জার

এটি সাকশন লাইন এবং লিকুইড লাইনের মধ্যে ভাগ বিনিময়ের কাজে হিট এক্সচেয়ার ব্যবহৃত হয়। যে তরল রেফ্রিজারেন্ট এক্সপানশন তাতে বার তাকে আরো শীতল করে এবং যে গ্যাসীয় রেফ্রিজারেন্ট কম্প্রেসর শোষণ করে তাকে আরো গরম করে।

 

Content added || updated By

কার এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট (Refrigerant )

রেফ্রিজারেন্ট(Refrigerant) এক ধরনের বিশেষ গুণাবলিসম্পন্ন প্রবাহী যা হাই প্রেশার (High Pressure) বা উচ্চ চাপে তরলায়ন (Liqudification) এবং লো প্রেশার (Low Pressure) বা নিম্নচাপে বাষ্পায়ন (Vaporisation) গুণসম্পন্ন গ্যাসীয় পদার্থ। এই রেফ্রিজারেন্ট এয়ারকন্ডিশনিং সাইকেলে কোন বস্তুর বা স্থান থেকে তাপ অপসারণের (Heat rejection) জন্য ব্যবহৃত হয় । প্রকৃতপক্ষে এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমে রেফ্রিজারেন্টের মাধ্যমেই তাপমাত্রা কমানো (Reduce) হয়।

বর্তমানে প্রায় সব কার এসিতেই R-134 রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহৃত হয়। R-134a রেফ্রিজারেন্ট আধুনিক এবং ক্লোরোফ্লোরো কার্বন বা সিএফসি (CFC) মুক্ত এইচএফসি (HFC) রেফ্রিজারেন্ট। এটি মূলত গ্রীনহাউস প্রভাবমুক্ত গ্যাস নয়। বর্তমানে R-12 এর পরিবর্তে রেফ্রিজারেন্ট হিসেবে আবাসিক রেফ্রিজারেটরে, বড় বড় এয়ারকন্ডিশনিং প্লান্ট, অটোমোবাইলে R-134a ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। এর রাসায়নিক নাম - টেট্রাক্লোরোইখেন এবং এর আণবিক সংকেত CH2FCF3. বরেলিং পয়েন্ট -২৬.১°সে.। এই গ্যাসের সিলিন্ডারের রং হাল্কা নীল (Light blue ) ।

 

Content added By

অক্টোবর ২০১৬ সালের ক্ষরাস্তার রাজধানী কিগালিতে বিশ্বের প্রায় ২০০ টি দেশ অংশগ্রহণ করে একমত গোষণ করেছে যে সাধারন ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে রেফ্রিজারেন্ট হিসেবে যে হাইড্রোফ্লোরো কার্বন (HFC) নামের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় তা বর্জন করার জন্য। এইচএফসি একটি গ্রীনহাউস গ্যাস হিসেবে কার্বন ডাই অক্সাইড এর চেরে কয়েক হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। এটি পরিহার করলে ২০৫০ সাল নাগাদ বায়ুমণ্ডল থেকে ৭০০০ কোটি টন পর্যন্ত কার্বন ডাই অক্সাইড এর সমপরিমাণ গ্রীনহাউস গ্যাস অপসারণ করা যাবে। কারণ এই এইচএফসি গ্যাস বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এইচএফসি গ্যাসের ব্যবহার কমালে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বহুলাংশে কমবে। কিন্তু এ গ্যাস ওজোন স্তরের কোন ক্ষতি / ক্ষয় সাধন করে না।

 

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ ২ 

তোমরা নিচের ছবিটি লক্ষ্য করি এবং বিভিন্ন অংশের নাম ও কাজ লেখ।

 

Content added || updated By

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা কার এসির লিক নির্ণয় ও হিমায়ক চার্জ করতে পারব ।

Content added By

কোন অনাকাংখিত কারণে সিস্টেম থেকে হিমায়ক বের হয়ে যাওয়ার সূক্ষ্ণ পথ তৈরি হওয়াকে লিকেজ বলে। কখনো কখনো লিকেজ এত ছোট হয় যে স্বাভাবিক পর্যবেক্ষণ দিয়ে তা নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। রেফ্রিজারেন্টের পরিমাণ কম থাকা অবস্থায় অটো এয়ারকন্ডিশনার চালালে কম্প্রেসরে অসহনীয় চাপের উদ্ভব হয়ে কম্প্রেসর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু তাই নয়, হিমায়ক ঘাটতির কারণে হোস পোরোসিটি ( Hose Porosity ), শ্যাফট সিল আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে ।

হিমায়ক লিকেজ নিম্ন লিখিতভাবে নির্ণয় করা যায় - 

১) লিকুইড লিক ডিটেকটর 

২) হিমায়ক রং দিয়ে গিক শনাক্তকরন 

৩) আল্ট্রভায়োলেট পিক ডিটেকটর 

৪) ইলেকট্রনিক লিক ডিটেকটর 

৫) ক্লেম শিক ডিটেকটর

কার এসির লিক ডিটেকশনে সাধারণত লিকুইড লিক ডিটেকটর, হিমায়ক রং দিয়ে লিক শনাক্তকরন ও ইলেকট্রনিক দিক ডিটেকটর ব্যবহার করা হয়। নিচে এদের বর্ণনা দেয়া হল ।

লিকুইড লিক ডিটেক্টর ব

ড় ধরণের লিক নির্ণয়ের জন্য সাবানের ফেনা বা তরল বুদবুদের সলিউশন হিমায়ক লাইনে, ফিটিংসে, হোস পাইপ সংযোগে, শ্যাফট সিনে এবং অন্যান্য সম্ভাব্য নিক এলাকার মধ্যে স্প্রে করলে যদি বুদবুদ বা বাবুল ভেসে উঠে তবে তা সিস্টেমে লিকের অবস্থান নির্দেশ করে।

হিমারক রং দিয়ে লিক শনাক্তকরণ 

অল্প পরিমাণ হিসারক রং সিস্টেমের লো- প্রেশার সাইডে যুক্ত করতে হয়। এই রং হিমায়ককে লাল রং এ রূপান্তর করে। যে- সব স্থানের দিক নির্ণয় করতে হবে সেসব স্থানে সাদা কাপড় মুড়িয়ে দিলে যদি সাদা কাপড়ে লাল রংয়ের আস্তরণ পড়ে তাহলে এভাবে সিস্টেমের দিক নির্ণয় করা যায়।

ইলেকট্রনিক লিক ডিটেকটর 

ইলেকট্রনিক লিক ডিটেকটর খুবই সংবেদনশীল এবং এর ব্যবহার খুবই সহজ। ডিটেক্টরের সেন্সিং ডিভাইসটি সম্ভাব্য লিকেজ স্থানগুলোর মধ্য দিয়ে চালনা করতে হয়। সেন্সরটি হিমায়কের সংস্পর্শে এলে ডিটেকটরটি উচ্চ শব্দে অনবরত চলতে থাকে। এভাবেই ডিটেকটর লিকের উপস্থিতি প্রমাণ করে।

 

Content added || updated By

অটো এয়ারকন্ডিশনারের হিমারন সিস্টেমে চার্জিং-এ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। হিমারক চার্জিং হল সঠিক মাত্রায় পরিষ্কার তরুণ হিমায়ক প্রয়োগ প্রক্রিয়া। বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে হিমায়ক চার্জিং এর প্রকারভেদ এবং হিমায়কের পরিমাণ ভিন্ন হয়, যা ভেহিক্যাল সার্ভিস ম্যানুয়াল অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। হিমায়কের পরিমাণ পাউন্ড, আউল, কেজি ইত্যাদি এককে পরিমাপ করা হয়। উল্লেখ্য, হিমায়ক বা ৰাষ্ট্ৰীয় হিমারক শুধুমাত্র লো- সাইড দিয়ে প্রয়োগ করতে হয় । চার্জিং ইকুইপমেন্টের উপর ভিত্তি করে এবং ভেহিক্যাল সার্ভিস ম্যানুয়েলের উপর ভিত্তি করে চার্জিং পদ্ধতি বিভিন্ন হয়। এটি সাধারণত তিন প্রকার হয়ে থাকে- 

(ক) হিমায়ক ক্যান দিয়ে চার্জিং 

(খ) হিমায়ক সিলিন্ডার বা গ্রাম দিয়ে চার্জিং 

(গ) চার্জিং সিলিন্ডার দিয়ে চার্জিং

হিমায়ক ক্যান দিয়ে চার্জিং

কার এয়ারকন্ডিশনারের হিমায়ন সিস্টেমে এক সময় চার্জিং পদ্ধতিতে ছোট হিমায়ক ক্যান দিয়ে চার্জিং বেশ জনপ্রিয় পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হত। চিত্র ২.৫১ এ হিমায়ক ক্যান দিয়ে চার্জিং পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। চিত্র হতে, এক পাউন্ডের ক্যানগুলো চার্জিং-এর সমর রেফ্রিজারেশন ম্যানিফোল্ডের সাথে যুক্ত করা হয়। একটি চার্জিং হোস সেট করে গেজ ম্যানিফোল্ডের সাথে যুক্ত করতে হবে। ক্যানসমূহ 125° ফাঃ (520 সে.) তাপমাত্রার গরম পানির পাত্রে বসানো থাকে। এ গরম পানি হিমায়ককে বাষ্পীভূত করে দ্রুত সিস্টেমে প্রবেশে সহযোগিতা করে ।

যদি পার্লিং প্রয়োজন হয় তবে চার্জিং হোল দিয়ে বাতাস ট্র্যাপিং করতে হয়। এ কাজের সমর চার্জিং হোসকে লুজ করে পেজ ম্যানিফোল্ডের সাথে যুক্ত করতে হয় সেই সাথে ছোট ক্যানের ভাতকে আলতো বা অল্প পরিমাপ খুলতে হয়। পার্কিং শেষে আবার চার্জিং হোসকে দৃঢ়ভাবে সংযোগ দিতে হয়। এরপর গেজ ভালভকে বন্ধ করে ছোট ক্যানের অর্থাৎ হিমারক ক্যানের ভাল্‌ভসমূহ খুলে দিতে হয়। এখন ইঞ্জিন চালু করার মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত ইঞ্জিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থির না হয়। ইনমেন্ট কন্ট্রোল প্যানেল এর মুড এয়ার কন্ডিশনিং পজিশনে রাখতে হবে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রকের অবস্থান Full Cold এবং ব্রোয়ার স্পিড লো অবস্থানে রাখতে হবে।

হিমারক কন্টেইনারের উপরের দিকে মুখ করে রাখার কারণে উপর দিক দিয়ে চার্জিং হোস দিয়ে হিমায়ক বাপ সিস্টেমে দ্রুত প্রবেশ করে। লো-সাইড সার্ভিস ভাত দিয়ে হিমায়ক চার্জ করতে হয়। সম্পূর্ণ চার্জিং-এর ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, এটি কোন মতেই 50 PSI (345 KPa) এর উপরে না উঠে। গেজ ভালভ বন্ধ করে হাই-সাইড ভাজ খুলতে হবে, এর রেফ্রিজারেশন ম্যানিফোন্ডের ভাত বন্ধ করতে হবে।

হিমায়ক সিলিন্ডার বা ড্রাম দিয়ে চার্জিং

চিত্র ২.৫২এ হিমায়ক সিলিন্ডার বা ড্রাম দিয়ে হিমায়ক চার্জিং কৌশল দেখানো হয়েছে।

একটি বড় হিমায়ক সিলিন্ডার প্রায় ৩০ পাউন্ড (১৩.৬ কেজি) হিমায়ক বহনকারী সিলিন্ডারে চার্জিং পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। এই সিলিন্ডারগুলো ব্যবহার খুবই সহজ, কারণ এর শার্ট অফ ভালুত উপরেই অবস্থান করে। ভাতটি উপরে থাকার কারণে হিমায়কের অপ্রত্যাশিত ঘাটতি হয় না। গেজ মেনিফোল্ডের কেন্দ্রমুখে গ্ৰাম ৰা সিলিন্ডার যুক্ত করা হয়। চার্জিং শুরু করার আগে ড্রামের ওজন মেপে নিতে হয়। এর চার্জিং শেষে এর ওজন বা দিলে হিমায়ক চার্জের পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। চার্জিং করতে যে পরিমাণ হিমায়কের প্রয়োজন হয় তা সিস্টেমে প্রবেশের পর ভালভ বন্ধ করে দিয়ে চার্জিং সমাপ্ত করতে হয়। চার্জিং পদ্ধতিতে অবশ্যই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হয়।

চার্জিং সিলিন্ডার দিয়ে চার্জিং

চিত্র ২.৫৩ এ চার্জিং কৌশল দেখানো হয়েছে, অটো এয়ারকন্ডিশনারে হিমায়ন সিস্টেমে চার্জিং সিলিন্ডার দিয়ে চার্জিং-এর ক্ষেত্রে চার্জিং স্টেশনের সাথে চার্জিং ড্রাম বা চার্জিং সিলিন্ডার বুক্ত থাকে। চার্জিং সিলিন্ডারের পায়ে হিমায়কের পরিমাণ চিহ্নিত করা থাকে, যা দিয়ে সহজেই সিলিন্ডারের ভেতরে হিমারকের পরিমাণ জানা যায়। সিস্টেমকে বাবুন্য করার সময় এর পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। একটি চিত্র ২.৫৩ : চার্জিং সিলিন্ডার দিয়ে হিমায়ক চার্জিং ইলেকট্রিক হিটিং এলিমেন্ট চার্জিং সিলিন্ডারের সাথে যুক্ত থাকে। যখন হিটিং এলিমেন্ট চালু করা হয় তখন হিমায়ক উত্তপ্ত হয়। লিকুইড চার্জিং থেকে ভ্যাপার চার্জিং-এ সময় কম লাগে। ভেহিক্যাল সার্ভিস ম্যানুয়াল অনুসরণ করে এবং ইকুইপমেন্ট অপারেটিং ইন্সট্রাকশন অনুসরণ করে এ পদ্ধতিতে চার্জিং ক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। 

 

 

Content added By

এই লিখন ফলে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার করণীয় কাজগুলো জানতে পারব এবং পরিষ্কারক উপাদান ও সরঞ্জামগুলোর নাম চিত্রসহ জানতে পারব। কাজ শুরু করার আগে এবং পরে কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লিনিং ইকুইপমেন্ট পাওয়া যায়। ব্যয়বহুল হলেও কার্যকারী ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে অতি অল্প সময়ে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব।

২.৫.১ বিভিন্ন পরিস্কারকারক উপাদান এর নাম সহ চিত্র দেয়া হল-

অনুসন্ধানমূলক কাজ 

তোমার প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি যে কোন একটি কার এয়ার কন্ডিশনিং ওয়ার্কশপ পরিদর্শন কর। রিপেয়ার কর্মকান্ড বিষয়ে নিম্নোক্ত ছকে তোমার মতামত দাও ।

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট সমূহ পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় মেজারিং টুলস সংগ্রহ করা
  • মেজারিং ইনট্রুমেন্ট সমূহকে প্রয়োজন অনুসারে ক্যালিব্রেট করা
  • ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্টগুলো বিধি মোতাবেক পরীক্ষা করা

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)

 

(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস্, ইকুইপমেন্টস ও মেশিন)

 

গ) প্রয়োজনীয় মালামাল ( Raw Materials)

(ঘ) কাজের ধারা

১.মালামালের তালিকা অনুযায়ী প্রথমে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল সংগ্রহ করো । 

২. মালামালের তালিকা অনুযায়ী নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE) সংগ্রহ ও পরিধান করো । 

৩. গাড়ির বনেট খুলে লো প্রেশার সাইক্লিং সুইচের ক্যাবল কানেকশন বিচ্ছিন্ন করো । 

৪. ক্যাবল কানেকশনের প্লাগ পয়েন্ট দু'টিতে একটি ইন্সুলেশন যুক্ত বৈদ্যুতিক তার দিয়ে শর্ট করো ।

৫. এবার কার স্টার্ট করে এসির সুইচ অন করো। কম্প্রেসরের ক্লাচ সংযোগ না পেলে বুঝতে হবে সাইক্লিং সুইচটি নষ্ট। 

৬. সুইচটি পুনঃস্থাপন করো । 

৭. সব বৈদ্যুতিক সংযোগ পুনঃস্থাপন করে কার এসি চালিরে কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করো। 

৮. যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখ। ১. ওয়ার্কশপ পরিষ্কার করো।

কাজের সতর্কতা

  • কাজ করার সমর অব্যশই PPE পরিধান করতে হবে
  • সঠিক ভাবে টুলসের ব্যবহার নিশ্চিত হতে হবে 
  • কাজের সময় অমনোযোগী হওয়া যাবে না।
  • যদি বুঝতে সমস্যা হয় তবে শিক্ষকের সহায়তা নিতে হবে
  • শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন কাজ করা যাবে না

আত্মপ্রতিফলন 

কার এয়ার কন্ডিশনার এর ক্লাচ সাইক্লিং সুইচ টেস্ট করে পরিবর্তন করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • কার এয়ার কন্ডিশনিং এর টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করা (শুধুমাত্র সিএফসি-CFC এইচসিএফসি - HCFC রেফ্রিজারেন্ট এর ক্ষেত্র প্রযোজ্য)
  • কার এয়ার কন্ডিশনিং এর সাথে রিকভারি ইউনিটের সংযোগ স্থাপন করা
  • রিকভারি ইউনিটের সাথে রিকভারি সিলিন্ডারের সংযোগ স্থাপন করা

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা (PPE)

 

(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্টস ও মেশিন)

 

(গ) প্রয়োজনীয় মালামাল (Raw Materials)

(খ) কাজের ধারা

১. মালামালের তালিকা অনুযায়ী প্রথমে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল সংগ্রহ করো। 

২. PPE পরিধান করো।

৩. সিলিন্ডার, রিকভারি মেশিন ও মেনিফোল্ডের সব ভাল্ভ বন্ধ করো । 

৪. যথাযথ পার্জিংসহ চিত্রের মত হোস পাইপ সংযোগ করো । 

৫. সিলিন্ডারটি স্কেলের উপর রাখ এবং স্কেলের শুন্য এ্যাডজাস্ট করো । 

৬. রিকভারি মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ দাও । 

৭. সিলিন্ডার ভাল্ভ ও রিকভারি মেশিনের ইনলেট, আউটলেট ভাল্‌ভ খুলে গেজে শুন্য চাপ প্রদর্শন না করা পর্যন্ত রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করো। 

৮. সুইচ অফ কর এবং সিলিন্ডারসহ সকল ভাল্ভ বন্ধ করো । 

৯. রিকভারি মেশিন পার্জ করো । 

১০. যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখ । 

১১. ওয়ার্কশপ পরিষ্কার করো ।

সতর্কতা

  • কাজ করার সময় অব্যশই PPE পরিধান করতে হবে 
  • স্টোরেজ সিলিন্ডার ৮০% এর বেশি পূর্ণ করা যাবে না
  • কাজের সময় অমনোযোগী হওয়া যাবে না
  • যদি বুঝতে সমস্যা হয় তবে শিক্ষকের সহায়তা নিতে হবে
  • শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন কাজ করা যাবে না

আত্মপ্রতিফলন 

কার এয়ার কান্ডিশনার এ গ্যাস চার্জিং করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • রেফ্রিজারেন্ট সাইকেলে সাকশন ও ডিসচার্জ লাইনের সাথে প্রয়োজনমত কুইক কাপলার বা চার্জিং এ্যাডাপটর সংযোগ করা
  • ইউনিটের লিকেজ চিহ্নিত করার জন্য ড্রাই নাইট্রোজেন দিয়ে সকল জয়েন্টের লিকেজ চেক করা
  • লীকেজের ধরণের উপর নির্ভর করে লিকেজ সমাধান করা, প্রয়োজনে ফ্লেক্সিবল পাইপ পরিবর্তন করা 
  • লিকেজ সমাধানের পর ড্রাই নাইট্রোজেন দিয়ে সিষ্টেম চোক টেষ্ট করা
  • ভ্যাকুয়াম পাম্প দিয়ে ৫০০ মাইক্রোন লেভেল অর্জন করে তিন ধাপে ইভাকুয়েশন করা 
  • নির্মাতার নির্দেশিত ওজন ও রেফ্রিজারেন্ট দিয়ে বিধি মোতবেক গ্যাস চার্জ সম্পন্ন করা
  • কার এয়ার কন্ডিশনার চালু করার মাধ্যমে ইউনিটের কর্মদক্ষতা যাচাই করা

(ক)ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)

 

(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস্, ইকুইপমেন্টস ও মেশিন)

 

(গ) প্রয়োজনীয় মালামাল ( Raw Materials)

(ঘ)কাজের ধারা

১) মালামালের তালিকা অনুযায়ী প্রথমে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মালামাল সংগ্রহ করো। 

২) মালামালের তালিকা অনুযায়ী নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE) সংগ্রহ ও পরিধান করো। 

৩) গাড়ির বনেট খুললে দেখা যাবে অটোমোবাইল এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের লো সাইড প্রেশার পোর্ট ও হাই সাইড প্রেশার পোর্ট নামে দু'টি পোর্ট থাকে এবং ইংরেজি অক্ষর 'L' ও 'H' লেখা থাকে । প্রথমে লো সাইড প্রেশার পোর্টটি খোল।

৪) গ্যাস থাকলে যথাযথ রিকভারি করো। 

৫) গ্যাস চার্জের পূর্বশর্তগুলো নিশ্চিত করতে হবে অর্থাৎ কম্প্রেসরের পাম্পিং, লিক মুক্ত করো। 

৬) গেজ মেনিফোল্ডের সাথে সাকশন চার্জিং পোর্ট ও ভ্যাকুয়াম পাম্পে হোস পাইপ সংযোগ করো 

৭) মেনিফোল্ডের কম্পাউন্ড গেজ ভাত খোলা রাখ । 

৮) ভ্যাকুয়াম পাম্প চালু করো । । 

৯) ১ ঘন্টা অবজার্ভ করে শিক না থাকলে সিলিন্ডার ভার খুলে সামান্য গ্যাস চার্জ কর বেন সিলিন্ডার ভাত বন্ধ করলে পেজে প্যাসের চাপ ৪-৫ পিএসআই দেখায়।

১০) এবার আবার ভ্যাকুয়াম পাম্প চালু করার পরে কম্পাউন্ড গেজ তালত খোল। 

১১) ৫০০ মাইক্রোন ভ্যাকুয়াম না আসা পর্যন্ত পাম্প চালু রাখ । 

১২) ভালভ বন্ধ করে ভ্যাকুয়াম পাম্প বন্ধ কর এবং কয়েক ঘন্টা অবজার্ভ করে লিক না থাকলে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করো। 

১৩) R-134 এর সিলিন্ডারটি একটি ডিজিটাল স্কেলের উপর রাখ এবং প্রাপ্ত তর নোট করো। 

১৪) R-134g এর সিলিন্ডার ভান্ডটি আংশিক খোল। ১৫) কম্পাউন্ড পেজ পোর্ট খুলে দাও । 

১৬) নির্মাতা নির্ধারিত ভরের গ্যাস চার্জিং হরে গেলে সিলিন্ডার ভাত বন্ধ কর এবং ক্ষেলের রিডিং নোট করে ভর মিলিয়ে নাও। 

১৭) সাকশন সার্ভিস পোর্ট থেকে হোস পাইপ খুলে ডেড নাট লাগাও।

১৮) ইউনিট চালু কর এবং এক ঘন্টা চলিয়ে পারফরমেন্স টেস্ট করো । 

১৯) যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখ । 

২০) ওয়ার্কশপ পরিষ্কার করো ।

কাজের সতর্কতা

  • কাজ করার সময় অব্যশই PPE পরিধান করতে হবে 
  • সবসময় সিলিন্ডারটিকে খাড়াভাবে রাখতে হবে
  • কাজের সময় অমনোযোগী হওয়া যাবে না
  • যদি বুঝতে সমস্যা হয় তবে শিক্ষক মহোদয়ের সহায়তা নিতে হবে
  • শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন কাজ করা যাবে না

আত্মপ্রতিফলন 

কার এয়ার কান্ডিশনার এ গ্যাস চার্জিং করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

Content added || updated By
Please, contribute to add content into অনুশীলনী.
Content

Promotion