১. ক্যাপাসিটরটি পরিপূর্ণ চার্জমুক্ত নিশ্চিত করতে হবে অর্থাৎ ক্যাপাসিটরের দু'টি টার্মিনাল শর্ট করলে কোনো স্পার্ক না হয় তবে বুঝতে হবে এটি চাৰ্জ মুক্ত।

২. মিটারের নাট 1KΩ  (১ কিলো ওহম) এ সেট করতে হবে।

৩. মাল্টিমিটার এবটি পজেটিভ অংশ ক্যাপাসিটরের পজেটিভ টারমিনালে এবং নেগেটিভ অংশ নেগেটিভ টারমিনালে সংযোগ করতে হবে।

৪. তারপর মিটারটি OL (Open Lime) অথবা ০ (অসীম) লেখা দেখাৰে অৰ্থাৎ ক্যাপাসিটরটি ভাল আছে বোঝাবে।

৫. যদি কোনো পরিবর্তন না হয় তবে ক্যাপাসিটরটি অকেজো বা খারাপ ধরে নিতে হবে।

চিত্র-১.৩২ ওহম মিটার মোডে ক্যাপাসিটর টেস্ট

১.৯.৩ ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সাহায্যে কাপাসিটর টেস্ট (ক্যাপিসিটেন্স রোড):

১. ক্যাপাসিটরটি পরিপূর্ণ চার্জযুক্ত নিশ্চিত করতে হবে অর্থাৎ ক্যাপাসিটরের দু'টি টারমিনাল শর্ট করলে কোনো স্পার্ক না হয় তবে বুঝতে হবে এটি চার্জ মুক্ত।

২. সার্কিট বোর্ড হতে ক্যাপাসিটরটি খুলতে হবে।

৩. মিটারের নবটি C মোডে এ সেট করতে হবে।

৪. মাল্টিমিটার পোর্ট এর পজেটিভ অংশ ক্যাপাসিটরের পজেটিভ টার্মিনালে এবং নেগেটিভ অংশ নেগেটিভ টার্মিনালে সংযোগ করতে হবে।

৫. যদি মিটারটি ক্যাপাসিটরের প্রকৃত মানের কাছাকাছি দেখায় তবে ক্যাপাসিটরটি ভাল আছে।

চিত্র-১.৩৩ ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সাহায্যে ক্যাপাসিটেন্স মোডে ক্যাপাসিটর টেস্ট

ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সাহায্যে ক্যাপাসিটর টেস্ট (কন্টিনিউটি মোড):

১. ক্যাপাসিটরটি পরিপূর্ণ চার্জযুক্ত নিশ্চিত করতে হবে অর্থাৎ ক্যাপাসিটরের দু'টি টারমিনাল শর্ট করলে কোনো স্পার্ক না হয় তবে বুঝতে হবে এটি চার্জ মুক্ত।

২. সার্কিট বোর্ড হতে ক্যাপাসিটরটি খুলতে হবে। ৩. মিটারের নবটি কন্টিনিউটি মোডে এ সেট করতে হবে। 

৪. মাল্টিমিটার প্রবটি পজেটিভ অংশ ক্যাপাসিটরের পজেটিভ টারমিনালে এবং নেগেটিভ অংশ নেগেটিভ টারমিনালে সংযোগ করতে হবে।

৫. যদি মিটারটি OL (Open Line) অথবা শব্দ করে থেমে যায় তবে ক্যাপাসিটরটি ভাল আছে। 

৬. যদি মিটারটি OL অথবা শব্দ না করে তবে ক্যাপাসিটরটি খারাপ আছে।

৭. যদি মিটারটি লাইট অন অথবা অনবরত শব্দ হতে থাকে তবে ক্যাপাসিটরটি শর্ট আছে।

চিত্র-১-৩৪ ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সাহায্যে কন্টিনিউটি মোডে ক্যাপাসিটর টেস্ট

১.৯.৪ ডায়মন্ড পরীক্ষা:

ডায়মন্ড হল একটি সাধারণ পিএন জাংশন এবং দুটি টার্মিনাল ডিভাইস যা এক দিকে ফেরোয়ার্ড বায়াস) কারেন্ট প্রবাহিত করতে দেয়। এটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিজাইন এবং সিস্টেমে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত উপাদান যেমন রেকটিফায়ার, এলইডি লাইট সম্পর্কিত সার্কিট, ভোল্টেজ মাল্টিপ্লারিং সার্কিট, সোলার প্যানেল, লজিক গেট ইত্যাদি।

ফরোয়ার্ড বায়াসের ক্ষেত্রে ডায়মণ্ডের ভোল্টজ ড্রপ পরিমাপের মাধ্যমে ডায়ড টেস্ট করা হয়। ফরয়োর্ড ৰায়াসে ডায়োড বন্ধ সুইচ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ কারেন্ট প্রবাহিত হবে এবং কন্ডাক্টর এর মতো ব্যবহার করবে। রিভার্স বায়াসে খোলা সুইচ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ কারেন্ট প্রবাহিত হয় না এবং রেজিস্টর এর মতো ব্যবহার হবে।

ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সাহায্যে ডায়মন্ড টেস্ট (ডায়মন্ড টেস্ট মোড):

১. সার্কিট হতে ডায়োড খুলতে হবে।

২. মিটারের নবটি ভায়ড টেস্ট মোডে এ সেট করতে হবে।

৩. মাল্টিমিটার প্রবটি পজেটিভ অংশ ডায়ডের পজেটিভ লিড (অ্যানোড) এবং নেগেটিভ অংশ নেগেটিভ লিড (ক্যাথোড) সংযোগ করতে হবে। (ফরোয়ার্ড বায়াস)

৪. যদি মিটারটি ০.৫-০.৮ ভোস্ট (সাধারন সিলিকন ডায়োড) ০.২-০.৩ ডোন্ট (জারমেনিয়াম ভারোড) দেখায় তবে ডায়ডটি ভাল আছে। ফেরোয়ার্ড বায়াস)

৫. মাল্টিমিটার প্রবটি পজেটিভ অংশ ভারতের পজেটিভ লিভ (ক্যাথোড) এবং নেগেটিভ অংশ নেগেটিভ লিড (অ্যানোড) সংযোগ করতে হবে। (রিভার্স বায়াস)

৬. যদি মিটারটি OL (Open Line) দেখায় তবে ডায়ডটি ভাল আছে। (রিভার্স বায়াস)

৭. যদি মিটারটি উভয় কানেকশনে OL (Open Line) দেখায় তবে ভায়োতটি ধারাপ আছে। 

৮. যদি মিটারটি উভয় কানেকশনে ০.৪ ভোল্ট দেখায় তবে ভায়োডটি শর্ট আছে।

চিত্র-১,৩৫: ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সাহায্যে ডায়মণ্ড টেস্ট
Content added By