এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

চিংড়ির স্ত্রী জননতন্ত্র ডিম্বাশয়, ডিম্বনালী ও স্ত্রীজনন ছিদ্র এর সমন্বয়ে গঠিত।

ক) ডিম্বাশয় (Ovaries): চিংড়ির প্রধান জনন অঙ্গ ডিম্বাশয় হৃৎপিন্ডের নিচে ও যকৃত অগ্ন্যাশয়ের পিছনে উপরের দিকে অবস্থান করে এবং সম্মুখের দিকে রেনাল স্যাক বা রেচনথলি ও পশ্চাৎদিকে উদর খন্ডক পর্যন্ত বিস্তৃত। ডিম্বাশয় দুইটি সামনে ও পিছনের দিকে যুক্ত থাকে এবং মধ্যভাবে পরস্পর পৃথক হয়ে একটি ছোট ফাঁক সৃষ্টি করে। ডিম্বাশয়ের ভিতরেই ডিম্বাণুর সৃষ্টি হয়। ডিম্বাণুগুলো গোলাকার বিশেষ। পরিপক্ক ডিমে সাইটোপ্লাজমের কুসুমদানা ও মাঝখানে বড় নিউক্লিয়াস থাকে।

খ) ডিম্বানালী (Oviduets): পাতলা প্রাচীর দ্বারা ডিম্বনালী আবৃত থাকে। ডিম্বনালীর উৎপত্তি ডিম্বাশয়ের মধ্যভাগের বাহির অংশ থেকে হয়। এই নালীর প্রথম ভাগ অর্থাৎ উৎপত্তিস্থল স্ফীত হয় কিন্তু ক্রমশ সরু হয়ে বক্ষ প্রাচীর বরাবর অঙ্গীয় দেশে তৃতীয় চলনপদের দিকে অগ্রসর হয়ে কক্সার গোড়ায় অবস্থিত স্ত্রী জনন ছিদ্র পথে উন্মুক্ত হয়। ডিম্বাশয়ে উৎপন্ন ডিম্বানু ডিম্বনালীর মাধ্যেমে স্ত্রীজনন ছিদ্রের দিকে অগ্রসর হয়।

গ) স্ত্রীজনন ছিদ্র (Female genital apertures): ডিম্বনালী চিংড়ির তৃতীয় চলনপদের গোড়ার ভেতরের দিকে উঁচু স্থানে ছিদ্রপথে বাইরে উন্মুক্ত হয়। এই ছিদ্রকে স্ত্রীজনন ছিদ্র বলা হয়। স্ত্রীজনন ছিদ্র দিয়ে ডিম্বানু দেহের বাইরে নির্গত হয়। 

Content added By