এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

২.৩ কম্পোনেন্ট টেস্ট

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা বৈদ্যুতিক সুইচ, সুইচের প্রকারভেদ, সুইচের ব্যবহার ক্ষেত্র, কম্পোনেন্ট টেস্ট করা সম্পর্কে জানব এবং একটি কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে কম্পোনেন্ট পরীক্ষা করে ভালো মন্দ যাচাই করতে পারব।

 

Content added || updated By

২.৩.১ বৈদ্যুতিক সুইচ (Electrical Switch)

সুইচ সবার কাছে পরিচিত একটি শব্দ । সুইচ এক ধরণের কন্ট্রোলিং ডিভাইস, যার সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক লোডের বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করা হয় ।

সুইচের প্রয়োজনীয়তা

সুন্দর বিদ্যুতায়ন নির্ভর করে উৎপাদন, বিতরণ ব্যবস্থাপনা ও সঠিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উপর । আর সঠিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার একমাত্র নিয়ামক হলো সুইচ । বিদ্যুতের যথাযথ, সর্বোচ্চ ও নিরাপদ ব্যবহারের জন্য সুইচ অপরিহার্য । সুইচ বিদ্যুতের প্রবাহের দিক পরিবর্তন করতে পারে । এমনকি প্রবাহ পথের সংখ্যাও বাড়াতে পারে। সুইচ ব্যবহারের কারণে দূর্ঘটনা কমতে পারে। যথারীতি ও যথাযথ প্রয়োজনে সার্কিট কন্ট্রোল করা যায় । সুইচের সাহায্যে ইচ্ছে ও প্রয়োজন মাফিক বৈদ্যুতিক এ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহার করা যায়। সুইচের আধুনীকিকরণের ফলেই কম্পিউটার ও রোবটের মতো অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে। সুইচের মাধ্যমে প্রয়োজনমতো বর্তনীকে অন-অফ করা যায় । ভোল্টেজ, কারেন্ট, এসি বা ডিসি এবং লোডের ধরন (রেজিস্টিভ, ইন্ডাকটভি, ক্যাপাসিটিভ) ইত্যাদির রেটিংও সুইচে করা থাকে। তাছাড়া দৈনন্দিন, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সর্বক্ষেত্রে বিদ্যুতের ব্যাপক ব্যবহার সুইচের কারণেই সম্ভব হচ্ছে। বিদ্যুতের সরবরাহ অন-অফ করার মাধ্যমে লোডকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ষনাবেক্ষণ, দুর্যোগের মুহূর্তে সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা ইত্যাদি প্রয়োজনেই সুইচ ব্যবহার হয়।

 

Content added By

২.৩.২ সুইচের প্রকারভেদ

নিয়ন্ত্রণের দিক থেকে সুইচ দুই প্রকার- 

১. হস্তচালিত সুইচ (Manual Switch): যেমন- সিলেক্টর সুইচ

 ২. স্বয়ংক্রিয় সুইচ (Automatic Switch): যেমন- থার্মোস্ট্যাট সুইচ

 

ব্যবহারের দিক থেকে সুইচ প্রধানত দুই প্রকার- 

১. নাইফ সুইচ (Knife Switch) 

২. টাম্বলার সুইচ (Tumbler Switch)

 

হস্ত চালিত সুইচ তিন প্রকার- 

১. টোগল সুইচ (Togol Switch) 

২. পুশবাটন সুইচ (Push Button Switch) 

৩. রোটারি সুইচ (Rotary Switch)

 

নাইফ সুইচ দুই প্রকার- 

১. স্লো-ব্রেক নাইফ সুইচ (Slow Break Knife Switch) 

২. কুইক-ব্রেক নাইফ সুইচ (Quick Break Knife Switch)

 

পোলের উপর ভিত্তি করে সুইচ তিন প্রকার- 

১. সিঙ্গেল পোল সুইচ (Single Pole Switch) 

২. ডাবল পোল সুইচ (Double Pole Switch) 

৩. ট্রিপল পোল সুইচ ( Triple Pole Switch)

 

থ্রো এর উপর ভিত্তি করে সুইচ তিন প্রকার 

১. সিঙ্গেল থ্রো সুইচ (Single Through Switch) 

২. ডাবল থ্রো সুইচ (Double Through Switch) 

৩. ট্রিপল থ্রো সুইচ (Triple Through Switch)

 

ওয়ে এর উপর ভিত্তি করে সুইচ তিন প্রকার- 

১. ওয়ান ওয়ে সুইচ (One Way Switch) 

২. টু ওয়ে সুইচ (Two Way Switch) 

৩. ইন্টারমিডিয়েট সুইচ (Intermediate Switch)

 

ব্রেকের উপর ভিত্তি করে সুইচ দুই প্রকার- 

১. সিঙ্গেল ব্রেক সুইচ (Single Break Switch) 

২. ডাবল ব্রেক সুইচ (Double Break Switch)

 

কার্যনীতির উপর ভিত্তি করে টাম্বলার সুইচ চার প্রকার- 

১. SPST (Single Pole Single Through) সুইচ 

২. SPDT (Single Pole Double Through) সুইচ 

৩. DPST (Double Pole Single Through) সুইচ 

৪. DPDT (Double Pole Double Through) সুইচ

 

রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-এ ব্যবহৃত সুইচের তালিকা-

  • মেইন সুইচ 
  • থার্মোস্ট্যাট সুইচ 
  • এসি (রোটারি) সুইচ 
  • হিউমিডিস্ট্যাট সুইচ
  • সাধারণ অফ-অন সুইচ 
  • সিলেক্টর সুইচ 
  • এসি পিয়ানো সুইচ 
  • ডোর (পুশবাটন) সুইচ
  • প্রেশার সুইচ 
  • ডিফ্রস্ট সুইচ 
  • থার্মাল সুইচ ইত্যাদি

মেইন সুইচ (Main Switch) 

যে সুইচের সাহায্যে কোন বৈদ্যুতিক স্থাপনার সমগ্র সার্কিটকে এক সাথে নিয়ন্ত্রন করা যায়, তাকে মেইন সুইচ বলে। সাধারণত মেইন সুইচকে বাড়ির সিড়িঘরের নীচে অথবা গ্রাহকের নাগালের কাছাকাছি রাখা হয়, যেন সহজে বিপদের সময় মেইন সুইচকে অফ করা যায়। মেইন সুইচের ভোল্টেজের গ্রেড দুই রকম। নিম্ন চাপের জন্য ২৫০ ভোল্ট এবং মাঝারি চাপের জন্য ৫০০ ভোল্ট।

মেইন সুইচের শ্রেণীবিভাগ 

১) I.C.D.P 

২) IC.D.P.N

৩ ) I. C.T. P 

8) I.C.T.P.N

মেইন সুইচের বিভিন্ন অংশ-

  • আয়রন ক্লাড (লোহার বাক্স) 
  • কন্ট্রাক্ট পোল 
  • গ্রীফ ফিউজ বা কার্টিজ ফিউজ
  • হাতল 
  • স্প্রিং 
  • লিভার ও
  • ইন্টারলক সিষ্টেম (Fool Proof System)

 

 

Content added By

২.৩.৩ বিভিন্ন প্রকার সুইচ ও সুইচের ব্যবহার ক্ষেত্র

বহুবিধ কাজে অগণিত সুইচ ব্যবহার হয়। তার মধ্যে বেশি ব্যবহৃত সুইচের উল্লেখ করা হল-

 

 

Content added || updated By

২.৩.৪ কম্পোনেন্ট টেস্ট

টেস্ট করা বলতে কার্যক্ষমতা সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করাকে বোঝানো হয়েছে। নিচে উল্লেখিত খাপ অনুসরণ করে আমরা বিভিন্ন প্রকার সুইচ টেস্ট করতে পরি।

ওয়ান ওরে সুইচ টেস্ট

 ১। অ্যাডোমিটারের সিলেক্টিং নবকে কন্টিনিউটি পজিশনে সেট করি; 

২। সুইচটিকে অফ পজিশনে সেট করি এবং মিটার প্রোবষয়কে সুইচের দুই টার্মিনালে ধরি 

৩। যদি কন্টিনিউটি না দেখায় তাহলে সুইচটি ভালো আছে। যদি কন্টিনিউটি দেখায় তবে বুঝতে হবে সুইচটি নষ্ট; 

৪। এবার সুইচটিকে অন পজিশনে সেট করি এবং মিটার প্রোবষয়কে সুইচের দুই টার্মিনালে ধরি 

৫। যদি কন্টিনিউটি দেখায় তাহলে সুইচটি ভালো আছে। যদি কন্টিনিউটি না দেখায় তবে বুঝতে হবে সুইচটি নষ্ট ।

শ্রেণি কক্ষের কাজ

একই পদ্ধতি অনুসরণ করে সুইচ, সকেট, প্লাগ, ফিউজ, হোল্ডার, তার, বাল্ব (২৫, ৪০, ৬০, ১০০ ওয়াট), রিলে, ক্যাপাসিটর, থার্মোস্ট্যাট, টাইমার, হিটার, থার্মালফিউজ, কুলিংওভার লোড, ওভার লোড প্রটেক্টর, ইত্যাদি পরীক্ষা করি ও ভালো মন্দ যাচাই করে নিচের তালিকাটি প্রস্তুত করি ।

 

Content added By