এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

২.৬.৩ বিভিন্ন টেস্ট পদ্ধতি

১) কন্টিনিউটি টেস্ট পদ্ধতি

কোন ওয়্যারিং এর কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, সেই ওয়্যারিং এ তারের ভিন্ন ভিন্ন টুকরার মধ্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য যে টেস্ট করা হয় তাকে কন্টিনিউটি টেস্ট বা নিরবিচ্ছিন্ন পরীক্ষা বলা হয়। বৈদ্যুতিক ঘন্টা এবং ইন্সুলেশন টেস্টিং মেগারের সাহায্যে এই টেস্ট করা যায়। এই টেস্ট মেগার এবং টেস্ট ল্যাম্পের সাহায্যে করা যায়।

ইন্সুলেশন টেস্টিং মেগারের সাহায্যে কন্টিনিউটি টেস্ট

এই কন্টিনিউটি টেস্ট বাড়ীর মেইন সুইচের টার্মিনালেই বেশীর ভাগ করা হয়ে থাকে। প্রথমে মেইন সুইচ অফ করে কাট আউটগুলি খুলে নিতে হবে। তারপর মেগারের দু'টি টার্মিনাল ওয়্যারিং এর দু'টি টার্মিনালের সাথে যুক্ত করতে হবে। এবার যে সার্কিট পরীক্ষা করতে হবে সেই সার্কিটের পয়েন্টে বা পয়েন্টগুলোতে লোড লাগিয়ে ঐ সার্কিটের সব সুইচ অফ করতে হবে। এবার মেগারের হাতল নির্দিষ্ট গতিবেগে ঘুরাতে হবে এবং একটি একটি সুইচ অন করতে হবে। সুইচ অন করার পর যদি মেগারের কাটা শুন্য (০) নির্দেশ করে, তবে বুঝতে হবে কন্টিনিউটি ভাল আছে। আর যদি সার্কিটের তার কোথাও খোলা বা কাটা থাকে তাহলে মেগারের কাটা ইনফিনিটি বা কোন উচ্চ মানের রেজিষ্ট্যান্স নির্দেশ করবে যা কোন রিডিং দেবে না।

তবে টেষ্টের জন্য প্রয়োজনীয় সংযোগ সম্পন্ন করার পর টেষ্ট করার আগে সমস্ত লোডগুলিকে খুলে রেখে সমস্ত সুইচ অন করে মেগারের হাতল ঘুরালে যদি মেগার জন্য পাঠ দেখায় তাহলে বুঝতে হবে সার্কিটের কোথাও শর্ট আছে।

চিত্র ২.১৭: ওয়ারিং এর কন্টিনিউটি টেষ্ট

2) Open Circuit Test 

যদি কোন বর্তনীর মধ্যে কন্টিনিউটি না পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে হবে বর্তনীর কোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই ধরণের অবস্থাকে Open সার্কিট বলা হয়। ওপেন সার্কিট টেষ্ট কন্টিনিউটি টেষ্টের মতই এক্ষেত্রে মেগারের কাঁটা অসীম দেখালে বুঝতে হবে সার্কিটের কোথাও ওপেন আছে।

Open Circuit এর কারণ

● ক্যাবলের ভেতর কন্টাক্টরের সংযোগ না থাকা
• হোন্ডার অথবা সুইচের তার বিচ্ছিন্ন থাকা
• ক্যাবলের সংযোগ ভুল থাকা

Open Circuit এর প্রতিকার

• মেগারের সাহায্যে কন্টিনিউটি পরীক্ষা করতে হবে
• সুইচের পোলারিটি ঠিক আছে কিনা তা দেখতে হবে

• ক্যাবলের সংযোগ ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে

৩) পোলারিটি টেস্ট 

ফেজ তারের সাথে সুইচ সংযোগ দেয়া হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য পোলারিটি টেস্ট করা হয়। পোলারিটি টেস্ট করার জন্য সাধারনত টেস্ট ল্যাম্প পদ্ধতিই বেশি ব্যবহার করা হয়। এই টেস্ট বিভিন্ন ভাবে করা যায় ।

চিত্র ২.১৮ পোলারিটি টেস্ট

সুইচ অন করে টেস্ট করা

এই টেস্ট একটি টেস্ট ল্যাম্পের সাহায্যে করা যায়। টেস্ট ল্যাম্পের টার্মিনাল দু'টির যে কোন একটি সুইচের এক পোলে সংযোগ করতে হবে এবং অপর প্রান্তটি আর্থিং এর সঙ্গে ভালভাবে সংযোগ করতে হবে। সংযোগ শেষ হওয়ার পর সুইচটি অন (On) করলে টেস্ট ৰাতি পুরো ফুলৰে। এতে বোঝা যাবে পোলারিটি ভাল আছে। কিন্তু যদি সুইচ টিউট্রাল লাইনে লাগানো থাকে ভাতে টেস্ট ৰাতি একেবারেই জ্বলবে না। এতে বোঝা যাবে পোলারিটি ঠিক নেই। সুইচ অফ (Off) করেও পোলারিটি টেস্ট করা যায়। তবে সুইচ অন (On) করে টেস্ট করাই নির্ভুল হবে। যত ভোল্টের সার্কিট হবে টেস্ট ৰাতিও ঠিক তত ভোটের হতে হবে।

৪) ইন্সুলেশন রেজিষ্ট্যান্স টেস্ট

গুয়ারিং এর ইন্সুলেশন রেজিস্টান্স টেস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স এর উপর ওয়্যারিং এর নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্ব নির্ভর করে থাকে। এই জন্য কোন সার্কিটের ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স জানা খুবই প্রয়োজন। ইন্সুলেশন টেস্টিং মেগারের সাহায্যে এই টেস্ট করা হয়।

টেস্ট করার পদ্ধতি

প্রথমে মেইন সুইচ বন্ধ করে (OH) বা কাট আউট খুলে নিতে হবে এবং সমস্ত লোডগুলি (বাতি, পাখা ইত্যাদি) খুলে রাখতে হবে। সমস্ত সুইচ অন (On) অবস্থায় রাখতে হবে। এইবার মেগারের L ও E প্রান্তের দু'টি তার বর্ষাক্রমে ফেজ তার ও নিউট্রাল তারের সংগে সংযোগ করতে হবে। এবার যেগারের হাতলটি প্রয়োজনীয় গতিতে ঘুরায়ে যন্ত্রের কাটা স্কেলের উপর যে জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে অর্থাৎ, যে রিডিং দেখাবে তাই হবে ওয়্যারিং এর দুই তারের মধ্যে ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স। নিয়ম হচ্ছে ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স কোন সার্কিটের বা কোন বাড়ির মোট পয়েন্টের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে যত হবে তত মেগা ওহম হওয়া চাই। অর্থাৎ দুই তারের মধ্যে ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স হবে ৫০/২০ = ২.৫ মেগা ওহম। এখানে মোট পয়েন্টের সংখ্যা ২০ ধরা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে কোন বাড়ির সমগ্র বৈদ্যুতিক স্থাপনের ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স “১” মেগাওহমের বেশী না হলেও চলবে। যদি ১ মেগাওহমের কম দেখায় তাহলে বুঝতে হবে ওয়্যারিং এ কোথাও লিকেজ আছে। আর যদি রিডিং শুন্য দেখায় তাহলে বুঝতে হবে ওয়্যারিং এ কোথাও শর্ট আছে।

 

Content added By