On This Page
এসএসসি(ভোকেশনাল) - উইভিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK
Please, contribute to add content into ব্যবহারিক.
Content

ভূমিকা- 
শক্তিচালিত তাঁত ও হস্তচালিত তাঁত সম্বন্ধে ভালোভাবে জানতে হলে প্রথমে তার প্রধান প্রধান যন্ত্রপাতি ও তাঁত চালনা সংক্রান্ত ব্যবহার্য্য অন্যান্য যন্ত্রপাতি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখতে হবে এবং প্রত্যেকটি যন্ত্রের নামসহ প্রতিটি অংশের নাম জানতে হবে। কাপড় তৈরিতে তাঁত যন্ত্র ব্যবহার হয় কাজেই তাঁত সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে। 

সংজ্ঞা- কাপড় : ফাইবার থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সুতা প্রস্তুত করার পর উক্ত সুতা দ্বারা টানা ও পড়েন সুতায় পরস্পর বন্ধনী দিয়ে লুপের সাহায্যে এবং আঁশ জমাট বাঁধিয়ে মানুষের পরিধেয় ও প্রয়োজনীয় ব্যবহারের জন্য যে সকল দ্রব্য উৎপন্ন করা হয় তাকে বস্ত্র বা কাপড় বলে । 

তাঁত : যে যন্ত্রে দুই বা ততোধিক সারির সুতা লম্বালম্বি ও আড়াআড়ি ভাবে স্থাপন করে বুনন কার্য সম্পন্ন করা হয় তাকে তাঁত বলে। তাঁত দুই প্রকার- 
০ শক্তিচালিত তাঁত 
০ হস্তচালিত তাঁত 

তাঁতযন্ত্রের সাথে বিভিন্ন যন্ত্রের পরিচিতি- 
নিম্নে তাঁতে যন্ত্রের বিভিন্ন অংশের তালিকা দেওয়া হলো- 
০ সাটেল (Shuttle) 
o পিকার (Picker) 
০ শাটেল বক্স (Shuttle box ) 
o বক্স সয়েল (Box swell ) 
0 ঝাঁপ (Heald) 
o শানা (Reed) 
০ টেম্পল (Temple) 
০ ক্র্যাংক শ্যাফট (Crank shaft) O(Slay) 
০ ট্যাপেট (Tappet) ইত্যাদি । 

সতর্কতা 
তাঁত যন্ত্রের সকল অংশের সাথে পরিচিতি থাকা ভালো। এতে তাঁতির তাঁত চালনা ও ত্রুটিমুক্ত কাপড় প্রস্তুত করা সম্ভব। 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা 
নির্দিষ্ট নামের যন্ত্র অর্থাৎ তাঁত যন্ত্রের বিভিন্ন অংশের নাম অবগত ও সনাক্তকরণ করতে হবে। তাঁত যন্ত্রের সামনে ও পেছনে বিম রেখে এক প্রস্থ টানা সুতাকে টান টান অবস্থায় রেখে এর মধ্য দিয়ে পড়েন সুতাকে সুবিন্যস্ত ভাবে বন্ধনী সৃষ্টি করাই বয়নের মূলনীতি।

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা 
সনাক্তকৃত যন্ত্রটি কাপড় প্রস্তুতকরণ যন্ত্র। কাপড় প্রস্তুত করতে ২ সারি সুতার প্রয়োজন। একসারি টানা সুতা ও অন্য সারি পড়েন সুতা। উৎপাদিত কাপড় ওভেন ফ্যাব্রিক্স কাজেই যন্ত্রটি একটি তাঁত। 

সংজ্ঞা 
তাঁত যে যন্ত্রে দুই বা ততোধিক সারি সুতা লম্বালম্বি ও আড়াআড়ি ভাবে স্থাপন করে বুনন কার্য সম্পাদন করা হয় তাকে তাঁত বলে । 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

সংজ্ঞা 
রক্ষণাবেক্ষণ : কোন যন্ত্র বা মেশিন-পত্রকে যদি নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রয়োজনীয় অংশে তেল, গ্রিজ ইত্যাদি প্রয়োগসহ সার্বিক যত্ন নেওয়া অর্থাৎ শিল্প কারখানায় বা প্লান্টের মেশিন পত্র, সরঞ্জামাদি কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্যের প্রস্তুতকরণের নির্দেশ মোতাবেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও সার্বিক যত্ন নেওয়ার যথোপোযুক্ত প্রক্রিয়াই হচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণ । 

পরিষ্কারকরণ : পরিষ্কারকরণ রক্ষণাবেক্ষণের একটি অংশ। উৎপাদন কাজে নিয়োজিত মেশিনারি অপারেটরের কাজ শেষে অথবা প্রস্তুতকারকের নির্দেশ মোতাবেক একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। “উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার্য মেশিন / যন্ত্রপাতি ইত্যাদির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজের পূর্বে ও পরে ধুলা, ময়লা, আবর্জনা, দূর করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে পরিষ্কারকরণ। ক্লিনিং অর্থাৎ পরিষ্কারকরণ একটি অপরিহার্য বিষয় । তাঁত চালনার পাশাপাশি ক্লিনিং করা হলে তাঁতির সর্বোচ্চ দক্ষতায় তাঁত চালনা করতে পাবরে। 

তাঁত যন্ত্র পরিষ্কারকরণ পদ্ধতি 
উৎপাদন কার্যে নিয়োজিত তাঁত যন্ত্রটির বিভিন্ন অংশে পড়ে থাকা ধুলা বালি, ময়লা ইত্যাদি বাতাসের প্রবাহ, ব্রাস, ন্যাকরা, প্রভৃতি দ্বারা পরিষ্কার করে পুনরায় তাঁত যন্ত্রটি চালু করতে হবে । 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

সংজ্ঞা 
ক) দূর্ঘটনা যে ঘটনা প্রবাহ দ্বারা কর্মের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ও ধারাবাহিকতা ব্যহত হয় তাকে দুর্ঘটনা বলে । দুর্ঘটনা হলো হটাৎ একটি অপরিকল্পিত, অনিয়ন্ত্রিত, অপ্রত্যাশিত ঘটে যাওয়া ঘটনা, যার দ্বারা জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতি হয় । 

খ) নিরাপত্তা : কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের চলমান সকল কাজ-কর্মে যাতে কোন প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত বা অবাঞ্ছিত ঘটনার উদ্ভব না হতে পারে তার জন্য পরিকল্পিত ভাবে কর্মী, যন্ত্রপাতি, মেশিন ও কর্মশালায় বিভিন্ন স্বীকৃতি বিধি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে কর্মস্থলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা প্রতিহত করাকে নিরাপত্তা বলে ।

নির্দিষ্ট যন্ত্রপাতির জন্য নির্দিষ্ট সতর্কতা 
* প্রথমেই কাজের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত মানের বা উপযুক্ত মাপের যন্ত্রপাতি নির্বাচন করতে হবে। 
* যেখানে ব্যবহার করবে যিনি তার ভালো জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। 
* আঘাত করা বা যন্ত্র দ্বারা চাপ দেওয়ার পূর্বে নির্দিষ্ট করতে হবে যে কতটুকু আঘাত বা চাপ প্রয়োগ করতে হবে । 
* ঠিক কোন স্থানে যন্ত্রপাতি বা টুলস ফিট করবে তা নিশ্চিত করতে হবে। 
* সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তবে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা সহজ হবে । 

মন্তব্য / উপসংহার 
রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ব্যবহার যন্ত্রপাতি যথাযথভাবে ব্যবহার না করলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কাজেই এ বিষয়ে রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন ।

Content added By

ভূমিকা 
সাধারণত পাওয়ার লুম বৈদ্যুতিক শক্তির সাহায্যে চলে। এটি সাধারণত লোহা ও কাঠ দ্বারা তৈরি এবং হস্তচালিত তাঁতের চেয়ে এর উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি। বিভিন্ন অতিরিক্ত মোশন সংযোজন করার কারণে পাওয়ার লুমকে অটোমেটিক লুমে স্থানান্তর করা সম্ভব । ফলে উৎপাদন দক্ষতা অনেক বেড়ে যায় পাশাপাশি উৎপাদিত কাপড় ত্রুটিমুক্ত থাকে। 

৪। সংজ্ঞা 
পাওয়ার লুম যে সমস্ত লুম কোন যান্ত্রিক বা বৈদ্যুতিক শক্তি দ্বারা চালিত হয় তাকে পাওয়ার লুম বলে। আমাদের দেশে হস্তচালিত লুমের পাশাপাশি শক্তিচালিত লুমের বেশ প্রচলন রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে অধিকাংশ হুমই শক্তিচালিত। হস্তচালিত লুমের চেয়ে শক্তিচালিত লুমের গতি বেশি। এই গতির পাশাপাশি উৎপাদনও অনেক বেশি । 

পাওয়ার লুমের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ 
০ মটর 
০ সালে 
০ পিকার
০ সাটেল বক্স 
০ হিল্ড শ্যাফট 
০ রিড 
০ স্লে
০ ট্যাপেট 
০ ওয়ার্প বিম 

পাওয়ার লুমে ব্যবহৃত মোশন 
০ ওয়ার্প স্টপ মোশন 
০ ওয়েফট স্টপ মোশন 
০ টেম্পল মোশন 
০ ব্রেক মোশন 
০ প্রোটেক্টর মোশন 
০ ওয়েফট মিক্সিং মোশন ইত্যাদি । 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা 
প্রতিটি মেশিনেরই নির্দিষ্ট কিছু গতি থাকে। যার কারণে মেশিনটি চলতে ও উৎপাদন দিতে থাকে। তেমনটি একটি তাঁতেরও নির্দিষ্ট গতি আছে, যার ফলে তাঁত গতিপ্রাপ্ত হয় ও কাপড় উৎপাদন করতে থাকে। হ্যান্ড লুম ও পাওয়ার লুমের সুনির্দিষ্ট কিছু গতির কারণে উইভিং ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যান্য মেশিন হতে তাঁতের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। 

তাঁতের গতিসমূহের শ্রেণিবিভাগ

বিভিন্ন মোশনের সংজ্ঞা 
ক) সেডিং : যে গতির সাহায্যে টানা সুতাকে উপরে ও নিচে দুইভাগে ভাগ করে দুইটি স্তর সৃষ্টি করা হয় যাতে ঐ স্তর দুইটির মধ্য দিয়ে পড়েন সুতাসহ সাটেল চলাচল করতে পারে। সে গতিকে সেডিং বলে। টানা সুতার দুইস্তরের মধ্যবর্তী ফাঁককে সেড বলে। 

খ) পিকিং : ডিজাইন অনুযায়ী টানা সুতার সাহায্যে সেড তৈরি হওয়ার পর সাটেল বা অন্য কিছুর মাধ্যমে সেড এর মধ্য দিয়ে পড়েন সুতা ফেলে যাওয়ার পদ্ধতিকে পিকিং বলে। 

গ) বিটিং: আপ সেডের মধ্যে পড়েন সুতা ফেলে রাখার সংগে সংগে রিড-এর সাহায্যে ধাক্কা দিয়ে পড়েন সুতা ফেলে অফ দ্যা রুথ এর সাথে মিশিয়ে ফেলাকে বিটিং আপ বলে । 

ঘ) টেক আপ মোশন : কাপড় বুননের পর যে গতির সাহায্যে লেট অফ মোশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাঁতের ক্লথ বিমে জড়ানোর পদ্ধতিকে টেক আপ মোশন বলে । 

ঙ) লেট অফ মোশন: টেক আপ মোশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যে মোশনের সাহায্যে টানা বিম হতে প্রয়োজনীয় সুতাকে নির্দিষ্ট হারে তাঁতে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে লেট অফ মোশন বলে । 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা 
ড্রাফটের মাধ্যমে ঝাঁপের সংখ্যা নির্ণয় করা হয় এবং ডেন্টিং-এর মাধ্যমে রিডের ফাঁকের মধ্য দিয়ে কোন সুতা বা কতটি সুতা টানা হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়। কাপড় বুননের সময় ঝাঁপগুলো উপরে ও নিচে উঠানামা করে । টানা সুতা ঝাঁপের ব চক্ষুর মধ্য দিয়ে টানা হয় অর্থাৎ ড্রাফটিং করা হয়। ড্রাফটের মাধ্যমে কি ধরনের ডিজাইন তৈরি হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়। ঝাঁপের হিল্ড আই বা ব চক্ষুর মধ্য দিয়ে টানা প্রবেশ করানোর পর রিডের ডেন্ট স্প্লিটের মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট নিয়মে ডেন্টিং করা হয় । 

সংজ্ঞা ড্রাফটিং : উইভারস বিমের টানা সুতাগুলো একটি ডিজাইন অনুযায়ী ড্রইং হুকের মাধ্যমে ব চক্ষুর মধ্য দিয়ে টানাকে ড্রাফটিং বা ড্রইং ইন বলে । 

ডেন্টিং : যে পদ্ধতিতে শানা বা রিডের প্রতিটি ডেন্ট-এর মধ্য দিয়ে টানা সুতাকে ডিজাইন অনুযায়ী ড্রইং হুকের সাহায্যে টেনে নেওয়া হয় তাকে ডেন্টিং বা শানা গাঁথা বলে । ড্রাফটিং ও ডেন্টিং-এর ব্যবহার 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা 
পাওয়ার লুম অত্যন্ত মজবুত ও দ্রুতগতি সম্পন্ন। কাজেই পাওয়ার লুমে অধিক কাপড় একত্রে বুনন সম্ভব । এ লুম সাধারণত লোহা দিয়ে নির্মাণ, ভারী ও মজবুত। বিদ্যুৎ-এর ব্যবহার দ্বারা পাওয়ার লুম চালনা করা হয়। বলে এ লুমকে বিদ্যুৎ চালিত লুমও বলা হয় । 

বিম স্থাপন পদ্ধতি- 
বিম তৈরি করা সম্পন্ন হলে সমস্ত টানা সুতাগুলি টেনে বের করে একটি একটি করে বিমের সুতা ডিজাইন অনুযায়ী হিল্ড শ্যাফটের 'ব' চক্ষুর মধ্য দিয়ে ড্রইং হুকের সাহায্যে টেনে গাঁথতে হয় অর্থাৎ ড্রাফটিং করতে হয় । ড্রাফটিং সমাপ্ত হলে পুনরায় রিডের ফাঁকের মধ্য দিয়ে গেঁথে আনতে হয়। তাঁতে বিম স্থাপন করার জন্য তাঁতের পিছনে ফ্রেমের দুই পার্শ্বে খাচ কাটা অথবা দুইটি করে ব্রাকেট থাকে। এই খাঁচ কাটা বা ব্রাকেটের উপর বিম স্থাপন করা হয়। 

উপসংহার / মন্তব্য-

Content added By

ভূমিকা 
একটি কাপড় থেকে হুবহু অনুরূপ একটি কাপড় তৈরির জন্য পূর্ববর্তী অর্থাৎ নমুনা কাপড়টি বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে । নমুনা কাপড়টি কোন ফাইবারের তৈরি কাপড়ের ডিজাইন, টানা ও পড়েন সুতার সংখ্যা টানা ও পড়েন সুতার কাউন্ট ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় জানার জন্য বস্ত্র বিশ্লেষণের প্রয়োজন । 

সংজ্ঞা বস্ত্র বিশ্লেষণ : 
একটি নমুনা কাপড় থেকে ঠিক অনুরূপ একটি কাপড় তৈরি করার জন্য যে পদ্ধতিতে নমুনা কাপড়ের যাবতীয় গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্য পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করে জেনে নেওয়া হয়, তাকে বস্ত্র বিশ্লেষণ বলে । 

বস্ত্র বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা 
০ হুবহু একটি কাপড়ের অনুরূপ কাপড় তৈরির জন্য বস্ত্র বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। 
০ কাপড়ের যাবতীয় বৈশিষ্ট্য জেনে নিয়ে তৈরিকৃত কাপড়ের ও গুণাগুণের সাথে মিলানোর জন্য বস্ত্ৰ বিশ্লেষণের প্রয়োজন । 
০ আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে কাপড়ের প্রকার জেনে নিয়ে সরকারি শর্তসমূহের সাথে মিলিয়ে শুল্ক আদায়ের জন্য বস্ত্র বিশ্লেষণের প্রয়োজন। 
০ টেক্সটাইল সংক্রান্ত কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তা বস্ত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে সনাক্তকরণের প্রয়োজন। 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added || updated By

ভূমিকা 
হস্তচালিত কাপড় বুননে একজন তাঁতির দক্ষতাই প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে । তাঁতির দক্ষতার উপরই ত্রুটিযুক্ত কাপড় উৎপাদন করা সম্ভব হয়। 

কাপড়ের বিভিন্ন ত্রুটি 
কাপড়ের ত্রুটিসমূহের নাম নিম্নে দেওয়া হলো- 
ক) টানা বরাবর ত্রুটি (Warp way defects) 
১. ওয়ার্প স্টিচিং (Warp stiching ) 
২. লং ফুট (Long float) 
৩. টানা বাদ পড়া (Missing warp) 
৪. দ্বৈত টানা (Double warp) 
৫. রিড মার্ক (Reed mark)
৬. টানা সুতার গিট ( Knot in the warp) 
৭. টাইট ওয়ার্স (Tight warp) 
৮. ঢিলা ওয়ার্স (Slack warp) 
৯. ওয়ার্প স্ট্রিক (Warp streak ) 
১০. পাড় প্রভাব (Selvedge effect) 
১১. ঢেউ খেলানো পাড় (Curly or wavy selvedge) 
১২. কর্ডেড পাড় (Corded selvedge) 
১৩. পাড়ে ভাঙ্গা পড়েন (Weft breaks) 
১৪. লুপ বিশিষ্ট পাড় (Loop in the selvedge) 
১৫. টেম্পলের দাগ (temple marks) 

খ) পড়েন বরাবর ত্রুটি (Weft way defects)
১. মিস পিক বা ব্রোকেন পিক (Miss pick or broken pick ) 
2. ব্রোকেন প্যাটার্ন (Broken patern 
৩. থিক এন্ড থিন প্লেস ( Thick and thin place ) 
৪. শাটেল মার্ক (Shuttle mark) 
৫. ওয়েফট কার্ল (Weft Curls ) 
৬. তির্যক পড়েন (Weft sew) 
৭. টাইট পড়েন (Tight weft) 
৮. ব্যাক ল্যাশিং বা ল্যাশিং ইন (Back lashing or lashing in ) 
৯. স্টার্টিং মার্ক (Starting mark)
১০. ক্র্যাকস (Cracks) 
১১. টিয়ার ড্রপ (Tear drops ) 
১২. গোট (Goat) 
১৩. ব্লাক পিকস (Black picks ) 
১৪. ফিঙ্গার মার্কস (Finger marks) 
১৫. বো ইফেক্ট (Bow effects) 
১৬. নট ইন দ্যা ওয়েফট (Knot in the weft) 
১৭. ক্যাচ নট (Catch knot) 

গ) টানা ও পড়ের উভয় বরাবর ত্রুটি 
১. ক্লাউডি বা অসমান কাপড় (Cloudy or uneven cloth ) 
২. তেলের দাগ (Oil or grease spot)
৩. হোলস ইন দ্যা ক্লথ (Holes in the cloths) 
৪. ওয়েডি ক্লথ (Wavy cloth ) 
৫. রাস্ট ইন ফ্যাব্রিক (Rust in fabric ) 
৬. ডার্টি ক্লথ (Dirty cloth ) 
৭. হেয়ারি ফ্যাব্রিক (Hairy fabric) 
৮. অমসৃণ কাপড় (Rough surface) 

ঘ) নিটিং-এর ত্রুটিসমূহ 
১. ব্রোকেন এস্ত বা হোলস (Broken ends or holes ) 
২. ড্রপ স্টিচ (Drop stitch) 
৩. ক্লথ ফল আউট (Cloth fall out) 
৪. স্লাগিং (Slagging) 
৫. টাক বা ডাবল স্টিচ (Tuck or double stitch) 
৬. বাঞ্চিং আপ (Bunching up ) 
৭. ভার্টিক্যাল স্ট্রাইপ (Vertical stripes) 
৮. আনুভূমিক স্ট্রাইপ (Horizontal stripes ) 
৯. কালার ফ্লাই ( Color fly ) 
১০. ডিসটরটেট স্টিচ (Distortet stitch) 

সতর্কতা
o হস্তচালিত তাঁতে ত্রুটিমুক্ত কাপড় বোনার জন্য একজন তাঁতির মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন । 
o ত্রুটিমুক্ত ভালো কাপড়ের জন্য তাঁতির দক্ষতাই প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে । 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added || updated By

ভূমিকা 
কাপড় বিশ্লেষণের জন্য যাবতীয় বিষয় জেনে নিয়ে হুবহু অনুরূপ কাপড় তৈরি করা সম্ভব। কাজেই নমুনা কাপড় বিশ্লেষণ করে সমস্ত তথ্য জেনে নেওয়া প্রয়োজন। 

কাপড় বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় - 
একটি কাপড় বিশ্লেষণের জন্য নমুনা হতে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ জেনে নেওয়া প্রয়োজন । 
০ কাপড়ের কোন দিক উপর বা সদর অর্থাৎ ফেইস সাইড (Face side) 
o কাপড়ের কোন বরাবর টানা ও কোন বরাবর পড়েন। 
০ কাপড়ের ইঞ্চি প্রতি টানা ও পড়েন সংখ্যা নির্ণয় ।
০ নমুনা কাপড়ের টানা ও পড়েন সুতার কাউন্ট নির্ণয় । 
০ কাপড়ের উইভ স্ট্রাকচার অথবা ডিজাইন নির্ণয় করা । 
০ ডিজাইন নির্ণয় করার পর রিপিটের আকার নির্ণয়। 
০ ডিজাইন রিপিটের আকার নির্ণয়ের পর ড্রাফটিং ও লিফটিং প্লান নির্ণয় করা । 
০ টানা ও পড়েন সুভায় রকম অর্থাৎ টানা সুতা ও পড়েন সুতা কোন আঁশের তৈরি তা নির্ণয় করা। 
০ টানা ও পড়েন সুতার আলাদা আলাদা পাকের (Twist) সংখ্যা নির্ণয় করা । 
০ রিড কাউন্ট ও হিল্ড কাউন্ট বের করা। 
০ কাপড়ের নির্দিষ্ট ইউনিটের ওজন বের করা। 
০ সুভার কোন আলাদা প্যাটার্ন থাকলে তা বের করা । 
o টানা বা পড়েন সুতা ব্লেন্ডেড হলে তা কোন সুতা কতটুকু অর্থাৎ শতকরা কত তা নির্ণয় করা । টানা বা পড়েন আলাদা আলাদা কতটুকু সুতার প্রয়োজন তা নির্ণয় করা। 
০ কাপড়টি তৈরি করতে কি ধরনের তাঁতের প্রয়োজন তা নির্ণয় করা । 
০ কাপড় ও সুতার বাণিজ্যিক নাম যদি থাকে তা নির্ণয় করা। 
০ কাপড়টি ফিনিসড অথবা আনফিনিসড তা বের করা । 
o রঙিন সুতার বেলায় কি রং এর সুতা তা বের করা । 
০ যদি সম্ভব হয় তবে কাপড়ের বহর ও দৈর্ঘ্য বের করা। 

সতর্কতা 
o নমুনা কাপড় থেকে হুবহু কাপড় তৈরির জন্য অতি সতর্কতার সাথে কাপড় বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন । 
০ কাপড় বিশ্লেষণের ফাইবার শণাক্তকরণের জন্য কেমিক্যালস হিসেবে এসিড ব্যবহারের সময় থাকতে হবে।

উপসংহার / মন্তব্য

Content added || updated By

ভূমিকা- 
কাপড়ের রিপিট ও ডিজাইন নির্ণয় করার পূর্বে কাপড়ের টানা ও পড়েন এর দিক, টানা ও পড়েন সুতা, ইঞ্চি প্রতি টানা ও পড়েন সুতা, ইত্যাদি শনাক্ত করা খুবই জরুরি। কাউন্টিং গ্লাসের সাহায্যে কাপড়ের এক অংশ থেকে টানা সুতা কোনটি উপরে অথবা কোনটি নিচে এভাবে সনাক্ত করে ডিজাইনটি তৈরি করতে হবে। ডিজাইন তৈরি করার পর ডিজাইনটির রিপিট বের করতে হবে। 

প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট- 
কাপড়ের ডিজাইন ও রিপিট নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত ইকুইপমেন্ট প্রয়োজন । 
০ ছক কাগজ বা গ্রাফ পেপার । 
০ কাউন্টিং গ্লাস
০ পেনসিল 
০ নিডল । 

কাপড়ের ডিজাইন ও রিপিট নির্ণয়ের পদ্ধতি- 
প্রথমে ছক কাগজে ডিজাইন করার জন্য কাগজে নিচে ও বাম দিকের একটি ঘর দ্বারা শুরু করতে হবে। অতপর নমুনা কাপড়কে কাঁচি দ্বারা সুন্দরভাবে কেটে টেবিলের উপর এমনভাবে বিছিয়ে রাখতে হবে যেন কোথাও কুঁচকে না থাকে । অতপর কাপড়টির উপর কাউন্টিং গ্লাসটি রাখতে হবে। 

পূর্ব থেকে কাপড়টির টানা ও পড়েন সনাক্ত করা থাকে। টানা ও পড়েন থেকে আস্তে আস্তে সুতা খুলেও ছক কাগজে ডিজাইন অংকন করা যায়। আবার কাউন্টিং গ্লাস বসিয়ে নিডল দ্বারা একটি একটি করে সুতা সনাক্ত করে পেনসিলের মাধ্যমে ছক কাগজের বাম পাশের নিচ থেকে ডিজাইনটি আস্তে আস্তে অংকন করতে হবে। কাউন্টিং গ্লাসের মাধ্যমে কাপড়টির উপর তাকালে টানা ও পড়েন সুতাগুলো মোটা দেখায় ও কোন সুতার সাথে কোন সুতার বন্ধনী সৃষ্টি হলো তা সহজে শনাক্ত করা যায়। লক্ষ্য রাখতে হবে কাপড়টির সদর দিক (Face side) যেন উপরে থাকে। আস্তে আস্তে টানা ও পড়েন সুতার বন্ধনী ছক কাগজে অংকন করতে করতে ডিজাইনটি একটি আকারে চলে আসবে । অর্থাৎ ডিজাইনটি ছক কাগজে ফুটে উঠবে । তখন উপরোক্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করে রিপিট সাইজ চিহ্নিত করতে হবে । 

রিপিট সাইজ চিহ্নিত করার জন্য প্রথমে ডিজাইনটির সেট মিলাতে হবে। ডিজাইনটির মধ্যে টানা ও পড়েন সুতার সেট শনাক্ত করে প্রথমে আনুমানিক রিপিট চিহ্নিত করতে হবে । অতপর উক্ত রিপিট থেকে টানা ও পড়েন সুতার সেট নিয়ে উপরে বা ডান পার্শ্বের টানা ও পড়েন সুতার সেটের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। যদি উপরের ও ডানের উভয় সেটের সাথে রিপিটটা মিলে যায় তবে উক্ত রিপিট সাইজটি ডিজাইনের প্রকৃত রিপিট হবে। 

অংকিত ডিজাইনকে উইভ প্লান বলা হয় । রিপিট চিহ্ন দ্বারা ডিজাইনের রিপিটকে দেখানো হবে । এখন নিয়মানুযায়ী রিপিট থেকে ড্রাফটিং প্লান ও লিফটিং প্লান অংকন করতে হবে যাতে সহজেই উক্ত ডিজাইন থেকে কাপড়টি প্রস্তুত করা সম্ভব হয়।

উপসংহার / মন্তব্য

Content added || updated By

ভূমিকা 
ডিবি একটি সেডিং ডিভাইস যা তাঁতের উপরে যে কোন এক প্রান্তে বসানো থাকে। ডবির মাধ্যমে ট্যাপেট সেডিং ও জ্যাকার্ড সেডিং-এর মাঝামাঝি রিপিটের ডিজাইন তৈরি করা সম্ভব। অর্থাৎ ট্যাপেট সেডিং-এর চেয়ে বেশি এবং জ্যাকার্ড সেডিং-এর চেয়ে কম সংখ্যক টানা সুতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। 

ডবি সেডিং-
এ সাধারণত ৬ থেকে ৪৮টি ঝাঁপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব । সংজ্ঞা ডবি : যখন কোন ডিজাইনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক ঝাঁপ উঠানামা করানো বা ডিজাইনের রিপিটে পিক সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা ট্যাপেটের ক্ষমতার বাহিরে চলে যায় তখন যে ডিভাইসের মাধ্যমে উক্ত ডিজাইনের কাপড় বুনন করা হয় ডাকে ডবি বলে। 

ডবির ব্যবহার 
০ কটন ইন্ডারিতে সাধারণত ২৪ শ্যাফটের ডবি ব্যবহার করা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে ১৬ থেকে ২০ শ্যাফটের ডবি ব্যবহার হয়। 
০ যে সমস্ত শিল্পে ৩৬ শ্যাফটের ডবি ব্যবহার করা হয় তার প্রায় অর্ধেক অংশই পজিটিভ অ্যাকশন দেয় এবং ব্যতিক্রমধর্মী হ্যাভি সেডিং দেয়।
o বড় ধরনের যে সব টুইল, সাটিন ট্যাপেটের সাহায্যে করা সম্ভব হয় না সে সব ডিজাইন ডবির সাহায্যে করা হয় । কেননা এতে অতিরিক্ত কোন খরচ হয় না। 
o বিভিন্ন ধরনের প্যাটার্ন তৈরিতে ডবি ব্যবহার করা হয়। 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added || updated By

ভূমিকা 
ডবির সাহায্যে কাপড়ের উপর ডিজাইন তৈরির জন্য প্রথমে পেগিং প্লান করতে হবে। ল্যাগ এর ছিদ্রে পেগগুলো সাজানোই পেগিং প্লান। পেগিং প্লান করার জন্য প্রথমেই জানতে হবে ডবিটি ডানহাতি না বা হাতি। ডানহাতি বা বাহাতি ডবির উপর নির্ভর করে পেগগুলো সাজাতে হবে । 

সংজ্ঞা 
ক) ডবি : যখন কোন ডিজাইনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক ঝাঁপ উঠানামা করানো বা ডিজাইনের রিপিটে পিক সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা ট্যাপেটের ক্ষমতার বাইরে চলে যায় এবং তা জ্যাকার্ড দ্বারা উৎপাদন করাও লাভজনক নয় তখন যে ডিভাইসের মাধ্যমে উক্ত ডিজাইনের কাপড় বুনন করা হয়, তাকে ডবি বলে। 

খ) ডিজাইন : কাপড় তৈরি করার পূর্বে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা হয় । তা সাধারণত কাগজে প্রতিফলন করা হয় এবং পরবর্তীতে উক্ত কাগজ থেকে নিয়মানুযায়ী কাপড় প্রস্তুত করা হয় । কাজেই কাপড় প্রস্তুত সংক্রান্ত বুনন কাপড়ে প্রতিফলন করাকেই ডিজাইন বলে। 

৫। পেগ প্লান প্রস্তুতকরণ 
যখন কোন ডবি লুমের স্ট্যাটিং (Starting) হ্যান্ডেল লুমের ডান পাশে থাকে তখন তাকে রাইট হ্যান্ডেল অর্থাৎ ডান হাতি ডবি বলে। আবার যখন ডবি লুমের স্ট্যাটিং হ্যান্ডেল জুমের বাম পাশে থাকে তখন উক্ত লুমকে লেফট হ্যান্ডেড বা বাহাতি ডুবি বলে । রাইট হ্যান্ডেড ডবির সিলিন্ডার ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরে অন্য দিকে লেফট হ্যান্ডেড ডবির সিলিন্ডার ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুরে । রাইট হ্যান্ডেড ডবিতে সেড তৈরি করতে প্রথম পিক বটম হুক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অন্যদিকে লেফট হ্যান্ড ডবিতে টপ হুক দ্বারা সেড তৈরি করা হয়। আটটি তল বিশিষ্ট সিলিন্ডারের জন্য প্যাটার্ন চেইন বা লেটিস তৈরি করতে অবশ্যই ৮টি ল্যাগের প্রয়োজন হয়। প্রতিটি ল্যাগ দুইটি পিক নির্দেশ করে। এসব ছিদ্রে ডিজাইন অনুযায়ী বা পেগ প্লান অনুযায়ী পেগ বসাতে হবে। 

সর্তকতা
• পেগ প্লান করার সময় সাবধান হতে হবে । ল্যাগে পেগ বসাতে ভুল করলে ডিজাইন পরিবর্তন হয়ে যাবে । 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা
ডবি ডিজাইনের মাধ্যমে ঝাঁপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ট্যাপেট ও জ্যাকার্ডের মাঝামাঝি। তাত্ত্বিকভাবে ৬ থেকে ৪৮ ঝাঁপের ডবির কথা শোনা গেলেও ব্যবহারিকভাবে ১৬×১৬, ২০×২০, ২৪×২৪ বা সর্বোচ্চ ৩৬×৩৬ ডৰিব দেখতে পাওয়া যায় । 

ডবির ব্যবহার 
০ কটন শিল্পে সাধারণত ২৪ শ্যাফটের ডবি ব্যবহার করা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে ১৬ থেকে ২০ শ্যাফটের ডবি ব্যবহার হয়। 
০ যে সমস্ত শিল্পে ৩৬ শ্যাফটের ডবি ব্যবহার হয় তার প্রায় অর্ধেক অংশই পজিটিভ অ্যাকশন দেয়। 
o বড় ধরনের যে সব টুইল সার্টিন ট্যাপেটের সাহায্যে করা সম্ভব নয় সে সব ডিজাইন ডবির সাহায্যে করা হয় । কেননা এতে অতিরিক্ত কোন খরচ পড়ে না । 
০ বিভিন্ন ধরনের প্যাটার্ন তৈরিতে ডবি ব্যবহার করা হয়। 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা 
জ্যাকার্ড একটি শেডিং ডিভাইস যা লুমের উপরে বসানো থাকে। জ্যাকার্ড লুমে কোন ঝাঁপ অর্থাৎ হিল্ড শ্যাফট ব্যবহার করা হয় না । হার্নেস, কর্ড, হুক এবং নিডেলের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক টানা সুতা উঠানামা করিয়ে শে গঠন করা হয়। 

জ্যাকার্ডের কার্যক্ষেত্র 
• বেশি ক্যাপাসিটির ডিজাইন করার জন্য আমরা জ্যাকার্ড লুমকে ব্যবহার করি। যে সমস্ত ডিজাইন ট্যাপেট ডবির সাহায্যে করা সম্ভব হয় না সে সমস্ত ডিজাইন তৈরির জন্য জ্যাকার্ড শেডিং ব্যবহার করা হয় । 
• জ্যাকার্ড সাধারণত বড় ও জটিল ডিজাইন তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় । 
• জ্যাকার্ডে প্রতিটি টানা সুতাকে আলাদাভাবে হুকের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। 
• জ্যাকার্ডের মাধ্যমে তৈরিকৃত ডিজাইন তাত্ত্বিকভাবে সীমাবদ্ধ নয়। সাধারণত জ্যাকার্ডের প্রতি রিপিটে ১০০ থেকে ২০০০ পর্যন্ত টানা সুতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা 
গ্রাফ পেপারে অংকিত বড় প্যাটার্ন থেকে প্রথমে প্যাটার্ন কার্ড কাটা হয়। অতপর প্রতিটি কার্ডকে একত্রে একটি প্রাস্তহীন ফিতার মতো বেঁধে চেইন আকারে পরিণত করা হয়। অতপর কার্ড চেইনকে জ্যাকার্ড মেকানিজমের সিলিন্ডারের উপর সাজিয়ে রাখা হয়। প্যাটার্ন কার্ডের ছিদ্র অনুযায়ী নিডেল হুককে নির্বাচন করে ও হুকগুলো টানা সুতাকে উপরে তুলে সেড গঠন করে ।

সংজ্ঞা 
(ক) জ্যাকার্ড : যে ডিজাইন ট্যাপেট অথবা ডবি ম্যাকানিজমের মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব হয় না। সে সমস্ত ট্যাপেট ডিজাইনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় তাকে জ্যাকার্ড বলে । 

(খ) টেক্সটাইল ডিজাইন : টেক্সটাইল সংক্রান্ত বুনন যা কাগজে অথবা কাপড়ে প্রতিফলন করণকেই টেক্সটাইল ডিজাইন বলা হয়। 

জ্যাকার্ডের সাহায্যে কাপড়ে ডিজাইন প্রস্তুতকরণ 
নিডেল, নিডেল বোর্ড, স্প্রিং বক্স, হুক, নাইফ, কার্ড সিলিন্ডার, প্যাটার্ন কার্ড, নেককর্ড, হার্নেস কর্ড, কম্বার বোর্ড, মেইল আই, লিঙ্গ ইত্যাদি নিয়ে গঠিত জ্যাকার্ড ম্যাকানিজম সিঙ্গেল লিফট সিঙ্গেল সিলিন্ডার জ্যাকার্ড ম্যাকানিজমে টানা সুতার ২টি রিপিটের জন্য ৪০০ টি নিডেল ও ৪০০টি হুক থাকে। 

প্রথমে প্যাটার্ন অনুযায়ী কার্ড কাটিং মেশিন দ্বারা প্যাটার্ন কার্ডে পাঞ্চ করে ছিদ্র করা হয় এবং কার্ডগুলোকে একত্রে বেঁধে প্রান্তহীন চেইনে পরিণত করা হয়। অতপর কার্ড চেইনকে কার্ড সিলিন্ডারের মাধ্যমে নিডেলের সামনে স্থাপন করা হয় । কার্ডের ছিদ্রগুলো ডিজাইনের ওয়ার্স আপ নির্দেশ করে। ছিদ্র অনুযায়ী কার্ডগুলো নিডেল নির্বাচন করে নিডেলের ক্র্যাংকে হুক নির্বাচন করে এবং নাইফের মাধ্যমে উপরে উঠে ও সেড গঠন করে। সেড গঠন হওয়ার পর পিক হয় এবং পড়েন সুতা সেড এর মধ্যে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট ডিজাইনের কাপড় তৈরি করে । 

সতর্কতা 
কার্ড কাটিং মেশিনের মাধ্যমে কার্ড পাঞ্চিং করার সময় কোন ভুল ছিদ্র করলে কাপড়ে উৎপাদিত ডিজাইনও ভুল হবে। 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা 
বেশি ক্যাপাসিটির ডিজাইন তৈরি করার জন্য মূলত জ্যাকার্ড মেকানিজম ব্যবহার হয়। জ্যাকার্ড লুমে ডিজাইন প্রস্তুত করার জন্য রিপিটের আকার তাত্ত্বিকভাবে সীমাবদ্ধ নয়। সাধারণত জ্যাকার্ডের সাহায্যে প্রতি রিপিটে ১০০ থেকে ২০০০ পর্যন্ত টানা সুতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। 

জ্যাকার্ডের ব্যবহার 
০ জ্যাকার্ড মেকানিজমে কোন ঝাঁপ ব্যবহার করা হয় না। 
০ জ্যাকার্ড মেকানিজমের মাধ্যমে যে কোন সময় একটি অথবা সব কটি সুতা উপরে উঠানো বা নিচে নামানো সম্ভব । 
o জ্যাকার্ড সাধারণত বড় ও জটিল ডিজাইন তৈরির জন্য ব্যবহার হয়। 
০ গ্রাফ পেপারে অংকিত ডিজাইন যদি ২০০০×২০০০ রিপিটেরও হয় তবুও জ্যাকার্ডের মাধ্যমে কাপড়ে উক্ত ডিজাইন উঠানো সম্ভব । 
০ হ্যান্ড লুমে প্রধানত শাড়ির পাড় তৈরির ক্ষেত্রে জ্যাকার্ড মেকানিজম ব্যবহার হয় ।

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা 
নীল বা ইন্ডিগো ভারত উপমাহাদেশের ব্যবহার প্রাচীন রং। প্রাচীন কাল থেকেই প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত এ ইন্ডিগো ডাইকে বিশেষভাবে নির্মিত কাঠের পাত্র বিশেষে অর্গানিক ম্যাটার দ্বারা চোলাইকারণ করার পর রিডিউসড করে দ্রবণ করা হতো । কাঠের এ পাত্রটি ভ্যাট নামে পরিচিত। এখান থেকে এ ডাই কে ভ্যাট ডাই হিসেব নামকরণ করা হয়েছে। 

সংজ্ঞা 
ভ্যাট ডাই : যে ডাই কে ভ্যাট নামক পাত্রে সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইড বা হাড্রোস নামক রিডিউসিং এজেন্ট এবং কস্টিক সোডা দ্রবণে ক্রিয়া করিয়ে দ্রবণীয় করতে হয় । সেই শ্রেণির ডাইকে ভ্যাট ডাই বলে । 

ভ্যাট ডাই-এর পরিচিতি 
০ ভ্যাট ডাই পানিতে দ্রবণীয়। 
০ ভ্যাট ডাই এ অনেক ধরনের কালারিং ম্যাটার লাগে। 
০ এটি দ্বারা সাধারণত সেলুলোজিক রং করা হয় । 
০ তবে প্রোটিন ফাইবার রং করার ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার হয় । 
০ কার্বনিক গ্রুপ (>C = O) থাকার কারণে ভ্যাট ডাই অদ্রবণীয় । 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা 
ভ্যাট ডাই পানিতে অদ্রবণীয়। ডাইকে দ্রবীভূত করার জন্য ডাইগুলোকে প্রথমে বিজারিত করে লিউকো যৌগে পরিণত করা হয়। যা পরবর্তীতে অ্যালকালি সহযোগে পানিতে দ্রবণীয় হয়। এ ডাই কে রিডিউসিং এজেন্ট দ্বারা ট্রিটমেন্ট করলে লিউকো কম্পাউন্ডে পরিণত হয়। যা অ্যালকালির উপস্থিতিতে পানিতে দ্রবণীয় অর্থাৎ ভ্যাট ডাই (অদ্রবণীয়) সোডিয়াম সল্ট অব লিউকো কম্পাউন্ডে (দ্রবণীয়) পরিণত করাকেই ভ্যাটিং বলে। 

ভ্যাট ডাই-এর ব্যবহার 
০ কটন ফেব্রিক ডাইং এর জন্য । 
০ কটন ফেব্রিক প্রিন্টিং এর জন্য । 
০ উল এবং সিল্ক ভ্যাট ডাই দ্বারা রং করা হয় । 
০ এ ডাই দ্বারা সাধারণত সেলুলোজিক ফাইবার ডাই করা হয় । 
০ প্রোটিন ফাইবার ডাই-এর জন্য pH নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে । 

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা 
যেহেতু ভ্যাট ডাই পানিতে অদ্রবণীয় কাজেই তা সরাসরি টেক্সটাইল দ্রব্যে প্রয়োগ করা যায় না। ভ্যাট ডাই বিজারিত অবস্থায় দ্রবণীয় হয়। সাধারণত সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইড এবং সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড দ্বারা বিজারিত করা হয়। সাধারণত সেলুলোজিক ফাইবার এ ডাই দ্বারা রং করা হয়। তবে প্রোটিন ফাইবারও এ ডাই দ্বারা রং করা যায় ।

ডাইং প্রণালি 
এ ডাই পানিতে অদ্রবণীয়। একে পানিতে দ্রবণীয় করার জন্য লিউকো কম্পাউন্ডে পরিণত করতে হবে । বাজারে দুই ধরনের ভ্যাট কালার পাওয়া যায়- তরল ও পাউডার জাতীয়। তরল অবস্থায় হলে তাকে সরাসরি লিউকো কম্পাউন্ডে পরিণত করা যায়। আর পাউডার জাতীয় হলে রেসিপি অনুযায়ী টি আর ওয়েল এর সাথে পরিমাণ মতো পানি মেশাতে হবে । এ অবস্থার দ্রবণটি ভালোভাবে নাড়তে হবে। ফলে একটি পেস্ট তৈরি হবে। এর পর এর সাথে পরিমাণ মতো সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইড, কস্টিক সোডা এবং লবণ যোগ করলেই লিউকো কম্পাউন্ডে পরিণত হয়। ফলে ভ্যাট ডাই পানিতে দ্রবীভূত হয় এবং কাপড় রং শোষণ করতে পারে। এ অবস্থায় দ্রবণ কিছুক্ষণ স্থির রাখা হয়। যদি তলানি না পড়ে । তবে বুঝতে হবে লিউকো কম্পাউণ্ড সঠিকভাবে তৈরি হয়নি। সেক্ষেত্রে লিউকো কম্পাউন্ড ভালোভাবে তৈরি করতে হবে। অতপর দ্রবণকে ডাই বাঘে আনা হয়। বাথে পূর্ব হতে কাপড় রাখা থাকে। উক্ত ডাই বাঘে অবশিষ্ট পানিসহ দ্রবণকে ভালোভাবে মিশ্রিত করা হয় এবং ঢাকনা বন্ধ করা হয়। যাতে বাতাস ঢুকতে না পারে। অতপর ৬০ সে. তাপমাত্রায় ৪৫ মিনিট হতে ৬০ মিনিট নাড়াচাড়া করা হয়। পড়ে কাপড়কে বাথ থেকে তুলে নিংড়ানো হয় এবং এসিটিক এসিড দ্রবণ দ্বারা ধৌত করলে অ্যালকালি দূর করা যায় । তারপর ঠান্ডা পরিষ্কার পানিতে ধৌত করে বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে রং বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়ায় অদ্রবণীয় হয়ে যায় এবং পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে এবং রং স্থায়ী হয়ে যায়। একে অক্সিডেশন বলা হয় ।

উপসংহার/সম্ভাব্য


Content added By

Promotion