এসএসসি(ভোকেশনাল) - জেনারেল মেকানিক্স- ২ - দ্বিতীয় পত্র | NCTB BOOK
চিত্র:২-১৩ গ্যাস টাংস্টেন আর্ক ওয়েন্ডিং  মূলনীতি

গ্যাস টাংস্টেন আর্ক ওয়েন্ডিং এবং মার্ক ওয়েন্ডিং- একই নীতিতে কাজ করে। টাংস্টেন ইলেকট্রোড এবং ওয়ার্কপিলের মধ্যে ইলেকট্রিক আর্ক সৃষ্টি করে তা উপর করা হয়। পার্ক, ইলেকট্রোড এবং ে নিচ্ছিন্ন গ্যাসের আবরণে ঢাকা থাকে যা সহজে অন্য উপাদানের সাথে মিশ্রিত হয় না ফলে ওয়েঙ্ক এলাকা বায়ুস্থিত অক্সিজেন দ্বারা কলুষিত হওয়া থেকে প্রতিরোধিত হয়। টাংস্টেন ইলে প্রকৃত সম্ম ভবে পুড়ে ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। প্রয়োজনবোধে অক্সি অ্যাসিটিলিন ওয়েল্ডিং -এর ন্যায় পৃথকভাবে ফিলার ওয়্যার ব্যবহৃত হয়।

২.৩.১ গ্যাস টাংস্টেন পার্ক ওয়েল্ডিং এর ধারনা (Definition of Gas Tungsten Arc Welding): গ্যাস টাংস্টেন জার্ক ওয়ে (GTAW) বা (TIG) টাংস্টেন ইনাট গ্যাস। এটি একটি বিশেষ ধরনের ওয়েজিং পদ্ধতি। এতে বিশেষ ধরনের টর্চে ক্ষীন (Non Consumable) ইলেকট্রোড ব্যবহৃত হয়। তি অক্সিজেনের দূষণ হতে জোড় স্থানকে রক্ষা করার জন্য নিচ্ছিন্ন গ্যাস যেমন: আর্গন, হিলিয়াম ইত্যাদি হয় । প্রয়োজনবোধে আলাদাভাবে ফিলার মেটাল ব্যবহার করা হয়। এই বিশেষ পদ্ধতির ওয়েল্ডিং  ই গ্যাস টাংস্টেন আর্ক।

২.৩.২ গ্যাস টাংস্টেন আর্ক ওয়েল্ডিং এর বৈশিষ্ট্যসমূহ

• ওয়েল্ড মেটালের পুর্ণতা উচ্চমান সম্পন্ন

• কোন স্প্যাটার না।।

• স্লাগ সৃষ্টি হয় না।

• ধোঁয়া উৎপন্ন হয় না।

যে সব ধাতু অন্যান্য পদ্ধতিতে ওয়েল্ডিং করা সুবিধাজনক নয় সে ক্ষেত্রে গ্যাস টাংষ্টেন আর্ক ওয়েল্ডিং সুবিধাজনক।

২.৩.৩ গ্যাস টাংস্টেন আর্ক ওয়েল্ডিংয়ের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ (Advantages and Disadvantages of GasTungsten Arc Welding)

সুবিধাসমূহ (Advantages)

১) এ পদ্ধতিতে মূল ধাতুর গুণাগুণ অক্ষুন্ন থাকে।

২) অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, নিকেল, স্টেইনলেস স্টিল, মাইল্ড স্টিলসহ প্রায় সব শংকর ধাতু ওয়েল্ডিং করা যায়।

৩) জোড়া স্থান মসৃণ ও সমতল পাওয়া যায়।

৪) কোনো প্রকার স্প্যাটার (Spatier) বা স্লাগ জাতীয় ত্রুটি থাকে না।

৫) ছিদ্রময়তা বা ধাতব বিকৃতি হয়না।

৬) অধিক দ্রুত ওয়েল্ডিং করা যায়।

৭) হস্তচালিত/স্বয়ংক্রিয় উভয়ভাবেই কাজ করা যায়।

৮) অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফিলার রড ছাড়া আবার প্রয়োজন ফিলার রড ব্যবহার করে কাজ করা যায়।

১০) খুবই পাতলা সেকশনে ওয়েল্ডিং উপযোগী ।

অসুবিধাসমূহ (Disadvantages)

১) ওয়েল্ডিং সরঞ্জামাদি জটিল থাকায় স্থানান্তরযোগ্যতা কম।

২) সরঞ্জামাদি ব্যয়বহুল এবং বাহিরের কাজের জন্য উপযোগী কম। 

৩) কারেন্ট, ভোল্টেজ, ওয়েল্ডের গতি ও সঠিক ইলেকট্রোড নির্বাচন জটিল বিষয় তবে এ গুলো সঠিক নির্বাচন না হলে ওয়েল্ড দুর্বল হবে।

৪) ৬ মিমি. এর অধিক পুরুত্বের পাতের জন্য ব্যবহার করা হয় না।

৫) দক্ষ ওয়েল্ডার প্রয়োজন।

৬) অপারেটরের অধিক নিরাপত্তা প্রয়োজন হয়। 

৭) অতিবেগুনি রশ্মি ওয়েল্ডারের জন্য ক্ষতিকর।

Content added || updated By