এসএসসি(ভোকেশনাল) - ফার্ম মেশিনারি-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

ফার্ম শপ ও মেশিনারিতে কাজের সময় প্রায়ই নানা রকম দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনায় কর্মরত শিক্ষার্থী ও কর্মীসহ মেশিন বা যন্ত্রপাতির অনেক ক্ষতি সাধিত হয়। ইংরেজিতে একটি শব্দ আছে Safety is First and Wrok is last অর্থাৎ আগে সর্তকতা পরে কাজ। এ অধ্যায় ফার্ম মেশিনারি শপে নিরাপত্তা, সাবধানতার গুরত্ব, অনিরাপত্তামূলক কাজের অবস্থা এবং পরিধি, কাজের সময় সাধারণ নিরাপত্তামূলক প্রয়োজনীয় সাবধানতা, ফার্ম মেশিনারি শপ ও মেশিনারিসমূহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার গুরুত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ।

Content added By

ফার্ম মেশিনারি শপ বা কারখানায় কাজ করার সময় একজন কারিগরকে বিভিন্ন প্রকার যন্ত্র ও মেশিন চালনা করতে হয়। এ সময় তার সামান্য ভুল, অবহেলা বা জড়তার কারণে নানা রকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ধরনের দুর্ঘটনায় কর্মরত কারিগর, শিক্ষার্থী ও কর্মীসহ মেশিন বা যন্ত্রপাতির অনেক ক্ষতি সাধিত হয়। একজনের ভুলের কারণে অন্য জনের মারাত্মক ক্ষতি, এমনকি জীবন নাশের ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে। এজন্য শপে বা ল্যাবে কর্মরত সকলের উচিৎ সাবধানতা ও নিরাপত্তা বিষয়ের সকল নিয়ম কানুন সঠিকভাবে মেনে চলা এবং নিরাপত্তা অভ্যাস গড়ে তোলা । দুর্ঘটনাজনিত বিপদ থেকে রেহাই পেতে হলে সাবধানতা অবলম্বনের অভ্যাস গড়ে তোলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সাবধানতা অবলম্বনের বিষয়ে কোনোরূপ গাফিলতি বা অবহেলা করা উচিত নয়। এরূপ অবহেলাই অনেক সময় মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে। তাই ওয়ার্কশপের কাজ শেখার আগে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তামূলক সাবধানতার বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হয় এবং এসব নিরাপত্তা বিধি মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়।

Content added By

ফার্ম শপ ও মেশিনারিতে কাজের সময় প্রায়ই নানা রকম দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এসব দূর্ঘটনায় কর্মরত শিক্ষার্থী ও কর্মীসহ মেশিন বা যন্ত্রপাতির অনেক ক্ষতি সাধিত হয়। এতে মেশিন বা যন্ত্রপাতি বিকল হওয়া, কর্মীর অঙ্গহানি হওয়া, পঙ্গুত্ব এবং অনেক সময় জীবননাশের ঘটনা পর্যন্ত ঘটে থাকে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, ওয়ার্কশপ বা কারখানায় যেসব দুর্ঘটনা ঘটে, তার প্রায় শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ঘটে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মীর ভুলের কারণে, আর অবশিষ্ট দুর্ঘটনা ঘটে থাকে যন্ত্রপাতি বা মেশিনের ত্রুটির কারণে। তাই কর্মীর অসাবধানতাই এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ । দুর্ঘটনাজনিত বিপদ থেকে রক্ষা পাবার জন্য ওয়ার্কশপে কাজের সময় শিক্ষার্থী বা কর্মীর নিরাপত্তামূলক সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন।

ফার্ম মেশিনারি শপে কাজ করার সময় সম্ভাব্য দুর্ঘটনা ও বিপদ এড়িয়ে চলতে হলে সব সময় নিরাপত্তা নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে । সব সময় মনে রাখতে হবে সঠিক নিয়মে সাবধানতা অবলম্বন না করলে যে কোনো সময় যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া আমরা জানি, দুর্ঘটনা কখনো আগাম নোটিশ দিয়ে আসে না। তাই এ থেকে দূরে থাকতে হলে অবশ্যই নিরাপত্তার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নিরাপত্তা পালনের নিয়মগুলো একবার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেলে তা পালন করতে কোনো অসুবিধা হয় না। অনেক সময় সাধারণ কোনো নিয়মকে হয়তো তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে নাও হতে পারে। কিন্তু তাই বলে কোনো নিয়মকেই অবহেলা করা উচিত নয়। ফার্মাপ ও মেশিনারিতে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে এসব নিয়মের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।

Content added By

ফার্ম মেশিনারি শপে কাজ করার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অন্যথায়, বিভিন্ন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যেমন- 
১. ঢিলা পোশাক পরে কাজ করতে গিয়ে ইঞ্জিন বা মেশিনের ঘুর্ণায়মান অংশের সাথে আটকে শিক্ষ মারাত্মকভাবে আহত হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে । 
২. ফার্ম মেশিনারি শপে ধাতব দ্রব্যাদি কাটাকাটির সময় কর্তিত ধাতব টুকরা ছিটকে বেশ অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে । এসব ধাতব টুকরা ছিটকে এসে লাগলে শিক্ষার্থীর চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে । 
৩. ফার্ম বা মেশিনে শপে খালি পায়ে বা হালকা চপ্পল অথবা পাতলা ক্যানভাস জুতা পরিধান করে থাকলে ওয়ার্কশপের মেঝেতে পড়ে থাকা তীক্ষ্ণ ধাতব টুকরা পায়ের তলায় পড়ে পাতলা জুতা ভেদ করে পায়ে বিশ্বে যেতে পারে । 
৪. ধারালো ধাতব পাত, টুকরা, বিশেষ করে হাতল ছাড়া ফাইল ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ধারালো ফাইলের ট্যাং হাতে বিধে যেতে পারে । 
৫. ফার্ম মেশিনারি শপের মেঝেতে তেল, ইঞ্জিন অয়েল, গ্রিজ ইত্যাদি তৈলাক্ত পদার্থ পড়ে থাকলে যে কেউ সেখানে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হতে পারে। 
৬. লোহার যে কোনো ধাতবদত্ত, টুকরা বা যন্ত্রাংশ মেঝেতে পড়ে থাকলে হাঁটতে গিয়ে যে কেউ এগুলোর সাথে। হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতে পারে এবং তাতে মারাত্মক আহত হতে পারে। 
৭. বৈদ্যুতিক সংযোগ ঢিলা থাকার কারণে অথবা খোলা তারে স্পর্শ লেগে ইলেকট্রিক শক্‌ লাগতে পারে । 
৮. ওয়ার্কশপে পেট্রোল, ডিজেল, স্পিরিট ইত্যাদি দাহ্য পদার্থ থাকা অবস্থায় ওয়ার্কশপের ভেতরে ধূমপান করার কারণে অনেক সময় আগুন লেগে যেতে পারে। এতে জীবন এবং সম্পদ উভয়ের ওপর বিপদ নেমে আসতে পারে। 
৯. ফার্মশপের মেঝে থেকে ভারি যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ খুব বেশি ভারি হলে তা পড়ে গিয়ে পায়ে যখম হতে পারে এবং যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 
১০. চলন্ত অবস্থায় কোনো যন্ত্র বা মেশিন পরিষ্কার করতে গেলে ঘূর্ণায়মান যন্ত্রের সাথে হাত বা শরীর যখম হতে পারে। তাই প্রতিটি কারিগরের উচিৎ ফার্মপপ বা কারখানায় কাজ করার সময় মেশিন ও যন্ত্রপাতির অবস্থান ও তার কার্যকারিতা সঠিক আছে কিনা তা প্রথমে যাচাই করে নেয়া।

Content added By

কিছু কিছু দুর্ঘটনা ব্যক্তিগত সাবধানতার অভাবে ঘটে থাকে। এরূপ দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে হলে প্রতিটি কারিগর, শিক্ষার্থী বা ওয়ার্কশপ কর্মীকে ওয়ার্কশপে কাজের সময় যেসব ব্যক্তিগত সাবধানতা মেনে চলতে হয় তা নিচে উল্লেখ করা হলো : 
১. সাধারণত ওয়ার্কশপের দেওয়ালে নিরাপত্তার তালিকা ঝুলানো থাকে । তালিকা অনুযায়ী সেসব নিয়ম-কানুন পালন করতে হবে।

২. নিরাপত্তা পোশাক পরিধান করা:

ফার্ম মেশিনারি শপে কাজ করার সময় নিরাপত্তা পোশাক পরিধান করতে হয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যন রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রকার নিরাপত্তা পোশাক রয়েছে। যেমন-

জ্যাপ্রোন:
শক্ত মোটা কাপড় অথবা চামড়ার ওভারকোটের মতো গায়ে দেওয়ার পোশাক। ঢিলে-ঢালা পোশাক বা কাপড় পরিধান করে ওয়ার্কশপে কাজ করা যাবে না। ফুল হাতা শার্ট হলে শার্টের আভিন গুটিয়ে কনুই এর উপর রাখতে হবে।

সেফটি গগলস : 
কোনো কিছুর আঘাত থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য সেফটি পালস ব্যবহার করা হয়।

হেলমেট: 
কোনো ভারি বস্তুর আঘাত থেকে মাথা ও মুখমণ্ডল রক্ষা করার জন্য হেলমেট ব্যবহার করা হয় ।

হ্যান্ড গ্লোভস : 
কোনো ধারালো বা তীক্ষ্ণ বস্তুর আঘাত বা ধর্ষণ থেকে হাতকে রক্ষার জন্য হ্যাত গ্লোভস ব্যবহার করা হয়।

সেফটি বুট বা সেফটি সু-
সু ভীষ্ম ধারালো বস্তু বা ভারি বস্তুর আঘাত থেকে পা-কে রক্ষার জন্য সেফটি বুট বা সু ব্যবহার করা হয়।

ইয়ার প্রোটেক্টর - 
কানকে শব্দ থেকে নিরাপদ রাখার জন্য উভ কানে ইয়ার প্রোটেক্টর ব্যবহার করা হয়।

গ্যাস মুখোশ 
স্প্রে পেইন্টিং কাজের সময় ফুসফুসের নিরাপত্তার জন্য গ্যাস মুখোশ ব্যবহার করা হয়।

ফাস্ট এইড বক্স :
হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে যাতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া যায় তার জন্য কাজের পাশে সুবিধা স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স বা ফার্স্ট-এইড বক্স রাখতে হবে।

৩. ফার্ম মেশিনারি শপে কাজের সময়, কাজের উপযোগী সঠিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ যে কাজের জন্য যে যন্ত্র উপযুক্ত সেই নির্দিষ্ট যন্ত্র নির্বাচন করে ব্যবহার করতে হয়। তা না হলে সঠিকভাবে কাজ করা যায় না এবং তাতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। 
৪. যে যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ করা হবে তা যেন অবশ্যই ত্রুটিযুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কাজের অনুপোযোগী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হলে নানা প্রকার দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । 
৫. প্রতিটি কাজ করার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম বা পদ্ধতি আছে। ওয়ার্কশপে কাজের সময় সঠিক নিয়ম জেনে সেই পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে। নিয়মের বাইরে নিজের ইচ্ছামতো কাজ করলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। 
৬. যে কোনো কাজের সময় সেই কাজের প্রতি গভীরভাবে মনোনিবেশ করা অত্যন্ত জরুরি। অন্যমনস্ক হয়ে কাজ করলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 
৭. ফামর্শপে ধূমপান করা যাবে না। কারণ, ধূমপানের পর ফেলে দেওয়া বিড়ি সিগারেটের টুকরা হতে অনেক সময় আগুনের সূচনা হয় । 
৮. যে কোনো চলমান বস্ত্র থেকে নিরাপদ দূরুত্বে অবস্থান করে কাজ করতে হবে। 
৯. ফার্মশপে তাড়াহুড়া করে বা বে-খেয়ালে হাঁটা যাবে না । 
১০. ওয়েল্ডিং কাজের সময় ফেস-শিল্ড ব্যবহার করতে হবে। 
১১. কোনো মেশিনে কাজ করার আগে সেই মেশিনে সম্বন্ধে ভালো ধারণা নিতে হবে। এই মেশিনে কি ধরনের ঝুঁকি আছে তা আগে থেকেই জেনে নিতে হবে। 
১২. চালু অবস্থায় কোনো মেশিন মেরামত করা বা মেশিনে পিচ্ছিল করার পদার্থ বা জ্বালানি দেওয়া উচিত নয় । 
১৩.ফার্ম মেশিনারি শপের মেঝেতে তেল, ইঞ্জিন অয়েল বা গ্রিজ অথবা এধরনের কোনো পিচ্ছিল পদার্থ যাতে না থাকে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 
১৪. পেট্রোল, ডিজেল ইত্যাদি দাহ্য পদার্থে আগুন লাগলে তাতে পানি দেওয়া যাবে না। অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভাবার চেষ্টা করতে হবে। 
১৫. যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে তা সুপারভাইজারকে বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে ।
১৬. ফার্ম মেশিনারি শপে কাজের স্থানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হয়। কম আলো-বাতাস বা অন্ধকারে কাজ করলে কাজ ভালো হবে না এবং যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে প্রতিটি ফার্মাণে অগ্নিনির্বাপক দ্রব্য ও যন্ত্র প্রস্তুত রাখতে হয়। এ জন্য এক বালতি পানি, এক বালতি বালি এবং একটা ফারার এক্সটিংগুইশার ৰা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা অপরিহার্য্য ।

অগ্নি নির্বাপক দ্রব্যাদির ব্যবহার (The use of fire extinguisher producta) আগুন লেগে দুর্গটনা ঘটলে তা নিবারণ করার জন্য নানা প্রকার অগ্নি নির্বাপক দ্রব্য বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। আগুন নেভানোর দ্রব্য, যন্ত্রপাতি ও কলা কৌশল সম্পর্কে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভালো জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। নিম্নোক্ষভাবে অগ্নি নির্বাপক দ্রব্য ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যেতে পারে:

১) আগুন নেভানোর জন্য প্রোসি ব্যবহার করা যায় - 
(ক) পানি 
(খ) ৰালি 
(গ) কার্বন-ডাই-অক্সাইড 
(ঘ) সোফা এসিড 
(ঙ) কোষ বা কেনাল 
(চ) প্যাসপ্রেসার

২) কাঠ, কাগজ, কাপড় ইত্যাদিতে আগুন লাগলে তা নিভানোর জন্য পানি ব্যবহার করতে হয়। 
৩) তেল, প্লিজ বা রং এর আগুন নিভানোর জন্য বালি ব্যবহার করতে হয়। 
৪) তরল দাহ্য পদার্থ বা বৈদ্যুতিক আঞ্চন দিতানোর জন্য শুকনা পাউডার বা কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করতে 
৫) ফারার এক্সটিংগুইশার এর সাহায্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ফোম ব্যবহার করতে হয়। চিরে একটা ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার দেখানো হলো। 
৬) প্রতিটি কার্যশপে অগ্নিনির্বাপক দ্রব্য ও যন্ত্র প্রত রাখতে হয়। এ জন্য এক বালতি পানি, এক বালতি বাল এবং একটা কারার এক্সটিকেইশার বা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা অপরিহার্য ।

Content added || updated By

ওয়ার্কশপে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কারণ, এর সাথে ওরাকলগে কর্মরত কর্মীর নিরাপত্তা, ওয়ার্কশপের নিরাপত্তা ও মেশিনের নিরাপত্তা নির্ভরশীল। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কিছু বিষয় নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
ক) পরিষ্কার পোশাক পরিধান করে ওয়ার্কশপে কাজ করতে হবে। 
গ) হাতের নখ ও মাথার চুল ছোট রাখতে হবে। 
গ) যন্ত্রপাতি ও মেশিন পরিষ্কার রাখতে হবে।
ঘ) প্রতিটি হ্যান্ড টুলস কাজ শেষে ভালোভাবে পরিষ্কার করে যথাস্থানে সংরক্ষণ কতে হবে। 
ঙ) কোনো জায়গায়, টুল বা মেটাল পিস যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা উচিৎ নয়। নির্দিষ্ট স্থানে এগুলো ভালোভাবে গুছিয়ে রাখতে হবে। 
চ) খালি হাতে কোনো টুলস পরিষ্কার করা ঠিক নয়। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর জন্য নির্ধারিত পরিষ্কার ন্যাকড়া, জুট বা ব্রাস দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে । 
ছ) ড্রিলিং বা কাটিং চিপস্ কোনো সময় খালি হাতে পরিষ্কার করা উচিত নয়। নির্ধারিত ব্রাস দিয়ে এখনো পরিষ্কার করতে হবে 
জ) যে সব টুলস তেল দিয়ে পরিষ্কার করা হয় তাতে তেল দিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। 
ঝ) গুয়ার্কশপের মেঝে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ।

Content added || updated By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। কারখানার কাজে কেন নিরাপত্তা অবলম্বন করতে হয় । 
২। ফায়ার এক্সটিংগুইশারে কী গ্যাস মজুদ থাকে ? 
৩। ফার্স্ট এইড বক্সে কী কী প্রয়োজনীয় ঔষধ থাকা উচিত ? 
৪। ফার্স্ট এইড বক্স কী ?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। অগ্নিনির্বাপক দ্রব্য বা যন্ত্রপাতিসমূহের নাম উল্লেখ কর । 
২। ফার্ম মেশিনারি শপে কাজ করার সাবধানতার গুরুত্ব ব্যক্ত কর । 
৩। অগ্নিনির্বাপক দ্রব্যাদির ব্যবহার বর্ণনা কর।

রচনামূলক প্রশ্ন
১। ফার্ম মেশিনারি শপে কাজের সময় সাধারণ নিরাপত্তামূলক প্রয়োজনীয় সাবধানতার একটি তালিকা তৈরি কর 
২। ফার্মশপে বা মেশিনারি শপে অনিরাপত্তামূলক কাজের অবস্থা এবং পরিধি বর্ণনা কর । 
৩। ফার্ম মেশিনারি শপ বা মেশিনারিসমূহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

Content added By