এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্টগুলো টেষ্ট করতে পারব।

Content added By

ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল সিস্টেম (Electric and Electronic Control System)

কার এয়ারকন্ডিশনিং-এ কুলিং সিস্টেম, হিটিং সিস্টেম, ডি-হিউমিডিফিকেশন সিস্টেম, হিউমিডিফিকেশন সিস্টেম ইত্যাদি পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণে ইলেকট্রিক কন্ট্রোল (Electric control) এবং ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল (Electronic control) স্বয়ংক্রিয়ভাবে এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমকে চালু ও বন্ধ (Start and Stop) করে। খু তাই নয়, এটা সিস্টেমে বিভিন্ন সমস্যাবলি (Problems) নির্দেশকেরি মাধ্যমে চিহ্নিত করে হিমায়ন ইউনিটকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে (Safe and Smooth) পরিচালনা করে ।

কার এয়ার কন্ডিশনিং এর কন্ট্রোল সিস্টেমকে তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়-

ক) প্রাইমারি কন্ট্রোল (Primary Control) : কুলিং ও হিটিং সিস্টেমকে নিরাপদে চালু ও বন্ধ করে। 

খ) অপারেটিং কন্ট্রোল (Operating Control) : থার্মোস্ট্যাটের মাধ্যমে চাহিদা নির্ধারণ করে হিটিং ও কুলিং সিস্টেম চালু ও বন্ধ করে

গ) লিমিট কন্ট্রোল (Limit Control) : সিস্টেমের নিরাপত্তা বিধান করে।

ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স কন্ট্রোল সার্কিটে নিয়ন্ত্রক পদ্ধতিসমূহ নিরাপদ ও স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণের (Automatic Controoling) নিশ্চয়তা প্রদান করে। কার এয়ার কন্ডিশনিং-এ কম্প্রেসর এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশসমূহের কার্যকারিতা অক্ষুন্ন রাখার জন্য তথা এদের সঠিক অবস্থান ধরে রাখার জন্য সেফটি ডিভাইস সমূহ কাজ করে। সিস্টেমে নিরাপত্তামূলক ডিভাইস সমূহের প্রভাবে নিচের বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রিত হয়-

ক) তাপমাত্রা পরিবর্তন (Temperature Change) 

খ) হিমায়ক প্রবাহ (Refrigerant Flow) 

গ) হিমারকের লেভেল ( Refrigerant level) )

(ঘ) সময় (Time) |

চিত্র ১.১.৯ এ কার এসির সিম্পল ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং সার্কিট এবং চিত্র ১.২০ এ কার এসির জটিল ইলেকট্রনিক্স ওয়্যারিং সার্কিট দেখানো হল।

কার এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমকে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সার্কিটসমূহ নিচের কন্ট্রোল ডিভাইসসমূহের সমন্বয়ে গঠিত হয় -

১) পাওয়ার লিংকেজ সুইচ (Power Linkage Switch) 

২) ভোল্টেজ ইন্ডিকেশন মিটার (Voltage Indication Meter) 

৩) কারেন্ট ইন্ডিকেশন মিটার (Current Indication Meter) 

৪) মোটরের ত্রুটি নির্দেশক লাইট (Indicating Light Of Motor Fault) 

৫) নেগেটিভ চাপ নির্দেশক (Negative Pressure Indicator) 

৬) লক আপ সুইচ (Lock up Switch) 

৭) স্টার্ট বাটন (Satrt Button) 

৮) অন-অফ নির্দেশক বাতি (Indicating Light of ON OFF) 

৯) অতিরিক্ত চাপ নির্দেশক (Indicator of High Pressure) 

১০) স্টপ বাটন (Stop Button ) 

১১) মোটর কন্ট্রোল কন্টাক্টর (Motor Control Contactor 

১২) কম্প্রেসর কন্টাক্টর (Compressor Contactor) 

১৩) ড্র্যাগ মোটর (Drag Motor)

১৪) কন্ডেন্সার নিয়ন্ত্রক (Condenser Controller) 

১৫) ইভাপোরেটর নিয়ন্ত্রক (Evaporator Controller) 

১৬) ম্যাগনেটিক ক্লাচ নিয়ন্ত্রক (Megnetic Clutch Controller) 

১৭) ডিলে রিলে (Delay Relay) 

১৮) ট্রান্সফরমার (Transformer) 

১৯) হিট প্রটেক্টিং ডিভাইস (Heat Protecting Device) 

২০) কানেকশন পোর্ট (Connection Port)

২১) প্রেশার কন্ট্রোলার (Pressure)

২২) তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক (Temperature Controller), ইত্যাদি।

 

 

Content added By

কার এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স কন্ট্রোল সার্কিটে ব্যবহৃত নিরাপত্তামূলক ডিভাইসসমূহ (Safety Devices Used in Electrical and Electronics Control Circuit of Car Air Conditioning System)

কার এয়ারকন্ডিশনিং পদ্ধতিতে হিমায়ন চক্রে বিভিন্ন যন্ত্রাদি যেমন- কম্প্রেসর (Compressor), কন্ডেন্সার (Condenser), ইভাপোরেটর (Evaporator)-সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশসমূহের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য বেশ কিছু নিরাপত্তামূলক ডিভাইস ব্যবহৃত হয়। যেমন-

  • অ্যাম্বিয়েন্ট টেম্পারেচার সুইচ (Ambient Temperature Switch) 
  • লো-প্রেশার কার্ট অব সুইচ (Low Pressure Cut off Switch) 
  • হাই-প্রেশার কাট অব সুইচ (High Pressure Cut Off Switch) 
  • হাই প্রেশার রিলিফ ভালভ (High Pressure Relief Valve)
  • থার্মাল লিমিটার এবং সুপারহিট সুইচ (Thermal Limiter and Superheat Switch) 
  • ওয়াইড ওপেন থ্রোটল কাট অব সুইচ (Wide Open Throttle Cut off Switch)

অ্যাম্বিয়েন্ট টেম্পারেচার সুইচ (Ambient Temperature Switch)

পারিপার্শ্বিক বাতাস (Ambient Air) ইনলেট এয়ার ডাক্টে অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার সুইচ (Ambient Air Switch) দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই সুইচ বাইরে থেকে প্রবাহিত বাতাসের তাপমাত্রার মান রক্ষা করে। আধুনিক কার এই অ্যাম্বিয়েন্ট সেন্সরের উপাত্ত দিয়ে ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল মডিউলের মাধ্যমে সুইচিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। যদি পারিপার্শ্বিক বাতাসের তাপমাত্রা পূর্বনির্ধারিত তাপমাত্রার নিচে নেমে যায় (যেমন, 40° ফা, বা 4.4° সে. এর নিচে) তখন এই সুইচ কম্প্রেসর ক্লাচ সার্কিট (Compressor Clutch Circuit) কে বিচ্ছিন্ন করে, ফলে কম্প্রেসর চালু হতে পারে না । 

লো-প্রেশার কার্ট অব সুইচ (Low Pressure Cut off Switch) 

লো-প্রেশার কাট অব সুইচ ইভাপোরেটরে চাপ নির্দেশ করে, বা প্রেশার স্তূপের কারণে ক্লাচকে বিচ্ছিন্ন করে কম্প্রেসরকে বন্ধ করে দেয়। ইভাপোরেটরের চাপ কম হলে হিমায়ক ঘাটতি (Lost of Refrigerant ) এবং হিমায়ক তেলের ঘাটতি (Lost of Refrigerant Oil) নির্দেশ করে কম্প্রেসরকে রক্ষা করে।

হাই প্রেশার কাট অব সুইচ (High Pressure Cut off Switch) 

হাই প্রেশার কাট অব সুইচ কম্প্রেসরের আউটলেটে (Compressor Outlet) অবস্থান করে। যখন ডিসচার্জ প্রেশার ( Discharge Pressure) বেশি হয় তখন হাই প্রেশার কাট  অব সুইচ কম্প্রেসরকে বন্ধ করে অনাকাঙ্খিত ক্ষতি থেকে কম্প্রেসরকে রক্ষা করে।

হাই-প্রেসার রিলিফ ভালভ  (High Pressure Relief Valve) 

হাই প্রেসার রিলিফ ভালভ  হিমায়ন চক্রের অতিরিক্ত উচ্চ চাপ (Hight Pressure) রোধ করে। কন্ডেলারে ময়লা বা ব্রাশ (Dirt or Rush) গড়ে কন্ডেন্সর টিউব ব্লকড (Blocked) হয়ে গেলে বায়ু প্রবাহের সময় এ উচ্চ চাপ সৃষ্টি হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয় এবং হিমায়ক চার্জিং (Refrigerant Charging) বেশি হলে সিস্টেমে উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয় যা হাইপ্রেসার রিলিফ ভালভের মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়, ফলে সিস্টেম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।

থার্মাল লিমিটার এবং সুপারহিট সুইচ (Thermal Limiter and Superheat Switch) 

থার্মাল লিমিটার সুপারহিট সুইচ সবসময় ওপেন অবস্থায় কম্প্রেসরের শেষ প্রান্তে বসানো থাকে। যদি সিস্টেমে হিমায়ক ঘাটতি হয় তখন এ সুইচ নিম্নচাপ (Low Pressure) এবং উচ্চ হিমায়ক তাপমাত্রা (High Refrigerant Temperature) নির্দেশ করে। থার্মাল লিমিটার সুপারহিট সুইচ কন্টাক্ট (Contact) ক্লোজড (Closed) করে থার্মাল লিমিটারের (Thermal Limiter) ফিউজ হিটারের (Fuse Heater) মাধ্যমে কারেন্ট প্রবাহ চালনা করে। সাথে সাথে ফিউজ কেটে গিয়ে কম্প্রেসর ক্লাচ সার্কিট (Clutch Circuit) ওপেন হয়ে কম্প্রেসরকে রক্ষা করে তথা সিস্টেমকে রক্ষা করে।

ওয়াইড ওপেন থ্রোটল কাট অব সুইচ (Wide Open Throttle Cut off Switch) 

কার এয়ারকন্ডিশনিং এর কিছু যানে ওয়াইড ওপেন কাট অব সুইচ ব্যবহৃত হয়। কম্প্রেসর ক্লাচ বা ম্যাগনেটিক ক্লাচের সার্কিট সংযোগে দক্ষতার সাথে কাজ করে সিস্টেমকে কার্যকরি রাখে।

 

Content added By

যে ধর্মের জন্য পরিবাহকে ইলেকট্রন প্রবাহের পথে বাধা প্রদান করে তাকে রেজিষ্ট্যান্স বলে। যেমন পাইপ দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার সময় কিছু না কিছু বাধা প্রাপ্ত হয়। অনুরূপ ভাবে তারের মধ্যে দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার সময় ইলেকট্রন কিছু না কিছু বাধা প্রাপ্ত হয়, সেই বাধাকে রেজিষ্ট্যান্স বলে। বাংলা ভাষায় এটাকে রোধ বলে। রেজিষ্ট্যান্সকে (ওমেগা) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। রেজিষ্ট্যাপের একক ওহম। রেজিষ্ট্যান্স ওহম মিটার দিয়ে পরিমাপ করা হয়। 

রেজিস্টর (Resistor)

ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের যে ডিভাইস বিদ্যুৎ প্রবাহে বাধা প্রদান করার কাজে ব্যবহার করা হয তাকে রেজিস্টর বা রোধক বলে। রেজিস্টরের মানের একক ওহম।

রেজিস্টরের প্রকারভেদ (Classification of Resistor) 

রেজিস্টর প্রধানত দুই প্রকার-

ক) অপরিবর্তনশীল রেজিস্টর বা ফিক্সড রেজিস্টর (Fixed Resistor) 

খ) পরিবর্তনশীল রেজিস্টর বা ভ্যারিয়েবল রেজিস্টর (Variable Resistor)

ফিক্সড রেজিস্টরের বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন- 

ক) কার্বন রেজিস্টর (Carbon Resistor) 

খ) ওয়্যার উন্ড রেজিস্টর (Wire Wound Resistor)

গ) মেটাল ফিল্‌ড রেজিস্টর (Metal Filled Resistor) 

ঘ) কার্বন ফিল্ম রেজিস্টর (Carbon Film Resistor) 

ঙ) ফয়েল রেজিস্টর (Foil Resistor), ইত্যাদি।

সাধারণত তিন ধরনের রেজিষ্টর ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে।

কার্বন রেজিস্টর (Carbon Resistor) 

কার্বন রেজিস্টর গ্রাফাইট পাউডারের লেই (Pest) দিয়ে তৈরি করা হয়। এটার মান ১ MΩ থেকে ২MΩ পর্যন্ত থাকে এবং পাওয়ার 14 থেকে 2 Watt পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ওয়্যার উন্ড রেজিস্টর (Wire wound Resistor) 

ইন্সুলেশন জাতীয় পদার্থের উপর নির্দিষ্ট ক্ষমতা সম্পন্ন তার পেঁচিয়ে এ ধরনের রেজিষ্টর তৈরি করা হয়। তাপ প্রতিরোধক হিসেবে সিরামিক বা সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ঢুকিয়ে দেয়া হয় যাতে করে তার দেখা না যায়। এটার পাওয়ার (Power) ৫ হতে ২০০ ওয়াট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

মেটাল ফিল্ম রেজিষ্টর (Metal Film Resistor) 

একটি ইন্সুলেটিং গোলাকার ফর্মার উপর গোলাকার রুপে গ্রুপ (Group) কাটা থাকে। উক্ত গ্রুপের মধ্যে মেটাল আন্তরন দিয়ে ভরাট করে এ ধরনের রেজিষ্টর তৈরি করা হয়। এটার পাওয়ার Power ০.১ থেকে ১০ ওয়াট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কার্বন ফিল্ম রেজিষ্টর (Carbon Film Resistor) 

এ ধরনের রেজিস্টরের গঠন মেটাল ফিল্ম রেজিস্টরের মতই। পার্থক্য শুধু মেটাল ফিল্ম এর পরিবর্তে কার্বন মেটাল ফিল্ম ব্যবহার করা হয়।

এ্যাডজাস্টেবল রেজিস্টর (Adjustable Resistor) 

এ ধরনের রেজিস্টর তার পেঁচিয়ে তৈরি করা হয়। এটার মাঝখানে টার্মিনাল সংযোগ দেয়ায় তাকে উভয় দিকে নড়া চড়া করে রেজিষ্টরের মান পরিবর্তন করা যায়।

রেজিস্টরের ব্যবহার (Uses Of Resistor)

ওয়্যার উন্ড ভেরিয়্যাবল রেজিষ্টর কারেন্ট বহন ক্ষমতা বেশি থাকার সার্কিটের পাওয়ার স্টেজের লোড রেজিষ্টর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ওয়্যার উন্ড রেজিষ্টর সার্কিটের কন্ট্রোল ও ব্রাইটনেস কন্ট্রোলের জন্য সার্কিটে ব্যবহার হয়ে থাকে। পটেনকিরিমিটার রেজিষ্টর ল্যাবরেটরিতে হুইটস্টোন ব্রীজ ব্যবহৃত হয়।

রেজিস্ট্যান্স এর কালার কোড (Color Code of Resistance) 

রেজিষ্ট্যান্সের কালার কোড (Color Code Of Resistance) : সাধারণত কার্বন এবং মেটাল রেজিষ্টরের গায়ে রেজিষ্টেন্সের মান লেখা থাকে না । মান লেখার পরিবর্তে ৩ টি অথবা ৪টি রিং অথবা বিভিন্ন রং এর ফোটা দেয়া থাকে । বিভিন্ন রং এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন মান নির্ধারিত আছে। এই রং এর সংকেত ব্যবহার করে মান নির্ণয় করা যায়।

কালার কোডের প্রয়োজনীয়তা (Necessity of Color Code) 

কার্বন বা মেটাল রেজিষ্টর খুব ছোট মানের হয়ে থাকে। রেজিষ্টরগুলো ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ রেজিষ্টরগুলো খুব ক্ষুদ্র হওয়াতে গায়ে মান লেখা সম্ভব হয় না। কাজেই রেজিষ্টরের গায়ে মানের পরিবর্তে কালার কোড ব্যবহার করায় খুব সহজেই মান নির্ণয় করা যায়। এ জন্যই কালার কোডের প্রয়োজনীয়তা আছে ।

কালার কোডের সংখ্যা

টলারেন্স (Talarence ) 

টলারেন্স হচ্ছে মোট রেজিষ্ট্যান্সের শতকরা হিসাব করা। অর্থাৎ রেজিস্টরের নির্ধারিত মান থেকে শতকরা কত ভাগ রেজিষ্ট্যান্স কম বা বেশি হতে পারবে তাই টলারেন্স।

কালার কোডের সাহায্যে রেজিষ্ট্যান্সের মান নির্ণয় 

কালার কোডের সাহায্যে রেজিষ্টরের মান নির্ণয় করার ক্ষেত্রে রেজিষ্টর এমন ভাবে ধরতে হবে, যাতে রেজিষ্টরের ব্যান্ড বা ফোটাগুলো বাম দিকে আসে। এরপর রং এর ব্যান্ড বা ফোটাগুলো বাম দিক থেকে ডানে ক্রমানুসারে সনাক্ত করতে হয় এবং সংখ্যাটি লিখতে হয়। প্রথম রং এর সংখ্যাটি প্রথমে এবং দ্বিতীয় রং এর সংখ্যাটি দ্বিতীয় স্থানে এবং তৃতীয় রং এর সংখ্যামানের সমান সংখ্যক শুন্য ডানে বসাতে হবে (কাল রং এর জন্য অন্য বসাতে হবে না) অথবা চিত্র-১.৩৪ এর ন্যার গুণ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে এবং চতুর্থ রং এর সংখ্যাটি দিয়ে টলারেল নির্ধারণ করা হয়। এভাবে সংখ্যাটি একবার পড়লে রেজিষ্ট্যাল এর মান পাওয়া যায় ।

বিঃ দ্রঃ রেজিস্টরের প্রথম ডিজিটে কখনও কালো, সোনালী ও রূপালী রং হয় না। রেজিস্টরের যে অংশে ঘন রং আছে, সে অংশ হতে গণনা আরম্ভ করতে হয় এবং যে অংশ পাতলা রং থাকে সেই অংশ টলারেন্স ধরতে হয়। উদাহরণ: চিত্র-১.৩৫ রেজিস্টরের রেজিস্ট্যান্স কত হবে বের করি।

রেজিস্টর পরীক্ষা (Test Resistor)

ওহমস মিটার দিয়ে রেজিস্টর পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। ওহম মিটার দিয়ে পরীক্ষা করার আগে রেজিস্ট্যান্সের মান রং এর ব্র্যান্ডের মাধ্যমে বের করে নিতে হবে। যে মানের রেজিস্টর হবে, তার চেয়ে বেশি মানের রেঞ্জে ওহম মিটার এর সিলেক্টর নব (Knob) সেট করতে হবে। অতঃপর মিটারের গ্লোবঘর রেজিস্টরের দু'গ্রাঙ্কে ধরে স্কেল ডায়াল হতে মান দেখে নিতে হবে। রেজিস্টরের মান নির্দিষ্ট মানের চেয়ে বেশি বা কম হলে রেজিস্টরটি নষ্ট বলে গণ্য হবে।

বিদ্রঃ ১) সাধারণত রেজিস্টর কোয়ার্টার মানের চেয়ে কম হয় না। 

২) ৫ ব্যান্ডের রেজিস্টর সাধারণত কম ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মেজারিং ইনট্রুমেন্টে ব্যবহার হয়ে থাকে।

৩)ওহমকে কিলো ওহম করতে হলে ১০০০ দিয়ে গুণ এবং মেগা ওহমস করতে হলে ১০ দিয়ে গুণ করতে হবে।

 

 

Content added By

সেমি কন্ডাক্টর ডায়োড (Semiconductor Diode)

P-N টাইপ ইলেকট্রোডের সমন্বয়ে গঠিত ডিভাইসকে ডায়োড বলে । P-N জংশনের মধ্যে দিয়ে এক দিকে কারেন্ট প্রবাহিত হয় কিন্তু বিপরীত দিকে কারেন্ট প্রবাহিত হয় না। P-N জংশনের এ ধরনের ক্ষমতার জন্যই এটাকে সেমিকন্ডাক্টর বলে। এটাকে ক্রিষ্টাল ডায়োডও বলা যায়। এটার P অঞ্চলকে এ্যানোড এবং N অঞ্চলকে ক্যাথোড বলে।

সেমি-কন্ডাক্টর ডায়োডের কার্যপ্রণালী -

সেমি-কন্ডাক্টর ডায়োডের কার্যপ্রণালী দুইভাবে বর্ণনা করা যার ফরওয়ার্ড বায়াস এবং রিভার্স বায়াস এর মাধ্যমে।

ফরওয়ার্ড বায়াস (Forward Blas ) 

সেমিকন্ডাক্টর ডায়োডে P-N জংশনে ফরওয়ার্ড বায়াস প্রয়োগ করা হলে অর্থাৎ ব্যাটারীর পজেটিভ প্রাপ্ত সেমিকন্ডাক্টরের P প্রান্তে এবং ব্যাটারীর নেগেটিভ প্রাপ্ত সেমিকন্ডাক্টরের N প্রান্তে সংযোগ করা হলে তাকে ফরওয়ার্ড বায়াস বলে ।

রিভার্স বায়াস (Reverse Bias) 

যখন ব্যাটারীর পজেটিভ প্রান্ত সেমিকন্ডাক্টরের N প্রান্তে এবং ব্যাটারীর নেগেটিভ প্রায় সেমিকন্ডাক্টরের P প্রান্তে সংযোগ দেয়া হয় এ ধরণের সংযাগেকে রিভার্স বায়াস বলে।

ইলেকট্রনিক্স কাজে বিভিন্ন ধরণের ডায়োড ব্যবহৃত হয়। বহুল ব্যবহৃত ডায়োড-

  • জেনার ডায়োড
  • লাইট ইমিটিং ডায়োড
  • ফটো ডায়োড
  • টানেল ডায়োড
  • স্কটকি ডায়োफ
  • সিগন্যাল ডায়োড, ইত্যাদি।

ডায়োড পরীক্ষা (Dlode Test)

ডায়োডের যে দিকে ব্যান্ড চিহ্ন থাকে, সে দিককে ক্যাথোড (Cathod) বলে। অপর দিককে এ্যানোড (Anode) বলে। আর যদি কোন চিহ্ন না থাকে, তাহলে মিটারের সাহায্যে টেস্ট করা যায়। মিটারের সিলেক্টর নবটি কম রেঞ্জে সেট করতে হবে। মিটারের নবটি ওহমস-এ সেট করলে মিটারের পজেটিভ প্রোৰটি নেপেটিক প্রোব হয়। আর (Com) কমন প্রোবটি পজেটিভ প্রোবে-এ পরিণত হয়। চিত্র-১.৩৮ অনুযায়ী সেট করলে যদি কাটা ফরওয়ার্ড ডিফ্লেকশন দেখার, তাহলে ডায়োড ভাল আছে। আর যদি ডিফ্লেকশন উভয় দিকে দেখায় তাহলে ভাল নয়।

বিঃ দ্রঃ এখানে উল্লেখ্য যে, ডিজিটাল মিটার-এ এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না ।

 

Content added By

ক্যাপাসিটর (Capacitor)

দু'টি সমান্তরাল পরিবাহী পরস্পরের মধ্যে অন্তরক পদার্থ দিয়ে আলাদা করলে যদি বৈদ্যুতিক চার্জ ধরে রাখতে পারে তাকে ক্যাপাসিটর বলে। এই ক্যাপাসিটরের মধ্যে দুইটি ধাতব পাতকে অপরিবাহী পদার্থ দিয়ে পৃথক করে খালি জায়গায় বায়ু বা অপরিবাহী পদার্থ দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়। এ অপরিবাহী বন্ধুকে ভাই-ইলেকট্রিক বলে, যা ইন্সুলেশন হিসেবে কাজ করে। ক্যাপাসিটরকে দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এর একক ফ্যারাড । এ ফ্যারাডকে F বা f দিয়ে চিহ্নিত করা হয় ।

ক্যাপাসিট্যান্স (Capacitance) 

প্রত্যেক বস্তুর চার্জ বা বিদ্যুৎ ধারন করার নির্দিষ্ট ক্ষমতা আছে। অতএব ইলেকট্রিক চার্জ ধারন করার ক্ষমতাকেই ক্যাপাসিট্যান্স বলে। কোন বন্ধুতে চার্জ বৃদ্ধি করলে ভোল্টেজ বৃদ্ধি পাবে। কাজেই চার্জ এবং ভোল্টেজ পরস্পর সমানুপাতিক।

ক্যাপাসিট্যান্সের একক এবং এককের রূপান্তর- 

এস.আই. (SI) এককঃ ক্যাপাসিটরের স্থির বিদ্যুৎ একক ছোট এবং চুম্বকীয় একক বড় হওয়ার ব্যবহারিক কাজের সুবিধার জন্য বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাড, ক্যাপাসিট্যান্সের একক প্রচলন করেন। তাঁর নামানুসারে ক্যাপাসিটরের একক ফ্যারাড হয়। কোন ক্যাপাসিটরের ভোল্টেজ ১ ভোস্ট বৃদ্ধি করতে যদি ১ কুলম্ব চার্জের প্রয়োজন হয় তবে তাকে ১ ফ্যারাড বলে। একে সংক্ষেপে F বা f দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। ফ্যারাড বড় একক হওয়ার ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সাধারণত মাইক্রোফ্যারাডকেই (μf) একক হিসেবে ধরা হয়।

ক্যাপাসিট্যান্সের ছোট এককে রূপান্তর-

১ ফ্যারাড = ১০ মাইক্রোফ্যারাড

১ ফ্যারাড = ১০১২ পিকোক্যারাড

ক্যাপাসিট্যান্সের বড় এককে রূপান্তর-

১০ মাইক্রোফ্যারাড = ১ ফ্যারাড

১ মাইক্রোফ্যারাড = ১০-৬ ফ্যারাড

১ পিকো-ফ্যারাড = ১০-১২ ফ্যারাড

ক্যাপাসিটরের প্রকারভেদ (Classification of Capacitor) 

ক্যাপাসিটর প্রধানত দুই প্রকার -

  • পরিবর্তনশীল ক্যাপাসিটর (Variable Capacitor)
  • অপরিবর্তনশীল ক্যাপাসিটর (Fixed Capacitor)

আবার ফিক্সড ক্যাপাসিটর নিম্ন লিখিত ভাগে ভাগ করা যায়-

(ক) গ্লাস ক্যাপাসিটর (Glass Capacitor) 

(খ) মাইকা ক্যাপাসিটর (Mica Capacitor) 

(গ) পেপার ক্যাপাসিটর (Paper Capacitor) 

(ঘ) বায়ু ক্যাপাসিটর ( Air Capacitor) 

(ঙ) পলিটার ক্যাপাসিটর (Polyster Capacitor) 

(চ) সিরামিক ক্যাপাসিটর (Ceramic Capacitor) 

(ছ) ভৈল টাইপ ক্যাপাসিটর (Oil Capacitor) 

(জ) ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর (Electrolytic Capacitor )

ফিক্সড ক্যাপাসিটর (Fixed Capacitor)

মাইকা ক্যাপাসিটরঃ মাইকা এবং ধাতুর পাতলা পাত পর্যায়ক্রমে সাজিয়ে মাইকা ক্যাপাসিটর তৈরি করা হয়। এ ধরণের ক্যাপাসিটরের ভোল্টেজ রেটিং অনেক বেশি। এই ক্যাপাসিটরের দাম বেশি বিধায় বেশি মানের হয় না।

ইলেট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর (Electrolytic Capacitor) 

যে ক্যাপাসিটর ইলেকট্রোলাইট নামক রাসায়নিক বন্ধু দিয়ে তৈরি করা হয় তাকে ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর বলে। এ্যামোনিয়া, বরিক এসিড এবং পানির সংমিশ্রনে ইলেকট্রোলাইটিক তৈরি করা হয়। ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে -

(ক) অভ্যন্তরীণ ইলেকট্রোড ক্যাপাসিটর 

(খ) কাট্রিজের মধ্যে ফয়েল রোড ক্যাপাসিটর 

(গ) বিভিন্ন সেকশনের টিন ক্যান ক্যাপাসিটর

ভেরিয়্যাবল ক্যাপাসিটর (Variable Capacitor) 

যে ক্যাপাসিটরের মান নির্দিষ্ট থাকে না এবং নিম্নতম মান থেকে সর্বোচ্চ মান পর্যন্ত পরিবর্তন করা যায় তাকে পরিবর্তনশীল বা ভেরিয়্যাবল ক্যাপাসিটর বলে।

ভেরিয়্যাবল ক্যাপাসিটর দুই প্রকার - 

ক) গ্যাং ক্যাপাসিটর

খ)ট্রিমার ক্যাপাসিটর

ট্রিমার ক্যাপাসিটর আবার তিন প্রকার

ক) পিটন ট্রিমার ক্যাপাসিটর 

খ) চিহ্ন ট্রিমার ক্যাপাসিটর 

গ) মিনিয়েচার ক্যাপাসিটর

গ্যাং ক্যাপাসিটর (Gang Capacitor) 

গ্যাং ক্যাপাসিটরের দুই সেট প্যারালাল প্লেট থাকে, সেট B স্থির থাকে এবং অন্য সেট C যুক্ত ভাবে ঘুড়ানো যায় । B সেটটি ইন্সুলেটেড করা থাকে এবং C সেটটি সবের সাহায্যে ঘুড়ানো হয়। ফাঁকা জায়গাটার বায়ু ডাই ইলেকট্রিক হিসেবে কাজ করে। যখন দুই সেট সামনা সামনি হয় তখন ক্যাপাসিট্যান্সের মান বাড়ে, আবার যখন এক সেট থেকে অন্য সেটে বের হরে আসে তখন ক্যাপাসিট্যান্সের মান কম হয় অথবা সর্ব নিম্ন হয়।

ট্রিমার (Trimmer) ক্যাপাসিটর 

ট্রিমার ক্যাপাসিটর কানেকশন দেয়ার জন্য দু'টি পয়েন্ট থাকে। ট্রিমার ক্যাপাসিটরের একটি ক্রু থাকে তা দিয়ে মুড়িয়ে ক্যাপাসিটরের মান বাড়ানো এবং কমানো যায়। বিভিন্ন ধরনের ট্রিমার ক্যাপাসিটর হয়ে থাকে। সাধারণত 8 pF হতে ৭০ pF পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ফিক্সড এবং ডেরিহ্যাবল ক্যাপাসিটরের ব্যবহার (Use of Capacitor) 

ফিক্সড ক্যাপাসিটরের (Fixed Capacitor) ব্যবহার -

১। উচ্চ ইলেকট্রিক ফিল্ড উৎপন্নের ক্ষেত্রে। 

২। বৈদ্যুতিক সার্কিটে স্পার্কিং মুক্ত করার ক্ষেত্রে।

৩। ভি.সি. বিদ্যুৎ প্রবাহে বাধা প্রদান এবং এসি বিদ্যুৎ প্রবাহিত করতে সাহায্য করে। 

৪। বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চিত করতে ব্যবহার করা হয়।

পরিবর্তনশীল ক্যাপাসিটরের ব্যবহার - 

ক) গ্যাং ক্যাপাসিটর লোকাল ফ্রিকোয়েন্সী উৎপন্ন করতে ব্যবহার করা হয়। 

খ) ট্রিমার আর.এফ স্টেজের ফাইন টিউনিং এর জন্য ট্রিমার ব্যবহার করা হয় ।

ক্যাপাসিটর পরীক্ষা (Capacitor Test) 

ক্যাপাসিটর পরীক্ষা ওহম মিটারের সাহায্যে করা হয়। ক্যাপাসিটর কম মানের হলে ওহমস মিটারের সিলেক্টর নবটি উচ্চ রেঞ্জে সেট করতে হবে। আর যদি ক্যাপাসিটর উচ্চ মানের হয়, তাহলে ওহমস মিটারের নবটি কম রেঞ্জে সেট করতে হবে। ক্যাপাসিটর উচ্চ মানের হলে ডিফ্লেকশন কাঁটা বেশি ডিফ্লেকশন দেখাবে। আর যদি নিম্ন মানের হয়, তাহলে ডিফ্লেকশন কাঁটা কম দেখাবে। ওহম মিটার কাটা দ্রুত ডিফ্লেকশন দেয়ার পর যদি আস্তে করে অসীম স্থানে আসে, তাহলে ক্যাপাসিটর ভাল আছে। আর যদি অল্প আসে তাহলে লিকেজ আছে। আর যদি একেবারে না আসে তাহলে শর্ট সার্কিট বোঝাৰে। এইভাবে ক্যাপাসিটর টেস্ট করা হয়ে থাকে। নিম্ন মানের ক্যাপাসিটরের মান ওহমস মিটারে ডিফ্লেকশন নাও দিতে পারে, অর্থাৎ মান নাও দেখাতে পারে। তবে বর্তমানে ডিজিটাল মিটার দিয়ে সরাসরি ক্যাপাসিটরের মান পরিমাপ করা যায়।

 

Content added By

ট্রানজিস্টর (Transistor)

দু'টি পি টাইপ সেমিকন্ডাক্টর মাঝে একটি এন টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের স্থাপন করলে বা দু'টি এন টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে একটি পি টাইপ সেমিকন্ডাক্টর স্থাপন করলে যে দু'টি জাংশন তৈরী হয়ে তিনটি টার্মিনাল বিশিষ্ট আকৃতি সৃষ্টি করে তাকে ট্রানজিস্টর বলে। ট্রানজিস্টর এমন একটি ডিভাইস/সুইচ যার সাহায্যে ইনপুটে দুর্বল ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল দিলে আউটপুটে বর্ধিত আকারের সিগন্যাল পাওয়া যায়।

ট্রানজিস্টরের টার্মিনাল তিনটি হল- 

১) ইমিটার: ট্রানজিস্টরের যে অংশে হোল বা ইলেকট্রন সরবরাহ করে তাকে ইমিটার বলে। ইমিটারে সর্বদা ফরোয়ার্ড বায়াস প্রয়োগ করা হয়। 

২) কালেক্টর: ট্রানজিস্টরের যে অংশ হোল বা ইলেকট্রন সংগ্রহ করে তাকে কালেক্টর বলে। কালেক্টরে সর্বদা রিভার্স বায়াস প্রয়োগ করা হয়। 

৩) বেস : ইমিটার ও কালেক্টরের মধ্যবর্তী স্তরকে বেস বলে। বেসের স্তর খুব পাতলা থাকে। বেসের মধ্য দিয়ে কালেক্টর অল্প কারেন্ট পাঠালে ইমিটার থেকে কালেক্টরে অনেক বেশি কারেন্ট প্রবাহিত হয়। মূলত বেস কারেন্ট ইমিটার কালেক্টর কারেন্টকে নিয়ন্ত্রণ করে।

গঠন অনুসারে ট্রানজিস্টর প্রধানত দুই প্রকার- 

১) পি-এন-পি-ট্রানজিস্টর (P-NP Transistor) 

২) এন-পি-এন ট্রাজিউর (N-P N Transistor)

পি-এন-পি-ট্রানজিস্টর (P-N-P Transistor)

 N টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের উভয় পার্শ্বে ১টি করে P টাইপ সেমিকন্ডাক্টর সংযুক্ত করে P.N.P ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয় । ট্রানজিস্টরের ইমিটার লেয়ারে খুব বেশি এবং বেলের লেয়ারে খুব হাল্কা করে ডোপিং করা হয় এবং কালেক্টরকে ইমিটার ও নেস এৱ তুলনায় মাঝামাঝি আকারে ডোপিং করা হয়। কালেক্টরের লেয়ার তুলনামূলক ভাবে বন্ধ করা হয় । চিত্রে NPN ট্রানজিস্টরে দুইটি জাংশন দেখানো হয়েছে।

এন-পি-ট্রানজিস্টর (N-P- N Transistor) 

P টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের উভয় পাশে ১টি করে N টাইপ সেমিকন্ডাক্টর সংযুক্ত করে N.P.N ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয়। ট্রানজিস্টরের ইমিটার লেয়ারে খুব বেশি এবং বেসের লেয়ারে খুব হাল্কা করে ডোপিং করা হয় এবং কালেক্টরকে ইমিটার ও বেস এর তুলনায় মাঝামাঝি আকারে ডোপিং করা হয়। কালেক্টরের লেয়ার তুলনামূলকভাবে বড় করা হয়। চিত্রে PNP ট্রানজিস্টরে দুইটি জাংশন দেখানো হয়েছে।

NPN ট্রানজিস্টর চিহ্নিত করার ধাপ -

১) মাল্টিমিটারকে ডায়োড যুদ্ধে রাখি।

২) পজেটিভ প্রোবকে ট্রানজিস্টরের মাঝখানের পিন (বেস) এ ধরে রাখি।

৩) নেগেটিভ প্রোবকে পিন-১ (ইমিটার) এ স্পর্শ করাই, দেখবো মিটারে কিছু ভোল্টেজ প্রদর্শন করছে। 

৪) অনুরূপ ভাবে নেগেটিভ প্রোবকে পিন-৩ (কালেক্টর) এ স্পর্শ করাই, দেখবো এবারও মিটারে কিছু ভোল্টেজ প্রদর্শন করছে। 

৫) নিশ্চিত হওয়া পেল এটি NPN ট্রানজিস্টর। এটির পেছনে যুক্তি হল NPN ট্রানজিস্টরে-

  • ইমিটার N টাইপ ম্যাটেরিয়াল, ডায়োডে ক্যাথোডের মত
  • বেস P টাইপ ম্যাটেরিয়াল, ডায়োডে এ্যানোডের মত
  • কালেক্টর N টাইপ ম্যাটেরিয়াল, ডায়োডে ক্যাথোডের মত

(যদি মাল্টিমিটারের পজেটিভ প্রোবকে এ্যানোড এবং নেগেটিভ প্রোবকে ক্যাথোডে ধরি, তখন মিটারে ভোল্টেজ প্রদর্শন করবে। আর যদি বিপরীতভাবে ধরি তাহলে মিটারে ভোল্টেজ প্রদর্শন করবে না।)

PNP ট্রানজিস্টর চিহ্নিত করার ধাপ-

১) মাল্টিমিটারকে ডায়োড মুডে রাখি। 

২) পজেটিভ প্রোবকে ট্রানজিস্টরের পিন ১ (ইমিটার) এ ধরে রাখি । 

৩) নেগেটিভ প্রোবকে মাঝখানের পিন (বেস) এ স্পর্শ করাই, দেখবো মিটারে কিছু ভোল্টেজ প্রদর্শন করছে। 

৪) অনুরূপ ভাবে নেগেটিভ প্রোবকে মাঝখানের পিন (বেস) এ ধরি এবং পজেটিভ প্রোবকে ট্রানজিস্টরের পিন ও কালেক্টর) এ, দেখবো এবারও মিটারে কিছু ভোল্টেজ প্রদর্শন করছে। 

৫) নিশ্চিত হওয়া পেল এটি PNP ট্রানজিস্টর। এর পেছনে যুক্তি হল PNP ট্রানজিস্টরে-

  • ইমিটার P টাইপ ম্যাটেরিয়াল, ডায়োডে এ্যানোডের মত
  • বেস N টাইপ ম্যাটেরিয়াল, ডায়োডে ক্যাথোডের মত
  • কালেক্টর P টাইপ ম্যাটেরিয়াল, ডায়োডে এ্যানোডের মত

(যদি মাল্টিমিটারের পজেটিভ প্রোবকে এ্যানোডে এবং নেগেটিভ প্রোবকে ক্যাথোডে ধরি, তখন মিটারে ভোল্টেজ প্রদর্শন করবে। আর যদি বিপরীতভাবে ধরি তাহলে মিটারে ভোল্টেজ প্রদর্শন করবে না।)

 

 

Content added By

ট্রান্সফরমার একটি স্থির বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা বিদ্যুতের নিম্ন ভোল্টেজকে উচ্চ ভোল্টেজে এবং উচ্চ ডোপ্টেডাকে নিম্ন ভোল্টেজে রূপান্তরিত করতে পারে। তড়িৎচৌম্বক আবেশের উপর ভিত্তি করে এই যন্ত্র তৈরি করা হয়। এই যন্ত্রে একটি করেলে তড়িৎপ্রবাহ পরিবর্তন করে অন্য করেলে আবিষ্ট তড়িৎ চালক শক্তি বা তড়িৎ উৎপাদন করা হয়।

ট্রান্সফরমার সাধারণত দুই প্রকারের হয়- 

১) স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার (Step up Transformer)। 

২) স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার (Step down Transformer)

১. স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার: যে ট্রান্সফরমার অন্ন বিভবের অধিক তড়িৎ প্রবাহকে অধিক বিভবের অল্প তড়িৎ প্রবাহে রূপান্তরিত করে তাকে আরোহী বা স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার বলে।

২. স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার: যে ট্রান্সফরমার অধিক বিভবের অয় তড়িৎপ্রবাহকে অয় বিভবের অধিক তড়িৎ প্রবাহে রূপান্তরিত করে তাকে অবরোহী বা স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার বলে।

ট্রান্সফরমারের কাজ 

১) ট্রান্সফরমার ভোল্টেজ ও তড়িৎ প্রবাহ উত্তরকে রূপান্তর করে। যাতে ক্ষমতার পরিমাণ সমান বা ধ্রুব থাকে । 

২) দূর-দূরান্তে তড়িৎ প্রেরণের জন্য স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার ব্যবহৃত হয়। 

৩) নিম্ন ভোল্টেজ ব্যবহারকারী যন্ত্রপাতিতে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার ব্যবহৃত হয়, যেমন- কন্ট্রোল সার্কিট, রেডিও, টেলিভিশন, টেপরেকর্ডার, ভি.সি.আর, ভি.সি.পি, ওয়াকম্যান, ঘড়ি ইত্যাদিতে। 

৪) বাসা বাড়ির সংযোগ নেয়ার আগে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফার ব্যবহার করতে হয়।

ভোল্টেজ রেশিও (Voltage Ratio) ট্রান্সফরমার এর প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি সাইডের ভোল্টেজের পার্থক্যকেই ভোল্টেজ রেশিও বলা হয়। অর্থাৎ কোন স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার এর ভোল্টেজ রেশিও যদি ১০০ হয়, তবে প্রাইমারী সাইডে ১০০ ভোল্ট দিলে সেকেন্ডারি সাইডে ১ ভোট পাওয়া যাবে। 

ট্রান্সফরমারের ক্ষমতার একক কেভিএ (KVA) অর্থাৎ কিলো ভোল্ট এ্যাম্পিয়ার। 

 

Content added By

সমন্বিত বর্তনী (Integrated Circuit)

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট অর্ধপরিবাহী উপাদানের উপরে নির্মিত। অনেকগুলি আণুৰীক্ষণিক ইলেকট্রনিক উপাদানের অত্যন্ত ক্ষুদ্র সমবায় বা ৰক্ষনী, যাকে অতিক্ষুদ্র এবং একটিমাত্র খন্ডবিশিষ্ট যন্ত্রাংশ হিসেবে উৎপাদন করা হয়। এটি মাইক্রোচিপ, সিলিকন চিপ, সিলিকন চিলছে, আইসি (IC) বা কম্পিউটার চিপস নামেও পরিচিত। বর্তমানে জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে, যেমন- গাড়ি, কম্পিউটার, টেলিফোন, রুটি সেঁকার যন্ত্র বা টোস্টার, বাসা-বাড়ির বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, ইত্যাদিতে ব্যাপকভাবে ও বিপুল সংখ্যায় ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা সমন্বিত বর্তনী ব্যবহৃত হয়।

সমন্বিত বর্তনীর (আইসির) প্রকারভেদ 

বর্তনীর অধঃস্তরের উপাদানের উপর ভিত্তি করে সমন্বিত বর্তনী দুই ধরনের হতে পারে। এক- উপাদানিক (অ্যানোডলথিক) এবং দুই সংকরি (হাইব্রিড)। একটি সংকরি সমন্বিত বর্তনী (হাইব্রিড আইসি) হল বর্তনীপাতের উপরে একাধিক ভিন্ন ভিন্ন অর্ধপরিবাহী বন্ধু ও নিষ্ক্রিয় উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত ক্ষুদ্র ইলেক্ট্রনিক বর্তনী ।

কী ধরনের ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে সমন্বিত বর্তনী মূলত দুই প্রকারের হয়। যেমন- 

১) বাইপোলার সমন্বিত বর্তনী 

২) ধাতব অক্সাইড অর্ধপরিবাহী সমন্বিত বর্তনী

সমন্বিত বর্তনীর সমন্বয় ক্ষমতা অনুযায়ী এগুলিকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-

১) ক্ষুদ্র মাপের সমন্বিত বর্তনী (Small Scale IntegrationSSI) এতে প্রতিটি টিপসে ৫০ এ কমসংখ্যক উপাদান থাকে। 

২) মাঝারি মাপের সমন্বিত বর্তনী (Medium Scale Integration MSI) এতে প্রতিটি চিপসে ৫০ হতে ৫০০ এর মত উপাদান থাকে

৩) বৃহৎ মাগের সমন্বিত বর্তনী (Large Seale Integration LSI) এতে প্রতিটি চিপসে ৫শ' থেকে ৩ লক্ষের মত উপাদান থাকে। 

৪) অতিবৃহৎ মাপের সমন্বিত বর্তনী ( Very Large Scale Integration - VLSI) : এতে প্রতিটি চিপসে ৩ লক্ষের বেশি উপাদান থাকে।

সমন্বিত বর্তনীর সুবিধা

  • এর সাহায্যে তৈরি বর্তনী আকারে বহুগুণ ছোট হয়
  • ওজনে হাল্কা
  • একসাথে অনেকগুলো চিপস তৈরি হয় বলে মুল্য খুবই কম
  • অনেক বেশি টেকসই
  • কম বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়

 

Content added By

রেক্টিফায়ার (Rectifier)

যে ডিভাইসের মাধ্যমে অল্টারনেটিং কারেন্টকে (AC) পরিবর্তন করে ডাইরেক্ট কারেন্ট (DC) এ রূপান্তরিত করা হয় তাকে রেক্টিফায়ার বলে।

রেন্টিফিকেশন (Rectification) 

যে ডিভাইস বা কৌশলের মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহকে একমুখী করা যায় অর্থাৎ AC কে D C করা যায় তাকে রেক্টিফিকেশন বলে। অর্থাৎ রেক্টিফায়ারের সাহায্যে অল্টারনেটিং কারেন্টকে পালসেটিং ডাইরেক্ট কারেন্ট-এ রূপান্তরিত করা হয়, এই প্রক্রিয়াকে রেক্টিফিকেশন বলে।

রেক্টিফায়ারের প্রকারভেদ (Classification of Rectifier) 

রেক্টিফিকেশন পদ্ধতি অনুযায়ী রেক্টিফায়ারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

১। হাফওয়েভ রেক্টিফায়ার (Half Wave Rectifier) 

একটি মাত্র ভারোড ব্যবহার করে যে রেক্টিফায়ার তৈরি করা হয় তাকে হাফ ওরেও রেক্টিফায়ার বলে। পি.এন ডারোড দিয়ে এ.সি. সাপ্লাই দিলে ফরওয়ার্ড বায়াসের সময় অর্ধ সাইকেল কারেন্ট প্রবাহিত হয়। কিন্তু রিভার্স বায়াসের সমর কারেন্ট প্রবাহিত হয় না।

২। ফুলওয়েভ রেক্টিফায়ার (Full Wave Rectifier) 

হাফ ওয়েভ রেক্টিফিকেশনকে উন্নতি করার জন্য দু'টি ডায়োড অথবা চারটি ডায়োড ব্যবহার করে ফুল ওয়েভ রেক্টিফিকেশন করা হয়। আবার ফুল ওয়েভ রেক্টিফায়ারকে গঠন অনুযায়ী দুইভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-

  • সেন্টার ট্যাপ রেক্টিফায়ার 
  • ব্রীজ রেক্টিফায়ার

(ক) সেন্টার ট্যাপ রেক্টিফায়ার 

ট্রান্সফরমারে সেন্টার ট্যাপ পদ্ধতিতে দু'টি ডায়োড ব্যবহার করে ফুল ওয়েভ রেক্টিফিকেশন করা হয়। ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারিতে সেন্টার ট্যাপ করার দরুন এক প্রান্ত একবার পজেটিভ এবং অপর প্রান্তটি নেগেটিভ হয়। ট্রান্সফরমারের দুই প্রাপ্ত ডায়োডের এ্যানোড সংযুক্ত করা থাকে। যার ফলে একটি ডায়োডের এ্যানোড পজেটিভ হলে দ্বিতীয় এ্যানোডটি নেগেটিভ হবে। এ.সি. সাইকেলের পজেটিভ অর্ধ সাইকেল Di ডায়োড দিয়ে প্রবাহিত হয়ে R লোড দিয়ে সেন্টার ট্যাপ ঘুরে আসে। এ.সি. অর্ধ নেগেটিভ সাইকেল D2 দিয়ে প্রবাহিত হয় না। আবার এ.সি. অর্থ পজেটিভ সাইকেল D2 এর মধ্য দিয়ে R লোড দিয়ে সেন্টার ট্যাপ ঘুরে আসে। কিন্তু এ.সি. অর্থ নেগেটিভ সাইকেল সে সময় D1 এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় না । ট্রান্সফরমারের প্রাইমারীতে যতক্ষণ এ.সি. সাপ্লাই থাকবে ততক্ষণ ডায়োড দু'টিতে উল্লেখিত ভাবে কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকবে ।

খ) ব্রীজ রেক্টিফায়ার

ব্রীজ পদ্ধতিতে চারটি ডায়োড ব্যবহার করে ফুল ওয়েভ রেক্টিফিকেশন করা যায়। চিত্রে D1 D2, D3 3 D4 চারটি ডারোড, একটি রেজিস্টর, একটি ট্রান্সফরমার ব্যবহার করে ব্রীজ রেক্টিফায়ার তৈরি করা হয়। D1 ও D3 সিরিজে এবং D2 ও D4 সিরিজে সংযোগ করা আছে। ট্রান্সফরমারের এক প্রাপ্ত যখন পজিটিভ হয় তখন কারেন্ট D1 ও D4 এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। ট্রান্সফরমারের অপর প্রান্ত পজিটিভ হয় তখন কারেন্ট D2 ও D3 এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। উভয় ক্ষেত্রে লোডের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয় এবং প্রবাহের দিক উভয় ক্ষেত্রেই একই দিকে হয়।

ব্রীজ রেক্টিফায়ারের বড় সুবিধা হল, এই ট্রান্সফরমারের কোন সেন্টার ট্যাপ করতে হয় না এবং আউটপুট ভোল্টেজ এবং কারেন্ট দ্বিগুণ পাওয়া যায় ।

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ ২ 

নিচের ছকে ছবির নাম কাজ ।

 

Content added By