এসএসসি(ভোকেশনাল) - ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK
Please, contribute to add content into এরেন্ড জোড়ের কাট-বিচ্যুতি পরীক্ষার ধারণা.
Content

ওয়েল্ডিং প্রযুক্তিবিদদের মতে, দোষমুক্ত কোন নিখুঁত ওয়েল্ডিং বেস মেটালের চেয়ে বেশি শক্তিশালী জোড় তৈরি করে। ওয়েল্ডিং এ নানা প্রকার যান্ত্রিক বা অযান্ত্রিক কারণে দোষ বা ডিফেক্ট হতে পারে। ফলে সহজেই তা ভেঙে যায়। যার ফলে ওয়েল্ডিং করার উদ্দেশ্যই ব্যহত হয় একেই ওয়েল্ডিং এর ত্রুটি বলে। কিন্তু ওয়েল্ডিং জোড় ত্রুটি অবস্থায় কখনও রাখা উচিত না। দোষ-ত্রুটিগুলো ধরা পড়লে সাথে সাথে তার প্রতিকার করে ত্রুটিমুক্ত করা উচিত। অনেক সময় ওয়েল্ডারদের দক্ষতার অভাবে বা অসতর্কতাবশত কাজের অবহেলায় ওয়েল্ডিং-এ প্রচুর দোষ থেকে যায়। তাদের জানতে হবে ওয়েল্ড জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি খুব ক্ষতিকারক। যে কোন মুহূর্তে জোড় স্থান ভেঙে যেতে পারে বা জোড়ার দক্ষতা কমে যেতে পারে। অনেক সময় ওয়েল্ডিং জোড়ে সামান্য ত্রুটি হয়ে থাকে, যা মেরামত যোগ্য। সামান্য মেরামতের ফলে উক্ত জোড় শক্তিশালী জোড় হবে। শুধু জোড় স্থান পরীক্ষার মাধ্যমেই ত্রুটি শনাক্ত করা যায়। আবার অনেক ত্রুটি আছে যেমন ফাটল, যা একবার দেখা দিলে তা বাড়তেই থাকবে। কোন জোড়ের ফাটল দেখা দিলে তা কেটে ফেলে নতুনভাবে জোড় দিতে হবে। পরীক্ষা ছাড়া ওয়েল্ড জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি আদৌ শনাক্ত করা যায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে আদৌ ত্রুটি-বিচ্যুতি গ্রহণযোগ্য নয়, যেমন উড়োজাহাজ, সমুদ্রগামী জাহাজ, প্রেসার ট্যাংক প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজের জোড় ১০০% নিখুঁত হয়, এ সমস্ত কাজের জোড় নিখুঁত না হলে অর্থাৎ কোন ত্রুটি থেকে গেলে যে কোন মুহূর্তে প্রাণনাশক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এ ধরনের জোড়ে অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা দ্বারা জোড় ত্রুটিমুক্ত কীনা তা নিশ্চিত হতে হয়। এছাড়াও ক্রুড ওয়েল, রিফাইনারি, গ্যাস লাইন, গ্যাস প্যান্ট, পাওয়ার স্টেশন ইত্যাদি ক্ষেত্রেও ত্রুটি যুক্ত জোড়ের প্রয়োজন। এক্ষেত্রেও অধ্বংসাত্মক পদ্ধতিতে জোড় পরীক্ষা করে ত্রুটি- বিচ্যুতি শনাক্ত করা হয় এবং মেরামতযোগ্য ত্রুটি-বিচ্যুতি মেরামত করা হয়। এমতাবস্থায় শুধু পরীক্ষর মাধ্যমেই ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করা যায়। ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করা গেলে তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজতর হবে। আর সে জন্যই ওয়েল্ডিং-এর দোষ-ত্রুটি সম্বন্ধে জ্ঞানার্জন করে তা থেকে ওয়েল্ডিং স্থানকে মুক্ত রাখবার চেষ্টা করতে হবে। 

Content added By
  • ওয়েল্ডিং জোড়ের চাক্ষুষ পরীক্ষার সর্বোত্তম পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত। আন্দাজ না করে চোখে দেখে দোষ-ত্রুটি শনাক্ত করাই বাস্তব সম্মত বলে বিবেচিত। সব ধরনের ব্যাপক সংখ্যক ওয়েন্ডের জোড় সর্বপ্রথম চাক্ষুষ পরীক্ষা করা হয় এবং এতে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ দেখা হয়-
  • ওয়েল্ডের চেহার/আকৃতি-প্রকৃতি
  • পরিমাপের সূক্ষ্মতা এবং যন্ত্রাংশসমূহ একই অক্ষ রেখায় কীনা?
  • ওয়েন্ডের আকৃতি
  • জোড়ের অসম্পূর্ণ পেনিট্রেশন
  • আন্ডার কাট
  • স্লাগ ইনক্লুশানস
  • পৃষ্ঠে ছিদ্রময়তা
  • ওয়েন্ডের ফাটল
  • ক্রেটার এবং বিশেষ করে ওয়েন্ডের প্রান্তে ক্রেটারের মধ্যকার ফাটল
  • ওয়েল্ড বিডের মসৃণতা
  • অতিরিক্ত ক্যাপিং রান
  • কনকেভ/কনভেক্স আকৃতি
  •  মাল পুড়ে ঝুলে পড়া
  • ওয়েল্ড জোড়ের ফলে ধাতুতে বিকৃতি
  • এছাড়াও ওয়েন্ডিং করার সময় চাক্ষুষ তদারকিতে জোড়ের ত্রুটি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়
Content added By

ওয়েল্ডিং জোড় সাধারণত দুইভাবে পরীক্ষণ করা হয়। যথা-

(১) ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা

(২) অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা

ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা :

জোড় স্থানের উপরিভাগে ত্রুটি-বিচ্যুতি চাক্ষুষভাবে দেখা যায় কিন্তু জোড়ের ভিতরে ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে তা দেখার জন্য এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। এ পদ্ধতিতে জোড়কে টুলস, ইকুইপমেন্ট, মেশিনারির সাহায্যে ভেঙে জোড়ের ভিতরের ত্রুটিসমূহ চাক্ষুষ অবলোক করা হয়।

অনেক সময় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বা মূল্যবান ধাতুকে জোড় দেওয়া হয়, তা ধ্বংসাত্মক পদ্ধতি অবলম্বন করে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি পরীক্ষা করা যায় না। কারণ এতে সময়, অর্থ বা মালামাল নষ্ট হবে। এক্ষেত্রে অধ্বংসাত্মক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। এ পদ্ধতিতে মূল ধাতু বা জোড় স্থানের কোন ক্ষতি না করে বিভিন্ন উপায়ে জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি পরীক্ষা করা হয়। একে অধ্বংসাত্মক পদ্ধতি বলা হয়, যেমন এক্সরে টেস্ট। মেকানিক্যাল টেস্ট বা যান্ত্রিক পরীক্ষা ধ্বংসাত্মক পদ্ধতির মধ্যেই পড়ে। এ পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে বেক টেস্ট, বেন্ড টেস্ট, টেনসাইন টেস্ট, হার্ডনেস টেস্ট, ইমপ্যাক্ট টেস্ট, ফেটিগ টেস্ট ও ম্যাক্রোনকোমিক টেস্ট।

ব্রেক টেস্ট :

ওয়েল্ড বাঁকিয়ে ভেঙে তার প্রস্থচ্ছেদ পরীক্ষা করে অভ্যন্তরস্থ ত্রুটিসমূহের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। এটিই নিকব্রেক টেস্ট নামে পরিচিত। ওয়েন্ডের নির্দোষ অবস্থা নির্ণয়ের জন্য এটি একটি আদর্শ ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা।

ব্রেক টেস্টের পদ্ধতিঃ

একটি নমুনা টুকরা ওয়েন্ডেড জোড় হতে কেটে নাও এবং না ভেঙে যাওয়া পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে বাঁকাও ।

  • জোড়ের মধ্য বরাবর উপরের প্লেট বাঁকিয়ে ভেঙ্গে ফেলার জন্য হাড়ির আঘাত কিংবা লিভার ব্যবহৃত হয়। 
  • ভাঙা ফেলে নিরীক্ষা কর। -
  • গ্রেইন স্ট্রাকচার/দানার গঠন লক্ষ কর। 

  • কম গলন
  • পেনিট্রেশন
  • বো-হোলস

বেড টেস্ট পদ্ধতির বর্ণনাঃ

এ পরীক্ষা বাট জোড়ের ওয়েল্ড মেটাল, ওয়েল্ড জাংশান এবং ভাগ প্রভাবিত এলাকার নির্দোষ অবস্থা নির্ণয় করার জন্য করা হয়। এটি দ্বারা ওয়েন্ড এলাকার নমনীয়তা ও পরিমাপ করা হয়।

- পাতলা এবং পুরু ভরেন্ডপিল ও বেন্ড টেস্ট করা যেতে পারে। 

- টেস্টপিস প্লেটের গুরুত্বের চার গুণ হওয়া উচিত।

- বেড টেস্টের জন্য হাইড্রোলিক পাওয়ার প্রেস ব্যবহৃত হয়।

- টেস্টপিসের গুরুত্বের উপযোগী বেভিং টুলস বাছাই কর।

- টেস্টপিস না ভেঙে চিত্রানুযায়ী বাঁকাও।

- ওয়েল্ডের উপর দিক হতে টেস্ট করা যেতে পারে অথবা ওয়েল্ডের রুট হতে করা যেতে পারে।

টেনসাইল টেস্টঃ

ওয়েল্ড জোড়ের স্পেসিমেনকে প্রেসের মধ্যে আটকিয়ে জোড়ের টেনসাইল টেস্ট করা যেতে পারে।

টেনসাইল টেস্ট
- টেনসাইল টেস্ট দ্বারা ধাতু জোড়ের টানশক্তি নির্ণয় করা হয়। বেন্ড টেস্টের ন্যায়, টেস্ট স্পেসিমেন কেটে রেডি করতে হয়। পরে, প্রেসার মিশিনে আটকিয়ে টেনসাইল টেস্ট করা হয়। গেজের মধ্যে প্রাপ্ত রিডিং থেকে টেস্ট স্পেসিম্যানের টেনসাইল শক্তি নির্ণয় করা যায়।

Content added By

ওয়েল্ডিং জোড়ের অধ্বংসাত্মক পদ্ধতির মধ্যে বহুলভাবে ব্যবহৃত এক্স-রে টেস্ট অন্যতম। ওয়েল্ড জোড়ের অভ্যন্তরের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিখুঁতভাবে শনাক্ত করার জন্য এটি সর্বোত্তম। বর্তমানে উৎপাদনশীল সকল শিল্প কারখানায় এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। যে স্থানে বিদ্যুতের সুবিধা রয়েছে সেখানে এক্স-রে টেস্ট করা হয়। গামা-রে এবং এক-রে উভয় পদ্ধতিতে ওয়েল্ড জোড়ের স্থানে রেডিওগ্রাফি করা হয়। মানুষের শরীরে যেমন এক্স-রে করে শরীরে রোগ শনাক্ত করা হয় অদ্রুপ ওয়েল্ড জোড়ের ক্ষেত্রে ও এক্স-রে বা গামা-রে যারা ওয়েল্ড জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করা হয়। মানুষের শরীরের এক্স-রে করার জন্য এক্স-রে ফিল্ম ব্যবহার করা হয়, এক্স-রে করার জন্য সময় নির্ধারিত থাকে। এক্স-রে তে শট নেওয়ার সময় অতিরিক্ত সময় নেওয়া যায় না, কারণ এক্স-রে হলো তেজস্ক্রিয় বিকিরণ। এ তেজঞ্জির মানুষের শরীরের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে এক্স-রে ফিল্মের উপর পড়ে এবং ভিউয়ার এর মাধ্যমে ভালোভাবে দেখা হয়। ওয়েন্ড জোড়ের বেলায়ও ঠিক একই অবস্থা।

ধাতু জোড়ের উপর এক্স-রে ফিল্ম লাগিয়ে বিপরীত এক্স-রে বা গামা-রে এর সাহায্যে রেডিওগ্রাফি করা হয়। এ রেডিওগ্রাফির জন্যও নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। তা নির্ভর করে ধাতুর পুরুত্বের উপর। ধাতুর পুরুত্ব যত বেশি হবে রেডিওগ্রাফির সময় তত বেশি লাগবে। রেডিওগ্রাফির এ সময়কে বলা হয় এক্সপোজার টাইম বেশি বা কম হলে ফিল্মে সঠিক ত্রুটি পেতে কষ্ট হবে। এক্স-পোজার টাইম বেশি হলে, ফিল্ম ডেভেলপ করার পর সম্পূর্ণ কালো দেখা যাবে। আবার এক্সপোজার টাই কম হলে ফিল্ম ডেভেলপ করে ভিউয়ার এর মধ্যে দেখে দোষ- ত্রুটি শনাক্ত করতে হয়। অধ্বংসাত্মক পদ্ধতির মধ্যে ধাতু জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো রেডিওগ্রাফি।

নিরাপত্তাঃ

আমরা জানি তেজস্ক্রিয়তা মানুষের শরীরের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের ঐ হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে আণবিক বোমা ফেলা হয়েছে, যার বিক্রিয়া এখনও বিদ্যমান রয়েছে। এলাকার শিশুরা এখনও বিকলাঙ্গ হিসেবে জন্মগ্রহণ করছে। এ তেজস্ক্রিয়তার ফলে মানুষের শরীরের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে থাকে। ওয়েল্ডিং জোড় রেডিওগ্রাফি করার সময়ও এ রেডিয়েশন মানুষের শরীরে প্রবেশ করে, এতে শরীরের নানা অংশের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়। এখন কথা হলো এ বিপদজনক রেডিওগ্রাফি মানু করবে না? না, করবে? এটি ব্যবহারেরও নিয়ম কানুন রয়েছে, সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা হলে কোন বিপদের আশঙ্কা নেই। এ রেডিয়েশন মাপার একক হলো রেম, যাকে বলা হয় রঞ্জন অ্যাবজরবম্যান। অর্থাৎ একজন মানুষ মাসে, তিন মাসে বা প্রতিবছর কতটুকু রেম গ্রহণ করতে পারবে।

এক্স-রে ফিল্ম ইন্টার প্রিটেশনঃ 

রেডিওগ্রাফি শেষে এক্স-রে ফিল্মকে ডেভেলপ ও ড্রাই করে ভিউয়ার যারা ফিল্মের গায়ে প্রদর্শিত ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করা হয়। ওয়েল্ডিং জোড়-ফিল্ম বসানোর সময় জোড়ের পায়ে দাগ ও মাপ নেওয়া হয়। যার ফলে ত্রুটি- বিচ্যুতি শনাক্ত করার পর সঠিক স্থানে ত্রুটি মেরামত করা সম্ভব হয়। ওয়েল্ডিং জোড়ের সাধারণত সব ধরনের ত্রুটি এক্স-রে ফিল্মে প্রদর্শিত হয় যেমন বো-হোল, স্পা, গ ইনক্লুশান, ল্যাক অব পেনিট্রেশন, অতিরিক্ত পেনিট্রেশন, আন্ডার কাট, গ্রাস পকেট, পোরসিটি, ফাটল, কনকেভ, কনভেক্স, বার্নগ্রো ইত্যাদি ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করা যায়। তবে কোন ত্রুটি কতটুকু পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য (Acceptance) API-1104 মোতাবেক তার নিয়মকানুন রয়েছে।

Content added By

ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা কখনও কখনও মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। টেস্ট স্পেসিম্যানকেই শুধু ধ্বংসাত্মক পদ্ধতিতে পরীক্ষা করলে শুধু পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায় কিন্তু জোড়াটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই অনেক ক্ষেত্রে এ অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা প্রক্রিয়া ধাতু জোড়ের ক্ষেত্রে উত্তম।

আন্ট্রাসনিক টেস্টের বর্ণনা

আস্ট্রাসনিক নিরীক্ষণ ওয়েল্ড পরীক্ষার একটি অধ্বংসাত্মক পদ্ধতি। আল্ট্রাসনিক সাউন্ড কাজে লাগিয়ে এ টেস্ট করা হয়। এ টেস্টে ২০০০০০ থেকে ২৫০০০০০০ সাইকেল/সেঃ কম্পনার বিশিষ্ট শব্দ তরঙ্গ চালনা করা হয়। তরঙ্গ ওয়েভের অভ্যন্তরে বরাবর ভেল করে নিকটবর্তী তলের দোষ-ত্রুটি নির্ণয় করে। যখন তরঙ্গ ধাতুর মধ্য দিয়ে চলে তখন এর কিছু শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং এটি ইন্টারফেসে প্রতিফলিত হয়। প্রতিফলিত রশ্মি পালস ইকো যন্ত্রের পর্দায় প্রদর্শিত হয়ে ওয়েন্ড জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে কীনা প্রদর্শন করে। অনেক সময় ওরেন্ড জোড়ের উপর মরলা থাকলে ত্রুটি-বিচ্যুতি শনাক্ত করতে সমস্যা হয়। তাই ভরেন্ড জোড় ভালোভাবে পরিষ্কার বা স্মুথ করে আল্ট্রাসনিক টেস্ট করতে হয়।  

Content added By

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা কী?

২। অধ্বংসাত্মক পরীক্ষা কী?

৩। বেন্ড কী?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

৪। ধ্বংসাত্মক ও অধ্বংসাত্মকের পার্থক্য কী?

৫। জোড় ভেঙে জোড়ের ভিতর কী ত্রুটি দেখা যায়?

৬। বেন্ড স্পেসিমেনের পরিমাপ উল্লেখ কর।

রচনামূলক প্রশ্ন 

৭। ওয়েল্ডিং জোড়ের ত্রুটি-বিচ্যুতি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নির্ণয় কর।

৮। এক্স-রে পরীক্ষা বর্ণনা কর।

৯। আল্ট্রাসনিক টেস্ট বর্ণনা কর।

Content added By