এসএসসি(ভোকেশনাল) - মেকানিক্যাল ড্রাফটিং উইথ ক্যাড-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

বর্তমান সভ্যতার প্রারম্ভে মানুষ জীবন ধারনের জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে আসছে। ক্রমে মানুষেরা পশুপাখি, মায় প্রভৃতি শিকার করার জন্য বিভিন্ন রকমের বিভিন্ন অস্ত্র তৈরী করতে শিখেছে। এতে করে তাদের জীবন হয়েছে নিরাপদ, আরামপ্রদ এবং সহজতর, সময় লেগেছে কম, কাজ হয়েছে বেশি। মোট কথা জীবনকে সহজতর করার জন্য এবং অধিকতর উৎপাদনমুখী করার জন্য মানুষ সব সময়ই বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে আসছে।

বর্তমান সভ্যতাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য বা আরো উৎপাদন মুখি বা দ্রুত গতিতে ও কম সময়ে অধিক উৎপাদনের জন্য মানুষের আবিস্কার ক্যাড-ক্যাম ।

কম্পিউটার ব্যবসায়িক কাজ, সরকারি, সামরিক, প্রকৌশল এবং গবেষনা ইত্যাকার কাজে অবশ্যম্ভাবী টুলস হিসাবে পরিগনিত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরেও ক্যড-ক্যাম নিজের কর্মপন্থাকে নিজেই পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করে বিধায় এটা ডিজাইন এবং ম্যানুফেকচারিং এর ক্ষেত্রেও একটি অনন্য শক্তিশালী টুলস হিসাবে পরিগনিত হয়ে আসছে। এ অধ্যায়ে একটি উৎপাদিত পন্য ডিজাইনে কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রয়োগ দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই অধ্যায়টি কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন এর একটি সার সংক্ষেপ। অথবা বলা যেতে পারে এখানে ক্যাড-ক্যামের প্রাথমিক ধারনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন এক ধরনের ডিজাইন কার্যক্রম যা কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন এবং উন্নয়ন, বিশ্লেষণ অথবা পরিবর্তন পরিবর্ধন করা হয়। আধুনিক ক্যাড প্রক্রিয়া কিছু তৈরি, পরিবর্তন-পরিবর্ধন এবং ডাটা প্রদর্শন চিত্র বা প্রতীকের সাহায্যে কম্পিউটারে প্রদর্শিত হয়।

আশির দশকে ক্যাড-ক্যামের এর প্রচলন সাধারন মানুষের নাগালে চলে এলেও বাংলাদেশে এর প্রয়োগ এসেছে অনেক পরে। বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশে ক্যাড-ক্যাম যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উহা বুঝানো খুবই সহজ। বাংলাদেশের ফুটওয়্যার শিল্প তথা চামড়া শিল্পের ভবিষ্যৎ অতি উজ্জল আর এই চামড়া শিল্পে ক্যাড-ক্যামের ব্যবহার রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে তথা সকল ক্ষেত্রেই ক্যাড-ক্যামের এর প্রয়োগ আছে।

এই অধ্যায় শেষে আমরা শিখবো-

  • ড্রইং এর প্রতীকসমূহ, পরিমাপসমূহ, টলারেন্স ইত্যাদি । 
  • বিভিন্ন ধরনের কাটিং টুলস ও এর ব্যবহার
  • ক্যাম সফটওয়্যারসমূহ সম্পর্কে ইত্যাদি।

 

 

Content added By

ক্যাড হল কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন (Computer Aided Design) এবং ক্যাম হল কম্পিউটার এইডেড ম্যানুফেকচারিং (Computer Aided Manufacturing), ইহা ডিজিটাল কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট নকশা প্রনয়ন ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি প্রকৌশলগত পরিভাষা বা প্রযুক্তিবিদ্যা। এ প্রযুক্তিবিদ্যা ডিজাইন এবং উৎপাদনের নিমিত্তে সর্বদা পরিবর্তনশীল। সর্বোপরি কম্পিউটারাইজড শিল্পকারখানাগুলো ক্যাড/ক্যাম প্রযুক্তি নির্ভর।

কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন (ক্যাড )- কে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়ে থাকে যে, যখন কম্পিউটারকে কোন কিছু সৃষ্টি বা তৈরি, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, বিশ্লেষণ অথবা ডিজাইনের পরিপূর্ণ বিকাশে ব্যবহার করা হয়, তখন তাকে কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন বলে। ক্যাড সফটওয়্যার এ কম্পিউটার গ্রাফিক্স বাস্তবায়নে লক্ষ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রাম থাকে এবং এই প্রোগ্রাম ব্যবহারে প্রকৌশল কর্মকান্ড পরিচালনায় সুবিধা পাওয়া যায়। উদাহরন স্বরুপ এই প্রোগ্রাম ব্যবহারের মাধ্যমে যন্ত্রকৌশল কার্যকারিতা, এবং নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোল ইত্যাদি কার্য অতি নিপুনভাবে সম্পাদন করা যায়।

 

ক্যাড-এর ভূমিকাঃ

১। কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় অতি দ্রুত এবং অধিকতর নিখুত। 

২। ক্যাড এর তৈরি ডিজাইন এবং ড্রাফট খুবই সহজ এবং নানাবিধ গাঠনিক সুবিধা এতে বিদ্যমান থাকে বিধায় সহজে ডিজাইন করা যায় বা ডিজাইন পরিবর্তন করা যায় । 

৩। ক্যাড-এর সাহায্যে ডাইমেনশন, পরিবর্তন এবং দূরত্ব তুলনা করা খুবই সহজ কাজ। 

৪। ক্যাড তৈরি যে কোন কম্পোনেন্ট এর ডিজাইন বা ড্রইং পুনঃকরন প্রয়োজন পড়ে না আর যদিও পরে তবে সেটা অধিকতর সহজ এবং কম সময়ের মধ্যে সম্ভব হয় । 

৫। জ্যামিতিক হিসাবনিকাশ খুব নিখুঁতভাবে সম্পাদন করা হয়ে থাকে বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে। 

৬। ডিজাইন ড্রইং বা মডেল এর পরিবর্ধন বা যেকোন পরিবর্তন খুবই সহজ কাজ হয়।

 

ক্যাম এর সুবিধা 

১। ক্যাম শিল্প প্রতিষ্ঠানের MASS প্রোডাকশন এবং ব্যাচ প্রোডাকশন উভয়ক্ষেত্রেই সফলভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

২। বৃহৎ আকারের উৎপাদনের জন্য ( যেমন অটোমোবাইল) উৎপাদনের পরিমান হয় অনেক বেশি এবং এক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের মেশিন ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে দ্রব্যের মূল্যমান সচরাচর প্রাপ্ত সীমারেখা থেকে অনেক নিচে আনায়ন করা হয়। 

৩। দ্রব্যের উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক অধিকতর হলেও বিশেষ ধরনের যন্ত্রপাতি যেমন জিগ ফিক্সচার ব্যবহার করে উৎপাদন ব্যয় নির্দিষ্ট সীমারেখায় ধরে রাখা সম্ভব। 

৪। ক্যাম সব ধরনের উৎপাদনের ক্ষেত্রেই ব্যবহারযোগ্য। 

৫। উৎপাদনের গতিশীলতা আনয়ন, মান নিয়ন্ত্রন ও ডিজাইন উন্নয়ন ইত্যাদি নিশ্চিতকরনে ক্যাম- এর ভূমিকা সর্বাগ্রে তুলনীয়। 

৬। প্রডাকটিভিটি বৃদ্ধিতে ক্যামের গুরুত্ব রয়েছে। 

৭। বৃহৎ কার্য নমনীয়তায় ক্যামের গুরুত্ব রয়েছে। 

৮। গ্রহনযোগ্যতা বাড়ায় । 

৯। মেরামত কাজে কম সময় লাগে ৷ 

১০। উন্নত ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রন করে থাকে ।

 

প্রোডাক্ট সাইকেল

একটি উৎপাদনশীল দ্রব্য তৈরি করতে কিছু পূর্ব পরিকল্পনা প্রয়োজন। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কোন প্রোডাক্ট ফ্রক উৎপাদন করার জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদার প্রাক্কলন পরিকল্পনা এবং সা লাভ সর্বোপরি সর্বোচ্চ উৎপাদন প্রনালির ধারাবাহিক নকশা প্রনয়ন করে ফনাযথ উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করে। ধারাবাহিক কার্যক্রম সংবদিত উৎপাদন প্রক্রিয়ার চক্রকে প্রোডাক্ট সাইকেল বলে। নিম্নে প্রডাক্ট সাইকেল একটি চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হলো।

ক্যাড সিস্টেম এলিমেন্টস-এর বর্ণনাঃ

বর্তমানে আধুনিক কম্পিউটার ডিজাইন পদ্ধতির দ্বারা সম্পাদিত বিভিন্ন ক্যাড সিস্টেম এলিমেন্টস ডিজাইন সম্পর্কিত কাজকে চারটি এলিমেনেট ভাগ করা হয়েছে। যথা-

 ১। জিওমেট্রিক মডেলিং । 

২। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ ।

৩। ডিজাইন পুনরাবৃত্তি এবং মূল্যায়ন । 

৪। স্বয়ংক্রিয় ড্রাফটিং ।

জিওমেট্রিক মডেলিংঃ কম্পিউটার এইডেড ডিজাইনে জিওমেট্রিক মডেলিং হল একটি অবজেক্ট এর জ্যামিতিক সুসংগত গাণিতিক বর্ননা। গাণিতিক বর্ননার মাধ্যমে ক্যাড সিস্টেমে সিপিইউ হতে সিগনাল এর মাধ্যমে অবজেক্ট এর দৃশ্য প্রদর্শন এবং প্রক্ষেপণ করে থাকে ।

প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণঃ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন প্রকার বিশ্লেষণ প্রয়োজন। এ ধরনের বিশ্লেষণ স্ট্রেস স্ট্রেইন ক্যালকুলেশন, হিট ট্রান্সফার হিসাবকরন, অথবা ডিফারেনসিয়াল সমীকরণ সিস্টেমের গতিশীল বৈশিষ্ট্যেও বর্ননার জন্য প্রয়োজন বিধায় একে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ বলে ।

ডিজাইন পুনরাবৃত্তি ও মূল্যায়নঃ গ্রাফিক্স টার্মিনালের মাধ্যমে ডিজাইন নির্ভুলতা পরিমাপ করা হয়। ডিজাইনার ডিজাইনের একটি অংশকে জুম ইন বা জুম আউট করার মাধ্যমে গ্রাফিক্স স্ক্রিনে পরিবর্ধন করে সরাসরি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে সঠিকতা সম্পর্কে পরিজ্ঞাত হয়।এই পূর্ন প্রসেসকে ডিজাইন পুনরাবৃত্তি ও মূল্যায়ন বলা হয়ে থাকে।

স্বয়ংক্রিয় ড্রাফটিংঃ স্বয়ংক্রিয় ড্রাফটিং সরাসরি ক্যাড ডাটা বেস হতে হার্ড কপি ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং তৈরির সাথে সম্পৃক্ত। বর্তমানে, কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন বিভাগ ড্রাফটিং এর স্বয়ংক্রিয়তা ক্যাড প্রক্রিয়ার নির্ভুলতা উদঘাটনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই ক্যাডে স্বয়ংক্রিয় ড্রাফটিং প্রয়োজন।

নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোল প্রযুক্তি বিদ্যার নীতি (Principles of NC technology )

নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোল মেশিনের প্রয়োজনীয় উপকরন অনেক বছর হতেই স্থিরকৃত আছে। স্টোরেড প্রোগ্রাম গঠন ও ব্যাখ্যাকরন মেশিন কন্ট্রোল ইউনিট নামে পরিচিত যা ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী অ্যাকচুয়েশন ডিভাইস এর মাধ্যমে একটি মেশিনকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে। যাহা নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোল প্রযুক্তি বিদ্যার নীতি বা Principles of NC technology হিসাবে পরিচিত।

 

 

Content added By

সিএনসি মেশিন (CNC means Computer Numerical Control) বলতে এমন মেশিনকে বুঝানো হয় যা Computer Numerical দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রত হয়ে কাজ সম্পন্ন করে থাকে।

ম্যানুফেকচারিং- এ এনসিঃ

মেশিন টুলে কাটার বিভিন্ন দিকে কার্যবন্তুর আলোকে ঘুরে থাকে এবং এজন্য কন্ট্রোলার সচরাচর একাধিক মেশিন অক্ষে কার্যক্রম পরিচালনা করে কাজ সম্পন্ন করে থাকে। নিচে মেশিন প্রয়োগ ও অক্ষ সংখ্যা গতি উল্লিখিত হলঃ

দুই অক্ষ গতি (Two Axis Motion) : যা সচরাচর অধিকাংশ, পাঞ্চ প্রেস, ফ্লেম এবং প্লাজমা আর্ক মেশিনে, ইলেকট্রনিক উপাদান প্রক্ষিপ্তকরন, এবং বিভিন্ন ড্রিলিং মেশিন এ প্রয়োগ হতে দেখা যায় ।

তিন অক্ষ গতি (Three Axis Motion) : সচরাচর তিনটি প্রধান দিকে কার্টেসিয়ান স্থানাংক পদ্ধতিতে কাজ করে এবং মিলিং বা বোরিং বা ড্রিলিং এবং স্থানাংক পরিমাপন মেশিনে প্রয়োগ করা হয়।

চার অক্ষ গতি (Four Axis Motion) : যা তিনটি রৈখিক ও একটি ঘূর্ণন অক্ষের জন্য জড়িত গতি। এটি সাধারনত মিলিং হেড সংযুক্ত লেদে প্রয়োগ করা হয়।

পাঁচ অক্ষ মেশিন (Five Axis Machines) : যা সাধারনত তিনটি রৈখিক অক্ষ, যাদের মধ্যে দুইটি ঘূর্ণনশীল অক্ষ থাকে যাহা সচরাচর মিলিং মেশিনে প্রয়োগ করা হয়।

 

জি এবং এম কোডের ব্যবহারঃ (Uses of G and M codes )

কম্পিউটার সহায়ক রুট (মূল কেন্দ্র) থেকে দেখা যায় যে, কাটার পথ প্রথম বর্গীয় (Genevic) ফরম্যাট এবং অতঃপর প্রোগ্রাম পোস্ট প্রসেসর এ রুপান্তর করা হয় যা মেশিন টুলের জন্য এ অন্যন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। একে মেশিন কন্ট্রোল ডাটা বলা হয়। নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোলে প্রোগ্রাম সংরক্ষনকে পার্ট প্রোগ্রাম এবং এরুপ প্রোগ্রাম লেখার প্রক্রিয়াকে পার্ট প্রোগ্রামিং বলা হয়।

আমরা যখন সিএনসি মেশিনে কাজ করি তখন কাজ করার প্রক্রিয়া নিম্নরুপ হয়ে থাকে ।

ক) প্রথমে মূল জবের ডিজাইন করতে হয়। 

খ) এই প্রোগ্রামকে পেন-ড্রাইভের মাধ্যমে সিএনসি মেশিনে লোড দেয়া হয়। 

গ) ক্যাড ফাইলটি জি কোড (G-Code) এবং এম কোডে (M-Code) রুপান্তরিত হয়। অথবা নিজেদের নিচের ডাটা অনুযায়ী এই জি-কোড এবং এম কোড লিখতে হয়।

ঘ) ডাটা প্রসেস করে সিএনসি মেশিন জব সম্পাদন করে থাকে ।

নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোলের প্রয়োগক্ষেত্র (Application of Numerical system)

নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোল সিস্টেম ব্যাপকভাবে বর্তমানে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে মেটাল ওয়ার্কিং কারখানা, মোটর সাইকেল তৈরি, প্রাইভেট গাড়ী তৈরি, বৃহৎ শীট মেটাল কারখানা, বৃহৎ ওয়েল্ডিং কারখানা, সারফেস ট্রিটমেন্ট কারখানা ইত্যাদি কারখানাসমূহে নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোলের প্রয়োগ দেখা যায় । নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোলের সবচেয়ে সহজ উদাহরন হল মেটাল কাটিং মেশিন টুলস, বাংলাদেশে এটির ব্যবহার বিশেষ করে খুলনা শীপ-ইয়ার্ডে বেশি দেখা যায়। এই ধরনের নিউমেরিক্যালি কন্ট্রোল বিশিষ্ট যন্ত্রাংশ, যা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ম্যাটেরিয়াল কাটিং বা দূর করতে পারে ।

নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোলের মাধ্যমে নিম্ন লিখিত কাজ করা হয়। যেমনঃ

মিলিং (Milling) 

বোরিং (Boring) 

টার্নিং (Turning) 

থ্রেডিং (Threading)

গ্রুভিং (Grooving) ইত্যাদি কাজ ছাড়াও আরো অনেক কাজ করা যায়।

 

নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোলের সুবিধা (Advantages of NC / CNC Machine)

জব উৎপাদনের সময় এনসি এবং সিএনসি মেশিনে নিম্নলিখিত সুবিধা পাওয়া যায়

১।উৎপাদনের সময় হ্রাস করে। সাধারন মেটাল কাটিং বা অন্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সামান্যতম বা কোন প্রভাব নেই। এটি কম সেট আপ সম্পন্ন এবং সেটিংসও কম সময় লাগে। কার্যবস্তুর নড়াচড়ার সময় কম লাগে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে টুল পরিবর্তন করা যায়। মূল বৃহৎ আকারের মেটাল বা শীট মেটাল কাটিং করার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যপকভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

২। উৎপাদনের সময় লীড সময় হ্রাস করে। কারন জবকে তাড়াতাড়ি বাধা যায় এবং এনসি বা সিএনসি মেশিনে সেট আপ করা যায়। ফলে দ্রুত সময়ে ক্রেতার কাছে মাল ডেলিভারি দেয়া যায়, ব্যবসায় দ্রুত লাভবান হওয়া সহজ ।

৩। সবচেয়ে বেশি উৎপাদন সহজসাধ্য বিষয় হয়ে দাড়ায়, কারন নিউমেরিক্যাল সিস্টেমে সহজে উৎপাদন তালিকা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা যায় ।

নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোলের অসুবিধাসমূহ (Disadvantages of NC / CNC Machine)

১। অধিক দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। 

২। যন্ত্রপাতির দাম তুলনামূলক অনেক বেশি হয়ে থাকে । 

৩। যন্ত্রপাতি রক্ষনাবেক্ষন খরচ অনেক বেশি। 

৪। ব্যবসায় অধিক মূলধন প্রয়োগ করতে হয়। 

৫। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সকল মেশিন বিদেশ থেকে ক্রয় করে আনতে হয়।

 

 

Content added By

টলারন্সে বা সহনশীলতা হলো একটি মাত্রা, যেটি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মাপের পার্থক্য নিদ্দেশ করে থাকে।

বিভিন্ন রকম কাটিং টুলসঃ

 ক্যাড-ক্যামের মাধ্যমে কোন সিএনসি মেশিন দ্বারা যখন আমরা কোন জব তৈরি করবো, তখন কাটিং টুলস একটি মূল উপাদান হয়ে দাড়ায়। তাই এখানে আমাদেরকে বিভিন্ন কাটিং টুল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। 

২.১) সাইড কাটিং টুল (Side cutting tool) কোন কার্য বস্তুর পার্শ্ব হতে মেটাল কাটার জন্য যে কাটিং টুল ব্যবহার করা হয তাকে সাইড কাটিং টুল বলে। 

সাইড কাটিং টুল দ্বারা মূলত কোন বস্তু বা মেটালের চারপাশের কোন অংশকে কাটা হয়ে থাকে। এটি সিএনসি মেশিনের বা যে কোন লেদ মেশিনের অপরিহার্য একটি টুলস বলা যেতে পারে।

২.৮) নার্সিং টুলসঃ কোন একটি জবের উপরিভাগে নার্সিং বা খাজ কাটার জন্য যে টুলস ব্যবহার করা হয় তাকে নার্সিং টুলস বলা হয়ে থাকে।

২.১) পার্টিং-অফ টুলঃ জব এর কোন অংশে নির্দিষ্ট মাপের খাজ কাটার জন্য অথবা কোন অংশ কেটে ফেলার জন্য যে টুল ব্যবহার করা হয় তাকে পার্টিং অফ টুল বলে।

২.১০) ফেস মিল কাটারঃ যে সকল মিলিং কাটার এর কাটিং এজ এর প্রান্তে থাকে এবং কাটারের প্রাপ্ত ব্যবহার করে সিলিং অপারেশন করা হয় ফেস মিল কাটার বলে। ফেস সিল কাটার অনেক ধরনের রয়েছে। তার ভিতর থেকে নিম্নে একটি মাত্র চিত্র প্রদান করা হলো।

২.১১) এন্ড মিল কাটারঃ যে সকল মিলিং কাটার এর কাটিং এজ এর পরিধিতে থাকে এবং কাটারের পরিধি ব্যবহার করে মিলিং অপারেশন করা হয় একে এন্ড মিল কাটার বলে।

২.১২) ড্রিলিং বিটসঃ ছিল মেশিনে ড্রিল বিট দিয়ে কোন বস্তুর উপর ছিদ্র করাকে ড্রিলিং বলে। আর এই ডিলিং করার জন্য যে টুলস বা বিট ব্যবহার করা হয়, তাকে ড্রিল বিটস বলে। ড্রিল বিটস বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে। নিম্নে কিছু ছিল বিটের চিত্র তুলে ধরা হলো ।

২.১৩) বল মিল কাটারঃ বল মিল কাটার স্লট ভিলের অনুরূপ, তবে কাটার এর প্রান্তটি বলের মত গোলাকার থাকে।তাই এ জাতীয় কাটারকে বল মিল কাটার বলে।

২.১৪) ফেসিংঃ ওয়ার্কপিসের প্রান্তকে এর অক্ষের সাথে সমকোণে সমতল করার জন্য মেশিনিং পদ্ধতি হলো ফেসিং বা ফেস টার্নিং। চাকে, উভয় সেন্টারের মাঝে, ফেসপ্লেটে, কলেটে বাঁধা অবস্থায় অথবা স্টেডি রেস্ট দ্বারা সাপোর্ট দেওয়া অবস্থায় ফেসিং করা হয়। ফেসিং করার উদ্দেশ্য হলো ওয়ার্কপিসের প্রাপ্তকে এর অক্ষের সাথে স্কয়ার ও মসৃপ করা এবং এর দৈর্ঘ্যকে সঠিক মাপে আনা।

মাষ্টার ক্যাম (Mastre CAM):- মাষ্টার ক্যাম একটি সফটওয়্যার। আমরা যখন কোন CNC মেশিন চালনা করি, তখন CNC মেশিন আমাদের নিকট কাজ বা জবের ডিজাইন চেয়ে থাকে। এখন সমস্যা হলো কোন ডিজাইন CNC মেশিন চিনতে পারে না। এই CNC মেশিন শুধুমাত্র G – Code এবং M- Code চিনতে পারে। তাই আমাদের মূল জবকে মাষ্টার ক্যাম সফটওয়্যারে ডিজাইন করতে হয়। তারপর সেটিকে CNC মেশিনে দিলে এটি G – Code বা M- Code এ রুপান্তরিত করে বা করতে হয় তারপর আমাদের কার্য সম্পাদন হয়ে থাকে।

সলিড ক্যাম (Solid CAM) :- সদিত ক্যাম ও মাষ্টার ক্যামের ন্যায় একটি CAM Software. এটি দ্বারা খুব সহজে যেকোন 3D ডিজাইন করা যায়।

মুলত এই সফটওয়্যারটি মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল 3D কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার। এছাড়াও এটি দ্বারা বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায় ।

সলিড ওয়ার্কের ইন্টারফেস মোট ৩ ধরনের কাজ করা হয়। যথা : 

ক) পার্ট (Part) 

খ) এসেম্বলি (Assembly) 

গ) ড্রইং (Drawing)

ক) পার্ট (Part) : এখান থেকে যে কোন 3D মডেলিং ডিজাইন করা হয় । যেমন : মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, ওয়েল্ডিং, প্লাম্বিং, ও পাইপ ফিটিং, সারফেস, মডেলিং, প্লাষ্টিক, প্রোডাক্ট, সিভিল, উউ ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন এই সেকশন থেকে করা যায়। সকল ক্যাড সফটওয়্যারের মাঝে এটি সবথেকে সহজ একটি সফটওয়্যার প্রডাক্ট হিসাবে পরিচিত।

খ) এসেম্বলি (Assembly) : কোন বৃহৎ প্রোডাক্টের ডিজাইন একত্রে করা সম্ভব হয় না তাই কোন একটি প্রোডাক্টের বিভিন্ন পার্ট আলাদা আলাদা ডিজাইন করার পর তাহা একত্রিত করে একটি পূর্ণ প্রোডাক্টে রুপান্তরিত করার প্রয়োজন হয়।

কোন বৃহৎ প্রডাক্টের বিভিন্ন পার্ট একত্রিত করে একটি পূর্ণ জব তৈরি করাকেই এসেম্বলি প্রোগ্রামিং বলে।

গ) ড্রইং (Drawing): সলিড ক্যামে রয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী ড্রইং সিস্টেম। এখান থেকে যেকোন 3D ডিজাইনকে সরাসরি 2D ডিজাইনে কনর্ভাট করা যায়। এখান থেকে পরিমাপ সহ 2D ডিজাইন কনর্ভাট করা যায়। সকল 3D ডিজাইন তাছাড়া সকল 2D পরিমাপ গুলো খুব সহজেই প্রদান করা যায়।

বিভিন্ন প্রকার ক্যাম সফটওয়্যার

এজ ক্যাম (Edge CAM ) : এজ ক্যামও একটি CAD সফটওয়্যার। কিছু কিছু এনসি মেশিন এজ ক্যাম দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। এটা দ্বারাও ডিজাইন, ড্রইং এবং এসেম্বিলিং করা যায়। কনাডা ভারত পাকিস্তান নিজেরা কিছু এনসি মেশিন চালনা এবং উৎপাদন করে থাকে যেগুলোতে বিল্টইন অবস্থায় এজ ক্যাম থাকে।

কাটিয়া (CATIA): কাটিয়াও একটি ক্যাম সফটওয়্যার যেটি সলিড ক্যাম বা অটোক্যাডের মত জনপ্ৰিয় ৷ তবে কাটিয়া মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের নিকট বেশি পরিচিত। কারন মেকানিক্যালের সকল ডিজাইন কাটিয়া দ্বারা করা অধিক সহজতর। কাটিয়া সফটওয়্যারে তিনটি অপশন থাকে, যা যথাক্রমেঃ

ক) ডিজাইন (Design) 

খ) এসেম্বলিং (Assembling) 

গ) ড্রইং (Drawing )

 

 

Content added By

এবসোলোট প্রোগ্রামিং (Absolute Programming)

এবসোলোট প্রোগ্রাম সিএনসি মেশিন চালনা করার সময় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সিএনসি বা এনসি মেশিনে জব বাঁধার পরে মেশিনকে বলে দিতে হয় যে, জব কোথায় এবং কিভাবে বাধা আছে, যাতে মেশিন ঠিকভাবে কাজ করতে পারে। এখন সিএনসি বা এনসি মেশিনতো মানুষের ভাষা বুঝতে পারেনা। তাই এই বিষয়টি মেশিনকে বুঝানোর জন্য যে ভাষা প্রয়োগ করা হয় তাকে বা সেই ভাষাকে এবসোলোট প্রোগ্রামিং বলে। মানে জি কোড এবং এম কোডে বা অন্যান্য যে কোডের সাহায্যে সিএনসি বা এনসি মেশিনের প্রোগ্রাম সেট করাকে এবসোলোট প্রোগ্রামিং বলে। মেশিনে কাজ করার সময় মেশিনে জব কোথায় বাধা আছে বা মেশিনিং সেন্টার কোথায় সেটা মেশিনকে বুঝানোর জন্য, জি কোড বা এম কোড ছাড়াও আরো কিছু কোডের ব্যবহার করার দরকার পরতেও পারে।

ইনক্রিমেন্টাল প্রোগ্রামিংঃ কোন প্রোগ্রাম রান করার আগে যাচাই বাছাই করতে হয় যে প্রোগ্রাম ঠিকভাবে আছে বা কাজ করবে কিনা।প্রোগ্রামিং এর ভিতরে ছোট ছোট কাজ যেটা প্রোগ্রামকে আরো অনেক উন্নত করে সেটাকে ইনক্রিমেন্টাল প্রোগ্রামিং বলে।

লিনিয়ার প্রোগ্রামি (Linear Programming): লিনিয়ার প্রোগ্রামিং যাকে রৈখিত অপ্টিমাইজেশনও বলা হয়ে থাকে। সিএনসি বা এনসি মেশিনে জি – কোড বা এম কোডের সর্বোচ্চ ফলাফল পাবার জন্য যে প্রোগ্রামিং এর সাহায্য গ্রহন করা হয়ে থাকে তাকে লিনিয়ার প্রোগ্রামিং বলে।

৮.৪.৪। ক্যানেড সাইকেল প্রোগ্রামিং ঃ ড্রিলিং, বোরিং এবং ট্যাপিং এর কম্বিনেশনে যদি কোন কাজ করার দরকার পরে তখন ক্যানেড সাইকেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সাইকেলটি মূলত জি-কোড দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে ।

 

 

Content added By

১। মাষ্টার ক্যাম (Mastre CAM) : মাষ্টার ক্যাম একটি সফটওয়্যার। আমরা যখন কোন CNC মেশিন চালনা করি, তখন CNC মেশিন আমাদের নিকট কাজ বা জবের ডিজাইন চেয়ে থাকে। এখন সমস্যা হলো কোন ডিজাইন CNC মেশিন চিনতে পারে না। এই CNC মেশিন শুধুমাত্র G – - Code এবং M- Code চিনতে পারে। আমরা যদি আরো গভীরে যাই বা সিএনসি মেশিনের সাথে যদি একটি কম্পিউটার যুক্ত থাকে তবে, আমরা জানতে পারবো কম্পিউটার এই G – Code এবং M- Code চিনতে পারে না। কম্পিউটার G-Code এবং M-Code কে বাইনারি সংখ্যাতে রাপান্তরিত করে, আর বাইনারি সংখ্যা বলতে ০ এবং ১ কে বুঝানো হয়, এইসব বিষয় আমাদের এখন না জানলেও হবে। এগুলো পরে আমরা জানতে পারবো। তাই আমাদের মূল জবকে মাষ্টার ক্যাম সফটওয়্যারে ডিজাইন করতে হয়। তারপর সেটিকে CNC মেশিনে দিলে এটি G – Code বা M- Code এ রুপান্তরিত করে বা আমাদের নিজেদের করে দিতে হয় তারপর আমাদের কাজ -সম্পাদন হয়ে থাকে ।

২। বিভিন্ন প্রকার ক্যাম সফটওয়্যারঃ ক্যামের কাজ করার জন্য আমরা বিভিন্ন প্রকার সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। তার ভিতরে বাংলাদেশে বর্তমানে অটোক্যাড সফটওয়্যারটি খুব জনপ্রিয়। মেকানিক্যাল কাজের সলিডওয়ার্কস সফটওয়্যারটি খুবই উপযোগী। 

নিম্নে বিভিন্ন প্রকার ক্যাম সফটওয়্যার এর নাম দেয়া হলো ।

  • অটোক্যাড (AutoCAD) 
  • সলিডওয়ার্কস (SolidWorks) 
  • কাটিয়া (CATIA) 
  • মাষ্টার ক্যাম (Master CAM ) 
  • সমেন্স (Siemens NX ) 
  • পিটিসি ক্রো (PTC Creo) 
  • ড্রাফট সাইট (Draft Sight ) 
  • সলিড এজ (Solid Edge) ইত্যাদি সফটওয়্যার বেশ জনপ্রিয় ক্যাম সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারগুলো ভার্শন অনুযায়ী আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

৩। বিভিন্ন ধরনের কাটিং টুলসঃ আমরা পূর্বেই বিভিন্ন ধরনের কাটিং টুলসের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। এখন এক নজরে বিভিন্ন কাটিং টুলস সম্পর্কে জানবো। নিম্নে ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন কাটিং টুলসের নাম দেয়া হলো ।

  • সাইড কাটিং টুলস 
  • ভী টুলস
  • গ্রুভিং টুলস 
  • ড্রিলিং টুলস 
  • বোরিং টুলস 
  • থ্রেডিং টুলস 
  • ইসসাইড থ্রেড কাটিং টুলস
  • নালিং টুলস 
  • পার্টিং টুলস 
  • ফেইস মিল কাটার
  • এন্ড মিল কাটার 
  • ড্রিল বিটস 
  • বল মিল কাটার

৪। বিভিন্ন প্রকার ক্যাম সফটওয়্যার এর ব্যবহারঃ বিভিন্ন প্রকার সফটওয়্যার বিভিন্ন প্রকার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম্নে বিভিন্ন প্রকার সফটওয়্যার এর ব্যবহার উল্লেখ করা হলো।

অটোক্যাড (AutoCAD): এই সফটওয়্যারটি সাধারনত বিভিন্ন কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ক্যাড সফটওয়্যার। তাই এটা দিয়ে সকল ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে। বিল্ডিং ডিজাইন ছাড়াও এটি দ্বারা মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারগন কাজ করে থাকনে। কারন বর্তমানে অটোক্যাড কর্পোরেশন ইলেট্রিক্যাল কাজের জন্য ”অটোক্যাড ইলেকট্রিক্যাল”, মেকানিক্যাল কাজের জন্য ”অটোক্যাড মেকানিক্যাল” ছাড়াও বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য বিভিন্ন ধরনের আলাদা আলাদা সফটওয়্যার তৈরি করে বাজারজাত করছেন।

সলিডওয়ার্কস (SolidWorks): সাধারনত মেকানিক্যাল কাজের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে এই সফটওয়্যারকে। তবে এই সফটওয়্যার দ্বারাও সকল প্রকার ডিজাইনারগন সকল প্রকার ডিজাইনের কাজ করতে পারেন। এটার জনপ্রিয়তার কারন এর শক্তিশালী ডিজাইন, সিমুলেশন ও রেন্ডারিং পদ্ধতির কারনে। অটোক্যাড সফটওয়্যারের সাথে পাল্লা দিয়ে দিন দিন এর মান বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

কাটিয়া (CATIA): কাটিয়া এবং সলিডওয়ার্কস প্রায় কাছাকাছি একধরনের ক্যাড সফটওয়্যার সাধারনত মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য এটি ডিজাইন করা হয়েছে।

মাষ্টার ক্যাম (Master CAM): অন্যতম শক্তিশালী একটি ক্যাম সফটওয়্যার হলো এই মাষ্টার ক্যাম সফটওয়্যার। এটি দ্বারা মূলত সিএনসি মেশিনে কাজ করা হয়ে থাকে। সিএনসি বা এনসি মেশিনে কাজ করার জন্য মূলত এটি তৈরি করা হয়েছে।

 

 

Content added By
Please, contribute to add content into প্রশ্নমালা ৪.
Content
Please, contribute to add content into জবশীট.
Content

পারদর্শিতার মানদন্ডঃ

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;

৪. মাষ্টার ক্যাম বা সলিডওয়ার্ক সফটওয়্যার নির্বাচন করি।

৫. কাজ করার নিমিত্ত কম্পিউটার অন করা;

৬. কাজ শেষে কম্পিউটার অফ করা;

৭. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;

৮. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;

৯. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;

 

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE):

 

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (Required Instruments) :

প্রয়োজনীয় মালামাল (Required Materials) :

কাজের ধাপ (Working Procedure ) :

  • প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করব এবং পরিধান করবো। 
  • সঠিক নিয়মে কম্পিউটার অন করবো। 
  • মাষ্টার ক্যাম সফটওয়্যার ওপেন করবো।
  • প্রয়োজন অনুযায়ী ইউজার ইন্টারফেসগুলি ঠিক করবো। 
  • চিত্র/ডায়াগ্রাম অনুযায়ী নিমের চিত্রগুলোতে চিত্র ১ অনুযায়ী OK বাটনে ক্লিক করবো। 
  • চিত্র ২ অনুযায়ী আবার Next বাটনে ক্লিক করবো। 
  • চিত্র ৩ অনুযায়ী আবার Next > Next > Next বাটনে ক্লিক করবো।
  • চিত্র ৪ অনুযায়ী আবার Next বাটনে ক্লিক করবো। 
  • চিত্র ৫ অনুযায়ী আবার Install বাটনে ক্লিক করবো। 
  • চিত্ৰ ৬ অনুযায়ী ফিনিশ বাটনে ক্লিক করবো 
  • এবার মাষ্টার ক্যাম Install শেষ হবে। 
  • কাজ শেষে কম্পিউটার শাটডাউন করবো। 
  • কাজ শেষে সংগৃহীত মালামাল নির্ধারিত স্থানে জমা দিবো।

ক্রেক কনফিগার করা

১। ক্ৰেক ফাইলকে কপি করতে হবে। 

২। ডেক্সটপে সাষ্টারক্যাম আইকনে ক্লিক করে রাইট ক্লিক করতে হবে। 

৩। ওপেন ফাইল লোকেশন 

৪। পেষ্ট ক্রেক ফাইল । 

৫। কনটিনিউতে ক্লিক করতে হবে।

 

সতর্কতা (Precausion):

  • কাজের সময় মাক্স ব্যবহার করব। 
  • কাজের সময় সঠিক নিয়মে বসব।
  • কাজের সময় কম্পিউটার থেকে সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে বসব। 
  • এন্টি স্টাটিক রিস্ট স্ট্রাপ পরব। 
  • ল্যাবে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যাবস্থা আছে কিনা দেখে নিব। 
  • বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখব।

অর্জিত দক্ষতাঃ CAM প্রোগ্রাম ইন্সটল করার দক্ষতা অর্জন করা ।

বাস্তব জীবনে যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হবে।

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ডঃ

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;

৪. আমরা মাষ্টারক্যাম বা সলিডওয়ার্ক সফটওয়্যার নির্বাচন করি।

৫. কাজ করার নিমিত্ত কম্পিউটার অন করা;

৬. কাজ শেষে কম্পিউটার শাটডাউন করা;

৭. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;

৮. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;

৯. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;

 

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE):

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (Required Instruments):

প্রয়োজনীয় মালামাল (Required Materials):

কাজের ধাপ (Working Procedure ) :

  • প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করব এবং পরিধান করবো। 
  • সঠিক নিয়মে কম্পিউটার অন করবো। 
  • মাষ্টারক্যাম সফটওয়্যার ওপেন করবো।
  • প্রয়োজন অনুযায়ী ইউজার ইন্টারফেসগুলি ব্যবহার করতে পারবো। 
  • নিম্নের চিত্র থেকে মাষ্টারক্যাম নাম গুলো আমরা জানবো । 
  • প্রতিটি টুলসের মাধ্যমে কিভাবে কাজ করা যায় তা ব্যবহার করতে পারবো
  • প্রয়োজনে কোন অবজেক্ট তৈরি করে দেখবো । 
  • কাজ শেষে কম্পিউটার বন্ধ করবো। 
  • কাজ শেষে সংগৃহীত মালামাল নির্ধারিত স্থানে জমা দিবো।

সতর্কতা (Precausion):

  • কাজের সময় মাক্স ব্যবহার করবো।
  • কাজের সময় সঠিক নিয়মে বসবো। 
  • কাজের সময় কম্পিউটার থেকে সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে বসবো।
  • এন্টি স্টাটিক রিস্ট স্ট্রাপ পরবো।
  • ল্যাবে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা আছে কিনা দেখে নিব। 
  • বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখব।

অর্জিত দক্ষতাঃ CAM প্রোগ্রামের ইন্টারফেস ব্যবহার করার দক্ষতা অর্জন করা। 

অর্জিত দক্ষতা ৰাস্তব জীবনে যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হবে।

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড ঃ

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;

৪. আমরা মাষ্টারক্যাম বা সলিডওয়ার্ক সফটওয়্যার নির্বাচন করি।

৫. কাজ করার নিমিত্ত কম্পিউটার অন করা;

৬. কাজ শেষে কম্পিউটার শাটডাউন করা;

৭. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;

৮. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;

৯. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;

 

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE):

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ( Required Instruments):

প্রয়োজনীয় মালামাল (Required Materials):

 

কাজের ধাপ (Working Procedure):

  • প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করব এবং পরিধান করবো । 
  • সঠিক নিয়মে কম্পিউটার অন করবো। 
  • মাষ্টারক্যাম সফটওয়্যার ওপেন করবো। 
  • প্রয়োজন অনুযায়ী ইউজার ইন্টারফেসগুলি ঠিক করবো।
  • নিম্নের চিত্র থেকে মাষ্টারক্যাম নাম গুলো আমরা জানৰো । 
  • এরপরে প্রতিটি টুলসের ব্যবহার করে দেখবো। 
  • প্রয়োজনে কোন অবজেক্ট তৈরি করে দেখবো।
  • কাজ শেষে কম্পিউটার বন্ধ করবো। 
  • কাজ শেষে সংগৃহীত মালামাল নির্ধারিত স্থানে জমা দিবো।

সতর্কতা (Precausion) :

  • কাজের সময় মাক্স ব্যবহার করবো। 
  • কাজের সময় সঠিক নিয়মে বসবো। 
  • কাজের সময় কম্পিউটার থেকে সঠিক দুরত্ব বজায় রেখে বসবো।
  • এন্টি স্টাটিক রিস্ট স্ট্রাপ পরবো।
  • ল্যাবে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা আছে কিনা দেখে নিব।
  • বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখব।

অর্জিত দক্ষতাঃ CAM প্রোগ্রাম দিয়ে স্কেচ করার দক্ষতা অর্জন করা। 

অর্জিত দক্ষতা বাস্তব জীবনে যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হবে।

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড :

১. স্বাস্থবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোষাক (পিপিই) পরিধান করা; 

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুতকরা; 

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, মেটেরিয়ালস ও ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ ও প্রস্তুতকরা; 

৪ . কাজের নিমিত্তে কম্পিউটার অন করা; 

৫. কাজের শেষে যথা নিয়মে কম্পিউটার সাটডাউন করা; 

৬. কাজের স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং 

৭. চেকলিষ্ট অনুযায়ী যথা স্থানে সংরক্ষন করা;

 

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE):

 

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (Required Equipment) :

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ডঃ

১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;

২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;

৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;

৪. আমরা মাষ্টারক্যাম বা সলিডওয়ার্ক সফটওয়্যার নির্বাচন করি ।

৫. কাজ করার নিমিত্ত কম্পিউটার অন করা;

৬. কাজ শেষে কম্পিউটার শাটডাউন করা;

৭. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;

৮. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;

৯. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;

 

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম (PPE):

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ( Required Instruments) :

প্রয়োজনীয় মালামাল (Required Materials ) :

 

কাজের ধাপ (Working Procedure):

  • প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করব এবং পরিধান করবো। 
  • সঠিক নিয়মে কম্পিউটার অন করবো।
  • মাষ্টারক্যাম সফটওয়্যার ওপেন করবো। 
  • যেকোন একটি অবজেক্ট ডিজাইন করবো । 
  • নিচের ছক অনুযায়ী জি-কোড বা এম-কোড তৈরি করবো।
  • এরপরে প্রতিটি এই জি-কোড বা এম-কোডের সিমুলেশন করো। 
  • কোড ঠিকভাবে কাজ করলে সিএনসি/এনসি মেশিনে উহা লোড করো। 
  • কাজ শেষে কম্পিউটার শাটডাউন করবো।
  • কাজ শেষে সংগৃহীত মালামাল নির্ধারিত স্থানে জমা দিবো।

সতর্কতা (Precausion):

  • কাজের সময় মাক্স ব্যবহার করবো। 
  • কাজের সময় সঠিক নিয়মে বসবো। 
  • কাজের সময় কম্পিউটার থেকে সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে বসবো।
  • এন্টি স্টাটিক রিস্ট স্ট্রাপ পরবো। 
  • ল্যাবে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা আছে কিনা দেখে নিব। 
  • বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখব।

অর্জিত দক্ষতাঃ জি-কোড ও এম-কোড ব্যবহার করার দক্ষতা অর্জন হয়েছে। 

অর্জিত দক্ষতা বাস্তব জীবনে যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হবে।

 

 

Content added By