এসএসসি(ভোকেশনাল) - ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভেশন-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

ফল চাষের সমস্যাবলি ও সমাধানের তালিকা প্রস্তুতকরণ

প্রাসঙ্গিক তথ্য 

অঞ্চল বিশেষে কী কী ফল উৎপন্ন হয় তা জানতে হবে । ফলের উৎপাদন ও ফলনের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে । কৃষকের অর্থনৈতিক অবস্থা, ফলের চাহিদা ও বাজার ব্যবস্থা, নার্সারী, ফল সংরক্ষণের সুবিধা ইত্যাদি বিষয়ে জরীপ করতে হবে । কৃষকদের আগ্রহ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, খাদ্যাভ্যাস, পরিবহন ব্যবস্থা ইত্যাদি মৌলিক বিষয়সমূহ জানতে হবে ।

উপকরণ 

(১) ফল চাষের জন্য তথ্যাভিত্তিক চার্ট (চাষকৃত জমির পরিমাণ, ফলন, জমির প্রাপ্যতা ইত্যাদি) 

(২) অঞ্চল ভিত্তিক বৃষ্টিপাত, মাটির কধুরতা ও মৃত্তিকা জরিপ ম্যাপ 

(৩) কাগজ, কলম, বার্ডে, চক, ডাষ্টার 

(৪) মাটি পরীক্ষার যন্ত্র, ঔষধ প্রয়োগ যন্ত্র, প্যাকিং সামগ্রী 

(৫) উন্নত জাতের চারা, বাগান পরিচর্যার যন্ত্রপাতি, বই ইত্যাদি ।

কাজের ধাপ 

(১) ফল চাষের সমস্যাগুলোর সার্বিক তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। এ জন্য ছক তৈরি করে জরীপ করতে হবে। 

(২) ফল চাষে আর্থসামাজিক সমস্যার তালিকাগুলো পৃথকভাবে প্রণয়ন করতে হবে । 

(৩) ফল চাষে কারিগরি সমস্যাগুলো পৃথকভাবে প্রণয়ন করতে হবে । 

(৪) সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য সুপারিশ করা যেতে পারে ।

ক) আর্থসামাজিক সমস্যাগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো : 

১) জমির স্বল্পতা 

২) উন্নত বীজ বা চারা কলমের অভাব । 

৩) সার, সেচযন্ত্রপাতির মূল্য বেশি ও দুষপ্রাপ্যতা

৪) কীটনাশক ঔষধ ও প্রয়োগ যন্ত্রপাতির দুষ্প্রাপ্যতা 

৫) কৃষকের দারিদ্রতা ও ঋণগ্রস্থতা, 

৬) আর্থিক ঝুঁকির আশঙ্কা

৭) গতানুগতিক প্রথায় চাষাবাদ করা

৮) বাজারজাতকরণ সুযোগের অভাব

৯) ফসল বীমার প্রচলন না থাকা

১০) ফলের বাজার মূল্যের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি । 

(খ) কারিগরি সমস্যাগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো । 

১) কৃষকের ফল চাষের বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান ও প্রযুক্তির অভাব

২) মাটি ও আবহাওয়ার প্রকৃত তথ্য স্বল্পতা এবং 

৩) প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কিত পূর্বাভাস সময়মত প্রচারের ব্যবস্থা না থাকা 

৪) ফল সংরক্ষণের জন্য হিমাগার ও পরিবহনে হিমায়িত গাড়ীর অভাব,

৫) ফল সংগ্রহ কৌশল, গ্রেডিং ও প্যাকিং পদ্ধতি সম্পর্কিত জ্ঞানের অভাব ।

ফল চাষের সমস্যাগুলোর সম্ভাব্য সমাধান নিম্নোক্ত ভাবে করা যায়: 

(১) সমবায় ব্যবস্থা চালু করা 

(২) নতুন কৌশল উদ্ভাবন ও দেশ বিদেশ হতে উন্নত প্রযুক্তি সংগ্রহ 

(৩) সকলের জন্য কৃষি শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা করণ 

(৪) ঋণ সহজীকরণ ও বীমার ব্যবস্থা চালু করা । 

(৫) সার, বীজ, ঔষধ ও সেচ যন্ত্র সরবরাহ সহজ লভ্য ও নিশ্চিত করা 

(৬) হিমাগার ও শিল্পকারখানা স্থাপন করা 

(৭) প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রদান ও আবহাওয়া পঞ্জিকা প্রণয়ন

(৮) বাজার ব্যবস্থা ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন

৯) ভাল কৃষকদেরকে উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা 

(১০) শিক্ষিত যুবকদের বিভিন্নভাবে সুবিধা প্রদান 

(১১) বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক পদার্থের (সার, হরমোন) মূল্য কম করা ।

Content added By