এসএসসি(ভোকেশনাল) - ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভেশন-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

শাখা কলম পদ্ধতি অনুশীলন

প্রাসঙ্গিক তথ্য

শাখা প্রশাখার উপযুক্ত অংশ সমূহ মাতৃগাছ থেকে কেটে আলাদা করে অনুকূল পরিবেশে রেখে ও উপযুক্ত যত্ন নিয়ে তা থেকে মূল পলব গজিয়ে নতুন চারা গাছ তৈরি করাই হলো শাখা কলম । শাখা কলাম চার প্রকার যথা-শক্ত কাঠ শাখা কলম, আধাশক্ত কাঠ কলম, কচি /কোমল শাখা কলম/ও বীরৎ শাখা কলম ।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ 

ক) উন্নত জাতের মাতৃগাছ 

খ) সিকেচার 

গ) আরোলা চাকু 

ঘ) নার্সারি বেড 

ঙ) খুরপী 

চ) কোদাল 

ছ) ছায়াযুক্ত স্থান

কাজের ধাপ

  • শাখার অগ্রভাগ থেকে ১৫ সে:মি: বাদ দিয়ে নির্বাচিত মাতৃগাছ থেকে ৩টি পর্বসহ এক বছর বয়সের ২০ ২৫ সে:মি: দীর্ঘ একটি শাখা সিকেচারের সাহায্যে কেটে নিতে হবে ।
  • শাখার উপরের প্রাপ্ত ২.০ সে:মি: উপরে গোল করে ও কর্তিত শাখার নিচের প্রান্তে পর্ব সন্ধির ঠিক নিচে ৩-৪ সে:মি: দীর্ঘ করে তির্যকভাবে কাটতে হবে ।
  • এক তৃতীয়াশ মাটির উপরে ও দুই তৃতীয়াংশ মাটির নিচে রেখে মাটির সাথে ৪৫ কোন করে নার্সারি বেডে ছায়াযুক্ত স্থানে শাখা কলমটি রোপণ করতে হবে।
  • অনুরূপভাবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা কলম তৈরি করে নার্সারি বেডে রোপণ করতে হবে ।

সাবধানতা

১। শাখা কলম রোপণের সময় অগ্রভাগ উপরে রেখে নিম্নাংশ মাটিতে পুতে দিতে হবে । 

২। নার্সারি বেড অর্থ ছায়াযুক্ত স্থানে হওয়া উচিত । 

৩। নার্সারি বেডের মাটিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা থাকা আবশ্যক কিন্তু সুনিষ্কাশিত হওয়া উচিত।

সংস্পর্শ জোড় কলম পদ্ধতি অনুশীলন

প্রাসঙ্গিক তথ্য

গাছের আদি জোড় ও উপজোড় পরস্পর সংযুক্ত হয়ে যখন একটি একক গাছ হিসাবে বৃদ্ধি লাভ করে তখন তাকে গ্রাট জোড় কলম বলে এবং এ জোড় লাগানোর প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় গ্রাফটিং বা জোড় কলম। জোড় কলম দু'ধরনের (ক) সংযুক্ত বা সংস্পর্শ জোড় কলম (খ) বিযুক্ত জোড় কলম। সংস্পর্শ জোড় কলম পদ্ধতিতে উপজোড়কে তার নিজস্ব মূলতন্ত্রের উপর বৃদ্ধিরত অবস্থায় আদি জোড় সংস্পর্শে এনে জোড়া লাগানো হয় ।

প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি

  • আদি জোড় 
  • উপজোড় 
  • সিকেচার ধারালো চাকু 
  • নাইলন স্ট্রিপ 
  • পলিথিন 
  • ব্যাগ 
  • রশি

কাজের ধাপ

  • পলি ব্যাগে বীজ থেকে চারা তৈরি করতে হবে। এই চারা আদি জোড় হিসেবে ব্যবহৃত হৰে । 
  • কাঙ্খিত মাতৃগাছে উপজোড় নির্বাচন করতে হবে । 
  • নির্বাচিত উপজোড় ৫ থেকে ৭ সে:মি: স্থানে লম্বালম্বি ভাবে কাঠসহ বাকল তুলে ফেলতে হবে। 
  • কর্তনের উভয় প্রাপ্ত আড়াআড়িভাবে এবং মধ্যাংশ একটু গভীর করে কাটতে হবে। কর্তিত স্থানটি মসৃণ করতে হবে । 
  • নির্বাচিত আদি জোড় সুবিধামত স্থানে উপজোড়ের অনুরুপ কর্ডন দিয়ে আদি জোড় তৈরি করতে হবে। 
  • আদি জোড় ও উপজোড় একসাথে ভালোভাবে লাগিয়ে রশি দ্বারা শক্ত করে বেঁধে রাখতে হবে। 
  • মাস দুইপর জোড়স্থানের ৫ সেঃমিঃ নিচে মাতৃগাছ থেকে উপজোড় বিচ্ছিন্ন করে কলমটিকে নিচে নামিয়ে এনে নার্সারিতে লাগাতে হবে। 
  • কলমটিতে উপজোড় বৃদ্ধি শুরু হলে জোড়হানের ৫ সে:মি: উপরে আদি জোড় কেটে ফেলতে হবে ।

সতর্কতা

  • আদি জোড় ও উপজোড় কর্তিত স্থান মসৃণ হতে হবে । 
  • আদি জোড় ও উপজোড় একসাথে বাঁধার পর মাঝখানে যেন কোন ফাঁকা না থাকে ।

ভিনিয়ার জোড় কলম পদ্ধতি অনুশীলন

১। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ

  • আদি জোড় 
  • উপজোড় 
  • সিকেচার 
  • ধারালো চাকু 
  • মাইল টিপ 
  • রশি 
  • পলিথিন 
  • ব্যাগ

কাজের ধাপ

  • নার্সারি বেড়ে বা টরে বীজ থেকে চারা গাছ উৎপাদন করতে হবে। ৯ মাস থেকে শুরু করে ১৮ মাস পর্যন্ত বয়সের গাছকে আমি জোড় হিসেবে ব্যবহার করতে হবে ।
  • নির্বাচিত মাতৃগাছ থেকে উপজোড় সংগ্রহ করতে হবে। উপজোড়ের পাতার বোটা ১ সেঃমিঃ রেখে পাতাগুলো কেটে ফেলতে হবে।
  • মাটি থেকে ২৫ থেকে ৩০ সে:মি: উপরে আমি জোড়ের ওপর লম্বালম্বিভাবে ৫/৬ সে:মি: তেরছাভাবে কাটতে হবে । উক্ত কর্তনের নিম্নপ্রানে ছোট তেরছা কর্তনের মাধ্যমে কর্তিত কাঠ সরিয়ে ফেলতে হবে ।
  • উপলোড়ের নিম্নাংশে আমি জোড়ের অনুরূপ কর্তন দিয়ে উপজোড়টি তৈরি করতে হবে।
  • পলিখিন ব্যাগ দ্বারা উপজোছটি আবৃত করে আদি জোড়ের সাথে বেঁধে রাখতে হবে। আদি জোড় ও উপজোড় ভালোভাবে জোড়া লাগার পর (৫০-৬০ দিন পর) জোড়াস্থানের ২/৩ সে:মি: উপরে আলি জোড়টি কেটে ফেলতে হবে।

৩। সতর্কতা

  • দুই তিনদিন পরপর পলিব্যাগ খুলে ভেতরে জমাকৃত পানি ফেলে দিতে হবে।
  • আদি জোড় ও উপজোড় একসাথে বাধার পর মাঝখানে যেন কোন ফাঁকা না থাকে জোড়স্থানের নিচে আদি জোড়ে কোন শাখা প্রশাখা জন্মাতে দেয়া যাবে না।
Content added By