এসএসসি(ভোকেশনাল) - ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভেশন-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK
Please, contribute to add content into বীজতলার মাটি শোধন.
Content

প্রাথমিক তথ্য 

বীজতলায় বা জমিতে অনেক সময় বীজ বপন করার পর কিছু বীজ গজায় না। অনেক সময় চারা রোপণ করার পর ঢলে পড়ে ও পরে মারা যায়। বীজতলা বা জমির মাটিতে অসংখ্য জীবাণু থাকে। এসব জীবাণুর মধ্যে কিছু আছে উপকারী, আবার কিছু আছে ক্ষতিকর। ক্ষতিকর জীবাণুর মধ্যে হলো- ফিউজিরিয়াম, রাইজোকটনিয়া, পিথিয়াম, সারকোসপোরা ইত্যাদি। মাটিতে নানা ধরনের কীট পতঙ্গ থাকে। যেমনঃ ইউপোকা, পিঁপড়া, কাটুই পোকা, মোল্ড ও ফিল্ড ক্রিকেট ইত্যাদি। এগুলো দমন না করা হলে এরা ফসলের ভীষণ ক্ষতি করে থাকে। এদের বসবাস মাটিতে। তাই মাটি শোধন করা হলে এগুলো অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হবে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ 

১। লোহার কড়াই, ২। হাতা ৩। চুলা ও লাকড়ি, ৪। খড়কুটা, ৫। দিয়াশলাই, ৬। ক্লোরিপিক্রিন, ফরমালডিহাইড, মিথাইল ব্রোমাইড ইত্যাদি, ৭। পলিথিন শিট, ৮। ইনজেক্টর ইত্যাদি।

কাজের ধাপ 

১. বড় লোহার কড়াই সংগ্রহ করতে হবে। 

২. কড়াইতে মাটি দিয়ে ওলটপালট করার হাতা নিতে হবে । 

৩. মাটি জ্বাল দেয়ার জন্য চুলা, লাকড়ি নিতে হবে। 

৪. জমির উপর দিয়ে বিছায়ে দেয়ার জন্য খড়কুটা বিচালি নিতে হবে। 

৫. রাসায়নিক পদার্থ ফরমালডিহাইড, ক্লোরািেপক্রিন, মিথাইল (ব্রোমাইড, ভ্যাপাম ইত্যাদি) কাঁচের পাত্রে করে নিতে হবে । 

৬. রাসায়নিক পদার্থ- মাটিতে দেয়ায় প্রবেশের জন্য ইনজেক্টর নিতে হবে। 

৭. রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগের পর মাটি ঢেকে রাখার জন্য পলিথিন শিট নিতে হবে।

৮. খড়কুটা/বিচালি জ্বালানারে জন্য দিয়াশলাই নিতে হবে।

এসব উপকরণ সংগ্রহ করে প্রত্যেকটির বৈশিষ্ট্য, রঙ, ভৌত অবস্থা ইত্যাদি খাতায় লিখতে হবে।

Content added By

প্রাথমিক তথ্য- বীজতলা বা জমির মাটি তাপের সাহায্যে বিভিন্ন ভাবে জীবানুমুক্ত করা যায়। যেমন- মাটির মধ্যে গরম বাষ্প দিয়ে, কড়াইতে মাটি নিয়ে জ্বাল দিয়ে, পলিথিন শিট জমির উপর দিকে ঢেকে রেখে সুর্যের তাপে মাটি গরম করে, জমির উপর খড়কুটা/বিচালি বিছায়ে আগুন ধরায়ে, জমির নাড়া, . আবর্জনা পুড়ায়ে ইত্যাদি।

প্রয়াজনীয় উপকরণ 

১। ছিদ্রযুক্ত ধাতব পাইপ ২। লোহার কড়াই, ৩। পলিথিন শিট, ৪। খড়কুটা বিচালি, ৫। দিয়াশলাই, ৬। লম্বা লাঠি, ৭। খাতা-কলম ইত্যাদি।

কাজের ধাপ 

১. ছিদ্রযুক্ত ধাতব পাইপ (ছোট ছিদ্রযুক্ত) মাটির মধ্যে প্রবেশ করায়ে গরম জলীয় বাষ্প পাইপের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করাতে হবে। 

২. লোহার বড় কড়াইতে জমির উপরিস্তরের (১০-১৫ সেমি. গভীর) মাটি কড়াইতে নিয়ে ১ ঘন্টাকালে তাপ দিতে হবে এবং নড়াচাড়া করতে হবে। 

৩. জমির উপর দিয়ে সাদা পলিথিন শিট বিছিয়ে পলিথিন শিটের চারদিক দিয়ে ভারা দিয়ে দিতে হবে প্রখর রোদের সময় এভাবে একাধারে ৫-৭ দিন জমি ঢেকে রাখলে তাপে অনেক জীবাণু মারা যাবে। 

৪. জমির উপর দিয়ে খড়কুটা/বিচালি সমভাবে বিছায়ে দিয়ে প্রখর সূর্যতাপের সময় আগুন ধরিয়ে পুড়ায়ে দিতে হবে। এতে জমির উপরিতরের রোগ-জীবাণু মারা যাবে। 

৫. জমি ফসল কাটার পর বিশেষত আমন ধান, গম, ভূট্টা, আখ ইত্যাদির নাড়া/পাতা যথেষ্ট সারা জমি বিছায়ে থাকে। শুকনা অবস্থায় এগুলোতে আগুন লাগায়ে দিয়ে তা পুড়ে দিলে মাটি শোধন হবে।

Content added By

প্রাথমিক তথ্য- 

বীজতলা বা জমির মাটি জীবাণুমুক্ত করণের (শোধন) জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ আছে। যেমন- ফরমালডিহাইড, ক্লোরোপিক্রিন, মিথাইল ব্রোমাইড, ভ্যাপাম ইত্যাদি। এগুলো মাটিতে প্রয়োগ করে পলিথিন শিট দিয়ে বীজতলা / জমির মাটি ঢেকে রাখলে মাটির রোগ জীবাণু মারা যায়।

প্রয়োজনীয় উপকরণ 

১। রাসায়নিক পদার্থ, (মাটি শোধনকারী), ২। ইনজেক্টর, ৩। পলিথিন শিট, ৪। হ্যান্ড গোব, ৫। মাক্স ৬ খাতা কলম।

কাজের ধাপ 

১. ১ লিটার ফরমালডিহাইডের সাথে ৫০ লিটার পানি মিশিয়ে নিতে হবে।

২. প্রতি বর্গমিটার জমিতে ১২ লিটার এই মিশ্রণ সমানভাবে ছিটিয়ে বা স্প্রে করে পলিথিন ত্রিপল শিট দিয়ে প্রায় সপ্তাহখানেক ঢেকে রাখতে হবে। 

৩. এরপর পলিথিন শিট/ত্রিপল সরায়ে ১০-১৫ দিন খোলা রাখতে হবে। 

৪. জমি ওলটপালট করে ফরমালিনের গন্ধ চলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে বীজ বপন/রোপণ করতে হবে। 

৫. ক্লোরোপিক্রিন ইনজেক্টরে করে নিয়ে ৪০ সেমি. পর পর মাটিতে ১৫ সেমি. গভীর প্রবেশ করায়ে সাথে সাথে । ত্রিপল মোটা পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। 

৬. ক্লোরোপিক্রিন দিয়ে ভেজানো মাটি প্রায় ১ সপ্তাহ থেকে রেখে পরে শিট সরায়ে মাটি ওলট পালট করে দিতে হবে। এতে মাটির বহু রোগজীবাণু মারা যাবে।

Content added By